ধর্ম – Bangla Green News https://bgn24.com সংবাদে নতুনত্বের সূচনায়! Tue, 24 Dec 2024 16:43:25 +0000 en-US hourly 1 https://wordpress.org/?v=6.8.1 মুক্তিজোট সকল খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীকে বড়দিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন https://bgn24.com/?p=4033 https://bgn24.com/?p=4033#respond Tue, 24 Dec 2024 16:43:24 +0000 https://bgn24.com/?p=4033 বড়দিন উপলক্ষে ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ তারিখে মুক্তিজোটের সংগঠন প্রধান আবু লয়েস মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহজামাল আমিরুল খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের সকল অনুসারীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে গণমাধ্যমে বিবিৃতি দিয়েছেন।

শুভেচ্ছা বার্তায় তাঁরা বড়দিন উপলক্ষে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে তাদের সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা কামনা করেছেন।

শুভেচ্ছা বার্তায় তাঁরা আরও বলেন ২৫ ডিসেম্বর খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব। মহান সৃষ্টিকর্তা যুগে যুগে মানব সমাজের পথ প্রদর্শক হিসেবে মহামানব প্রেরণ করেছেন। যীশুখ্রিস্ট তাদের মধ্যে অন্যতম। তিনি মানব মুক্তির পথ প্রদর্শক হিসেবে কাজ করেছেন। মানুষে মানুষে ভালোবাসার বিস্তারের মাধ্যমে একটি মানবিক পৃথিবী গড়ে তোলাই ছিল তাঁর লক্ষ্য। তাঁর দর্শন ছিল মানবিকতার দর্শন, মানুষকে ভালোবাসার দর্শন।

যীশুখ্রিস্টের ত্যাগ ও মহিমায় সবার জীবন উজ্জ্বল হয়ে উঠুক। ত্যাগের মহিমায় উজ্জীবিত হোক সকলে। এই শুভদিনে তাঁরা এ প্রত্যাশা করেছেন।

]]>
https://bgn24.com/?feed=rss2&p=4033 0
শারদীয় দুর্গোৎসবের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মুক্তিজোট https://bgn24.com/?p=3974 https://bgn24.com/?p=3974#respond Thu, 10 Oct 2024 11:18:54 +0000 https://bgn24.com/?p=3974 শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে দেশ সহ বিশ্বের সমগ্র বাংলা ভাষাভাষী সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের সংগঠন প্রধান আবু লায়েস মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহজামাল আমিরুল।

১০ অক্টোবর মুক্তিজোটের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি’র সদস্য (দপ্তর) উত্তম কুমার ঘোষ স্বাক্ষরিত বার্তায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে তাঁরা বলেন বাঙালি হিন্দুদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা। দুর্গাপূজার অন্তর্নিহিত বাণীই হচ্ছে হিংসা, লোভ ও ক্রোধরূপী ওসুরকে বিনাশ করে সমাজে স্বর্গীয় শান্তি প্রতিষ্ঠা করা। এ উৎসব ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার মধ্যে সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যের বন্ধনকে আরও সুসংহত করবে সে প্রত্যাশা ও প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তাঁরা।

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের বৈষম্যবিরোধী চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বন্ধন অটুট রেখে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে ক্ষুধা–দারিদ্রমুক্ত ও সুখী সমৃদ্ধ বৈষম্যহীন স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ে তোলারও আহ্বান জানান তাঁরা।

]]>
https://bgn24.com/?feed=rss2&p=3974 0
মুসলিম উম্মাহকে ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষ্যে মুক্তিজোটের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন https://bgn24.com/?p=3918 https://bgn24.com/?p=3918#respond Mon, 16 Sep 2024 08:40:27 +0000 https://bgn24.com/?p=3918 পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষ্যে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল মুসলমানদেরকে মুক্তিজোটের পক্ষ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন সংগঠন প্রধান আবু লায়েস মুন্না।

১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ তারিখে মুক্তিজোটের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য (প্রচার) শরিফ মোঃ বেদুইন হায়দার লিও স্বাক্ষরিত মুক্তিজোটের সংগঠন প্রধান ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহজামাল আমিরুল এর যৌথ বিবৃতিতে এ শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।

তাঁরা  বলেন, হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর আবির্ভাবে নিজেদের কল্যাণ ও শান্তির নিশ্চয়তা লাভসহ জগতের সব অত্যাচার-অনাচার, কুসংস্কার, নিষ্ঠুরতা, সামাজিক দ্বন্দ্ব-সংঘাত, মানবিক অসাম্য ও মানবাধিকার বৈষম্যের ঘোর অন্ধকার যুগ থেকে নিষ্কৃতি লাভের আলোকিত পথের সন্ধান পায় সমগ্র দুনিয়ার মানুষ।

তাঁরা আরও বলেন, মহানবী (সা.) এর শিক্ষা, আদর্শ ও ত্যাগের মহিমা আমরা আমাদের নিজেদের জীবনে প্রতিফলন ঘটিয়ে দেশ, জাতি তথা বিশ্ববাসীর শান্তি, মঙ্গল ও সমৃদ্ধিতে অবদান রাখতে পারি।

