সম্পাদকীয় – Bangla Green News https://bgn24.com সংবাদে নতুনত্বের সূচনায়! Tue, 27 Aug 2024 03:47:19 +0000 en-US hourly 1 https://wordpress.org/?v=6.8.1 মানুষ মানুষের জন্য https://bgn24.com/?p=3832 https://bgn24.com/?p=3832#respond Mon, 26 Aug 2024 07:40:47 +0000 https://bgn24.com/?p=3832 সারাদেশে চলছে ভয়াবহ বন্য। মানুষ এগিয়ে এসেছে আজ মানুষের মধ্যে যে ঐক্য দেখা তা বিগত বছর গুলোতে ছিল বিরল। কিন্তু এরই মাঝে কিছু ব্যাপ্তয় ঘটছে সাম্প্রতিক সময়ে কিছু ছবি সোস্যাল মিডিয়াতে দেখে সেখানে ঘটছে এমন এ যেন এক বন্যা ট্যুর। bgn24.com সকলকে আরও দায়িত্বশীল হবার জন্য আহ্বান জানাচ্ছে। আমরা কাজের সময় মানুষ ও মানবতা কেই বেশি গুরুত্ব দিয়।

]]>
https://bgn24.com/?feed=rss2&p=3832 0
সন্তোষ দাস কে দেবার মত কোন সন্তোষজনক কোন উত্তর আছে কি? https://bgn24.com/?p=2688 https://bgn24.com/?p=2688#respond Sat, 20 Aug 2022 12:37:15 +0000 https://bgn24.com/?p=2688 সন্তোষ দাস কে দেবার মত কোন সন্তোষজনক কোন উত্তর আছে কি?

গানটা বোধ হয় সবাই শুনেছেন ” বাবু বলে কাম কাম সদ্দার বলে নিবো গায়ের চাম ও বাবুরে ফাকি দিয়ে চালাইলি আসাম ” সকালে বিকালে নানা কাজে চা না হলে চলেই না। দুটি পাতা একটি কুড়ির চা পাতার জীবনে যাপিত মানুষ গুলোর রং চায়ের মত রং নেই, স্বপ্ন নেই, বিবর্ণ আটপৌরে সাদা মাটা জীবন। এখন তাদের সারাদিনের ঘামের মুল্য ১২০ টাকা।

এদেশের মানুষের জীবন মান নিয়ে গোল টেবিলে বসে চা চক্র করা সুশীল সমাজের মানুষরাও হয়তো কল্পনা করতে পারবে না এদের মানবতার জীবনের কথা। হয়তো তারা রাস্তায় নেমে আসে না, আজকের মত মানে ১৭ ই আগষ্টের মত সারা চা বাগানে একযোগে বোমা হামলা করে না। এরা হয়তো মতিঝিল অবরোধ করে না হয়তো লগি বৈঠার মিঠিল করে না। কিন্তু ক্ষুধার কষ্ট বোধ করি আমাদের মতই অনুভব করে। অভিজাত পাড়ার পাস দিয়ে হেটে গেলে একটা ভালো খাবারের গন্ধ নাকে এলে বোধ করি এরাও আপন মনে বলে উঠে হায় ভগবান হামাক পেল দিলি কিন্তুক তা ভরবার ল্যাইগ্যে দিলিক লয়। হাজার টাকার বালিশের দেশে কে শুনবে ওদের নালিশ। হলমার্ক পিকে হাল দারের দেশে কে করবে ওদের শালিশ। এদের একজন গোবরে ফোটা পদ্ন সন্তোষ রবিদাস অঞ্জন। তার মা কে লিখেছেন।

মৌলভীবাজার জেলার শমসেরনগরে ফাঁড়ি কানিহাটি চা-বাগানের এক চা শ্রমিক পরিবারের ছেলে আমি। জন্মের ছয় মাসের মাথায় বাবাকে হারিয়েছি। মা চা-বাগানের শ্রমিক। তখন মজুরি পেতেন দৈনিক ১৮ টাকা।সেই সময় আমাকে পটের দুধ খাইয়ে, অন্যের বাসায় রেখে মা যেতেন বাগানে কাজ করতে।(সকাল থেকে সন্ধা অবধি কাজ করতেন সন্তোসের মা)
২০০৭ সালে আমি ক্লাস ফাইভে পড়ি। মায়ের মজুরি তখন ৮৮ টাকা। এক দিন বললেন, ‘বাজারে গিয়ে পাঁচ কেজি চাল নিয়ে আয়।’ সেই চাল দিয়ে এক মাস চলেছে আমাদের। পরদিন সকালে স্কুলে যাওয়ার আগে দেখি মা চাল ভাজলেন। পলিথিনে সেই ভাজা চাল, আটার রুটি আর লাল চা একটা বোতলে ভরে গামছায় প্যাঁচালেন।

আর আমাকে আটার রুটি ও লাল চা দিলেন। দুপুরে খেতে গিয়ে দেখি শুধু পেঁয়াজ, শুকনা ভাত, তেল আর লবণ আছে। তা দিয়ে মেখে খেলাম। রাতেও কোনো তরকারি ছিল না। তখন পাশের বাসার কাকু আমাকে ডেকে কুমড়া আর আলু দিয়েছিলেন, যা দিয়ে আমরা দুইটা দিন পার করেছিলাম। তখন কুপি বাতির আলোয় পড়তাম। মা আগেই রেডি করে দিতেন বাতি। তেল শেষ হয়ে গেলে আর পড়া হতো না। দোকানদার বাকিতে তেল দিতেন না।(দোকাদারের মনে ভয় এই চায়ের পাতা তোলা শ্রমিক টাকায় বা দিবে কিভাবে)
পঞ্চম শ্রেণির পর ভর্তি পরীক্ষায় পাস করে ক্যামেলিয়া ডানকান ফাউন্ডেশন স্কুলে পাঁচ বছরের জন্য ফ্রি পড়ালেখার সুযোগ পাই।

মা অনেক খুশি হয়েছিলেন। তখন তাঁর সামান্য আয়ের একটা অংশ থেকে আমাকে টিফিন খাওয়ার জন্য প্রতি সপ্তাহে ৭০-৮০ টাকা দিতেন। ২০১৩ সালে বিএএফ শাহীন কলেজে ভর্তি হই। তখন মা ১০২ টাকা করে পেতেন। এই সময়ে তিনি গ্রামীণ ব্যাংক থেকে কিস্তি তুলে আমার ভর্তির টাকা, ইউনিফর্ম আর বই-খাতা কিনে দিয়েছিলেন। ২০১৪ ডিসেম্বর। মায়ের হাতে টাকা নেই। তখন এইচএসসির রেজিস্ট্রেশন চলছিল। মা ৫০ টাকার একটা নোট দিয়ে চোখের জল ফেলতে ফেলতে বলেছিলেন, ‘কেউ ধার দেয়নি রে বাপ।’ কলেজের এক শিক্ষকের কাছ থেকে ধার নিয়ে সেবার রেজিস্ট্রেশন ফি দিয়েছিলাম।

