রাজশাহী বিভাগ – Bangla Green News https://bgn24.com সংবাদে নতুনত্বের সূচনায়! Mon, 11 Dec 2023 08:08:26 +0000 en-US hourly 1 https://wordpress.org/?v=6.8.1 রাবিতে রহস্য জনক মৃত্যু!! https://bgn24.com/?p=3580 https://bgn24.com/?p=3580#respond Mon, 11 Dec 2023 08:08:25 +0000 https://bgn24.com/?p=3580 একদা বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবিরের ক্যান্টনমেন্ট খ্যাত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শামসুজ্জোহা হলে মো. ফুয়াদ আল ফতিব (২৩) নামের এক শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার (১০ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে হলের ১৮৪ নম্বর কক্ষ থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মো. ফুয়াদ আল ফতিব (২৩) বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের মাস্টার্সে শিক্ষার্থী। তিনি গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম রাজিবপুর গ্রামের আমিনুল ইসলাম সাজুর ছেলে।

বিভাগের সহপাঠী ও হল সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের শামসুজ্জোহা হলের ১৮৪ নম্বর কক্ষে থাকতে মো ফুয়াদ আল ফতিব। চাকরির পরীক্ষা দিয়ে গতকাল শনিবার (৯ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে তিনি গ্রামের বাড়ি থেকে রাত আনুমানিক ৩টায় কক্ষে আসেন। এরপর আজ রোববার বিকেল ৩টা পর্যন্ত তাকে ফোনে না পেয়ে সহপাঠীরা তার কক্ষে এসে অচেতন অবস্থায় দেখতে পান। পরে হল প্রশাসনের সহায়তায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (রামেক) নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন জোহা হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক একরামুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ১৮৪ নম্বর কক্ষে যায়। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে রামেকের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে ৩-৪ ঘণ্টা আগেই সে মারা গেছে বলে জানান কর্তব্যরত চিকৎসক।

তার মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে রাখা আছে। রিপোর্ট দেখার পর বাকি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। মৃত্যুর কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখনও মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি। হল প্রশাসনের পক্ষ থেকে তার কক্ষ তালাবদ্ধ করে রাখা হয়েছে। সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক ড. গোলাম কিবরিয়া ফেরদৌসকে ফোন করা হলে তিনি জানান বলেন, ‘আমার খুব প্রিয় ছাত্র ছিলো ফুয়াদ। সে খুব মেধাবী, পড়াশোনা শেষ করেই বিসিএস ক্যাডার হবে প্রত্যাশা ছিলো তার।

তাকে হারিয়ে আমিসহ আমাদের বিভাগ নিস্তব্ধ হয়ে গেছে।আমরাও আপেক্ষা করছি আসল ঘটনা জানার।কারো এমন মৃত্য কামনা করা যায় না। ’ তিনি আরও বলেন, ‘সে (ফুয়াদ) সুইসাইড করার মতো ছেলে না।

আমরা তার মৃত্যুর আসল কারণ জানতে চাই।’ এ বিষয়ে মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুহুল আমিন মারফত জানা যায়, ।

 নিহতের বড়ভাই একটি অভিযোগ দায়ের করেছে। মামলাটি প্রক্রিয়াধীন আছে।

]]>
https://bgn24.com/?feed=rss2&p=3580 0
বিশ্বজিৎ হত্যায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার https://bgn24.com/?p=2286 https://bgn24.com/?p=2286#respond Fri, 15 Jul 2022 12:33:44 +0000 https://bgn24.com/?p=2286 বিশ্বজিৎ হত্যায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
বাংলা গ্রীন নিউজঃ
আলোচিত বিশ্বজিৎ দাস হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি আলাউদ্দিনকে (৩৩) গ্রেপ্তার করেছে বগুড়ার পুলিশ।