]]>
https://bgn24.com/?feed=rss2&p=3918 0
পবিত্র হজ পালন কালে হাজীদের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ মুক্তিজোটের https://bgn24.com/?p=3761 https://bgn24.com/?p=3761#respond Tue, 18 Jun 2024 12:08:55 +0000 https://bgn24.com/?p=3761 পবিত্র হজ পালন কালে হাজীদের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন মুক্তিজোটের সংগঠন প্রধান আবু লায়েস মুন্না। পবিত্র হজ পালন কালে পরলোকগমনকারী হাজীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং তাদের শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজন, আত্মীয়-স্বজন এবং গুণগ্রাহীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন তিনি।

প্রঙ্গতঃ মঙ্গলবার (১৮ জুন) সৌদি আরব সূত্রে হজ সম্পর্কিত বাংলাদেশ হজ অফিস ঢাকার হেল্পডেস্কের তথ্যমতে, পবিত্র হজ পালন করতে গিয়ে এখন পর্যন্ত মোট ১৮ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। মারা যাওয়া হজযাত্রীরা হলেন– নেত্রকোণা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার মো. আসাদুজ্জামান (৫৭), ভোলা জেলার মো. মোস্তফা (৯০), কুড়িগ্রাম জেলার লুৎফর রহমান (৬৫), ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জের মুরতাজুর রহমান (৬৩), চট্টগ্রাম জেলার রাউজান উপজেলার মোহাম্মদ ইদ্রিস (৬৪), ঢাকা জেলার মোহাম্মদ শাহজাহান (৪৮), কুমিল্লা জেলার আলী ইমাম ভুঁইয়া (৬৫) ও মো. শাহ আলম (৭৭), কক্সবাজার জেলার মহেশখালী উপজেলার মো. জামাল উদ্দিন (৬৯), কক্সবাজার জেলার রামু উপজেলার মোহাম্মদ নুরুল আলম (৬১), কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলার মাকসুদ আহমদ (৬১), ফরিদপুর জেলার মমতাজ বেগম (৬৩), কিশোরগঞ্জের সুফিয়া খাতুন (৬২) ঢাকার রামপুরার বাসিন্দা আরিফুল ইসলাম (৫৭), গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দপুর উপজেলার মো. সোলাইমান (৭৩), রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার শাহজাদ আলী (৫৫), রংপুরে তারাগঞ্জের গোলাম কুদ্দুস (৫৪) এবং মো. আলমগীর হোসেন খান (৭৩)।

সৌদি আরবের আইন অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি হজ করতে গিয়ে যদি মারা যান, তাহলে তার মরদেহ সৌদি আরবে দাফন করা হয়। নিজ দেশে আনতে দেওয়া হয় না। এমনকি পরিবার-পরিজনের কোনো আপত্তি গ্রাহ্য করা হয় না। মক্কায় হজযাত্রী মারা গেলে মসজিদুল হারামে জানাজা হয়।

]]>
https://bgn24.com/?feed=rss2&p=3761 0
ঈদুল আযহা উপলক্ষে সকল মুসলমানদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছে মুক্তিজোট https://bgn24.com/?p=3757 https://bgn24.com/?p=3757#respond Sat, 15 Jun 2024 18:07:20 +0000 https://bgn24.com/?p=3757 পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে দেশবাসীসহ বিশ্বের সকল মুসলমানকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছে বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের সংগঠন প্রধান আবু লায়েস মুন্না।

মুক্তিজোটের সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহজামাল আমিরুল স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে ১৬ই জুন ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ তারিখে তিনি আরও বলেন ঈদুল আযহা মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য আল্লাহর উদ্দেশে সবকিছু ত্যাগ করে দেওয়ার চেতনা আমাদের মনে জাগ্রত করে। যে শিক্ষা সামাজিক বৈষম্য দূরীকরণ, শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠায় আমাদের অনুপ্রেরণা দেয়।

লিখিত বক্তব্য আরও বলেন, আমরা এমন এক সময় পবিত্র ঈদুল আযহা উদযাপন করতে যাচ্ছি যখন দেশে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক, নৈতিকসহ নানা সংকট বিরাজ করছে। ঘুষ, দুর্নীতি, হত্যা, গুম, খুন, সন্ত্রাস, ধর্ষণ, চাঁদাবাজি ইত্যাদি সমাজ জীবনকে অতিষ্ঠ করে তুলছে। চাল, ডাল, আটা, তেল, মাছ, মাংসসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বেড়েই চলেছে। এমতাবস্থায় দেশের হতদরিদ্র, নিম্ন মধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষ কষ্টে দিন যাপন করছে।

তাই তিনি প্রত্যাশা করেন ঈদুল আযহা যেন শুধু পশু কোরবানী না হয়ে, সকল অসমতা, হিংসা-বিদ্ধেষের বিরুদ্ধে জেগে উঠে মানবতা, পারস্পরিক সম্প্রীতি। এই ঈদ সবার জীবনে বয়ে আনুক অনাবিল সুখ, শান্তি, আনন্দ ও সমৃদ্ধি। তিনি দেশবাসীসহ বিশ্বের সকল মুসলমানের সুস্বাস্থ্য ও মঙ্গল কামনা করে; সকলকে ‘ঈদ মোবারক’ জানান।