এইচএসসির পর ভর্তি পরীক্ষার কোচিং। মা তখন আবার লোন নিলেন গ্রামীণ ব্যাংক থেকে। লোনের কিস্তির জন্য এই সময় মা বাড়ি থেকে অনেক দূরে গিয়ে বালু শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। বিনিময়ে পেতেন ৩০০ টাকা। আমি জানতাম ঘরে চাল নেই। শুধু আলু খেয়েই অনেক বেলা কাটিয়েছিলেন মা।
এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পেলাম। মা তখন কী যে খুশি হয়েছিলেন! কিন্তু ভর্তির সময় যত ঘনিয়ে আসছিল, মায়ের মুখটা তত মলিন দেখাচ্ছিল। কারণ চা-বাগানে কাজ করে যা পান তা দিয়ে তো সংসারই চলে না। ভর্তির টাকা দেবেন কোথা থেকে। পরে এলাকার লোকজন চাঁদা তুলে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে সহায়তা করল বিশ্ববিদ্যালয়ে টিউশনি করেই চলতাম। হলের ক্যান্টিনে ২০ টাকার সবজি-ভাত খেয়েই দিন পার করেছি। অনেক দিন সকালে টাকার অভাবে নাশতাও করতে পারিনি। দুর্গাপূজায় কখনো একটা নতুন জামা কিনতে পারিনি।

২০১৮ সালে শ্রেষ্ঠ মা হিসেবে উপজেলায় মাকে সম্মাননা দেওয়া হবে বলে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে জানানো হয়। পরে মায়ের নামটা কেটে দেওয়া হয়েছিল। খোঁজ নিয়ে জেনেছি, মা আমার চা শ্রমিক। স্টেজে উঠে নাকি কিছু বলতে পারবেন না। তাই নাম কেটে দিয়েছে! মা এখনো প্রতিদিন সকালে একটা বোতলে লবণ, চা-পাতা ভর্তা, আটার রুটি, সামান্য ভাত পলিথিনে ভরে নিজের পাতি তোলার গামছায় মুড়িয়ে নিয়ে দৌড়ান চা-বাগানে। আট ঘণ্টা পরিশ্রম করে মাত্র ১২০ টাকা মজুরি পান! এই মজুরিতে কিভাবে চলে একজন শ্রমিকের সংসার? আজকাল মায়ের শরীর আর আগের মতো সায় দেয় না। বলেন, ‘তোর চাকরি হইলে বাগানের কাজ ছেড়ে দেব।’ আমি এখন সেই দিনের প্রতীক্ষায় আছি….!-সন্তোষ রবিদাস অঞ্জন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

একজন সন্তোষের কথা বলতে পারলাম। সে তার সবটা বলেনি। সবটা বলা যায় না। রাগিব আলিদের আলিসান বাড়ি হয় আর আমি বড্ড বহায়র মত আতিক কে বলি আর এক কাপ চা দিস তো বাপ। সবাই লাল চা বলতো আমি বলতাম খয়েরী চা। এখন বুঝি চায়ের রং আসলেই লাল কারন শ্রমিকের গায়ে আমার আপনার মত লান রক্ত প্রবাহিত। অনেকক্ষণ ভেবেও সন্তোষ কে দেবার মত কোন সন্তোষজনক উত্তর পেলাম না।

বেদুইন হায়দার লিও
সাবেক সদস্য সচিব
তেল গ্যাস বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।

]]>
https://bgn24.com/?feed=rss2&p=2688 0
ইসলামী সমাজ কল্যাণ সংস্থার বার্ষিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। https://bgn24.com/?p=1684 https://bgn24.com/?p=1684#respond Fri, 12 Nov 2021 11:52:29 +0000 https://bgn24.com/?p=1684 ইসলামী সমাজ কল্যাণ সংস্থার বার্ষিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ইসলামী সমাজ কল্যাণ সংস্থার সম্মানিত সভাপতি,ওমর ফারুকের সভাপতিত্বে আজ বিকাল ৩.০০ টায়, নলেজ কোচিং সেন্টারে ইসলামী সমাজ কল্যাণ সংস্থার বার্ষিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উক্ত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সংস্থাটির সভাপতি ওমর ফারুক, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সংস্থার সহঃ সভাপতি, মোঃ মাসুম বিল্লাহ, মামুন মোল্লা,রানা খান,মাসুদুর রহমান। সাধারণ সম্পাদক,কাকন ভূইয়া, সহঃ সাধারণ সম্পাদক, সোহাগ পাঠান,সহঃ সাংগঠনিক সম্পাদক, ইউসুফ আলী,কোষাধ্যক্ষ ফরহাদ রেজা, সহ প্রচার সম্পাদক, আলমগীর হোসেন, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক, নাজমুল ইসলাম, সহঃ শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক, জুয়েল রানা। ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক, ওহিদুল ইসলাম, সহঃ ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক, সোহান আলম ও ইব্রাহিম, প্রবাসী কল্যাণ সম্পাদক, শহিদুল ইসলাম। রক্ত বিষয়ক সম্পাদক, মোঃ সজিব মাহমুদ। ত্রাণ দুর্যোগ বিষয়ক সম্পাদক, ইমরান হুসাইন, সহঃ দপ্তর বিষয়ক সম্পাদক, মোঃ সাকিব মেহবুব। সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মনিরুল ইসলাম। সহঃ সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক, রাফি উদ্দীন সহ আরও অনেকের উপস্থিতিতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এবং নতুন কমিটির পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত হয়।

]]>
https://bgn24.com/?feed=rss2&p=1684 0
একটি সাংস্কৃতিক বিপর্যয়ের দ্বার প্রান্তে। https://bgn24.com/?p=1307 https://bgn24.com/?p=1307#respond Thu, 17 Jun 2021 10:01:24 +0000 https://bgn24.com/?p=1307
মানব স্বত্বা দুটি ভাগে ভাগ বিভক্ত একটি হল শরীরিক ও আপরটি মানষিক। শরীরের প্রয়োজনে খাবার পানি ঔষধ থাকলেও মানষিক অবসাদ ও অনান্য সমস্যা থেকে বাঁচতে মানুষ যুগে যুগে নানা বিনোদন খুঁজছে। সেখান থেকে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড তথা নাটক,গান কবিতা এগুলো এসেছে। মানষিক প্রশান্তি পেতে শিল্পী ছবি একেছেন, কবি লিখেছেন কবিতা। আর এগুলো প্রকাশ করছে সমকালীন জীবনযাত্রার কথা। একটি জাতি স্বত্বার ইতিহাস, ঐতিহ্য ক্রমবিকাশ, নীতি, আর্দশ সব কিছু। আমরা আমাদের প্রাচীন লেখাগুলোতে আমাদের বাঙালীর ইতিহাস জানি, জানি আমাদের বোধ বা মুল্যবোধ সম্পর্কে। আমাদের বাঙালীত্বের বোধ। আমাদের আপদে বিপদে পরস্পরের সহযোগিতার বোধ। কিন্তু আজ সেই বোধ কেমন জানি নচিকেতার একটি গানের লাইন হয়ে গেছে । “প্রতিদিন চুরি যায় মুল্যবোধের সোনা, আমাদের স্বপ্ন আমাদের চেতনা”। সারাবিশ্ব যখন করোনা মহামারী ও নানা প্রাকৃতির দুর্যোগে আক্রান্ত ঠিক তখনি আর একটা মহামারী বয়ে চলেছে আমাদের সাংস্কৃতির উপর।এই মহামারী আমাদের অস্তিত্বের সংকট ঘটাচ্ছে । এই মহামারীর দৃশ্যত্ব বলি মডেল, নায়িকা রা আর অদৃশ্য বলী কিছু স্বপ্নবাজ মানুষ যারা স্বপ্ন পুরোন করতে গিয়ে কখন যে বিত্তশালের ব্রকার হয়ে গেছে তারা তা জানেনা। একটি দুর্বৃত্তের পঁচা নর্দমার পড়ে কষ্টে শ্বাস নিচ্ছে।

