বাংলাদেশ – Bangla Green News https://bgn24.com সংবাদে নতুনত্বের সূচনায়! Sat, 22 Feb 2025 08:50:13 +0000 en-US hourly 1 https://wordpress.org/?v=6.8.1 উন্নয়নের করাতে প্রাণ হারানো গাছে শ্রদ্ধা https://bgn24.com/?p=4064 https://bgn24.com/?p=4064#respond Sat, 22 Feb 2025 08:50:12 +0000 https://bgn24.com/?p=4064 তীব্র সবুজ সংকটে ভুগছে রাজধানী। উন্নয়নের করাতে একের পর এক প্রাণ হারাচ্ছে গাছ। ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের পলাশীমুখী র‌্যাম্প নির্মাণের জন্য হাতিরঝিলের একাংশ ভরাট ও পান্থকুঞ্জ পার্কের দুই হাজারের বেশি গাছ কাটা হয়েছে। এই ঘটনায় প্রাণ হারানো গাছের জন্য শোক প্রকাশ করেছেন বৃক্ষপ্রেমী একদল শিশু-তরুণ। গতকাল শুক্রবার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে পান্থকুঞ্জ ও হাতিরঝিলে কেটে ফেলা পাঁচটি গাছ ও বুনোফুল দিয়ে শহীদ মিনার তৈরি করা হয়েছে। বাংলাদেশের সব মৃত গাছের স্মরণ ও গাছ রক্ষার দাবিতে শহীদ মিনারটি তৈরি করেছে বাংলাদেশ গাছ রক্ষা আন্দোলন। পান্থকুঞ্জ পার্কে মৃত গাছ দিয়ে পরম যত্নে শহীদ মিনার তৈরি করে, তাতেই পুষ্পস্তবক অর্পণ করে ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে।

পান্থকুঞ্জ পার্ক ও হাতিরঝিল রক্ষার দাবিতে ৭০ দিন ধরে এই পার্কে অবস্থান করছেন প্রকৃতিপ্রেমী তরুণরা। পরিবেশবিদরা বলছেন, এসব গাছের মৃত্যুর জন্য অপরিকল্পিত উন্নয়ন দায়ী। কাটা গাছ দিয়েই শহীদ মিনার বানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ গাছ রক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক আমিরুল রাজীব বলেন, আজকের এ শ্রদ্ধা গাছের জন্য, পরিবেশের জন্য। এ রকম একটি গাছ তৈরি করতে মানুষের পুরো জীবন লেগে যায়। অথচ উন্নয়নের ডামাডোলে গাছের জীবন রক্ষা পায় না।বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের সভাপতি অধ্যাপক আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, পান্থকুঞ্জে ছায়া ছিল, পাখি ছিল। মানুষ এখানে সময় কাটাতে আসত। পান্থকুঞ্জ ও হাতিরঝিলকে মুক্তি দিন। পান্থকুঞ্জ ধ্বংস হলে শুধু এই এলাকার মানুষ নয়, পুরো রাজধানীর বাসিন্দা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।

]]>
https://bgn24.com/?feed=rss2&p=4064 0
ভারত বাংলাদেশের অভিন্ন নদীগুলোর পানিবণ্টন আন্তর্জাতিক পানি আইন অনুযায়ী করতে হবে দাবি মুক্তিজোটের https://bgn24.com/?p=4058 https://bgn24.com/?p=4058#respond Wed, 19 Feb 2025 06:39:59 +0000 https://bgn24.com/?p=4058 ১৯শে ফেব্রুয়ারি ২০২৪ খ্রিঃ তারিখে মুক্তিজোটের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য (প্রচার)- মোঃ মামুন সিকদার স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে মুক্তিজোটের সংগঠন প্রধান আবু লায়েস মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহজামাল আমিরুল এ দাবি করেন।

তাঁরা বলেন কোনো রাষ্ট্র আপত্তি করলেই একটি অভিন্ন নদী থেকে উজানের দেশ মনের খুশিমতো পানি তুলে নিতে পারে কি না? নৈতিকভাবে একটি দেশের এই অধিকার নেই বলেই তো অধিকাংশ দেশের সম্মতিক্রমে একটি আন্তর্জাতিক পানি কনভেনশন প্রণয়ন করা হয়েছে। সর্বোপরি গঙ্গা চুক্তি করার সময়ই বলা হয়েছিল যে পর্যায়ক্রমে বাংলাদেশের অন্য সব অভিন্ন নদীর ক্ষেত্রেও ন্যায্যতার ভিত্তিতে এ ধরনের পানিবণ্টন চুক্তি করা হবে।

অথচ গত ১৬ই ফেব্রুয়ারি থেকে এই খরা মৌসুমে হঠাৎ তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তিস্তা পাড়ের কৃষক ও বাসিন্দাদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। এতে তিস্তায় জেগে ওঠা চরে পেঁয়াজ, মিষ্টি কুমড়া, ডাল ও বাদামসহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষতি হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। এলাকাবাসী মনে করছেন, তিস্তার পানি নিয়ে ভারত দায়িত্বহীন আচরণ করছে। উল্লেখ্য, প্রতিবছর এসময় তিস্তায় কোনো পানিপ্রবাহ থাকেনা। এই আচরনের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে এবং মুক্তিজোট সতর্ক করে বলেছে যে আপনারা আমাদের অধীকার নিয়ে খেলবেন না।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয় বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকা সত্ত্বেও ভারত তিস্তার সমাধান করেনি। সমতার ভিত্তিতে দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে পানিবণ্টন চুক্তির উদাহরণ এই উপমহাদেশেই আছে। সিন্ধু নদীর পানিবণ্টন প্রশ্নে পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের ১৯৬২ সালে স্বাক্ষরিত একটি চুক্তি আছে। নানা রাজনৈতিক ও ভৌগোলিক টানাপোড়েনের মধ্যেও দুই দেশ এই চুক্তিটি যথাযথভাবে মেনে চলছে। তাহলে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে ভারতের চুক্তি করতে বা মানতে বাঁধা কোথায়।

তিস্তা ব্যারাজ বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের তিস্তা অববাহিকার বিস্তীর্ণ এলাকায় সেচসুবিধা প্রদানের মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচনে ব্যাপক সহায়তা করে থাকে। কিন্তু ভারত জলপাইগুড়ির গজলডোবায় আরেকটি ব্যারাজের মাধ্যমে তিস্তার প্রায় সব পানি প্রত্যাহার করে নেওয়ায় বাংলাদেশ অংশের ব্যারাজটি হুমকির মুখে পড়েছে।

এদিকে বেশ কয়েকবার গঙ্গার মতো তিস্তা নিয়েও চুক্তির পরিকল্পনা করা হয়। ১৯৮৩ সালে তিস্তার পানির ৩৯ শতাংশ ভারত, বাংলাদেশ ৩৬ শতাংশ আর ২৫ শতাংশ নদীর জন্য বিবেচনায় নিয়ে খসড়া চুক্তি প্রস্তাব করা হয়। ২০১১ সালে ৪২ দশমিক ৫ শতাংশ ভারত, বাংলাদেশ ৩৭ দশমিক ৫ শতাংশ আর ২০ শতাংশ পানি নদীর বাস্তুতন্ত্র রক্ষার জন্য বিবেচনায় নিয়ে নতুন প্রস্তাব আসে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের আপত্তির কারণে তিস্তা চুক্তিতে স্বাক্ষরের বিষয়টি ঝুলে গিয়েছে।