]]>
https://bgn24.com/?feed=rss2&p=3757 0
সালাতে অলসতা নয় https://bgn24.com/?p=3639 https://bgn24.com/?p=3639#respond Mon, 01 Jan 2024 06:17:30 +0000 https://bgn24.com/?p=3639 সালাত ইসলামের দ্বিতীয় রোকন। কুরআন ও হাদিসে একাধিক জায়গায় সালাতের বিষয় বর্ণিত হয়েছে। আল্লাহ তায়ালা বলেন- ‘এবং তোমরা সালাত কায়েম করো, জাকাত আদায় করো ও রুকুকারীদের সাথে রুকু করো।’ (সূরা বাকারাহ-৪৩) ইরশাদ হয়েছে- ‘তোমরা ধৈর্য ও সালাতের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা করো। আর নিঃসন্দেহে তা কঠিন মনে হয় তবে তাদের পক্ষে কঠিন নয়, যারা ধ্যান ও বিনয়ের সাথে সালাত পড়ে।’ (সূরা বাকারাহ-৪৫)
প্রত্যেক সুস্থ, বোধশক্তিসম্পন্ন ও প্রাপ্তবয়স্ক মুসলমান নর-নারীর ওপর সালাত ফরজ। এক দিকে সালাত আদায় করা যেমন আবশ্যক, অন্য দিকে সালাত আদায়ে রয়েছে জীবনের প্রকৃত সফলতা। ইরশাদ হয়েছে- ‘হে মু’মিনরা! রুকু করো, সিজদা করো, তোমাদের প্রতিপালকের ইবাদত করো এবং সৎকর্ম করো- যাতে তোমরা সফলতা অর্জন করতে পারো।’ (সূরা হজ-৭৭)অন্য আয়াতে ইরশাদ হয়েছে- ‘সেসব মু’মিন সফলকাম, যারা তাদের সালাতে বিনয়াবনত থাকে।’ (সূরা মু’মিনুন : ১-২)
রাসূলুল্লাহ সা: বলেছেন, ‘কিয়ামতের দিন মুসলিম বান্দার কাছ থেকে সর্বপ্রথম ফরজ সালাতের হিসাব নেয়া হবে। যদি সে তা পূর্ণরূপে আদায় করে থাকে (তবে তো ভালো)। অন্যথায় বলা হবে, দেখো তার কোনো নফল সালাত আছে কি না? যদি তার নফল সালাত থেকে থাকে, তবে তা দিয়ে তার ফরজ সালাত পূর্ণ করা হবে। অতঃপর অন্যান্য সব ফরজ আমলের ব্যাপারেও অনুরূপ ব্যবস্থা করা হবে।’ (ইবনে মাজাহ-১৪২৫)

তাই সালতের ব্যাপারে যতœবান হওয়া প্রতিটি মু’মিনের কর্তব্য। কুরআনে বর্ণিত হয়েছে- ‘তোমরা সালাতের প্রতি যতœবান হও, বিশেষ করে মধ্যবর্তী সালাতের প্রতি এবং আল্লাহর সামনে বিনীতভাবে দণ্ডায়মান হও।’ (সূরা বাকারাহ-২৩৮)

সালাত হলো বান্দা ও আল্লাহর মধ্যে মেলবন্ধনের সেতু। সালাত ত্যাগ করার কারণে সে মেলবন্ধন তৈরি হয় না। একপর্যায়ে সে কুফরের দিকে ঝুঁকে পড়ে। এ ব্যাপারে সতর্ক করে হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, ‘কুফর ও ঈমানের মধ্যে পার্থক্য হলো সালাত ত্যাগ করা।’ (তিরমিজি-২৬১৮)
মুনাফিক ব্যতীত কেউ সালাতে অলসতা করে না। তারা যখন সালাত পড়ে তাতে থাকে না কোনো একাগ্রতা ও স্থিরতা। লোকদেরকে দেখানোর জন্য কোনোরকম সালাত পড়ে থাকে। এদের সম্পর্কে কুরআনে ইরশাদ হয়েছে- ‘আর তারা যখন সালাতে দাঁড়ায় তখন অলসতার সাথে দাঁড়ায়। তারা মানুষকে দেখায় আর আল্লাহকে খুব সামান্যই স্মরণ করে।’ (সূরা নিসা-১৪২)

শরঈ ওজর ব্যতীত সালাত ত্যাগ করার কোনো সুযোগ ইসলামে নেই; বরং সালাতে অলসতাকারীদের জন্যও রয়েছে দুর্ভোগের কথা। স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা তাদের সম্পর্কে ইরশাদ করেছেন- ‘বড় দুর্ভোগ সেসব মুসল্লিদের, যারা তাদের সালাতে গাফিলতি করে। যারা মানুষকে দেখায় (লোক দেখানো নামাজ পড়ে)।’ (সূরা মাউন : ৪-৬)

লেখক : শিক্ষার্থী, জামিয়া রশিদিয়া এমদাদুল উলুম, গৌরনদী, বরিশাল

]]>
https://bgn24.com/?feed=rss2&p=3639 0
ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলেন যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ পাদ্রি https://bgn24.com/?p=3408 https://bgn24.com/?p=3408#respond Sun, 26 Feb 2023 10:16:41 +0000 https://bgn24.com/?p=3408 ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ পাদ্রি ফাদার হিলারিয়ান হেইগি। ইসলাম গ্রহণের পর হেইগি নিজের নামকরণ করেছেন আব্দুল লতিফ। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে ফাদার হেইগির ইসলাম ধর্মগ্রহণের বিষয়টি নিয়ে বেশ আলোচনা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের অনলাইন সংবাদমাধ্যম মিডিয়ামের এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।ইসলাম বিষয়ে ফাদার হিলারিয়ান হেইগির আগ্রহ অনেক পুরনো। আজ থেকে প্রায় ২০ বছর আগে হেইগি একইসঙ্গে মুসলমান এবং খ্রিস্টান হিসেবে পাদ্রির দায়িত্ব পালন করার ব্যাপারে আগ্রহ পোষণ করেছিলেন। তবে তখনও তিনি ইসলাম গ্রহণ করেননি। সম্প্রতি তিনি এক ব্লগ পোস্টে তার ইসলাম ধর্ম গ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