মিডিয়া বা সাংস্কৃতিক সমস্যাটা সবাই জানি কিন্তু সমাধান জানি  না। আমি একটু সমস্যাটির গভীরতা নিয়ে আলোচনা করি। এখানে প্রধান সমস্যা আমাদের সাংস্কৃতিক পতন কে আমি দায়ী করতে চাই। আমাদের ছিল  হাজার বছরের সাংস্কৃতিক যে ঐতিহ্য।  ছিল আমাদের ছিল পারস্পরিক সহমর্মিতা বোধ। কিন্তু আত্নমর্যাদা সম্পন্ন বাঙালী জাতি তার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হারিয়ে  আত্নমর্যাদাহীণ জাতিতে পরিণত আজ। সাংস্কৃতিক মুল্যবোধ হারানো একটি জাতি হঠাৎ অর্থ বৈভব এ ডুবে গেল। শিল্প বোধ সম্পন্ন না এমন মানুষ মিডিয়াতে অর্থ লগ্নি করতে লাগলো। ধীরে ধীরে বাঙালী জাতি তার স্বকীয়তা হারিয়ে বিদেশি সাংস্কৃতিক ধজা ধারি হয়ে গেল। তাইতো আজ মডেল, নায়িকারা শিল্পপতিদের কাছে লাঞ্ছিত হচ্ছে।

বলা হয় নায়িকারা চরিত্রহীন। তো প্রশ্ন নায়িকাদের কে চরিত্রহীন করলো কারা। কাদের ক্ষতি বেশি সাধু সাবধান আমাদের সাংস্কৃতিক বির্পযয় টা শুরু হয়ে গেছে আপাতত নায়িকা মডেলদের লাঞ্ছিনা আপনারা দেখতেছেন। কিন্তু মিডিয়ার বা সাংস্কৃতিক  সাথে জড়িত ব্যাক্তিরাও এর বাইরে নয়। আমাদের দেশের পরিচালকগন বাধ্য হচ্ছে অনেক বিরূপ পরিস্থিতিকে মেনে নিতে। একটি সুস্থ দেশজ সাংস্কৃতিক বলয় গড়ে না উঠা এর একটি কারন। আগে আমাদের ছিল গানের দল যাত্রার দল পাড়ার নাটকের দল। এগুলোর মাধ্যমে আমাদের বিনোদন হত ও একটি নৈতিক উৎকর্ষ সাধিত হতো। কালের পরিক্রমায় সেগুলোর বিলুপ্তি ঘটেছে আর বিনোদনের মাত্রার সাথে যুক্ত হয়েছে অসুস্থ ধারা।

এক সময়ে ত্রাস ছাত্রদল ও পরবর্তীতে জাতীয় পার্টির নেতা গোলাম ফারুক অভির দ্বারা তৎকালীন মডেল তিন্নি হত্যার মধ্যে দিয়ে শুরু হয় মডেল হত্যার ইতিহাস । একটি সুস্থ স্বাভাবিক সাংস্কৃতিক বিকাশ না থাকলে চলবে নোংড়ামি। বাঙালী তার মৌলিকত্ব হারাবে। ঐ পরিমনিরা বারবার নাসিরদের কাছে প্রতারিত হবে। দেশে চলবে খুন গুম হত্যা রাহাজানি। তাই আবারো গ্রাম ভিত্তিক সাংস্কৃতিক সংগঠন গড়ে তোলা দরকার।

পাড়ায় পাড়ার নাটক হোক, গান হোক চলুক সামাজিক যাত্রাপালা।না হলে বিদেশি সংস্কৃতি আর টিকটক, লাইকি আমাদের ঘড়িতে টিক টিক ১২ টা বাজিয়ে দিবে।সরকারকে তাই বাঙালী সংস্কৃতি বাঁচাতে সারা দেশের ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মৃতপ্রায় থিয়েটার, গানের দল, যাত্রার দলগুলোকে প্রণোদনা দিয়ে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। এরা বাঁচলে অপসাংস্কৃতি দুর হবে । হাজার বছরের বাঙালী সাংস্কৃতিক বিকাশ ঘটুক না হলে আমরা হারাবো আমাদের জাতি স্বত্বার মৌলিকত্ব। সেই মৌলিকত্ব য়ার জন্য জীবন দিয়েছেন ৩০ লক্ষ শহীদ ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব।

বেদুইন হায়দার লিও ( নাট্যকার ও সাংস্কৃতিক কর্মী) 

]]>
https://bgn24.com/?feed=rss2&p=1307 0
শ্রমিকের ঘামে ভেজা পথে দেখ.. https://bgn24.com/?p=1167 https://bgn24.com/?p=1167#respond Sun, 09 May 2021 15:59:17 +0000 https://bgn24.com/?p=1167 আমাদের দেশে করোনা থেকে বাঁচার জন্য লক ডাউন চলছে।এটা সাড়া কোন উপায় নেই আমাদের হাতে। লকডাউনে চালু আছে গার্মেন্টস ও জনগুরুত্বপূর্ণ কারখানা। এখানে যারা কাজ করে তারা কারা তারা শ্রমিক। এখানে বাইরে বেরুতে নিষেধ করা হচ্ছে কারন করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি আছে। কিন্তু এখানে যারা কাজ করছে তাদের কি ঝুঁকি নাই। এবার তাদের কথা বলি এই যারা গার্মেন্টসে কাজ করে তারা সারা বছর পর দুই ঈদে ছুটি পায়, তাও  আবার জেনারেল ডিউটি করার পর মানে শুক্রবার বা ছুটির দিনে কাজ করে অর্জন করা ছুটি।  সেটা কেটে নেওয়া কতটুকু ন্যায় সংগত তা প্রশ্নের দাবি রাখে। দেশে একশ্রেণির  মানুষ সারা বছর বসে বসে বেতন নিচ্ছে আর আরেক শ্রেণির মানুষ করোনার ভয় কে মাথায় নিয়ে কাজ করে অর্জন  করা ছুটি এক নোর্টিশে বাদ দেওয়ার একবার চিন্তা করা উচিৎ কি না। 