তাঁরা প্রশ্ন তোলেন, যে ভারতের হাইকোর্ট ২০১৭ সালে নদীকে জীবন্ত মানুষের অধিকার দিয়ে আইন পাশ করে সেই রাষ্ট্র কিভাবে উজানে নদীতে বাঁধ দিয়ে নিম্নঅঞ্চলের অববাহিকাকে শুকিয়ে ফেলে। এটা কি তাদের করা আইনের লংঘন নয়।

তাই শুধু তিস্তা নয় সকল নদীর পানি বন্টন করতে হবে এবং তা আমাদের যথাযথভাবে দিতে হবে।

প্রসঙ্গতঃ দুই বা ততোধিক দেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত আন্তর্জাতিক নদীর পানিবণ্টন নিয়ে জাতিসংঘের কনভেশনটি হচ্ছে, দ্য কনভেনশন অন দ্য ল অব নন-ন্যাভিগেশনাল ইউজেস অব ইন্টারন্যাশনাল ওয়াটারকোর্সেস, ১৯৯৭। দ্বিপক্ষীয় বা আঞ্চলিক পানি চুক্তির ক্ষেত্রেও এই কনভেনশনটিকে ভিত্তি হিসেবে ধরার কথা বলা আছে। কিন্তু বাংলাদেশ বা ভারত—কেউই এই আইনটিতে স্বাক্ষর করেনি।

]]>
https://bgn24.com/?feed=rss2&p=4058 0
ভাত খেয়ে যেভাবে গিনেস রেকর্ড করলেন ? https://bgn24.com/?p=4029 https://bgn24.com/?p=4029#respond Mon, 23 Dec 2024 06:33:28 +0000 https://bgn24.com/?p=4029 গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে ১ মিনিটে চপস্টিক দিয়ে সবচেয়ে বেশি ভাত খাওয়ার রেকর্ড কার, জানেন? ২৪ বছর বয়সী বাংলাদেশি তরুণী সুমাইয়া খানের। ১ মিনিটে তিনি ৩৭টি ভাত খেয়েছেন চপস্টিক দিয়ে।

গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের নিয়ম ছিল, প্রতিবার কেবল ১টি করে ভাতের দানাই মুখে তোলা যাবে। চপস্টিকে ১টির বেশি ভাত তুললেই রেকর্ড করার প্রয়াস বাতিল বলে গণ্য হবে। এর আগে এই রেকর্ডের পাশে যাঁর নাম ছিল, তিনি ১ মিনিটে খেয়েছিলেন মাত্র ১০টি ভাত।সুমাইয়া রামেন খেতে খুব ভালোবাসেন। আগে থেকেই চপস্টিক দিয়ে রামেন খেতে পটু। এরপর কোরিয়ান সংস্কৃতিতে মুগ্ধ হয়ে একে একে সব খাবারই চপস্টিক দিয়ে খেতে শুরু করেন। কয়েক বছর ধরে চপস্টিক দিয়ে ভাতও খান। সুমাইয়ার এক সহকর্মী গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে ১ মিনিটে চপস্টিক দিয়ে সবচেয়ে বেশি ভাত খাওয়ার আগের রেকর্ড সম্পর্কে জানতেন। আর তিনি নিশ্চিত ছিলেন, সুমাইয়া অনায়াসে সেই রেকর্ড ভেঙে ফেলতে পারবেন। তিনিই মূলত সুমাইয়াকে নতুন রেকর্ড গড়তে অনুপ্রাণিত করেন।গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসকে সুমাইয়া বলেন, ‘রামেন আমার খুবই পছন্দের খাবার। কোরিয়ান সংস্কৃতিও আমাকে খুব টানে। ফলে আমার সঙ্গে সব সময় চপস্টিক রাখতে শুরু করি। এর পর থেকে প্রায় সব ধরনের খাবার খাই চপস্টিক দিয়ে। আর যেহেতু আমি বাংলাদেশি, তাই ভাত খাই প্রতিদিনই।’

গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নিজের নাম লেখাতে পেরে সুমাইয়া খুব খুশি। তিনি বলেন, ‘এটা অবিশ্বাস্য। দারুণ অনুভূতি। আর আমার আশপাশের সবাই আমাকে নিয়ে গর্বিত। এটা আসলেই দুর্দান্ত। আমি সম্মানিত, আনন্দিত।’

গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের ফেসবুক পেজে সুমাইয়ার ১ মিনিটে ৩৭টি ভাত খাওয়ার ভিডিওটি এখন পর্যন্ত (২২ ডিসেম্বর) দেখা হয়েছে ১ লাখ ৭৮ হাজারের বেশি।

সূত্র: গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস

]]>
https://bgn24.com/?feed=rss2&p=4029 0
শুরু হতে পারে শৈত্যপ্রবাহ!! https://bgn24.com/?p=4026 https://bgn24.com/?p=4026#respond Sun, 22 Dec 2024 06:26:36 +0000 https://bgn24.com/?p=4026 আগামী মাসে শুরু হতে পারে শৈত্যপ্রবাহ। তবে এটা প্রাথমিকভাবে দেশের উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে হতে পারে। রোববার সকালে আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, চলতি মাসে শৈত্যপ্রবাহ হওয়ার কোনো সম্ভবনা নেই। আগামী জানুয়ারি থেকে দেশের উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে এই শৈত্যপ্রবাহ শুরু হতে পারে।

এদিকে পঞ্চগড়ে আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এদিন সকাল ৯টায় এ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। উত্তরের এই জেলাতে মৃদু শৈতপ্রবাহ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায়।

]]>
https://bgn24.com/?feed=rss2&p=4026 0
বিশ্বের সবচেয়ে দামি আম! উৎপাদন ভালো https://bgn24.com/?p=3749 https://bgn24.com/?p=3749#respond Mon, 10 Jun 2024 08:15:56 +0000 https://bgn24.com/?p=3749 রাজধানীর আসাদগেট এলাকায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের একটি ফলের বাগান আছে। সেখানে হরেক রকমের ফলের গাছ। বড় ফটকটি ধরে ভেতরে ঢুকলে দুই পাশে চোখে পড়ে আমের গাছ। গত শুক্রবার (৭ জুন) সকালে সেখানে গিয়ে দেখা গেল, আমের গাছগুলো প্রায় ফলশূন্য। এ বাগানের অন্য আমগাছগুলোরও এ অবস্থা। ব্যতিক্রম ছোট কয়েকটি আমগাছের। সেই গাছ এ দেশের কোনো প্রজাতি নয়। এ আমের নাম মিয়াজাকি। অনেকেই জানেন, এটি বিশ্বের সবচেয়ে দামি আম। জাপানি আম এটি।

এই উদ্যানের সঙ্গে জড়িত আছেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মেহেদী মাসুদ। তিনি বলছিলেন, এবার এ বাগানে অন্য সব আমের গাছে ফল তেমন প্রায় আসেনি। কিন্তু মিয়াজাকির ফলন খুব ভালো হয়েছে। দেশের অন্যত্রও এ আমের ফলন ভালো।