ইসলাম ধর্ম গ্রহণের বিষয়টিকে তিনি আবারও ইসলামে ফিরে আসার অনুভূতির সঙ্গে তুলনা করে বলেন, ‘আমার ইসলাম গ্রহণ মূলত আবারও ইসলামে ফিরে আসার মতো। অনেকটা যেন, আমি আবার নিজ বাড়িতে ফিরে এলাম।২০০৩ সালে ফাদার হিলারিয়ান হেইগি অ্যান্টিওকিয়ান অর্থোডক্স চার্চের আনুগত্য গ্রহণ করেন। পরে ২০১৭ সালে পূর্ব ক্যাথলিক চার্চে যোগদান করেন। তার আগে উইসকনসিনের সেন্ট নাজানিয়ানের হোলি রিজারেকশন মানাস্টেরি থেকে বাইজেন্টাইন ক্যাথলিক যাজক-সন্ন্যাসী হওয়ার বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।

পবিত্র কোরানের আয়াত অবলম্বনে হেইগি তার ব্লগ পোস্টে লিখেছেন, ‘যেহেতু আমরা জন্মের আগে একমাত্র আল্লাহরই উপাসনা করতাম এবং তাঁর কাছে আত্মসমর্পণ করতাম তাই এটি সত্যিই আমার কাছে বাড়ি ফেরার মতো।’

মুসলিম সম্প্রদায় তাকে উষ্ণ স্বাগত জানিয়েছে উল্লেখে করে হেইগি ওরফে আব্দুল লতিফ বলেন, ‘মুসলিম সম্প্রদায় আমাকে ব্যক্তিগত এবং অনলাইন উভয় ক্ষেত্রেই অবিশ্বাস্য উষ্ণতা এবং আতিথেয়তা দেখিয়েছে। এমন আতিথেয়তা আমি আগে কখনোই দেখিনি।’ ]]> https://bgn24.com/?feed=rss2&p=3408 0 এক পরিবারেই কোরআনের ৬৩ হাফেজ https://bgn24.com/?p=3402 https://bgn24.com/?p=3402#respond Thu, 23 Feb 2023 09:34:58 +0000 https://bgn24.com/?p=3402 গ্রামের নাম বিলবিলাস। পটুয়াখালীর বাউফল ইউনিয়নের এই গ্রামে হাফেজ পরিবারকে সবাই চেনে। আর তা বিশেষ একটি কারণে। শাহজাহান হাওলাদারের এই পরিবারের ৬৩ সদস্যই যে কোরআনের হাফেজ!

১৯৭১ সালে বাউফল সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন শাহজাহান হাওলাদার। তার ৬ ছেলে ও ৪ মেয়ে কোরআনের হাফেজ। তাদের বংশধররাও ধরেছেন একই পথ। যার ফলে ২ বছর আগে তাদের পরিবারে ৫৭ জন হাফেজ থাকলেও এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৩ জন।শাহজাহান হাওলাদার পৈতৃক ও মামাবাড়ির সম্পত্তি বিক্রি করে নির্মাণ করেছেন ১২টি মাদ্রাসা ও তিনটি মসজিদ।

তার ছেলে হাফেজ জোবায়ের হাওলাদার বলেন, ‘আমি পঞ্চম ছেলে। বড় ভাই সৌদি আরবের জেদ্দায় থাকেন। সেখানকার একটি মসজিদে ইমামতি করেন। তার সন্তানরাও হাফেজ। আমাদের অন্য ভাই ও বোনরা তাদের সন্তানদের হাফেজ বানিয়েছেন।’

শাহজাহান হাওলাদার বলেন, ‘আমার ১১ জন নাতজামাই, তারা সবাই হাফেজ। এছাড়া আমার পরিবারের ছেলে-মেয়ে, নাতবউসহ ৬৩ জন হাফেজ-হাফেজা রয়েছেন। এর মধ্যে ৪০ জনই আন্তর্জাতিক হাফেজ। আমি সাতটা বই লিখেছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমার বাবা হাফেজদের খুব ভালোবাসতেন। ছোটবেলায় বাবা-মা মারা যায়। ফলে আমার পক্ষে হাফেজ হওয়া সম্ভব হয়নি। এজন্য আমি চিন্তা করেছি আমার সন্তানদের সবাইকে হাফেজ বানাব। তারা ইসলাম প্রচার করবে’।বাউফল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘শাজাহান হাওলাদার একজন অসাধারণ মানুষ। তিনি পরিবারের ৬৩ সদস্যকে হাফেজ বানিয়েছেন এটা আমাদের গর্বের বিষয়।’

]]>
https://bgn24.com/?feed=rss2&p=3402 0
আত্নজয় ও আমাদের কোরবানী https://bgn24.com/?p=2244 https://bgn24.com/?p=2244#respond Tue, 12 Jul 2022 13:39:14 +0000 https://bgn24.com/?p=2244 আত্নজয় ও আমাদের কোরবানী

