স্বাস্থ্য কথন – Bangla Green News https://bgn24.com সংবাদে নতুনত্বের সূচনায়! Mon, 24 Mar 2025 04:48:34 +0000 en-US hourly 1 https://wordpress.org/?v=6.8.1 তরমুজের সাদা অংশটি খেলে কী হয় https://bgn24.com/?p=4078 https://bgn24.com/?p=4078#respond Mon, 24 Mar 2025 04:48:33 +0000 https://bgn24.com/?p=4078 সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটা ভিডিও বেশ ভাইরাল। ঢাকার কারওয়ান বাজারের এক তরমুজ বিক্রেতা বলছেন, ‘ওই কী রে! ওই কী রে!’ পরক্ষণেই বলছেন, ‘মধু মধু!’ মধুর সঙ্গে তুলনা না করলেও তরমুজ আদতে নানান পুষ্টিগুণে ভরপুর। পানিসমৃদ্ধ ফলটিতে আছে প্রচুর ভিটামিন এ, সি, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম এবং অন্যান্য পুষ্টিগুণ। তরমুজের শাঁসেই যে সব পুষ্টি থাকে, তা নয়; এর সাদা অংশটিও দারুণ পুষ্টিগুণে ভরপুর। আর তা খাওয়া চলে অনায়াসে। জেনে নিন মহৌষধি গুণের কথা।

কর্মক্ষমতা বাড়ায়

তরমুজের সাদা অংশ, অর্থাৎ এর বহিরাবরণ ও লাল শাঁসের মাঝখানে যে অংশটুকু থাকে, তাতে পাবেন সিট্রুলিন নামে একধরনের নন-এসেনশিয়াল অ্যামিনো অ্যাসিড। এটি খেলে আমাদের কর্মক্ষমতা বাড়তে পারে কল্পনার চেয়েও অধিক।

সিট্রুলিন আমাদের রক্তনালির প্রসারণ ঘটায়। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল লাইব্রেরি অব মেডিসিনের গবেষণা বলছে, সিট্রুলিন মাংসপেশিতে অক্সিজেনের জোগান দেয়। ফলে কর্মক্ষমতা বাড়ে।

খাবেন কীভাবে? উত্তর হলো, তরমুজের লাল শাঁসের মতো এমনিতেই খেতে পারেন। চাইলে চাটনি বানিয়েও খাওয়া যায়। যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণের রাজ্যগুলোতে তরমুজের সাদা অংশের চাটনি প্রাচীন চিকিৎসাপদ্ধতির একটি অংশ।

রক্তচাপ কমায়

আমেরিকান জার্নাল অব হাইপারটেনশন যে গবেষণা চালিয়েছে, তাতে দেখা গেছে, তরমুজের সাদা ও অন্যান্য অংশ প্রাপ্তবয়স্কদের উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে দারুণভাবে সাহায্য করে। শুধু তা-ই নয়, তরমুজে যে সিট্রুলিন আছে, সেটিও উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। তরমুজ মূত্রবর্ধকও বটে। ফলে এটিও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।

ফাইবারের উৎস

তরমুজের খোসা ফাইবার বা আঁশের সমৃদ্ধ উৎস। আর এটা তো জানা কথাই, ফাইবারসমৃদ্ধ খাবারের অনেক উপকারিতা। একবার চলুন ফাইবারের কী কী উপকারিতা, তাতে চোখ বুলিয়ে নিই—

  • নিয়মিতভাবে মলত্যাগের ক্ষেত্রে সহায়ক এবং কোলন ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়।
  • কোলেস্টেরল ও ব্লাড সুগার কমাতে সাহায্য করে।
  • ফাইবারসমৃদ্ধ খাবার দ্রুত পেট ভরায়, ভরা রাখে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