বাংলাদেশ সহ সারা বিশ্ব করনোর কারনে বির্পযয়ের মুখে এখানে বাঁচার জন্য লক ডাউন। লকডাউনের অবশ্যই দরকার আছে কিন্তু লকডাউন দিয়েও বার বার গার্মেন্টস খোলা রেখে শ্রমিকদের করোনা ঝুকিতে ফেলে দিয়ে ঈদে বাড়ী গেলে করোনা হবে এই ভয় দেখালে তারা কি ভীত হবে? অবশ্যই  না। কৃতদাস প্রথা হয়ত বিলুপ্ত তবে শ্রমিক রা আসলে কতটুকু স্বাধীনতা ভোগ করে। তাদের স্বাস্থ্য নিয়ে কেউ কখনই সে ভাবেনি। ভাবলে আলাদা ব্যাবস্থা থাকতো।

এই মালিকগন চাইলেই করতে পারতো।কিন্তু তারা তো শ্রমিক শ্রেণির তারা আসলে আমাদের সমাজের নিপীড়িত, বঞ্চিত, শোষিত সমাজের মানুষ। তাদের রক্তে গড়ে উঠে আমাদের সভ্যতা কিন্তু তাদের ভাগ্যের পরিবর্তন হয় না। সিনেমার গল্পের মত হিরক রাজা যেমন মগজ ধলায়ের ব্যাবস্থা করেছিল। জানিনা তেমন চলছে কিনা। স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজ করা গার্মেন্টসের ক্ষেত্রে এর চাইতে বড় হাস্যকর আর কি হতে পারে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজ করতে বলতে পারেন কিন্তু স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাড়ী যাওয়ার ব্যবস্হা করতে পারেন না?।য়ার কারণে শ্রমিক আন্দোলন দানা বাঁধে।প্রানের দাবি মানুষ করবেই।সারাবছর ঢাকায় এমন হাড়ভাংগা খাটুনি খাটে মন একটু চাইতেই পারে নিজের এলাকায় একটু ঘুরে নিজেকে আবার কাজের জন্য প্রস্তুত করা।

তাইতো একটু বেশি ছুটি পেলে বরং পরবর্তী কাজে মানষিক কারনে মনোযোগ বেশি হবে। শনিবার (৮ মে) দুপুরে গ্রিনবাংলা গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের সভাপতি সুলতানা বেগম  বলেন, ‘ঈদের আগে শ্রমিকরা রাস্তায় নেমে আন্দোলন করুক আমরা সেটি চাই না। আমরা তাদের দাবি-দাওয়া বিষয়ে গার্মেন্টস মালিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি।

শ্রমিকদের দাবি বাস্তবায়নে মালিক, শ্রমিক ও বিজিএমইএ’র সদস্যরা মিলে ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে বসার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। দুপুর আড়াইটায় বিজিএমইএ ভবনে এ সভা বসবে।তবে আলোচনা করে যাই হোক দরকার ওদের ছুটি। সেই বিখ্যাত গানের মত ” আমি বৃষ্টির কাছ থেকে কাঁদতে শিখেছি আমার আর কান্নার ভয় দেখিয়ে কোন লাভ নেই”  এট মত। এই শ্রমিক গন আমাদের সেলাই দিদি মনিরা করোনার মধ্যে ও বাঁচতে শিখেছে কাজ করতে শিখেছে তাই বাড়ি গেলে করোনা হবে এমন ভয় ওরা পাবেনা।

ওদের ছুটি বাড়ানোটা এখন মানবিক দাবি। আজ রাজপথ ভিজে আছে শ্রমিকের ঘামে। একটু ছুটি বাড়িয়ে দেন সেই ঘামের দামে।

]]>
https://bgn24.com/?feed=rss2&p=1167 0
আল-জাজিরা ও আমাদের অবস্থান https://bgn24.com/?p=738 https://bgn24.com/?p=738#respond Fri, 05 Feb 2021 16:32:02 +0000 http://bgn24.com/?p=738

গনমাধ্যামকে  একটি দেশের গুরুত্বপূর্ণ  স্তম্ভ বলা হয়। আমাদের দুর্ভাগ্য আমাদের নিরপেক্ষ গণমাধ্যম গড়ে উঠেনি। যারা আছেন তাদের বেশীর ভাগ নিরপেক্ষতার অভাবে দুষ্ট । আবার নিরপেক্ষতারও একটি সীমাবদ্ধতা আছে। আমি বা আমরা বিশ্বাস করি নিরপেক্ষ মানে সর্বমতে বিরোধিতা নয় বরং যৌক্তিক  বিষয়ে কারো পক্ষ না নিয়ে   অবস্থান নেওয়া।

আমরা  bgn24.com একটি অন লাইন নিউজ পোর্টল।

আমরা প্রচলিত সংবাদ গুলো কে আমাদের নিরপেক্ষতার মাপ কাঠিতে বিচার বিশ্লেষণ করে  মানুষের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করি। অনুসন্ধিৎসু মানুষ তা পাঠ করে যদি তার একটু জানার তৃষ্ণা মেটে বা মেটাতে পারে আমরা তাতেই খুশি। আমরা দেখলাম একটি নিউজ যা কাতার ভিত্তিক বেসরকারী চ্যানেল আল- জাজিরা প্রচার করলো এবং তা নিয়ে আমাদের গণমাধ্যম চুপ।

গণমাধ্যমের এখানে একটা ভুমিকা থাকা দরকার। একটি বেসরকারী টেলিভিশন চ্যানেল কোন প্রকার বিচার বিশ্লেষণ ছাড়া একটি ব্যাক্তির কথার উপর রিপোর্ট করে ফেললো আমরা কি তাদের তথ্যের উৎস জানতে পারিনা। জানতে কি পরিনা সেনাপ্রধান এত শক্তিশালী হলে কেন তিনি অখ্যাত লোক খোজেন। বিষয়টি আমাদের রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যায় আমরা তা প্রতিহত না করে  অনেকেই   ভিডিও শেয়ার করছি গোপনে । বিষয়টি মনে হচ্ছে যেন এটা একটা পর্নোগ্রাফি গোপনে তা শেয়ারিং হচ্ছে।

আমরা এই সংবাদের ভিত্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলে   এটার ফলে কি কি হতে পারে সেটার আলোচনায় আসতে চাই। আল- জাজিরা সহ সকল বড় বড় গন মাধ্যাম গুলির প্রতি শ্রদ্ধা রেখে বলি এই জাতীয় নিউজের পিছনে একটা বিরাট উদ্দেশ্য থাকে। যদিও আপাতত আমরা জানিনা কি সেই উদ্দেশ্য ।    আমাদের দেশ একটি গতিতে চলছে আর এই চলার পথে আছে অনেক উন্নয়ন মুলক কাজ। যারা আমাদের তলাবিহীন ঝুড়ি বলেছেন,আমাদের জিএসপি সুবিধা বাতিল করেছেন তারা কিন্তু আমাদের দমিয়ে রাখতে পারছেনা। একটি দেশ যতবেশি অর্থনৈতিক ভাবে এগিয়ে যাবে ততই তার পরনির্ভরশীলতা কমবে।