কৃষিবিদ ও আম উৎপাদনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের কথা, এ বছর আমের ‘অফ ইয়ার’। দেশের এই একটি ফল যেটি এক বছর ভালো হয়, পরের বছর হয় না। কৃষি অধিদপ্তরই বলেছে, এবার দেশে অন্তত ১৫ শতাংশ আম কম উৎপাদিত হবে গত বছরের চেয়ে। তবে মিয়াজাকির ক্ষেত্রে এ কথা খাটছে না।কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ‘বছরব্যাপী ফল উৎপাদনের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন প্রকল্পের’ তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩–২৪ অর্থবছরে এ যাবতকালের সর্বোচ্চ ২৫ টন মিয়াজাকি উৎপাদিত হয়েছে। তার আগের বছর হয়েছিল ২৪ টন। বাংলাদেশে এ আম আসার পর এবার সর্বোচ্চ উৎপাদনের সম্ভাবনা, বলছে সূত্রগুলো। মাঠপর্যায়েও এ আমের ভালো উৎপাদনের চিত্র পাওয়া গেছে।

মিয়াজাকি বা সূর্যডিমের কথা

জাপানি শব্দ মিয়াজাকি শব্দের অর্থ ‘সূর্যডিম’। টকটক লাল রং, যেন সকালের লাল সূর্য। আবার আকৃতি ডিমের মতো। সব মিলিয়ে সূর্যডিম। এ আম সাধারণের ভাগ্যে জোটে না বললেই চলে। কারণ উচ্চ মূল্য। কিন্তু কতটা উচ্চ মূল্য? ভারতের সংবাদমাধ্যম লাইভমিন্ট ১ জুন ভারতের ন্যাশনাল হর্টিকালচার বোর্ডের সূত্র ধরে এক প্রতিবেদনে বলেছে, দেশটিতে দেড় হাজার প্রজাতির আমের চাষ হয়। এগুলোর দাম কমবেশি প্রতি কেজি ১০০ থেকে ২০০ রুপির মধ্যে পড়ে। কিন্তু গত বছর দেশটিতে এক কেজি আম আড়াই লাখ রুপিতেও বিক্রি হয়েছে।

মিয়াজাকি অ্যাগ্রিকালচারাল ইকোনমিক ফেডারেশনের হিসাব অনুযায়ী, জাপানের সূর্যডিম বা মিয়াজাকি বিশ্বের সবচেয়ে দামি আম। জাপানে ২০১৯ সালে এক জোড়া মিয়াজাকির দাম উঠেছিল প্রায় পাঁচ হাজার ডলার, অর্থাৎ চার লাখ টাকার বেশি।

জাপানে মেইজি যুগ হিসেবে ধরা হয় ১৮৬৮ থেকে ১৯১২ সাল পর্যন্ত সময়কে। এ সময়টায় জাপান বিচ্ছিন্ন সামন্ততান্ত্রিক অবস্থান থেকে সরে এসেছিল। এই সময়েই এ আমের উদ্ভব হয়। তবে এর চাষ বেশি করে শুরু হয় গত শতকের সত্তরের দশকে।

মাখনের মতো মোলায়েম, সুগন্ধ আর রসে ভরপুর হওয়ার জন্য এ আমের এত কদর।

বাংলাদেশে এবার ভালো ফলছে

বাংলাদেশে মিয়াজাকির বাণিজ্যিক উৎপাদন এখনো সেভাবে শুরু হয়নি। শখের বশেই অনেকে এ আমের চারা জাপান থেকে এনে লাগিয়েছিলেন। কিন্তু ধীরে ধীরে এর বাণিজ্যিক উৎপাদন বাড়ছে। বাংলাদেশে শুরুর দিকে প্রতি কেজি আম পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে। গত বছর অনেক খামারি দুই হাজার টাকা দরে বিক্রি করেছেন। এর কমেও কেউ কেউ বিক্রি করেছেন।

মীর শাহীনুর রহমান নাটোরের কৃষিবিদ। শহরের ডিসি কার্যালয়ের কাছে হাজরা নাটোর এলাকায় তাঁর আমের বাগান। কয়েক বছর ধরেই তিনি মিয়াজাকি আমের চাষ করছেন। কিন্তু এবারকার মতো ফলন হয়নি আগে। এ বছর অন্তত দুই হাজার কেজি আম উৎপাদন হতে পারে বলে জানান মীর শাহীন। গত বছর মিয়াজাকির উৎপাদন ছিল ৮০০ কেজির মতো। তবে এর আগের বছর উৎপাদন হয়েছিল হাজার কেজি। আর এসব আম বিক্রি করে লাভও হয়েছে যথেষ্ট। নিজেই বলছিলেন, দুই বছর আগে মিয়াজাকি বিক্রি করেছেন প্রতি কেজি দুই হাজার টাকায়। গত বছর এর দাম কিছু কমেছিল।

মীর শাহীনুর রহমান বলছিলেন, ‘বিশ্বের দামি আম বলে এর সুখ্যাতি আছে। কিন্তু জাপানে এর উৎপাদন হয়, আমরা তো তা করি না। এখানে দাম কম হওয়া উচিত।’

মিয়াজাকির মতো একটি বিদেশি প্রজাতির আমের উৎপাদনে যে যত্নবান হওয়া উচিত, তা মনে করেন খাগড়াছড়ির আলুটিলার রিপল চাকমা। শহরের কাছের আলুটিলা নামের জায়গায় রিপল চাকমার ২০ একরের বড় আমের বাগান। এ বাগানে গোটা পঞ্চাশেক গাছ মিয়াজাকির। গতবার যেখানে প্রতি গাছে দু–একটি করে আম হয়েছিল, এবার তার চেয়ে বেশি হয়েছে। কিন্তু এবার ফল ধরে রাখতে পারেননি বেশি।

রিপল মনে করেন, অন্য আমের উৎপাদনে যেসব ব্যবস্থা নেওয়া হয়, মিয়াজাকির ক্ষেত্রে তা করা যাবে না। এটা তিনি উপলব্ধি করেন, কিন্তু কীভাবে তা করা দরকার, এ নিয়ে বিশদ ধারণা নেই তাঁর। তাই এ আম নিয়ে নিজের পড়াশোনা বাড়ানোর পাশাপাশি কৃষি দপ্তরের কর্মকর্তাদের পরামর্শ নিতে চান তিনি।

উত্তরের জেলা দিনাজপুরের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হর্টিকালচার সেন্টারের ক্যাম্পাসে মিয়াজাকি আমের কয়েকটি মাতৃ গাছ আছে। সদর উপজেলার সদরপুরে এই সেন্টার। এগুলো থেকে চারা উৎপাদন করে তা আগ্রহীদের দেওয়ার ব্যবস্থা আছে। এসব গাছেও এবার আম্রপালি ধরেছে আগের চেয়ে বেশি।

হর্টিকালচার সেন্টারের উপপরিচালক মো. এজামুল হক প্রথম আলোকে বলেন, মিয়াজাকির ফলন যেমন বাড়ছে, তেমনি এর সঙ্গে বাড়ছে জনপ্রিয়তা। এবার এ পর্যন্ত অন্তত ২০০ চারা উৎপাদন ও বিতরণ হয়েছে। আগে এ আম নিয়ে এতটা আগ্রহ ছিল না।

মিয়াজাকি বাংলাদেশে এত কমে পাওয়া যায় কীভাবে

বাংলাদেশের অন্য আমগুলোর তুলনায় মিয়াজাকির দাম অপেক্ষাকৃত বেশি। তারপরও প্রতি কেজির দাম এক হাজার থেকে দুই হাজার টাকা। বিশ্বে যে আমের দাম লাখ টাকার বেশি, সেটি এ দেশে কীভাবে এত কমে দেওয়া সম্ভব হয়?