সূত্র: হেলথলাইন

]]>
https://bgn24.com/?feed=rss2&p=4078 0
ইফতারে পুদিনা পাতা খেলে পাবেন বহু উপকার!! https://bgn24.com/?p=3684 https://bgn24.com/?p=3684#respond Sun, 24 Mar 2024 09:23:01 +0000 https://bgn24.com/?p=3684 রমজান মাসে সারাদিন রোজা রেখে ইফতারিতে পুষ্টিকর খাবার খুবই জরুরি। তাই ইফতারির মেন্যুতে রাখতে পারেন পুদিনা পাতা। যার আছে মহা ঔষধি গুণ। পৃথিবীতে অনেক ধরনের ঔষধি গাছ রয়েছে। পুদিনা পাতা তার মধ্যে অন্যতম।

যেসব উপকার মিলবে পুদিনা পাতায়:

পেট ফাঁপায়: সহজ কথায় পেটে বাতাস জমে যাওয়া। এ অবস্থা সৃষ্টি হলে নানা রোগ হতে পারে। বদ হজমের ফলে পেটে বাতাস জমে এবং পেট ফাঁপে। এ ক্ষেত্রে পুদিনার শরবত সারাদিন ২-৩ বার করে কয়দিন খেলে পেটে বাতাস জমা বন্ধ হবে। খাদ্যে রুচিও ফিরে আসবে।

শিশুদের অতিসারে: পাতলা দাস্ত, সেই সঙ্গে পেট মোচড় দিয়ে ব্যথা, কোনো কোনো ক্ষেত্রে অল্প আম সংযুক্ত দাস্ত, সেসঙ্গে পেট ফাঁপা, হিক্কা বমি বমি ভাব, প্রস্রাবও সরলি হচ্ছে না, শিশু কিছুই খেতে চাচ্ছে না। এ ক্ষেত্রে পুদিনা পাতার রস ৮/১০ ফোঁটা অল্প একটু চিনি ও লবণ সহযোগে এক ঘণ্টা অন্তর কয়েকবার খাওয়াতে হবে। কখন কিভাবে কতবার খাওয়াতে হবে সেটা নির্ভর করবে রোগীর সুস্থতার ক্রমের দিকে লক্ষ্য রেখে। বয়স আনুপাতে মাত্রাটা ঠিক করে নিতে হবে।

অরুচিতে: রোগে ভোগার পর, পেটে বাতাস জমে ও কোষ্ঠ বদ্ধতায় অরুচি আসে। একই রকম খাদ্য দীর্ঘদিন খেলে অরুচি আসে। এসব ক্ষেত্রে পুদিনার শরবত (পুদিনার রস ২ চা চামচ, সামান্য লবণ, কাগজী লেবুর রস ৮/১০ ফোঁটা, হাল্কা গরম পানি পোয়া খানিক একত্রে মিশিয়ে) সকাল বিকাল দিনে দুই বার ৫/৭ দিন খেলে অরুচি চলে যায়। পুদিনা পাতা বেটে পানিতে গুলে শরবত করা যায়। সে ক্ষেত্রে কাঁচা পাতা ৮/১০ গ্রাম নিতে হবে।

মূত্রাল্পতায়: অনেক রোগে প্রস্রাব কম হয়। কিন্তু যে ক্ষেত্রে ঠাণ্ডা গরমের ফলে সাময়িকভাবে অল্প অল্প প্রস্রাব হতে থাকে কোনো কোনো সময় দাহ হতে থাকে, সে ক্ষেত্রে পুদিনা পাতা ৮/১০ গ্রাম বেটে তাতে সামান্য লবণ ও কাগজি লেবুর রস ঠাণ্ডা পানি মিশিয়ে শরবত করে দিনে ২/৩ বার খেতে হবে। অন্য কোনো রোগে মূত্রাল্পতা হলে সে ক্ষেত্রে এটা ব্যবহার করা যাবে কিনা সেটা নির্ভর করবে রোগের ধরনের ওপর এবং চিকিৎসকের বিচার ধারার ওপর।

অ্যান্টিক্যান্সার: পুদিনায় আছে মনোটারপিন নামক উপাদান। যা স্তন, লিভার এবং প্যানক্রিয়াসের ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। নিয়মিত খেলে ফুসফুস, কোলন এবং ত্বকের ক্যান্সার থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