লেখক বেদুইন হায়দার লিও-

সকলকে পবিত্র ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা। একটা টেলিভিশন বিজ্ঞাপনের গিঙ্গেল ছিল এমন ” এক বছরে দুই আর খুশি আমরা মুসলমান একটা হল রমজানের ইদ আর একটা কোরবান। মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম আনান্দ উৎসব।
কোরবানি কি? এটা বললে আল্প কথায় এমন
আল্লাহর প্রতি ভালোবাসা লাভের উদ্দেশ্যে কিছু বিসর্জন দেয়াকে কোরবানি বলা হয়। আর্থিকভাবে সামর্থ্যবান (ছাহেবে নিসাব) ব্যক্তির উপর কোরবানির হুকুম পালন ওয়াজিব। সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও কেউ যদি কোরবানির মতো ইবাদত থেকে বিরত থাকে, তাহলে সে ব্যক্তি গুনাহগার হবেন।

কিন্ত এখন কালের পরিক্রমায় আমরা উৎসব টি ঠিক রেখে যে ত্যাগের মহিমায় মহিমান্বিত ঈদুল আজহা তার আর্দশের থেকে কিছুটা দুরে সরে যাচ্ছি। প্রসংগত আমরা কোরবানির ইতিহাসের দিকে যায় বিষয়গুলো সকলের জানা তাই সংক্ষিপ্ত করে উল্লেখ করছি।
আদি পিতা আদম (আঃ)-এর দুই পুত্র কাবীল ও হাবীলের দেওয়া কুরবানী থেকেই কুরবানীর ইতিহাসের গোড়াপত্তন হয়েছে।
পৃথিবীর প্রথম মানব হযরত আদম (আ:)-এর সন্তান হাবিল ও কাবিলের মধ্যে বিয়ে নিয়ে মতভেদ দেখা দিল। আদম (আ.) তার এ দুই সন্তান হাবীল ও কাবীলের মতভেদ দূর করার উদ্দেশ্যে বললেন: ‘তোমরা উভয়ে আল্লাহর উদ্দেশ্যে কুরবানী পেশ কর। যার কুরবানী গৃহীত হবে, তার সাথেই আকলিমার বিয়ে দেয়া হবে।’
সে সময় কুরবানী গৃহীত হওয়ার একটা সুস্পষ্ট নিদর্শন ছিল যে, আকাশ থেকে একটি অগ্নিশিখা এসে সে কুরবানীকে জ্বালিয়ে দিত। আর যার কুরবানী কবুল হতো না তার টা সেখানেই পড়ে থাকত।
তখনকার কুরবানীর পদ্ধতি সম্পর্কে জনা যায়, কাবিল ছিলেন চাষী। তিনি গমের শীষ থেকে ভাল ভালগুলো বের করে নিয়ে খারাপ গুলোর একটি আটি কুরবানীর জন্য পেশ করলেন। আর হাবিল ছিলেন পশুপালনকারী। তিনি তার জন্তুর মধ্যে থেকে সবচেয়ে ভাল একটি দুম্বা কুরবানীর জন্য পেশ করেন। এরপর নিয়মানুযায়ী আকাশ থেকে অগ্নিশিখা এসে হাবিলের কুরবানীটি ভষ্মীভূত করে দিল। আর কাবিলের কুরবানী যথাস্থানেই পড়ে থাকল। (সংক্ষেপ; তাফসীর ইবনু কাসীর, দুররে মনসূর, ফতহুল বায়ান, ৩/৪৫ ও ফতহুল ক্বাদীর, ২/২৮-২৯)
তারপর থেকে বিগত সকল উম্মতের উপর এটা জারী ছিল। আমাদের উপর যে কুরবানীর নিয়ম নির্ধারিত হয়েছে, তা মূলতঃ ইবরাহীম (আঃ) কর্তৃক শিশু পুত্র ইসমাঈল (আঃ)- কে আল্লাহর রাহে কুরবানী দেওয়ার অনুসরণে ‘সুন্নাতে ইবরাহীমী’ হিসাবে চালু হয়েছে।
মক্কা নগরীর জনমানবহীন ‘মিনা’ প্রান্তরে আল্লাহর দুই আত্মনিবেদিত বান্দা ইবরাহীম ও ইসমাঈল আল্লাহর কাছে নিঃশর্ত আত্মসমর্পণের মাধ্যমে তুলনাহীন ত্যাগের যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন, বর্ষপরম্পরায় তারই স্মৃতিচারণ হচ্ছে ‘ঈদুল আযহা’ বা কুরবানীর ঈদ।
আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণের প্রকৃষ্ট নমুনা এই কুরবানীতে প্রতীয়মান। তাই কুরবানী বলা হয় ঈদুল আজহার দিনগুলোতে নির্দিষ্ট প্রকারের গৃহপালিত পশু আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের জন্য জবেহ করা। ইসলামি শরিয়তে এটি এবাদত হিসেবে সিদ্ধ, যা কুরআন, হাদীস ও মুসলিম উম্মাহর ঐক্যমত দ্বারা প্রমাণিত।
কুরআন মজীদে যেমন এসেছে –
‘তোমার প্রতিপালকের উদ্দেশ্যে সালাত আদায় কর ও পশু কুরবানী কর।’
সুরায়ে কাউসারে আল্লাহ তায়ালা হুজুর সা. কে হুকুম করে বলেন-
নিশ্চয় আমি আপনাকে হাউজে কাউসার দান করেছি। অতএব আপনার পালনকর্তার উদ্দেশ্যে নামাজ ও কুরবানি আদায় করুন।
আল্লাহ তাআলা অন্য আয়াতে বলেন- হে আমার হাবিব আপনি বলুন যে, অবশ্যই আমার নামাজ, আমার কুরবানি, আমার জীবন, আমার মরণ, সব কিছুই মহান প্রতিপালকের জন্য। (সূরা আনআ’ম- ১৬২)
আল্লাহ তাআলা আরো বলেন- তারা কতক নির্দিষ্ট দিনে গৃহ পালিত চতুষ্পদ জন্তুর মাধ্যমে আল্লাহকে স্মরণ করে। (সুরা হজ্ব: আয়াত- ২৮)
কুরবানির আত্মত্যাগের এ পরীক্ষায় সফলকাম হয়েছিলেন মুসলিম জাতির পিতা হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালাম। আর তিনি ‘খলিলুল্লাহ’ বা আল্লাহর প্রিয়বন্ধু উপাধি লাভ করেছিলেন।
কোরবানির সংক্ষিপ্ত ইতিহাস থেকে এর গুরুত্ব গুলো বুঝতে পারলাম। মহান আল্লাহতালার নৈকট্য আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিৎ কিন্তু আমরা তা না করে হয়তো মাংস উৎসব করছি। যদিও সবাই তা করছে না কিন্তু সচেতন মাত্রই সমাজ কে অগ্রিম বার্তা দেওয়া উচিৎ আমরা অবক্ষয়ের দ্বার প্রান্তে চলে এসেছি। কোরবানি আসল কাজটি তাকওয়া থেকে আমরা ক্রমশ দুরে সরে যাচ্ছি হয়তো। মহাগ্রন্থ আল- কুরআনের দুটি সুরার দুটি আয়াত এমন
আল্লাহর কাছে (কুরবানীর পশুর)) গোশত ও রক্ত পৌঁছে না বরং তোমাদের অন্তরের তাকওয়া পৌঁছে থাকে। (সূরা হজ্ব, আয়াত- ৩৭)
আত্মত্যাগ যেন হয় শুধু আল্লাহর জন্য। আল্লাহ তায়ালা বলেন নিশ্চয়ই আমার নামাজ, আমার কুরবানি, আমার জীবন এবং আমার মৃত্যু সব কিছু সমগ্র জগতের মালিক আল্লাহর তায়ালার জন্য। (সূরা আন-আম আয়াত-১৬২ )
এই সুরার আয়াতের আলোকে বলা যাশ
কুরবানি হচ্ছে আত্ম কুরবানির প্রতীক। কুরবানির পশু জবাই আসলেই প্রতীকী ব্যাপার। আল্লাহ তাআলা নিজেই বলেছেন, পশুর গোশত, চামড়া, রক্ত কিছুই তার কাছে পৌঁছায় না। পৌঁছায় শুধু বান্দার তাকওয়া ও পরহেজগারি।শুধু পশু নয়, পশুত্বের কুরবানি দিতে হয়।