বৃহস্পতিবার ভোররাত সাড়ে তিনটার দিকে বগুড়ার শিবগঞ্জের মোকামতলা বন্দর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি পঞ্চগড়ের অটোয়ারী থানার ছোটধাপ এলাকার হাবিবুর রহমানের ছেলে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আলী হায়দার চৌধুরী। তিনি জানান, বিশ্বজিৎ হত্যাকাণ্ড এবং রায় ঘোষণার পর থেকেই আলাউদ্দিন বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করে পালিয়ে ছিলেন। বৃহস্পতিবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে শিবগঞ্জ থানা পুলিশ তাকে মোকামতলা বন্দর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে।

প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর বিশ্বজিৎ দাসকে ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্কের কাছে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় ২০১৩ সালের ১৮ ডিসেম্বর ঢাকার চার নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল ২১ আসামির মধ্যে আটজনকে মৃত্যুদণ্ড ও ১৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে আটটি আপিল ও সাতটি জেল আপিল করেন আসামিরা। এসব আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের শুনানি একসঙ্গে নিয়ে ২০১৭ সালের ৬ আগস্ট রায় দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের রায় ঘোষণা করেন। রায়ে দুইজনের মৃত্যুদণ্ড বহাল, ১৫ জনের আমৃত্যু কারাদণ্ড এবং চার জনকে খালাস দেওয়া হয়।

 

]]>
https://bgn24.com/?feed=rss2&p=2286 0
অনলাইনে আম বিক্রি করে দিনবদল https://bgn24.com/?p=1263 https://bgn24.com/?p=1263#respond Sun, 06 Jun 2021 03:43:36 +0000 https://bgn24.com/?p=1263 বাবা ঢাকায় রিকশা চালান। ছেলে পড়েন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি)। দুই বছর পরে ছোট ছেলে ভর্তি হলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি)। এবার আর বাবা কুলিয়ে উঠতে পারেন না। দুই ভাইয়ের পড়াশোনার খরচে টান পড়ে। সংসারও চলতে চায় না। বড় ছেলে তখন টিউশনিসহ নানা কাজ করে পড়াশোনার খরচ মেটানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু কিছুতেই কিছু হয় না। পড়াশোনা বন্ধ হওয়ার উপক্রম হলো। এমন সময় এল আমের মৌসুম। অনলাইনের মাধ্যমে আম বিক্রির ধারণা তাঁদের জীবন বদলে দিয়েছে।বড় ছেলের নাম জুয়েল মামুন। তিনি পড়েন রাবিতে অর্থনীতি বিভাগে। ছোট ছেলে আলমগীর হোসেন জাবিতে সরকার ও রাজনীতি বিভাগের ছাত্র। বাড়ি টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার রতন বরিষ গ্রামে।

আম থেকে আয়

বছর তিনেক আগের কথা। সেবার আমের মৌসুমে ছিল পবিত্র রমজান মাস ছিল। বিশ্ববিদ্যায় ছুটি। ফেসবুকে ‘ফ্রুট হাট’ নামে একটা পেজ খুললেন দুই ভাই। ক্রেতাদের পছন্দ অনুযায়ী সরাসরি বাগান থেকে আম সংগ্রহ করে শুরু হলো কুরিয়ারে পৌঁছে দেওয়া। প্রথম বছর প্রায় পাঁচ হাজার কেজি আম বিক্রি হয়েছিল।

পরের বছর নিয়ম করলেন, আগে টাকা পাঠিয়ে বুকিং দিতে হবে। সাড়া মিলল তাতেও। বিক্রি হলো প্রায় ১৫ হাজার কেজি আম। গত বছর বিক্রি হয়েছে ৩০ হাজার কেজি। এবারও তাঁদের কার্যক্রম চলছে পুরোদমে।

মৌসুমের শুরুতেই চার হাজার কেজি গোপালভোগ পাঠিয়েছেন। রাজশাহীর পুঠিয়ার বানেশ্বর আমের বাজারে দুই ভাই আরও পাঁচজন কর্মীকে নিয়ে এ কর্মযজ্ঞ চালান। কর্মীদের একজন শুধু আমের মান নিশ্চিত করেন। অন্যরা আম ওজন করা, প্যাকেট করা, কুরিয়ারে বা গাড়িতে পাঠানোর কাজ করেন। ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী আম পাঠানো হয়।