বমিতে: পিত্তে শ্লেষ্মার জ্বর, অম্লপিত্ত, আমাশয়, অজীর্ণ, উদরশূল প্রভৃতিতে বমি হতে পারে। আবার রোদে ঘোরাফিরা করে ঠাণ্ডা পানি খেলে, খালি পেটে থেকে পরিশ্রম করলে বমি হতে পারে। এসব ক্ষেত্রে পুদিনার শরবতের সঙ্গে এক চা চামচ তেঁতুল মাড় ও চিনি মিশিয়ে ২/৩ বার করে কয়দিন খেতে হবে।

ঘাম নিয়ন্ত্রণে: যাদের শরীরে বেশি ঘাম হয় তারা পুদিনা পাতা ও গোলাপের পাপড়ি একসঙ্গে মিশিয়ে পানিতে ফুটিয়ে নিন। ঠাণ্ডা হলে সেই পানির সঙ্গে পাতিলেবুর রস মিশিয়ে ছেঁকে নিয়ে বোতলে করে ফ্রিজে রেখে দিন। গোসলের পর সারা শরীরে লাগান।

অ্যাজমা: পুদিনায় রোজমেরিক এসিড নামের এক ধরনের উপাদান থাকে। এটি প্রাকপ্রদাহী পদার্থ তৈরিতে বাধা দেয়। ফলে অ্যাজমা হয় না। এছাড়াও এ ঔষধি প্রোস্টসাইক্লিন তৈরিতে বাধা দেয়। তাতে শাসনালী পরিষ্কার থাকে।

]]>
https://bgn24.com/?feed=rss2&p=3684 0
শরীরে সরিষা তেল না লোশন!? https://bgn24.com/?p=3574 https://bgn24.com/?p=3574#respond Mon, 11 Dec 2023 07:15:39 +0000 https://bgn24.com/?p=3574 শীত এলেই নানা ধরনের চর্মরোগ দেখা দেয়। এতে বেশি আক্রান্ত হয় শিশুরা। সর্দি-কাশি, জ্বরসহ নানা ধরনের চর্মরোগ যেন নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে ওঠে। তাই শিশুদের প্রতি বাড়তি যত্ন নিতে হয়। শীতকালে অনেকেই দ্বিধায় থাকেন যে, শিশুর শরীরে সরিষা তেল মাখানো যাবে, নাকি লোশন দিতে হবে; ম্যাসাজ করা যাবে কিনা।

তেল না লোশন : তেল বা লোশন জাতীয় তরল ব্যবহার করা যাবে, তবে যেটি শিশুর জন্য আরামদায়ক হবে, সেটিই বেছে নিতে হবে। শিশু জন্যই সরিষার তেল বেশ উপকারী। বিশেষ করে ঠান্ডাজনিত সমস্যা দূর করতে তেল ব্যবহার করতে পারেন। সরিষার তেল শরীরে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়। শরীর উষ্ণ রাখতে রাখে। শিশুর ঠান্ডা লাগার আশঙ্কা থাকে না। সরিষার তেলের মধ্যে কয়েকটি রসুনের কোয়া দিয়ে গরম করে তা ঠান্ডা করে শিশুর বুকে মালিশ করলে সাধারণ সর্দি-কাশি থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। সরিষার তেলে অ্যান্টি-ফাঙ্গাল ও অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান রয়েছে। তাই ত্বকে সংক্রমণ হওয়ার আশঙ্কা কমে যায়। তেল ফুটিয়ে নিলে অনেকটায় মসৃণ হয়, ঘনত্ব কমে আসে। তবে ব্যবহারের আগে তেল পুরোপুরি ঠান্ডা করে নিতে হবে। সরিষার তেলে এক চা চামচ আজওয়াইনের দানা তেলে দিয়ে গরম করে নিয়ে শিশুর নরম ত্বকে মাখলে উপকার পাওয়া যায়। শীতকালে সরিষার তেলে তুলসি পাতাও দিয়ে নিতে পারেন। লোশন ব্যবহার করতে পারেন। তবে দেখতে হবে লোশন শিশুর উপযোগী কিনা, লোশনে কি কি উপকরণ রয়েছে। খেয়াল রাখতে হবে, লোশনের ঘনত্ব যেন বেশি না হয়। তাতে শরীরে ধুলাবালি জমতে পারে। বাজারের শিশুর জন্য যেসব লোশন রয়েছে, সেগুলো ব্যবহার করা যেতে পারে।