কৃষিবিদ এবং আম বিষয়ে একাধিক বইয়ের লেখক মৃত্যুঞ্জয় রায় বলছিলেন, ‘মিয়াজাকির উৎপাদনে আসলে যে যত্ন নেওয়ার দরকার হয়, তা আমাদের এখানে কিছুই প্রায় হয় না। আর অন্য আমের জাতের মধ্যেই এর উৎপাদন হয়। কিন্তু জাপানে বা অন্যত্র মিয়াজাকির জন্য আলাদা নেট হাউস তৈরি থাকে। একেকটি আমের জন্য বিশেষ যত্ন নেওয়া হয়। এতে কতটা আলো পড়ছে, কতটা পানি দরকার, তা মেপে মেপে দেওয়া হয়।’

মৃত্যুঞ্জয় রায় বলেন, ‘মিয়াজাকির মূল আকর্ষণ এর রং। বিশেষ যত্ন নিলেই এমন রং হয়। কিন্তু আমাদের এখানে সেই রংটাই তো হয় না।’

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষিবনায়ন ও পরিবেশ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হাসান মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ জাপানে তাঁর পিএইচপডি সম্পন্ন করেছেন। তিনি বলছিলেন, মিয়াজাকি উৎপাদনে একটি গাছে সাধারণত একটি আম রাখা হয়। এর নিবিড় পরিচর্যা হয়।

এটি আম গাছে রেখে সেই আমে সিসি ক্যামেরা লাগিয়ে তা পর্যবেক্ষণের রীতিও আছে বলে জানান ‘বছরব্যাপী ফল উৎপাদনের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন প্রকল্পের’ প্রকল্প পরিচালক মো. মেহেদী মাসুদ।

পাহাড়ে বেশি হচ্ছে মিয়াজাকি

পার্বত্য চট্টগ্রামে মিয়াজাকির উৎপাদন অপেক্ষাকৃত বেশি হচ্ছে। এ প্রতিবেদন করার সময় পাহাড়ের পাঁচজন আমচাষির সঙ্গে কথা হয়। প্রত্যেকেই এবার মিয়াজাকির ভালো উৎপাদনের কথা বলেছেন। তবে আম্রপালি বা রাংগুই আমের পাশে সহযোগী হিসেবেই এখনো এর চাষাবাদ হচ্ছে। শখের বশে শুরু হলেও এখন বাণিজ্যিকভাবেই এসব উৎপাদন হচ্ছে। মিয়াজাকির এই বাণিজ্যিক উৎপাদনে এগিয়ে আছেন খাগড়াছড়ির মহালছড়ি উপজেলার হ্লাশিং মং চৌধুরী। উপজেলার ধুমনীঘাটে তাঁর ফলের বাগান।

হ্লাশিং মং চৌধুরী বলেন, এবার দেড় হাজার টনের মতো উৎপাদন হতে পারে মিয়াজাকি। আরও হতে পারত। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে অনেক আম ঝরে গেছে।

খাগড়াছড়ি জেলা সদরের রোয়াসাপাড়ায় মিয়াজাকির চাষ করেছেন জুপিটার চাকমা। তিনি প্রথম আলোকে বলছিলেন, ‘মিশ্র ফলের বাগান করেছি। ২০ থেকে ২৫ প্রকার ফলের চারা লাগিয়েছি। এর মধ্যে মিয়াজাকি আমগাছও লাগিয়েছি। এবার তিনটি গাছে ভালো ফলনও এসেছে। পাহাড়ি মাটিতে এ আম খুব ভালো হচ্ছে।’

পার্বত্য চট্টগ্রামে মিয়াজাকির ভালো উৎপাদনের কারণ হিসেবে এখানকার প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্যকেই মূল কারণ বলে মনে করেন আমবিশেষজ্ঞ অধ্যাপক এম রহিম। তাঁর কথা, পাহাড়ের উঁচু স্থানে দিনে গরম বেশি থাকলেও রাতে তা কমে আসে। এই কম তাপমাত্রা আমের মিষ্টতা তৈরির প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে। পাহাড়ে এই প্রক্রিয়া দ্রুত হয়।

আমের মৌসুমের শেষ দিকেই হয় আম মিয়াজাকি। এ জন্য এ আমে পোকার আক্রমণ অপেক্ষাকৃত বেশি হওয়ার আশঙ্কা থাকে বলে মনে করেন অধ্যাপক রহিম। তবে ফ্রুট ব্যাগের মাধ্যমে যত্ন করে এর চাষ করলে ফল ভালো হতে পারে বলে মনে করেন এই বিশেষজ্ঞ।

Source: “prothomalo”

]]>
https://bgn24.com/?feed=rss2&p=3749 0
বাজেটে সংকট মুক্তির ভাবনা নেই, চাপ বাড়বে সাধারণ মানুষের উপরঃ মুক্তিজোট https://bgn24.com/?p=3746 https://bgn24.com/?p=3746#respond Sat, 08 Jun 2024 11:33:03 +0000 https://bgn24.com/?p=3746 বাজেটে সংকট মুক্তির কোন ভাবনা নেই এমন কি এ বাজেটে আরও চাপ বাড়বে সাধারণ মানুষের উপর বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের সংগঠন প্রধান-আবু লায়েস মুন্না।

তিনি আরও বলেন আমরা বিসিএস পরীক্ষায় পাশ করার জন্য মুখস্ত করি পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ শাসক হল সম্রাট অশোক। কিন্তু আমার সন্দেহ আছে আমরা কয়জন জানি বা জানতে চেষ্টা করি যে অশোকের রাষ্ট্র পরিচালনায় আর্থিক নীতি কি ছিল। আলেকজান্ডারের রাষ্ট্র নীতি বা তার গুরু এরিস্টোটলের কথা জানলেও কয়জন জানি যে আমাদের চাণক্য ছিল অশোকের গুরু ও তার একটি আর্থিক নীতিও ছিল। যেখানে তিনি বলেন রাজা তার প্রজাদের কাছ থেকে কর নিবে এমনভাবে যেমন প্রজাপতি/মৌমাছি ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করে। যার ফলে ফুলের পরাগায়ন বৃদ্ধি হয়।

৮ই জুন ২০২৪ খ্রিঃ তারিখে মুক্তিজোটের সংগঠন প্রধান আবু লায়েস মুন্না এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানান। মুক্তিজোটের সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহজামাল আমিরুল স্বাক্ষরিত লিখিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানান আমাদের দেশে যখন নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দামের উত্তাপে জ্বলছে সধারণ মানুষ, তখন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী সবাইকে বড় অঙ্কের বাজেটের স্বপ্নে ভাসালেন। তিনি যখন স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট সরকার আর স্মার্ট সমাজব্যবস্থার কথা বলছেন; তখন একজন স্বল্প আয়ের নাগরিককে বাজারে গিয়ে ১৬০ টাকায় এক ডজন ডিম কিনতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এদিকে প্রতিটি নাগরিকের মাথাপিছু আয় ১২ হাজার ৫০০ ডলার আর মূল্যস্ফীতি ৪-৫ শতাংশের ঘরে রাখার আশা জাগাচ্ছেন, তখনো সীমিত আয়ের একজন ভোক্তাকে চালচুলো ঠিক রাখতে রীতিমতো সংগ্রাম করতে হচ্ছে।