আমাদের মত দেশের উন্নতির জন্য একটা সরকারকে বেশি সময় থাকা দরকার আর এখন সেটা হচ্ছে যেটা কারো কারো সমস্যা । মনে করেন ধরে নিলাম  দেশটি মাফিয়াদের দ্বারাই চলছে এতে কি আল জাজিরার কোন লাভ বা ক্ষতি আছে? । আমার দেশের কেউ কি আল জাজিরাই গিয়ে মায়া কান্না করেছে আমার দেশ বাঁচান। আল জাজিরা কি হঠাৎ মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন দেশটি নিয়ে অতি চিন্তিত হয়ে পড়লো। না ব্যাপারটি এ রকম না। আমরা আমাদের দেশে মৌলবাদীদের আস্ফালন দেখেছি, দেখেছি আগুন সন্ত্রাস। আবার এই দেশ ৩৬০ আউলিয়ার দেশ কোটি কোটি ইসলাম প্রিয় লোকও আছে।শান্তি পুর্ন ভাবে আরও কিছু ধর্মের  এবং  কিছু ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর লোকও আছে ।

এদেশে ইসলামের সত্য ও সঠিক  প্রচার চলছে, কাওমীরা পেয়েছে সমমান এদেশে হাফেজ, মোহাদ্দেস, আলেমদের সম্মান করা হয়। এখনে নেই জঙ্গিবাদ। আল জাজিরা তো এক সময় আল কায়দা, আই এস এর মুখ পাত্রের মত কাজ করতো সবাই দেখেছে। দেখতে  আল  -জাজিরা কি কি উদ্দ্যেশ নিয়ে কাজ করছে । কি কি উদ্দেশ্য তা না জানা গেলেও বর্তমান সরকারের পতন যে তারা চাই এটা নিশ্চিত।

বর্তমান সরকারের সবচেয়ে বড় অপরাধ কি? তারা বিশ্ব ব্যাংককে পাত্তা দেয়নি, তারা আমেরিকাকে পাত্তা দেননি। আমেরিকার নীল নকশা বস্তবায়নের প্রথম হাতিয়ার উগ্র মৌলবাদীদের আস্ফালন তাও সরকার বন্ধ করেছে, এদেশের সমুদ্রবন্দর ব্যাবহার করতে দেয়নি। আর যা করেছে এই সরকার তা হলো  মুক্তিযুদ্ধ চেতনা বিরোধী একটি শক্তিকে এ সরকার ক্ষমতাই আসতে দেয়নি। কাজেই এই সরকার কে বিপদে ফেলতেই হবে সে লক্ষ্যে আল-জাজিরা এই রিপোর্ট করেছে।

এবার আসি আমাদের দেশ নিয়ে একটি মিশ্র মনোভাবের একটা জাতি আমরা আমাদের  চালানো কম কথা নয়। এতবেশী প্রতিকুলতা পার করে দেশ শাসন কেউ কি কখনো  করেছে আমাদের দেশে। আমরা আশাবাদী সরকার ব্যাপারটি দেখবে । দেশের মানুষ আগের চেয়ে ভালো আছে এই করোনা কালে। একটা রাস্ট্রের জন্য এর চেয়ে ভালো কি আর হতে পারে।এবার দেশে ৭০,০০০ গৃহহীন পরিবার বাড়ি পাচ্ছে।
তারপরও হাজার হাজার মানুষ খোলা আকাশের নিচে ঘুমায়, বস্তিতে মানুষ মানবতর জীবন যাপন করছে,খুন,গুম তো আছেই , নকল ওষুধ , ভেজাল খাবার,ধর্ষণ, , বাস চাপা দিয়ে ছাত্র হত্যা, ধর্মের নামে ব্যবসা , নোংরা রাজনীতি,কথায় কথায় মানুষ মারা, যৌতুক , এসিড , ক্ষুধার্ত/ শীতার্ত মানুষর কান্না।

আপনারা কি তা শোনেন। একজন ভাবছে তিনি গনতন্ত্রের মানুষ কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী  জননেত্রী শেখ হাসিনা। আপনারা যারা আল-জাজিরাকে বাহবাও দেন তারা কি দেশের জন্য সবার জন্য এতটা ভাবেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা  ভাবেন যখন তার দলের মধ্যে নানা সমস্যা, আবাদ সম্পদের লোভে দল ভারি হচ্ছে আপনাদের মত সুবিধাবাদিদের নিয়ে।    এখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হাতে উপাই কি আছে তা দমনে। ডাকাতের হাতে বন্দুক আর পুলিশের কাছে বন্দুক এক কথা না। শেখ হাসিনা কে যা কিছু করতে হচ্ছে তা দেশের স্বার্থে।

দেশকে বাঁচাতে বঙ্গবন্ধুর কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বিকল্প নেই এখনো পর্যন্ত। আমরা তাঁর দীর্ঘায়ু কামনা করি। আর প্রতাশ্যা করি তার হাত দিয়েই ধংশ হোক চলমান অন্যায় গুলোর।

 

দায়িত্বশীল গণমাধ্যম হিসাবে আমরা আমাদের অবস্থান পরিষ্কার করলাম। বাংলাদেশ চিরজীবি হোক। 

বেদুুইন হায়দার লিও                                   

 সম্পাদক ও প্রকাশক, bgn24.com

]]>
https://bgn24.com/?feed=rss2&p=738 0
কারাগার হবে সংশোধনাগার। https://bgn24.com/?p=673 https://bgn24.com/?p=673#respond Thu, 28 Jan 2021 06:18:01 +0000 http://bgn24.com/?p=673

একটা জনপ্রিয় গান আছে আমি বন্দী কারাগারে, জেল খানার সম্বল থালা বাটি কম্বল। মানুষ অপরাধী হয়ে জন্মায় না। যদি একটু মনোবৈজ্ঞানিক ভাবে এবং পরিগত ভাবে কারাগার গুলোর মান উন্নয়ন করা যায় তাহলে তাহলে অনেক অপরাধী আর অপরাধ করবে না।আমরা প্রায়ই বলে থাকি পাপকে ঘৃনা করো পাপিকে নয়।

আমাদের কারাগার হোক এমন একটি সংশোধনাগার। তবে বর্তমান সরকার এই বিষয় গুলো অনুধাবন করে বিদ্যমান কারা আইন সংশোধনের মাধ্যমে নতুন কারা আইন প্রণয়ন করতে যাচ্ছে। এ আইন প্রণয়নের মূল লক্ষ্য হবে কারাগারগুলোকে সংশোধনাগার ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে রূপান্তর করা। এ ক্ষেত্রে প্রস্তাবিত আইনটি কারা আইনের পরিবর্তে ‘কারাবন্দী সংশোধনমূলক পরিষেবা ও পুনর্বাসন আইন (কারেকশনাল ফ্যাসিলিটিজ অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন অ্যাক্ট ফর প্রিজনার্স)’ নামে অভিহিত হবে।