নারিকেল তেলও ব্যবহার করা যাবে। এতে আছে অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল, অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি-ফাঙ্গাল ও অ্যান্টি-ভাইরাল, যা ত্বকের জন্য উপকারী। আবার শিশুর ত্বক যদি শুষ্ক থাকে, তা হলে শিয়া বাটার নারিকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে মালিশ করা যায়। কারণ শিয়া বাটার ত্বক ভালো ময়েশ্চারাইজার করে। বাজারে অনেক ধরনের মেসেজ অয়েল পাওয়া যায়। এসব তেল ব্যবহারের আগে এর মধ্যে কি কি উপাদান আছে, তা দেখে নিতে হবে। ঘন সুগন্ধিযুক্ত তেল শিশুর ত্বকে অ্যালার্জি, জ্বালাপোড়া বা র‌্যাশ সৃষ্টি করতে পারে। তবে শিশুর ত্বকের জন্য উপযোগী অপেক্ষাকৃত পাতলা ও প্রাকৃতিক তেল ব্যবহার করতে পারেন।

করণীয় : শিশুর পোশাক খুলে নরম কাপড় বিছিয়ে তার ওপর শিশুকে শুয়ে দিন। হাতের তালুতে সামান্য তেল নিয়ে কানের লতিতে দিন। এরপর ক্রমে পা থেকে মালিশ শুরু করুন। হাতের তালুতে সামান্য তেল নিয়ে শিশুর পায়ের তলায় আঙুল ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে মালিশ করুন। পায়ের গোড়ালি থেকে আঙুল পর্যন্ত হালকা হাতে তেল দিন। এবার ধীরে ধীরে পায়ের ওপরের দিকে উঠুন। পুরো শরীরেই তেল লাগিয়ে আলতো হাতে ঘষে ঘষে মালিশ করে বুক ও পেটে আঙুল ঘুরিয়ে মালিশ করুন। মালিশ করার সময় তাড়াহুড়ো করা যাবে না। দ্বিতীয়বার মালিশের সময় পা থেকে শুরু না করে মাথা থেকে শুরু করে পা পর্যন্ত যান। শিশু সুস্থ থাকবে।

লেখক : সহকারী অধ্যাপক, চর্ম ও যৌন রোগ বিভাগ

আইচি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, ঢাকা

চেম্বার : বাংলাদেশ মাল্টিকেয়ার হাসপাতাল, ডিআইটি রোড রামপুরা ও মিডি ফেয়ার সেন্টার, ঢাকা

০১৭১২০৯৬৩৬২, ০১৮৮৩৬৯৯৭০৮

]]>
https://bgn24.com/?feed=rss2&p=3574 0
ড্রাগন ফল! ‘টনিক’ উপকারিতা ও অপকারিতা! https://bgn24.com/?p=3571 https://bgn24.com/?p=3571#respond Sun, 10 Dec 2023 09:22:02 +0000 https://bgn24.com/?p=3571 কয়েক বছর ধরে ড্রাগন ফল বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠার পর বিদেশী এ ফলটি এখন বাংলাদেশেই উৎপাদিত হচ্ছে। দেশের কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ড্রাগন ফলের আলাদা চারটি প্রজাতিও উদ্ভাবন করেছেন।