লিখিত বক্তব্যে আরও বলেন একজন সাধারণ মানুষ যখন ১০ শতাংশের খাদ্য মূল্যস্ফীতির চাপ সামলাতে মরিয়া, তখন অর্থমন্ত্রীর তা কমিয়ে সাড়ে ৬ শতাংশে নামানোর ঘোষণা দিচ্ছেন। এমনকি মোবাইল ফোনে কথা বলা থেকে শুরু করে অসংখ্য নিত্যপণ্য, পণ্যের কাঁচামালে শুল্ক-কর বসানো হয়েছে। পার্কে ভ্রমণ থেকে জুস-বিশুদ্ধ পানিসহ বিভিন্ন অত্যাবশ্যক পণ্য ও সেবায় বসছে করের খড়্গ। এছাড়াও বিভিন্ন খাতে বিভিন্ন স্তরে ভ্যাট আরোপের পাাশপাশি আইসক্রিম, বৈদুতিক বাতি, ফ্রিজ-এসি, পানির ফিল্টার, সুইস-সকেট, মোটরসাইকেল, কাজুবাদামসহ বহু পণ্যে শুল্ক ও ভ্যাট আরোপ করা হয়েছে এ বাজেটে। মোবাইল ফোনের সিম কার্ড, ইন্টারনেট ও ফোনে এসবের প্রভাব সরাসরি পণ্যের দামে পড়বে। পণ্যে যতটুকু শুল্ক-কর বসে, দাম বাড়ে তার চেয়ে বেশি হারে। বাড়তি দামের সরাসরি প্রভাব পড়ে ভোক্তার ঘাড়ে। ব্যাংকে টাকা রাখলে বাড়তি আবগারি শুল্ক দিতে হবে। এর প্রভাব কমবেশি আমানতকারী সব গ্রাহকের ওপরই পড়বে।

হিসাব বিজ্ঞানের জনক লুকা প্যাসিওলির পিছনে লুকানোর নীতির উপর ভর করে স্বপ্ন পুরণের সক্ষমতা কম বলেই কি বেশি ধার-কর্জ আর কর-রাজস্বে ভর করে বেশি খরচের বাজেট সাজিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে এ রকম একটি বাজেটই (৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার) গত ৬ই জুন বৃহস্পতিবার তিনি জাতির সামনে প্রস্তাব করেছেন।

অর্থমন্ত্রী বাজেটে ব্যক্তিপর্যায়ে ২০ লাখ টাকার বেশি আয় করলেই ৩০ শতাংশ সর্বোচ্চ কর দেওয়ার কথা বলেছেন। এর ফলে মোটামুটি মধ্য স্তরের চাকরিজীবীকেও এ করের স্তরে পড়ে ৩০ শতাংশ হারে কর দিতে হবে। অথচ কালো টাকা সাদা করার জন্য কর দিতে হবে মাত্র ১৫ শতাংশ এতে প্রমান হয় এ বাজেট সাধারণ মানুষের প্রতিনিধিত্ব না করে একটি সুনির্দিষ্ট  শ্রেনীর প্রতিনিধিত্ব করে। যা আধুনিক অর্থনীতির জনক পল অ্যান্থনি স্যামুয়েলসনের নীতিরই প্রতি ফলন যেখানে বলা হয় গ্লাস ভরার পর যেটুকু উপচে পড়বে তাই অন্যরা পাবে অর্থাৎ একজনের পেট ভরার পর যেটুকু উচ্ছিষ্ট থাকবে তা অন্যরা খাবে। অর্থাৎ এ বাজেট যেন জোনাথন সুইফটের ‘এ মডেস্ট প্রোপোজাল’ এরই নামান্তর।

অথচ বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বর্তমান পৃথিবীর অর্থনীতিতে ‘ইকোলজি বেজড ইকোনোমিকস’ একটি আলোচ্য প্রসঙ্গ। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সবচেয়ে আমরা ক্ষতিগ্রস্থ হলেও ‘ইকোলজি বেজড ইকোনোমিকস’ নীতির কোন উল্লেখ নেই বলেও মন্তব্য করেন আবু লায়েস মুন্না। তিনি মুক্তিজোটের পক্ষ থেকে দাবী করেন যেহেতু আমাদের দেশ শুধু কৃষি প্রধানই নয় নদী মাতৃক দেশ তাই কৃষি, শিক্ষা, বস্ত্র ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য নৌ ও সুমদ্র বন্দরগুলোকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বাজেট করতে হবে। যাতে বাজেটের সুফল সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছায়।

]]>
https://bgn24.com/?feed=rss2&p=3746 0
মুক্তিজোটের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ১৭ই মে সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয় https://bgn24.com/?p=3725 https://bgn24.com/?p=3725#respond Sat, 18 May 2024 13:07:21 +0000 https://bgn24.com/?p=3725 বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট (মুক্তিজোট)-এর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ১৭ই মে ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ (শুক্রবার) পারিচালনা বোর্ড প্রধান (সাধারণ সম্পাদক) এর আহ্বানে সংগঠন প্রধান আবু লায়েস মুন্নার সভাপতিত্বে অথোরিটিদের এক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সাভায় ঢাকা মহানগর ও জেলা কমিটিসমূহের পূনর্গঠন সহ বন্ধু সংগঠনসমূহ তথা ১. বাংলাদেশ কৃষক মুক্তিজোটের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ২. বাংলাদেশ ছাত্র মুক্তিজোটের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সমূহের কমিটি প্রসঙ্গ ৩. বাংলাদেশ শ্রমিক মুক্তিজোট প্রসঙ্গ ৪. বাংলাদেশ বাড়ি-ভাড়াটিয়া মুক্তিজোটসহ মুক্তিজোটের কালচারাল ইউনিট এর কমিটি গঠন নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

উক্ত সভায় মুক্তিজোটের কার্যকরী কমিটির সদস্যসহ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

]]>
https://bgn24.com/?feed=rss2&p=3725 0
প্রতারকদের প্রতারণা ঠেকাতে সিইসির শরণাপন্ন মুক্তিজোটের নেতারা https://bgn24.com/?p=3704 https://bgn24.com/?p=3704#respond Tue, 14 May 2024 06:20:05 +0000 https://bgn24.com/?p=3704 বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের (মুক্তিজোটে) নাম ব্যবহার করে ড. শাহরিয়ার ইফতেখার ফুয়াদ ও কাশেম মাসুদ এর প্রতারণা ঠেকাতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের শরণাপন্ন হয়েছেন নিবন্ধিত দলটির নেতারা।

সোমবার (১৩ মে) সিইসির কাছে এ বিষয়ে যৌথ চিঠি লিখেছেন দলটির সংগঠন প্রধান আবু লায়েস মুন্না ও পরিচালনা বোর্ড প্রধান মো. শাহজামাল আমিরুল।

মুক্তিজোটের প্যাড, সিল ও সংগঠন প্রধানসহ পরিচালনা বোর্ড প্রধানের স্বাক্ষর জালকারীর তথ্য অবগতি প্রসঙ্গে লেখা ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট (মুক্তিজোট), নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন নম্বর ৪১ ও প্রতীক ‘ছড়ি’। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ছড়ি প্রতীকে ৬৩ জন প্রার্থী অংশগ্রহণ করে।

বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটকে কেন্দ্র করে কয়েকটি অনিবন্ধিত দল ও সামাজিক ব্যক্তিদের নিয়ে নির্বাচনের পূর্বে ‘গণ মুক্তিজোট’ নামে একটি নির্বাচনী জোট গঠন করা হয়। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মুক্তিজোটের ছড়ি প্রতীকে ওই জোটের ৬৩ জন প্রার্থী অংশগ্রহণ করে। গণ মুক্তিজোট একটি নির্বাচনী জোট ছিল, নির্বাচন শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কার্যক্রমও যার শেষ হয়ে যায়। কিন্তু জাতীয় লীগের সভাপতি ড. শাহরিয়ার ইফতেখার ফুয়াদ নিজেকে বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের সংগঠন প্রধান হিসেবে বিভিন্ন জায়গায় পরিচয় দিচ্ছেন, নিজের মতো করে মুক্তিজোটের প্যাড ও সংগঠন প্রধানের সিল বানিয়ে বিভিন্ন চিঠি ইস্যু করছেন।

এছাড়া মুক্তিজোটের সংগঠন প্রধান আবু লায়েস মুন্না ও পরিচালনা বোর্ড প্রধান মো. শাহজামাল আমিরুলের স্বাক্ষর ও সিল নকল করে সংগঠন প্রধানের উপদেষ্টা হিসেবে ভুয়া চিঠি সবাইকে দেখাচ্ছেন। এমনকি নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত মোবাইল নম্বর ও ই-মেইল অ্যাড্রেস ও প্যাডের ঠিকানা ভুয়া প্যাডে পরিবর্তন করেছেন। ওই প্যাডে নিজেকে মুক্তিজোটের সংগঠন প্রধান পরিচয় দিয়ে নকল করা সিল ও প্যাড ব্যবহার করে নির্বাচন কমিশনে ভুয়া কমিটি জমা দিয়েছেন।

আবার কোথাও সে নিজেকে সংগঠন প্রধান হিসেবে কোথাও সংগঠন প্রধানের উপদেষ্টা হিসেবে পরিচয় দিচ্ছেন।

এদিকে সোনার বাংলা আন্দোলনের সমন্বয়ক- কাশেম মাসুদও একই চিঠিতে সংগঠন প্রধানের ভুয়া উপদেষ্টা হিসেবে পরিচয় দিচ্ছেন এবং নির্বাচন কমিশনে তাদের দাখিল করা ভুয়া কমিটি গঠনের সভায় নিজেকে মিটিংয়ের সভাপতি দাবি করেছেন।

এতে আরও বলা হয়, উল্লিখিত ব্যক্তিরা বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের (মুক্তিজোটের) কমিটিভুক্ত তো দূরের কথা প্রাথমিক সদস্যও না। তাই তারা যা করছে তা মুক্তিজোটের সঙ্গে জালিয়াতি ও প্রতারণা, যা মুক্তিজোটকে শুধু হেয় প্রতিপন্ন করাই না, মুক্তিজোটের সঙ্গে চরম প্রতারণা।  প্রতারণার বিষয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় খবর প্রকাশিতও হয়েছে।

চিঠিতে জালিয়াতকারী ও প্রতারকদের সম্পর্কে উল্লিখিত অভিযোগ আমলে নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করেছেন মুক্তিজোটের শীর্ষ দুই নেতা।

এই ঘটনায় সম্প্রতি রাজধানীর দারুস সালাম থানায় একটি সাধারণ ডায়েরিও করা হয়েছে, যার নম্বর ১১৬৯।

]]>
https://bgn24.com/?feed=rss2&p=3704 0
বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট দখল চেষ্টার অভিযোগ https://bgn24.com/?p=3694 https://bgn24.com/?p=3694#respond Sat, 11 May 2024 09:58:58 +0000 https://bgn24.com/?p=3694 ড. শাহরিয়ার ইফতেখার ফুয়াদ, মোঃ আকতার হোসেন, কাসেম মাসুদ ও এ আর খান। তারা নিজেদের মত কমিটি বানিয়ে বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট দখলের চেষ্টা করছেন । আর দখল চেষ্টাকারিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছেন দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির কার্য নির্বাহী সদস্য শরীফ মোঃ বেদুইন হায়দার । দখল চেষ্টাকারিদের বিরুদ্ধে এ মর্মে রাজধানী দারুস্ সালাম থানায় গত ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ইং তারিখে তিনি একটি সাধারণ ডায়রী করেন বলে জানা যায়।

সুত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট (মুক্তিজোট), একটি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল যার নির্বাচন কমিশন নিবন্ধন নং ৪১ ও প্রতীক ‘ছড়ি’। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ছড়ি প্রতীকে ৬৩ জন প্রার্থী অংশগ্রহণ করেন। এই নির্বাচনের আগে অর্থাৎ বিগত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটকে কেন্দ্র করে কয়েকটি অনিবন্ধিত দল ও সামাজিক ব্যক্তিদের নিয়ে নির্বাচনের পূর্বে ‘গণমুক্তি জোট’ নামে একটি নির্বাচনী জোট গঠন করা হয়। জোটভুক্ত দল জাতীয় লীগের সভাপতি ড. শাহরিয়ার ইফতেখার ফুয়াদ নির্বাচন পরবর্তী সময় থেকে মুক্তিজোটের সংগঠন প্রধান দাবী করে বিভিন্ন ধরণের প্রতারনা করছে বলে মুক্তিজোট এর পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে। মুক্তিজোটের সংগঠন প্রধান আবু লায়েস মুন্না বলেন গত ১৯শে এপ্রিল ২০২৪ খ্রিঃ তারিখে মুক্তিজোটের কেন্দ্রীয় কমিটির সভা চলছে এই শিরোনামে সোস্যাল মিডিয়াতে তারা ছবিও প্রকাশ করেন। অথচ ছবিতে যাদের উপস্থিতি দেখানো হয়েছে তারা মুক্তিজোটের কেউ নন। যা মুক্তিজোটকে শুধু হেয় প্রতিপন্ন করাই না মুক্তিজোটের সাথে চরম প্রতারনা।

খোঁজ নিয়ে আরও জানা যায় মুক্তিজোটকে কেন্দ্র করে কয়েকটি অনিবন্ধিত দল ও সামাজিক ব্যক্তিদের নিয়ে বাংলাদেশ জাতীয় লীগের সভাপতি- ড. শাহরিয়ার ইফতেখার ফুয়াদকে জোটের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট (মুক্তিজোট) এর সংগঠন প্রধান আবু লায়েস মুন্নাকে জোটের প্রধান সমন্বয়ক এর দায়িত্ব দিয়ে ১১ মার্চ ২০২৩ খ্রিঃ তারিখে জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হল রুমে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জোটের ঘোষণা করা হয়। জোটভুক্ত দলসমূহ হল- ১. বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট (মুক্তিজোট), সংগঠন প্রধান- আবু লায়েস মুন্না, পরিচালনা বোর্ড প্রধান- মোঃ শাহজামাল আমিরুল ২. বাংলাদেশ জাতীয় লীগ, সভাপতি- ড. শাহরিয়ার ইফতেখার ফুয়াদ ৩. সোনার বাংলা আন্দোলন, সমন্বয়ক- কাসেম মাসুদ ৪. গণ কংগ্রেস- চেয়ারম্যান- মোঃ আকতার হোসেন ৫. ডেমোক্রেটিক লীগ, সভাপতি- প্রফেসর এ আর খান, মহাসচিব- সাহেদ আহম্দে শ্রাবন ৬. সোনার বাংলা পার্টি, মহাসচিব- সৈয়দ হারুন-অর-রশীদ ৭. জনতা পার্টি, সভাপতি- ড. সরোয়ার হোসেন ৮. স্বাধীনতা পার্টি, সভাপতি- বীর মুক্তিযোদ্ধা মোয়াজ্জেম হোসেন খান মজলিশ ৯. জাতীয় জনমুক্তি পার্টি, সভাপতি- মমতাজ উদ্দিন মজুমদার ।