প্রতিটি মানুষের ভিতর নফসে আম্মারা নামক একটি হিংস্র পশু আছে ,যা প্রতিনিয়ত মানুষকে অন্যায় ও পাপ কাজে প্ররোচিত করে থাকে এবং আত্মাকে পাপিষ্ঠ আত্মায় পরিণত করে। পশুত্ব হলো অপরিচ্ছন্ন শত কালিমাময় আত্মা অর্থাৎ পাপিষ্ঠ আত্মা। মানুষের অন্তরাত্মা পাপে ভরা, যেটার সম্মিলিত নামই পশুত্ব। সর্বপ্রথম এই পাপিষ্ঠ আত্মা অর্থাৎ পশুত্বকে কুরবানি করার পর পশু কুরবানি করা উচিৎ। এই বিষয়টির সাথে রিপুর তুলনা করতে পারি।( মানুষের ছটি শত্রু, ষড়রিপু। ষড় অর্থাৎ ছয়, রিপু অর্থাৎ সহজাত দোষ।

(১)কাম (lust) – লালসা(২)ক্রোধ (anger) – রাগ,(৩)লোভ (greed) – লোলুপতা, লিপ্সা,(৪) মদ (arrogance/vanity) – অহংকার, দর্প (৫)মোহ (attachment) – আসক্তি, টান (৬) মাৎসর্য (envy/ মহান ইসলামি আদর্শ হিসাবে অসূয়া, পরশ্রীকাতরতা) এই রিপু এগুলো প্রতিটি মানুষের জন্মগত। আমাদের চেষ্টা করা উচিত এগুলো বাড়তে না দেয়া বা নিয়ন্ত্রণে রাখা।এটাই হতে পারে মানুষের সর্বোত্তম কোরবানি।

এভাবে এই শিক্ষা আমরা আমাদের দেশের সকল মুসলিম পরিবারের মধ্যে ধর্মীয় ও নৈতিক মূল্যবোধ এবং মহান ইসলামি আদর্শ হিসাবে স্মরণ করিয়ে দিতে পারি। মুসলিম জাতিকে এ মূল্যবোধে উদ্বুদ্ধ হওয়ার জন্যই হজ ও কুরবানির অনুষ্ঠান।

কিন্তু দূঃখের বিষয়, বর্তমানে বিজাতীয় অপসংস্কৃতি এবং চিন্তাধারার অনুপ্রবেশ আমাদের ধর্মীয় ও শ্রেষ্ঠ জীব মানুষ হিসাবেও মানবিক মূল্যবোধের উপর চরম আঘাত হেনেছে। কুরবানি শুধুমাত্র একটি নিছক আনুষ্ঠানিকতায় পরিণত হয়েছে। লোক দেখানো পশু কেনা, পশু কিনতে গিয়ে প্রতিযোগিতা ও আড়ম্বড়তার বহিঃপ্রকাশ লক্ষ্য করা যাচ্ছে প্রতিনিয়ত । অথচ কুরবানি করার বিধান এ জন্য হয়নি। লোক দেখানো ইবাদত নিশ্চয়ই আল্লাহর দরবারে কবুল হওয়ার নয়।মহান আল্লাহতালা তার প্রিয়নবী মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি সাল্লাম এর উম্মতদের নিশ্চয়ই এমন শিক্ষা দেন নাই ।