এগুলো হচ্ছে বারি-১, যা কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট উদ্ভাবন করেছে। এছাড়া কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যানতত্ত্ব বিভাগ ও জার্মপ্লাজম সেন্টার মিলিতভাবে তিন প্রজাতির ড্রাগন ফল উদ্ভাবন করেছে। এগুলো হচ্ছে বাউ ড্রাগন-১, বাউ ড্রাগন-২ এবং বাউ ড্রাগন-৩।

দেশীয়ভাবে উৎপাদন বাড়ার কারণে দামও কমে এসেছে এক সময়ের দামি এই ফলটির।

তবে সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘টনিক’ ব্যবহার করে উৎপাদিত ড্রাগন ফল এবং এর স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিয়ে নানা ধরনের আলোচনা হচ্ছে। অনেকে বলছেন, এসব ফল থেকে মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি দেখা দিতে পারে।

কিন্তু ড্রাগন চাষে কি আসলেই ‘টনিক’ ব্যবহৃত হচ্ছে? আর ব্যবহৃত হলে এসব ড্রাগন ফল খেলে স্বাস্থ্য ঝুঁকির সম্ভাবনা কতটা রয়েছে?

‘টনিক’ ব্যবহৃত হচ্ছে? নাটোর ড্রাগন ফ্রুটস- এর পরিচালক মনিরুজ্জামান মুন্না। বছরে প্রায় ৫০-৬০ টনের মতো ড্রাগন ফল উৎপাদন করে থাকেন তিনি। ১০ বছর আগে ২০১৪ সালে ইউটিউব দেখে ড্রাগন ফল গাছের চারা সংগ্রহ করে নাটোরে বাগান গড়ে তোলেন তিনি। বিবিসি বাংলাকে মুন্না বলেন, একবার ড্রাগন ফলের বাগান করলে এবং সেটি সঠিকভাবে চাষাবাদ করা হলে প্রায় এক শতাব্দী ধরে ফল পাওয়া সম্ভব। ‘যে ডালটা পুরাতন হয়ে যাবে, ওই ডালটা কেটে দিলে উপর দিয়ে নতুন ডাল বের হয়। এভাবে রি-শাফল করে যদি কেউ কাটে সেক্ষেত্রে গাছ যতদিন চান ততদিন রাখতে পারবে।’

টনিক কী?
কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউটের ফল বিভাগের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো: উবায়দুল্লাহ কায়ছার বলেন, টনিকটা হচ্ছে এক ধরণের হরমোন। এটা গাছে ব্যবহার করলে তার বৃদ্ধি বেশি ও দ্রুত হয়। এই পদ্ধতির ব্যবহার বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট উৎসাহিত করে না।

তিনি বলেন, ‘এটা আমাদের গবেষণার রিকমেন্ডেড না। এটা বাহির থেকে একটা হরমোন আসছে। এটা আমাদের সরকারিভাবেও অনুমোদিত না।’

টনিক ব্যবহার করে উৎপাদিত ড্রাগন চেনার উপায়
অধ্যাপক ড. মো: মোক্তার হোসেন বলেন, টনিক ব্যবহার করে উৎপাদিত ড্রাগন ফল দেখে চেনার কিছু উপায় রয়েছে। এগুলো হচ্ছে-

সাধারণ ও প্রাকৃতিকভাবে উৎপাদিত ড্রাগন ফলের ওজন আড়াই শ’ থেকে সর্বোচ্চ তিন শ’ গ্রাম পর্যন্ত হয়ে থাকে। আর টনিক ব্যবহার করে উৎপাদিত ড্রাগন ফলের ওজন তিন শ’ গ্রাম থেকে শুরু করে নয় শ’ গ্রাম পর্যন্ত হয়ে থাকে।