আইন মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ আইনের খসড়া প্রণয়নের জন্য ইতিমধ্যে লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব মোহাম্মদ শহিদুল হকের নেতৃত্বে কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা ও সেবা বিভাগের সচিব ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী ও কারা মহাপরিদর্শক।

এ ছাড়া আইন মন্ত্রণালয় ও পুলিশ বিভাগের প্রতিনিধি থাকবেন কমিটিতে। মূল কমিটি ছাড়াও দুটি উপকমিটি গঠন করা হয়েছে। এই আইন প্রণয়নের জন্য আজ মঙ্গলবার আইন মন্ত্রণালয়ে এক আন্তমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় সভাপতির বক্তব্যে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক গত ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নতুন কারা আইনের খসড়া প্রণয়নের জন্য কমিটিকে নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসেই এ আইনের খসড়া মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করা হবে। সেই লক্ষ্যে কমিটিকে কাজ করবে। আমরাও জাতি হিসাবে আরও মানবিক হবো এটা আশা করা যায়।

সরকারের এই জাতীয় আইন গুলো কে সাধুবাদ জানানো উচিৎ। আর এই আইনের বাস্তবায়ন হলে অবসান হবে যুগ যুগ ধরে চলে আসা একটি অসুস্থ ধারণার। কোন বিদ্রোহী কবিকে আর লিখতে হবে না। কারার ঐ লৌহকপাট ভেঙে ফেল কর রে লোপাট……

 

বেদুইন হায়দার লিও

(বঙ্গবন্ধু গবেষক ও মনোবিজ্ঞানী)

]]>
https://bgn24.com/?feed=rss2&p=673 0
একমুখি শিক্ষা ব্যবস্থা ও প্রাসঙ্গিক ভাবনা https://bgn24.com/?p=597 https://bgn24.com/?p=597#respond Fri, 22 Jan 2021 09:25:12 +0000 http://bgn24.com/?p=597

এক মুখি শিক্ষা ব্যাবস্থা। অতি সাম্প্রতিক কালের সরকার ঘোষণা করেছেন যে নবম শ্রেণিতে আর বিভাগ থাকছে না মানে বিজ্ঞান, মানবিক ও বানিজ্য শাখা থাকবে না। বিষয় গুলো হবে বাংলা,ইংরেজি, গনিত, বিজ্ঞান, সামাজিক, জীবন ও জীবিকা, ডিজিটাল প্রযুক্তি, ভালো থাকা, ধর্ম শিক্ষা এবং শিল্প ও সংস্কৃতি। নবম ও দশম শ্রেণি জীবনের গুরুত্বপূর্ণ একটা অধ্যায়। এক মুখি শিক্ষার অনেক ভালো দিক থাকলেও আমরা কি মেধাবীদের টেনে সাধারণের কাতারে নামাচ্ছি কিনা তা ভেবে দেখা দরকার। এটা ঠিক যে নিচু ক্লাসে বিভাজন হলে বিকশিত হওয়ার সুযোগ কমে যায় এটা বলতেই পরেন কিন্তু শিক্ষা আসল উদ্দেশ্য কি তাতে সাধিত হয়। জীবন ও জীবিকা নামের বিষয়টি বোঝায় আসলে, এটা কি কোন রকমে ডিগ্রী নিয়ে একটা পেশায় যোগ করা প্রক্রিয়া।

তবে আশার কথা হল একটা বিষয় আছে শিল্প ও সংস্কৃতি। একটি মানুষ কে তার শিল্প ও সংস্কৃতি জানতে। একজন মানুষ যদি তার শিল্প সংস্কৃতি সম্পর্কে না জানে তাহলে তার মধ্যে দেশ প্রেমের উদ্বেগ ঘটবে না। দেশ মাটি মানুষ কে জানতে দেশজ সংস্কৃতির জ্ঞান অতিব জরুরী। কিন্তু বিজ্ঞান মাত্র একটি বিষয় করা হয়েছে তাহলে রসায়ন পদার্থবিজ্ঞান ও জীব বিজ্ঞান মিলে হবে ১০০ নম্বর।

আগামীর ডাক্তার মাত্র ৩৩ মার্ক জীব বিজ্ঞান পড়বে আগামীর ইন্জিনিয়ারের জন্য মাত্র ৩৩ নম্বরের পদার্থ বিজ্ঞান কি কম হয়ে গেল না। সবাইকে সব কিছু জানতেই হবে ব্যাপারটা কি ঠিক। কেউ হবে ডাক্তার কেউ ইন্জিনিয়ার কেউ কবি সাহিত্যিক, কেউ দর্শনিক কেউবা বাংলাদেশ সিভিল প্রকাশনের দায়িত্ব নিয়ে দেশ সেবা করবেন। আবার কেউ ব্যাবসা করবেন।কিন্তু ব্যাবসায়ী হতে চাওয়া ছাত্রদের জন্য তেমন কোন শিক্ষার ব্যাবস্থা নেই।

এমনিতেই আমরা উদ্যোক্তা হতে চাই না। আমরা উদ্যোক্তা হবো আর শিক্ষা আমাদের সহায়ক ভূমিকা পালন করবে এটা আমরা আশা করতেই পরি। যে মহান মানুষের এই পাঠ্যক্রম তৈরী করছেন আপনাদের উপরই নির্ভর করছে আগামী প্রজন্মের ভবিষ্যৎ।

এটি একটি ক্রিকেট ম্যাচ নয় যে যা মনে হল পরীক্ষা করা হল। ইচ্ছা মত বোলার বা ব্যাটসম্যান নিয়ে খেলানো হল। এখানে হাজার হাজার মেধাবী ছাত্র ছাত্রীর জীবন, হাজার হাজার গড় মেধার ছাত্র ছাত্রী দের বিকাশ ও পিছিয়ে পড়া মেধাকে মুল ধারায় আনার একটা চ্যালেঞ্জ রয়েছে। আবার খেয়াল রাখা দরকার মেধা একটা সম্পদ আর তা যেন মুকুলেই ঝরে না যায়।

নচিকেতার একটা গানের কথা বলতে ইচ্ছা করছে গানের কথাগুলো হল ” ভীড় করে ইমারত আকাশ টা চুরি করে নিয়ে যায় বিকেলের সোনা রোদ, ছোট ছোট শিশুদের শৈশব চুরি করে গ্রন্থ কীটের দল বানায় নির্বোধ।                                              বর্তমান এই পদ্ধতিকে  একমুখী শিক্ষা এটা বলা সমুচিত হবে বলে মনে হয় না বরং আমাদের দেশে যে শিক্ষা বিদ্যমান তা বহুমুখী শিক্ষা ব্যাবস্থা। তা একত্রীকরণ করতে পারলে সেটাকে বলা যাবে একমুখী শিক্ষা। কেউ ইংলিশ মিডিয়াম, কেউ জেনারেল, কেউ দাখিল, কেউ এপ্তেদিয়া, কেউ কউমী, এই যে বহুজাতিক গণ শিক্ষা, এটা চলতে পারে না। এটা একত্রীকরণ করা দরকার । না হলে শিক্ষার মাঝে যে ব্যবধান তৈরী হচ্ছে তা  আগামীর জন্য ভয়ানক পরিস্থিতি অপেক্ষা করছে আমাদের জন্য।