এদিকে নির্বাচন কমিশনের ওয়েব সাইটে ৪১ নম্বর দল হিসাবে বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট এর সংগঠন প্রধান হিসেবে আবু লায়েস মুন্না ও পরিচালনা বোর্ড প্রধান হিসেবে মোঃ শাহজালাল আমিরুল এর নাম ও ছবি পাওয়া যায়।
জোট প্রসঙ্গে বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের সংগঠন প্রধান আবু লায়েস মুন্নার নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন ‘গনমুক্তি জোট ছিল নিছক একটা নির্বাচনকালীন জোট, যার নির্বাচন শেষ হওয়ার সাথে সাথে কার্যক্রমও শেষ হয়ে যায়।’ অথচ জোটভুক্ত দলের নেতারা এখন আমার দলের নেতা হওয়ার চেষ্টা করছে। হঠাৎ করে যারা এই দলের নেতৃত্ব দাবি করছে তারা আসলেই রাজনৈতিক অর্বাচীন। তিনি আরও বলেন একটি দলের নেতা হতে গেলে সেই দলের কিছু সাংগঠনিক ধাপ পার হতে হয় এবং বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটে তো সাংগঠনিক চর্চাটা আরও প্রায়োগিক। এই কাজ কোন সুস্থ চিন্তার রাজনীতিবিদ করতে পারেনা বলে তিনি মনে করেন।

এ ব্যাপারে জাতীয় লীগের চেয়ারম্যান শাহরিয়ার ফুয়াদ উত্তর দেন। তিনি বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের সংগঠন প্রধানের দাবী করছেন জানতে চাইলে বারবার তিনি গনমুক্তি জোট এর চেয়ারম্যান  বলেন এবং নির্বাচন কালীনসময় গণমুক্তি জোট থেকে করা বিভিন্ন অনুষ্ঠানের ছবি ও কাগজপত্র পাঠান। তাকে তার দল বাংলাদেশ জাতীয় লীগ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন নির্বাচনের আগে জাতীয় লীগের নিবন্ধনের জন্য তিনি আবেদন করেছিলেন, তার দল নিবন্ধন না পাওয়াই তিনি এখন বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট করবে।

দারুস সালাম থানা সূত্রে জানা যায় এই ব্যাপারে বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট ইতোমধ্য উপরোক্ত ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে একটি সাধারণ ডায়েরী করেছেন। থানার তদন্ত কর্মকর্তাও বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্বাধীন বাংলাদেশে আমরা বিভিন্ন সময় দল ভাগ হতে দেখেছি। দেশ স্বাধীনের পর আওয়ামী লীগ ভাগ হয়ে আওয়ামী লীগ মিজান নামে পরবর্তীতে জাসদ ও জাতীয় পার্টি একই নামে চেয়াম্যানের নাম ব্রাকেট বন্দী করে দল করেছে তবে তারা সবাই নিজ নিজ দলের কর্মী ছিল কিন্তু জোট করে দল দখলের চেষ্টা জাতি আগে দেখেনি। বাংলাদেশে এটাই প্রথম জনতার মধ্যে বিষয়টা নিয়ে কৌতুহল।

একটি স্বাধীনদেশে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী একটি দল দখল বা সিনতায়ের চেষ্টা তো এক প্রকার গনতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার জন্য হুমকি।
সূত্র: দৈনিক খবর বাংলাদেশ

]]>
https://bgn24.com/?feed=rss2&p=3694 0
সিগারেটে রাজস্ব ক্ষতি ৩৫০০ কোটি টাকা https://bgn24.com/?p=3473 https://bgn24.com/?p=3473#respond Sun, 14 May 2023 12:23:42 +0000 https://bgn24.com/?p=3473 জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ঢিলামি ও ভুল নীতির কারণে সরকার ৯ মাসে (জুলাই-মার্চ) সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকার বেশি রাজস্ব হারিয়েছে।এনবিআর-এর বেঁধে দেওয়া দামের চেয়ে বাড়তি দরে সিগারেট বিক্রি করায় এ রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে। এতে ভোক্তারা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। আর সরকার বঞ্চিত হয়েছে প্রাপ্য রাজস্ব থেকে।

এই প্রেক্ষাপটে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাজেটের খসড়া চূড়ান্ত করতে রেওয়াজ অনুযায়ী আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আলোচনায় বসতে যাচ্ছে এনবিআর-এর প্রতিনিধিদল। বৈঠকে সিগারেটের বিক্রয়মূল্য, ব্যক্তিশ্রেণির করমুক্ত আয়ের সীমা নির্ধারণসহ জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবেন প্রধানমন্ত্রী।

সূত্র জানায়, গত অর্থবছরে সিগারেট খাতে প্রায় ২৮ হাজার কোটি টাকা ভ্যাট আদায় হয়েছে, যা মোট আদায়কৃত ভ্যাটের প্রায় ৩০ শতাংশ। রাজস্ব আদায়ের সবচেয়ে বড় একক খাত হওয়ায় আগামী বাজেটে সিগারেট খাতে এনবিআর-এর বিশেষ নজর থাকবে।

এ খাতে রাজস্ব পরিহার রোধে আইনি কঠোর পদক্ষেপ থাকবে। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী সিগারেটের বিক্রয়মূল্য, করমুক্ত আয়ের সীমা, সারচার্জ বা সম্পদ করের মতো জনগুরুত্বপূর্ণ ও রাজস্ব নীতিসংশ্লিষ্ট বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেবেন। মূলত এ বৈঠকে বাজেটে রাজস্ব নীতি চূড়ান্ত হবে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এনবিআরের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা যুগান্তরকে বলেন, সিগারেটের মূল্য নির্ধারণেই গোঁজামিল আছে।

বর্তমান সময়ে খুচরা পয়সার প্রচলন বা বিনিময় মূল্য না থাকা সত্ত্বেও প্রতি শলাকা সিগারেটের খুচরা মূল্য নির্ধারণে ভাঙতি পয়সা রাখা হয়। এ কারণে খুচরা পর্যায়ে বিক্রির সময় পূর্ণাঙ্গ টাকায় মূল্য রাখা হয়। যেমন ১৪ টাকা ২০ পয়সার বেনসন বা মালবোরো সিগারেট ১৫-১৬ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

বর্ধিত এ অর্থ থেকে এনবিআর অতীতে কখনো রাজস্ব আদায় করতে পারেনি, ভবিষ্যতেও পারবে না। তাই ভবিষ্যতে মূল্য নির্ধারণের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।