টনিক ব্যবহার করে উৎপাদিত ফলের বাহ্যিক আকার উদ্ভট হয়ে যায়।

এই ড্রাগন ফলের রঙ পার্পেল বা লাল রঙ হয় থাকে না। সহজ করে বলতে গেলে, পুরো ফলটি আর এক রঙা থাকে না। পার্পেল বা লাল রঙের সাথে সবুজ রঙের মিশ্রণ থাকে। এক পাশে বা কমপক্ষে এক তৃতীয়াংশ সবুজ থাকে। কারণ পুরো এক রঙের হওয়া পর্যন্ত গাছে রাখা হলে সেটি পঁচে যায়। আর এক সাথে চার-পাঁচদিনের মধ্যে বিক্রি না হলে পুরোটাই হলুদ রঙের হয়ে যাবে।

টনিক ব্যবহার করে উৎপাদিত ড্রাগন ফল হবে পানসে। মিষ্টি একেবারেই হবে না। এছাড়া স্বাদেও বেশ ভিন্ন হবে।

মোক্তার হোসেন বলেন, ‘যখন আপনি টনিক ব্যবহার করছেন, তখন গ্রোথ (ফলের বৃদ্ধি) খুব র‍্যাপিডলি (দ্রুত) হচ্ছে। বাহ্যিক আকারও তখন স্বাভাবিকভাবেই ভিন্ন হবে। বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান তৈরি হওয়ার জন্য পর্যাপ্ত সময় পাওয়া যাচ্ছে না। এর আগেই সেগুলো তুলে বিক্রি করে দিতে বাধ্য হচ্ছে কারণ সেগুলো বেশি দিন থাকলে ওয়েট (ওজন) অনেক বেড়ে যায়।

স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি আছে কি?
অধ্যাপক ড. মো: মোক্তার হোসেন বলেন, স্বাভাবিক প্রক্রিয়ার বাইরে কৃত্রিমভাবে উৎপাদিত যেকোনো পণ্যেরই স্বাস্থ্য ঝুঁকি থাকে। যদিও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বিভিন্ন রাসায়নিক নিরাপদ উপায়ে ব্যবহারের মাত্রা ঠিক করে দেয়। কিন্তু বাংলাদেশে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এটা মানা হয় না।

বেশি পরিমাণে হরমোন বা রাসায়নিক ব্যবহার করা হলে তা স্বাস্থ্যের জন্য হুমকিস্বরূপ। তবে এই হরমোন ব্যবহারের কোনো সহনীয় মাত্রা আছে কি না এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, হরমোন ব্যবহারেরই কোনো অনুমোদন বাংলাদেশে নেই।

কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউটরে ফল বিভাগের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো: উবায়দুল্লাহ কায়ছার বলেন, এই টনিক ব্যবহার করে উৎপাদিত ফলের স্বাস্থ্য ঝুঁকি খাকতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। এই হরমোন মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার করা হলে এর একটা স্বাস্থ্য ঝুঁকি রয়েছে। আর এ কারণেই তারা এটি পরীক্ষা করে দেখার উদ্যোগ নিয়েছেন বলে জানান।

]]>
https://bgn24.com/?feed=rss2&p=3571 0
ঝিনাইদহে ৪৪১ কালাজ্বর রোগী শনাক্ত তিন দিনের কর্মসূচী ঘোষনা https://bgn24.com/?p=3217 https://bgn24.com/?p=3217#respond Sun, 06 Nov 2022 11:10:31 +0000 https://bgn24.com/?p=3217 ঝিনাইদহে ৪৪১ কালাজ্বর রোগী শনাক্ত তিন দিনের কর্মসূচী ঘোষনা