আমরা আশা করতে চাই আমাদের মাননীয় শিক্ষা মন্ত্রী অনান্য ক্ষেত্রে যেমন মেধা ও মননশীলতার পরিচয় দিয়েছেন ঠিক তেমনি লক্ষ লক্ষ কোমন মতি ছাত্র ছাত্রী দের শিক্ষাক্রমে বাস্তব সম্মত গবেষণা করে উপযুক্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন।

 

বেদুইন হায়দার লিও

(বঙ্গবন্ধু গবেষক ও সাংস্কৃতিক কর্মী)

]]>
https://bgn24.com/?feed=rss2&p=597 0
চামড়া শিল্প ও আমাদের অর্থনীতি। https://bgn24.com/?p=529 https://bgn24.com/?p=529#respond Wed, 20 Jan 2021 04:37:14 +0000 http://bgn24.com/?p=529

চামড়া শিল্প ও আমাদের-BGN24

আমাদের দেশে কোরবানি এলেই চামড়া নিয়ে কথা উঠে ভাবা হয় এই শিল্প নিয়ে কিন্তু সারা বছর কোন আলোচনায় হয় না কিন্তু এটা একটা সম্ভবনাময় খাত সারা বছর ই এটা নিয়ে আলোচনা করা দরকার, দরকার পদক্ষেপ নেওয়ার টিকিয়ে রাখতে হবে এই শিল্প কে। কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশে তৈরি পণ্যের চাহিদা প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইউরোপ আমেরিকায় যাচ্ছে বাংলাদেশের জুতা ও চামড়াজাত পণ্য। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, বিপুল সম্ভাবনা থাকার পরও এ খাতের বিকাশ সঠিকভাবে হচ্ছে না। গত পাঁচ বছরে চামড়ার দাম কমেছে অর্ধেক। বিপরীতে চামড়া এবং চামড়াজাত সব পণ্যের দাম বেড়েছে কয়েকগুণ।

প্রশ্ন হচ্ছে তাহলে কাঁচা চামড়ার দাম কমছে কেন, সেই উত্তর মিলছে না। অপার সম্ভাবনাময় শিল্পকে ধ্বংসের জন্য একটি মহল উঠে পড়ে লেগেছে । গত পবিত্র ঈদ-উল-আযহা সময় কোরবানির পশুর চামড়া সংগ্রহের জন্য দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। ট্যানারি ব্যবসায়ীরা সেবার ঢাকায় লবণযুক্ত প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়া কিনবেন ৩৫ থেকে ৪০ টাকায়; ঢাকার বাইরে এর দাম হবে ২৮ থেকে ৩২ টাকা।

এছাড়া সারাদেশে খাসির চামড়া ১৩ থেকে ১৫ টাকা এবং বকরির চামড়া ১০ থেকে ১২ টাকায় সংগ্রহ করবেন ব্যবসায়ীরা। চামড়ার দাম নির্ধারণ করে দেয়ার পর বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে কাঁচা চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যর চাহিদা এবং কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে চাহিদা কেমন হতে পারে, তার সঙ্গে বর্তমান মজুদ বিবেচনা করে এবারের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

বাংলাদেশ রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্যানুযায়ী, ২০১৪-২০১৫ অর্থবছরে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রফতানি করে আয় হয় ১১৩ কোটি ডলার। ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরে রফতানি আয় বেড়ে দাঁড়ায় ১১৬ কোটি ডলারে। ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরে এই আয়ের পরিমাণ আরও বেড়ে হয় ১২৩ কোটি ৪০ লাখ ডলার। কিন্তু ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে রফতানি আয় অস্বাভাবিক কমে ১০৮ কোটি ৫৪ লাখ ডলারে দাঁড়ায়। ওই অর্থবছরে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য খাতে রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১১২ কোটি ডলার। আয় হয়েছে ১০১ কোটি ডলার। লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় এ ক্ষেত্রে আয় কম হয়েছে ৯ দশমিক ২৭ শতাংশ।

গত বছরের একই সময়ের চেয়ে আয় কমেছে ৬ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ। ২০১৮-১৯ অর্থবছরের জুলাই-এপ্রিল সময়ে চামড়া খাত থেকে ৮৩ কোটি ৭১ লাখ ডলার আয় করেছে বাংলাদেশ। যদিও এ সময়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৯১ কোটি ৯৬ লাখ ডলার। এ হিসাবে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ৯ শতাংশ এবং আগের অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৮ দশমিক ৬৯ শতাংশ আয় কমেছে।

লেদার গুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে ১১০টি রফতানি মুখী কারখানায় চামড়ার পাদুকা তৈরি হয়। এর মধ্যে এপেক্স, এফবি, পিকার্ড বাংলাদেশ, জেনিস, আকিজ, আরএমএম, বেঙ্গল এবং বে’র রয়েছে নিজস্ব ট্যানারি ও চামড়া প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানা। এর বাইরে শুধু চামড়া প্রক্রিয়াজাত করে এমন কারখানার সংখ্যা ২০৭টি।

চামড়া শিল্পের বোদ্ধাদের মতে ‘ফরাসিদের ফ্রেঞ্চ কাফের’ পর মানের দিক থেকে আমাদের দেশের চামড়াই দুনিয়ার সেরা। এরকম স্মুথ গ্রেইনের চামড়া বিশ্বের অন্য কোথাও মেলে না। তারপরেও পিছিয়ে ছিল আমাদের দেশের চামড়া শিল্প। কিন্তু গত তিন অর্থবছর থেকে সমানতালে বৃদ্ধি পাচ্ছে চামড়াজাত পণ্য রফতানির পরিমাণ। কারণ অনুসন্ধানে জানা গেছে, চামড়ার জুতা উৎপাদনকারী প্রধান দেশ চীন, ভিয়েতনাম এবং ব্রাজিল এ খাত থেকে ধীরে ধীরে নিজেদের গুটিয়ে নিচ্ছে। যার ফলে বাংলাদেশ হয়ে উঠছে বিদেশি ক্রেতা ও বিনিয়োগকারীদের প্রধান আকর্ষণ। কারণ এ শিল্পের জন্য পর্যাপ্ত কাঁচামাল, চামড়া প্রক্রিয়াজাত করার প্রয়োজনীয় অবকাঠামো, সস্তা শ্রম এবং জুতা তৈরির জন্য যন্ত্রপাতি আমদানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা।

বিভিন্ন সুবিধা থাকা সত্ত্বেও আমাদের দেশের এ সম্ভাবনাময় শিল্পকে কে বা কারা ধ্বংস করতে চাচ্ছে তা খতিয়ে দেখার প্রয়োজন রয়েছে। একটি দেশ যখন এগিয়ে যায় তখন তার সাথে সংশ্লিষ্ট সব কিছু শিল্প কারখানা এগুতে না পারলে সামগ্রিক উন্নতির চিত্র ফুটে উঠে না।