মহান স্রষ্টার প্রতি যথার্থ আনুগত্য প্রদর্শন, তাঁর সন্তুষ্টি ও মানব কল্যাণে সর্বোচ্চ আত্মত্যাগ করার জন্য ধর্মীয় অঙ্গীকার ঘোষণায় সামাজিক আনন্দের উৎসব হিসেবে ঈদুল আজহা উদযাপিত হয় বাংলাদেশ সহ সারা বিশ্বে।
এ উৎসব আত্ম-বিশ্লেষণ ও আত্মশুদ্ধিসহ পশুত্ব কুরবানির উৎসব। তাই আমাদের ত্যাগের মানসিকতা তৈরি করতে হবে। মনুষ্যত্ব ও মানবতাবোধকে জাগ্রত করতে হবে। যথাযথভাবে কুরবানি করার মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য ও বান্দার ভালোবাসা অর্জন করতে হবে। তবেই কুরবানি পালনের যথার্থতা উপলব্ধি করা সম্ভবপর হয়ে উঠবে।মনের পশুত্ব কে কোরবানি করে আত্নজয়ের চেষ্টা ও তার আর্জনের মাধ্যমেই হতে পারে আসল কোরবানী।

আপনার করা পশু কোরবানি দিতে পারে আপনার আসেপাসের সকল মেহনতী হত দরিদ্র মানুষের এক আনন্দ কারণ তারা সমাজের বঞ্চিত, নিপিড়ীত অধিকার হারা সাধারণ জনগণ আপনার প্রতিবেশী। মহান আল্লাহ আপনাকে সার্মথ্য দিয়েছেন এটারই পরীক্ষার জন্য। আর মানুষের পশুত্ব না থাকলেই তো প্রকৃত সাম্য ও ইসলামিক সমাজ প্রতিষ্ঠিত হবে । আল্লাহ তাআলা আমাদের কুরবানির ত্যাগ ও উৎসর্গকে কবুল করুন। সবাই কে কোরবানির আসল মহত্ত্ব বোঝার তৌফিক দান করুন। আমিন।

  • লেখক… 
  • বেদুইন হায়দার লিও
]]>
https://bgn24.com/?feed=rss2&p=2244 0
নামাজে গিয়ে সিজদায় কী দোয়া পড়া যায়? https://bgn24.com/?p=1870 https://bgn24.com/?p=1870#comments Fri, 17 Jun 2022 08:17:41 +0000 https://bgn24.com/?p=1870 নামাজে গিয়ে সিজদায় কী দোয়া পড়া যায়?
বাংলা গ্রীন নিউজঃ
সিজদায় গেলে বান্দা আল্লাহর নৈকট্যে চলে যায়। সিজদা মানে প্রভুর দরবারে মাথা লুটিয়ে দেওয়া। সিজদা শব্দটি মূলত আরবি। শাব্দিক অর্থ- নম্রতা, বিনয়, মাথানত করা, আত্মসমর্পণ করা, ঝুঁকে পড়া, চেহারা মাটিতে রাখা ইত্যাদি।

পারিভাষায় আল্লাহ তাআলার ইবাদতের উদ্দেশ্যে বিনম্রচিত্তে মানুষের সাতটি অঙ্গ দ্বারা মাটিতে লুটিয়ে পড়ে— যে ইবাদত করা হয়, তাকে সিজদা বলে। সাতটি অঙ্গ বলতে আমরা সরাসরি সহিহ বোখারি ও মুসলিম শরিফে বর্ণিদ হাদিসের মাধ্যমে জানতে পারি, আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে তিনি বলেন, আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘আমাকে শরীরের সাতটি হাড়; যথা- নাকসহ কপাল, দুই হাত, দুই হাঁটু, দুই পায়ের পাতার অগ্রভাগের সাহায্যে সিজদা করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর কাপড়, দাড়ি ও চুল একত্রিত করে বেঁধে রাখতে নিষেধ করা হয়েছে। (মিশকাত, হাদিস : ৮৮৭)

এক.

আরবি :

«سُبْحَانَ رَبِّيَ الأَعْلَى»

উচ্চারণ : সুবহা-না রব্বিয়াল আ‘লা। অর্থ : আমার রব্বের পবিত্রতা ও মহিমা বর্ণনা করছি, যিনি সবার উপরে।’ (তিনবার বলা)
(দাউদ, হাদিস : ৮৭০; তিরমিজি, হাদিস : ২৬২; নাসায়ি, হাদিস : ১০০৭; ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৮৯৭; আহমাদ, হাদিস : ৩৫১৪)

দুই.

আরবি :

«سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ رَبَّنَا وَبِحَمْدِكَ، اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي»

উচ্চারণ : সুবহা-নাকাল্লা-হুম্মা রব্বানা ওয়া বিহামদিকা আল্লা-হুম্মাগফির লী।

অর্থ : হে আল্লাহ! আমাদের প্রভু! আপনার প্রশংসাসহ আপনার পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করছি। হে আল্লাহ! আপনি আমাকে মাফ করে দিন।

(আবু দাউদ, হাদিস : ৮৭০; তিরমিজি, হাদিস : ২৬২; নাসায়ি, হাদিস : ১০০৭; ইবন মাজাহ, হাদিস : ৮৯৭; আহমাদ, হাদিস : ৩৫১৪)

তিন.