তিনি আরও বলেন, বর্ধিত দামে সিগারেট বিক্রির বিষয়টি নজরে আসার সঙ্গে সঙ্গেই এনবিআর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিলে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আদায় করতে পারত।

প্রতিবছর বাজেটে এনবিআর সিগারেটের বিক্রয়মূল্য, সম্পূরক শুল্ক ও ভ্যাট নির্ধারণ করে দেয়। যেমন, চলতি বাজেটে অতি উচ্চস্তরের (বেনসন, মালবোরো) ১০ শলাকা সিগারেটের মূল্য নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে ১৪২ টাকা।

একইভাবে উচ্চস্তরের (গোল্ডলিফ) ১০ শলাকার মূল্য ১১১, মধ্যম স্তরের (স্টার, নেভি) ১০ শলাকার মূল্য ৬৫ এবং নিম্নস্তরের (হলিউড, ডার্বি) ১০ শলাকার মূল্য ৪০ টাকা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। অতীতে এই মূল্যেই খুচরা পর্যায়ে সিগারেট বিক্রি হলেও গত কয়েক বছর ধরে খুচরা বিক্রেতারা বেঁধে দেওয়া দামের চেয়ে বেশি মূল্যে বিক্রি করছেন।

পাশাপাশি অতি উচ্চস্তর, উচ্চস্তর, মধ্যম স্তরের সিগারেট উৎপাদনে সম্পূরক শুল্ক ৬৫ শতাংশ এবং নিম্নস্তরের সিগারেটে ৫৭ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এর সঙ্গে ১৫ শতাংশ মূসক বা ভ্যাট রয়েছে। সব মিলিয়ে অতি উচ্চস্তর, উচ্চস্তর, মধ্যম স্তরের সিগারেটে শলাকাপ্রতি ৮০ শতাংশ এবং নিম্নস্তরের সিগারেটে ৭২ শতাংশ রাজস্ব আরোপিত আছে।

হিসাব মতে, এক শলাকা বেনসন ও মালবোরো বিক্রি হওয়ার কথা ১৪ টাকা ২০ পয়সা দরে; কিন্তু বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১৫-১৬ টাকা দরে। একইভাবে ১১ টাকা ১০ পয়সার গোল্ডলিফ ১২ টাকায়, ৬ টাকা ৫০ পয়সার স্টার ও নেভি ৭ টাকা এবং ৪ টাকার ডার্বি, হলিউড ও শেখ বিক্রি হচ্ছে ৫ টাকায়।

খুচরা পর্যায়ে বাড়তি দামে সিগারেট বিক্রি করায় প্রতি শলাকায় (৮০ পয়সা/১.৮০ টাকা* ৮০ শতাংশ) অতি উচ্চস্তরের সিগারেটে ৬৫ পয়সা থেকে ১ টাকা ৪৪ পয়সা, উচ্চস্তরে ৭২ পয়সা, মধ্যমস্তরে ৪০ পয়সা এবং নিম্নস্তরের সিগারেটে (১ টাকা* ৭২ শতাংশ) ৭২ পয়সা রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।

এই বিপুল অঙ্কের রাজস্ব ক্ষতির বিষয়টি অনুধাবন করতে পেরে গত বছরের আগস্টে বৃহৎ করদাতা ইউনিটের (এলটিইউ-ভ্যাট) তৎকালীন কমিশনার ওয়াহিদা রহমান চৌধুরী এনবিআর-এ চিঠি দেন এবং ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সঙ্গে সভা করেন। সেপ্টেম্বরে বৈঠকের কার্যবিবরণীতে আইনগত বাধ্যবাধকতা তুলে ধরে তা সমাধানে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানান। কিন্তু এনবিআর কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।

গত মার্চ পর্যন্ত সিগারেট উৎপাদনের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, দেশের সর্ববৃহৎ সিগারেট উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো অতি উচ্চস্তরের (বেনসন) ৪৩৬ কোটি ৬২ লাখ শলাকা, উচ্চস্তরের (গোল্ডলিফ) ২৫৪ কোটি ৮১ লাখ শলাকা, লাকি স্ট্রাইক ৬৩ কোটি ৫৫ লাখ শলাকা, মধ্যম স্তরের স্টার ৪২৫ কোটি ৩৯ কোটি শলাকা এবং নিম্নস্তরের হলিউল/ডার্বি ৩ হাজার ৮৭ কোটি শলাকা সিগারেট বিক্রি করে। এসব সিগারেট বর্ধিত দামে বিক্রি করায় রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে স্তরভিত্তিক যথাক্রমে ২৭৯ কোটি থেকে ৬২৮ কোটি, ১৮৩ কোটি, ৯১ কোটি, ১৭০ কোটি এবং ২ হাজার ২২৩ কোটি টাকা।

একইভাবে ইউনাইটেড ঢাকা টোব্যাকো মধ্যম স্তরের ক্যামেল সিগারেট ১২ কোটি ৯১ শলাকা, নেভি সিগারেট ১৩৭ কোটি ৭৫ লাখ শলাকা এবং নিম্নস্তরের সেখ সিগারেট ১৩১ কোটি শলাকা বিক্রি করে। এতে রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে যথাক্রমে ১৫ কোটি ৫০ লাখ, ৫৫ কোটি ১০ লাখ এবং ৯৪ কোটি টাকা। অতি উচ্চস্তরের আরেকটি জনপ্রিয় ব্র্যান্ড মালবোরোর উৎপাদনের তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, এ ব্র্যান্ডের সিগারেট থেকেও সরকার মোটা অঙ্কের রাজস্ব হারিয়েছে।

সব মিলিয়ে খুচরা পর্যায়ে বাড়তি দামে সিগারেট বিক্রি হওয়ায় ৯ মাসে সরকার সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকার বেশি রাজস্ব হারিয়েছে। মালবোরো ব্র্যান্ডের সিগারেটের তথ্য যোগ করলে রাজস্বহানির পরিমাণ ৪ হাজার কোটি টাকার কাছাকাছি পৌঁছবে বলে ধারণা করা যাচ্ছে।

এ বিষয়ে তামাকবিরোধী সংস্থা আর্ক ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. রুমানা হক যুগান্তরকে বলেন, আমাদের এক গবেষণায় দেখা গেছে, বেশি দামে সিগারেট বিক্রি করায় অর্থবছর শেষে সরকারের প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব ক্ষতি হবে। গবেষণালব্ধ ফলাফল তুলে ধরে এনবিআরকে চিঠিও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এনবিআর বিষয়টি আমলে নেয়নি।

তিনি আরও বলেন, বেশি দামে সিগারেট বিক্রির পেছনে প্যাকেটের গায়ে লেখা ‘খুচরা মূল্য’ ও ‘সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য’ শব্দ দুটিকে ঢাল হিসাবে ব্যবহার করছে তামাক কোম্পানিগুলো। এক্ষেত্রে প্রজ্ঞাপন বা বিধিমালায় জটিলতা যদি থেকেও থাকে, এনবিআর-এর উচিত ছিল বিষয়টি দ্রুত সমাধান করা। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে এনবিআর পদক্ষেপ না নেওয়ায় সরকার মোটা অঙ্কের রাজস্ব হারাচ্ছে। আগামী দিনে বাজার মনিটরিং জোরদারের পাশাপাশি বাজেটে এ বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নেওয়া উচিত।

]]>
https://bgn24.com/?feed=rss2&p=3473 0