কাঁচামালের দাম কম আর উৎপাদিত পন্যের নাম অনেক বেশি হলে শিল্পের ভারসাম্য থাকে না। শুধু কোরবানির ইদ না সারদেশে সারা বছর প্রচুর পরিমাণ পশু জবাই হয়। তাই এই খাতে একটা সরকারি মনিটরিং জরুরী।

 

চামড়া শিল্প ও আমাদের-BGN24

]]>
https://bgn24.com/?feed=rss2&p=529 0
বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে একটি নিরপেক্ষ গবেষণা খুবই প্রয়োজন। https://bgn24.com/?p=444 https://bgn24.com/?p=444#respond Sat, 16 Jan 2021 09:43:45 +0000 http://bgn24.com/?p=444
                   নিরপেক্ষ গবেষণা-BGN24
পলাশীর আম্রকাননে স্বাধনীতার শেষ সূর্য ডুবে যাওয়া পর নানা শাসন , শোষণ ,বঞ্চনার মধ্য দিয়ে বাঙ্গালী জাতির যখন আন্ধকারে নিমাজ্জিত হচ্ছে । ঠিক তখনই আলোক বর্তীকা হাতে নিয়ে নানা ঘাত প্রতিঘাত পেরিয়ে এক অসহায় জাতিকে মুক্তির স্বাধ দিলেন , রাজনীতির মহাকবি নিপিড়িত বিশ্বের প্রেরনা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান ।
বর্তমান প্রজন্ম এই মহা পুরুষে সর্ম্পকে কতটুকুই বা জানে ? সেই ৭৫ থেকে আজ অব্দি ভিন্ন ভিন্ন যুগে এই মহা মানুষকে আপামর জনসাধারন এবং বিশ্ব দরবারে ভুল ভাবে উপস্থাপন করেছে তৎকালীন ঘাতক চক্র।যাদের চক্রান্ত আজও চলমান ।
বঙ্গবন্ধুর সমস্ত দলিল বিনষ্ট করে একজন মহা পুরুষকে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা অব্যহত রেখেছে তারা । তাই গত প্রজন্ম থেকে শুরু করে বর্তমান প্রজন্মের একটা অংশ বঙ্গবন্ধু সর্ম্পকে বিরূপ চিন্তা ধারনা পোষন করে । সৃষ্টি কর্তার অশেষ রহমতে বঙ্গবন্ধুর যোগ্য উওরসরী দেশরত্ন শেখ হাসিনার তত্ত্বাবোধানে আসল ইতিহাস জন সম্মুখে তুলে ধরার চেষ্টা অব্যহত।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ক্ষন জন্মা মহাপুরুষদের নিয়ে লক্ষ লক্ষ গবেষনা , পি,এইচ,ডি ডিগ্রী অর্জন করছে হাজার হাজার জ্ঞান পিপাসূ মানুষ। সময় এসেছে আধুনিক বাঙ্গালী সভ্যতার স্থাপতি বঙ্গবন্ধু সর্ম্পকে গবেষনা করার। বর্তমার প্রজন্মের বঙ্গবন্ধুকে স্বশরীরে দেখার সৌভাগ্য হয়নি । বিগত প্রজন্মের ও বেশীর ভাগ মানুষ ও বঙ্গবন্ধুকে দেখেনি । হয়তো দূর থেকে দেখেছেন , জেনেছেন ,শুনেছেন ।
ওনার মত দিগন্ত জোড়া ব্যক্তিত্বের জানলেও হয়তো আংশিক ভাবে এবং তাকে নিয়ে পি,এইচ, ডি করার বা গবেষনা করার মত নির্ভর যোগ্য কোন পুস্তক গবেষনা পত্র বা মাধ্যম নেই । তাই ইচ্ছা থাকা সত্তেও হাজার হাজার ছাএ/ছাত্রী বা গবেষক বঙ্গবন্ধুর জীবর্নাদশের নানা দিক নিয়ে পি এইচ ডি / গবেষনা করা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে , এবং অসমাপ্ত রয়ে যাচ্ছে ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ছয়দফা, ১১ দফা ,আগর তলা ,গণ আন্দোলন , বি এল এফ , ৭ই র্মাচের ভাষন ,স্বাধীনতার ঘোষনা স্বদেশ প্রতার্বতন ,মুজিব তাজউদ্দিন কেমিষ্ট্রি ,দূর্ভিক্ষ ,বাকশাল ,৭৫ এর কালো অধ্যায়ের নানা অজানা কথা আসলে বঙ্গবন্ধু হত্যার পিছনে কারা ছিলেন এটা কি দেশীয় না আন্তর্জাতিক যড়যন্ত্র। এছাড়া আরও কিছু প্রশ্নের উত্তর যেমন কে ২৩শে মার্চ থেকে ৩২ নাম্বার ট্রান্সমিটার বসিয়েছে ? বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষনা দেওয়ার সময় কে সাথে ছিলো? বঙ্গবন্ধু গ্রেফতারের সময় কে সিড়িঁর নিছে লুকিয়ে ছিলো ।
মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক রা ভারতে কি করে সময় কাটিয়েছে ? ৭২ মন্ত্রীসভায় গঠনে কার প্রভাব ছিলো ? দূর্ভিক্ষের নেপথ্য কার ভূমিকা ছিলো ? দ্বিতীয় বিপ্লব বাকশাল বাস্তবায়নে বাংলাদেশ এর ভবিষ্যৎ ? দ্বিতীয় বিপ্লব এর সুফল কে ভোগ করেছে । এ জাতীয় বিষয় গুলি নিয়ে কোন গবেষণা ছাড়াই টকশো গুলোতে চলছে তথ্যের বাড়াবাড়ি ও তথ্যহীনতা। একটি জাতি গঠনে ও ইতিহাস রক্ষায় এট অতিব জরুরী তবে এখন পরিস্থিতি এমন যে বন্ধুকে নিয়ে কথা বা কাজ করতে গেলে না চাইলেও হতে হয় আওয়ামী লীগ। কিন্তু বঙ্গবন্ধু শুধু আওয়ামী লীগের নয়। তিনি বাঙালীর তথা নিপীড়িত নির্যাতিত বিশ্বের নেতা। তাকে আমরা না বুঝে বানিয়ে ফেলেছি আওয়ামী লীগের নেতা।
তাই তাকে নিয়ে একটি নিরপেক্ষ গবেষণা আজ বড় প্রয়োজন না হলে আমাদের জাতি বির্নিমান তার দর্শনের জায়গাটা হারবে। আমরা প্রতাশ্যা করি বঙ্গবন্ধুর উপর গবেষণার ক্ষেত্র প্রস্তুত হোক আর বঙ্গবন্ধু উপরে গবেষনা ও পি,এইচ,ডি করার সুযোগ পাক হাজার হাজার ছাত্র/ছাত্রী ।
                            নিরপেক্ষ গবেষণা-BGN24
]]>
https://bgn24.com/?feed=rss2&p=444 0