আরবি :

«سُبوحٌ، قُدُّوسٌ، رَبُّ الْمَلَائِكَةِ وَالرُّوحِ»

উচ্চারণ : সুব্বূহুন কুদ্দূসুন রাব্বুল মালা-ইকাতি ওয়াররূহ)।

অর্থ : (তিনি/আপনি) সম্পূর্ণরূপে দোষ-ত্রুটিমুক্ত, অত্যন্ত পবিত্র ও মহিমান্বিত; ফেরেশতাগণ ও রুহের প্রতিপালক।
(মুসলিম, হাদিস : ১/৩৫৩, ৪৮৭; আবু দাউদ, হাদিস : ৮৭২)

চার.

আরবি :

«اللَّهُمَّ لَكَ سَجَدْتُ وَبِكَ آمَنْتُ، وَلَكَ أَسْلَمْتُ، سَجَدَ وَجْهِيَ لِلَّذِي خَلَقَهُ، وَصَوَّرَهُ، وَشَقَّ سَمْعَهُ وَبَصَرَهُ، تَبَارَكَ اللَّهُ أَحْسنُ الْخَالِقينَ»

উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা লাকা সাজাদতু ওয়াবিকা আ-মানতু ওয়া লাকা আসলামতু। সাজাদা ওয়াজহিয়া লিল্লাযী খালাক্বাহু ওয়া সাওয়্যারাহু ওয়া শাক্কা সাম‘আহু ওয়া বাসারাহু, তাবারাকাল্লাহু আহ্‌সানুল খালিক্বীন।

অর্থ : হে আল্লাহ! আমি আপনার জন্যই সিজদা করেছি, আপনার উপরই ঈমান এনেছি, আপনার কাছেই নিজেকে সঁপে দিয়েছি। আমার মুখমণ্ডল সিজদায় অবনত সেই মহান সত্তার জন্য; যিনি একে সৃষ্টি করেছেন এবং আকৃতি দিয়েছেন, আর তার কান ও চোখ বিদীর্ণ করেছেন। সর্বোত্তম স্রষ্টা আল্লাহ অত্যন্ত বরকতময়। (মুসলিম, হাদিস : ১/৫৩৪)

পাঁচ.

আরবি :

«سُبْحَانَ ذِي الْجَبَرُوتِ، وَالْمَلَكُوتِ، وَالْكِبْرِيَاءِ، وَالْعَظَمَةِ»

উচ্চারণ : সুবহা-নাযিল জাবারূতি, ওয়াল মালাকুতি, ওয়াল কিবরিয়া-ই ওয়াল ‘আযামাতি)।

অর্থ : পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করছি সেই সত্তার, যিনি প্রবল প্রতাপ, বিশাল সাম্রাজ্য, বিরাট গৌরব-গরিমা এবং অতুলনীয় মহত্ত্বের অধিকারী।
(আবু দাউদ, হাদিস : ১/২৩০, ৮৭৩; নাসায়ি, হাদিস : ১১৩১; আহমাদ, হাদিস : ২৩৯৮০)

ছয়.

আরবি :

«اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي ذَنْبِي كُلَّهُ: دِقَّهُ وَجِلَّهُ، وَأَوَّلَهُ وَآخِرَهُ، وَعَلاَنِيَّتَهُ وَسِرَّهُ»

উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মাগফির লী যাম্বী কুল্লাহু; দিক্কাহু ওয়া জিল্লাহু, ওয়া আউয়ালাহু ওয়া ‘আখিরাহু, ওয়া ‘আলানিয়্যাতাহু ওয়া সিররাহু)।

অর্থ : হে আল্লাহ! আমার সমস্ত গুনাহ মাফ করে দিন— তার ক্ষুদ্র অংশ, তার বড় অংশ, আগের গুনাহ, পরের গুনাহ, প্রকাশ্য ও গোপন গুনাহ।
(মুসলিম, হাদিস : ১/২৩০, : ৪৮৩)

সাত.

আরবি :

«اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِرِضَاكَ مِنْ سَخَطِكَ، وَبِمُعَافَاتِكَ مِنْ عُقوبَتِكَ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنْكَ، لاَ أُحْصِي ثَنَاءً عَلَيْكَ، أَنْتَ كَمَا أَثْنَيْتَ عَلَى نَفْسِكَ»

উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা ইন্নী আঊযুবিরিদ্বা-কা মিন সাখাত্বিকা, ওয়া বিমু‘আ-ফা-তিকা মিন ‘উক্বুবাতিকা, ওয়া আঊযু বিকা মিনকা, লা উহ্‌সী সানা-আন আলাইকা, আনতা কামা আসনাইতা ‘আলা নাফসিকা।

অর্থ : হে আল্লাহ! আমি আপনার সন্তুষ্টির মাধ্যমে অসন্তুষ্টি থেকে, আর আপনার নিরাপত্তার মাধ্যমে আপনার শাস্তি থেকে আশ্রয় চাই। আর আমি আপনার নিকটে আপনার (পাকড়াও) থেকে আশ্রয় চাই। আমি আপনার প্রশংসা গুনতে সক্ষম নই; আপনি সেরূপই, যেরূপ প্রশংসা আপনি নিজের জন্য করেছেন।
(মুসলিম, হাদিস : ১/৩৫২, ৪৮৬)

]]>
https://bgn24.com/?feed=rss2&p=1870 1