জুয়েল মামুন বলেন, ‘করোনার কারণে গত দুই মৌসুমে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ। অনেক অনিশ্চয়তার মধ্যেও আমের ব্যবসা করে আমরা সংসারের হাল ধরতে পেরেছি।’ জুয়েলরা ব্যবসার আয় থেকে বাড়ির কাঁচা মেঝে পাকা করে ওপরে নতুন টিনের ছাউনি দিয়েছেন। গরুর খামার করেছেন। খামারে এখন দুটি ষাঁড় আছে।

জুয়েল এখন স্নাতকোত্তর পর্যায়ে পড়ছেন, আলমগীর দ্বিতীয় বর্ষে। চার মাস ধরে তাঁদের বাবাকে আর রিকশা চালাতে হয় না।

শুধু জুয়েল-আলমগীর নন

নারী উদ্যোক্তাদের সংগঠন উইমেন অ্যান্ড ই-কমার্সের (উই) হিসাবমতে, রাজশাহী জেলায় তাদের সঙ্গে যুক্ত ১৭৫ জন উদ্যোক্তা অনলাইনে আমের ব্যবসা করছেন। তাঁদের মধ্যে ১৪০ জন নারী। বেশির ভাগই শিক্ষার্থী। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় তাঁরা আমের ব্যবসায় ঝুঁকেছেন।

রাজশাহী মহিলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী ঐশী তাবাসসুম ফেসবুকে যে পেজের মাধ্যমে আম বিক্রি করেন, তার নাম ‘ম্যাংগোশাহী’। গত বছর তিনি ৩০০ কেজি গোপালভোগ ও হিমসাগর আম বিক্রি করেছেন। রাজশাহী মহিলা কলেজের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী নীপা সেনগুপ্তা স্নাতক (সম্মান) পরীক্ষা দিয়েছেন। এখনো ফলাফল প্রকাশিত হয়নি। অনলাইনে ফল বিক্রির সুফল তিনি পেতে শুরু করেছেন। ৩ জুন পর্যন্ত তিনি ক্রেতাদের কাছে ১ হাজার ৬০০ কেজি আম পাঠিয়েছেন। ‘অমৃত স্বাদ’ নামে তাঁর একটি ফেসবুক পেজ আছে।

৩ জুন বিকেলে পবা উপজেলার দোয়ারি গ্রামের হাবিবুর রহমানের আমবাগানে গিয়ে দেখা যায়, নীপা সেনগুপ্তা তাঁর ক্রেতাদের জন্য আম বুকিংয়ের কাজ তদারক করছেন। তিনি বলেন, ‘ঢাকা, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, সিলেট ও নোয়াখালীর ক্রেতাদের জন্য ৩০০ কেজি হিমসাগর আম পাঠাচ্ছি। কুরিয়ার খরচসহ এক কেজি আম ঢাকায় পাঠানোর জন্য দাম ধরা হচ্ছে ৯০ টাকা, আর ঢাকার বাইরে ৯৬ টাকা কেজি।’

রাজশাহীর অনেক শিক্ষার্থী যে যাঁর মতো ফেসবুকে পেজ খুলে এ সময় আমের ব্যবসা শুরু করেছেন। বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মো. সাকি আহমেদ জানান, তাঁর বন্ধুরা প্রায় সবাই এ বছর ফেসবুকের মাধ্যমে আম বিক্রির জন্য বিভিন্ন পেজ খুলেছেন। ইনাগাল ডটকম, কিনব ডটকম, রাজশাহীর আম, স্টোরহাউস অব ম্যাংগো—এমন আরও কত বাহারি নাম। এসব উদ্যোক্তার কাছেই হয়তো বলার মতো একটা গল্প আছে।

]]>
https://bgn24.com/?feed=rss2&p=1263 0