১৯৯৬ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ঝিনাইদহ জেলায় ৪৪১ জন কালাজ্বর রোগী পাওয়া গেছে। তবে এ সংখ্যা দিনে দিনে কমে আসছে। ঝিনাইদহে স্থানীয় পর্যায়ে অবহিতকরণ এক সভায় এসব তথ্য জানানো হয়। গতকাল সকাল ১১ টায় ঝিনাইদহ শহরের কাঞ্চনপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের হল রুমে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জাতীয় কালাজ্বর নির্মূল কর্মসূচির আয়োজনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহযোগিতায় এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সিনিয়র এডভাইজার ডাঃ মিজানুর রহমান,ডিপিএম,সিডিসি ডাঃ বিল্লাল হোসেন,জাতীয় কালাজ্বর নির্মূল প্রকল্পের ডাটা ম্যানেজার পংকজ ঘোষ,বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি ডাঃ ফারহানা, ঝিনাইদহ সদর স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসের ডাঃ ফারজানা ইয়াসমিন এবং ঝিনাইদহ জেলা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি এম এ কবীর। উপস্থিত ছিলেন, স্বাস্থ্য পরিদর্শক মোঃ নাজিম জোয়ার্দ্দার, প্রকাশ চন্দ্র শর্মা,শামীম আহম্মেদ বাবু,কাজল কুমার বিশ্বাস, এবং এম এস আমিন (লিটন)।

সভায় জানানো হয় ঝিনাইদহ শহরের কাঞ্চনপুর স্কুল পাড়ার বিজয় দাস (৪৭) গত প্রায় দেড় বছর যাবৎ এ রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। (বিজয় দাস শহরের আলফালাহ হাসপাতাল সংলগ্ন একটি সেলুনে চুল কাটার কাজ করেন।) এ উপলক্ষে রোগীর বসবাস এলাকায় তিন দিনের কর্মসূচী ঘোষনা করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। কর্মসূচীর প্রথম দিনে স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় দিনে বাড়ি বাড়ি গিয়ে রোগী সনাক্তকরণ, পরীক্ষাকরণ এবং অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় বলা হয়, কালাজ্বরের প্রাদুর্ভাব এখনো ঝিনাইদহ জেলায় রয়েছে। প্রতি বছরই কালাজ্বরের রোগী শনাক্ত হচ্ছে। গত বছর দুই জন কালাজ্বরের আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। তাদের মধ্যে এক জনের বাড়ি ঝিনাইদহ শহরের কাঞ্চনপুর স্কুল পাড়ায়, অন্য জনের বাড়ি মহেশপুর উপজেলার রুলি গ্রামে। ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর, কোটচাঁদপুর ও কালীগঞ্জ উপজেলা কালাজ্বর প্রবণ বলে চিহ্নিত। এ বিষয়ে ঝিনাইদহের সিভিল সার্জন ডাঃ শ্রভ্রা রাণী জানান, ঝিনাইদহ জেলায় কালাজ¦র নির্মূলে কাজ চলছে তবে মহেশপুর উপজেলার রুলি গ্রামে কালা জ¦রে আক্রান্ত রোগীর বিষয়ে তথ্য নিয়ে পরে জানানো যাবে।

জানা যায়, ব্রিটিশ ভারতে ১৮২৪ সালে যশোর জেলায় প্রথম কালাজ্বর শনাক্ত হয়। স্বল্প সময়ের মধ্যে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। সে সময় কালাজ্বরের ওষুধ আবিষ্কার হয়নি। ১৮২৪ থেকে ১৮২৭ এই চার বছরের মধ্যে ৭৫ হাজার মানুষ কালাজ্বরে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। তবে যশোর জেলায় সর্বশেষ ২০১৬ সালে একজন কালাজ্বরের রোগী পাওয়া যায়। তিনি বলেন, শুধু ঝিনাইদহ জেলা নয় দেশের ২৬ জেলার ১০০ উপজেলা কালাজ্বরপ্রবণ এলাকা বলে চিহ্নিত।

সভায় বলা হয়, গত বছর (২০২১) সারা দেশে ৯৯ জন কালাজ্বর রোগী শনাক্ত হয়। তার মধ্যে চার জন মারা যান। চলতি বছরের এ পর্যন্ত সারা দেশে ৪২ জন কালাজ্বর রোগী শনাক্ত হয়েছে। মারা গেছেন এক জন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অধীন জাতীয় কালাজ্বর নির্মূল প্রকল্পের মাধ্যমে ২০৩০ সালের মধ্যে দেশকে কালাজ্বর মুক্ত করা হবে।সভায় জানানো হয় কালাজ্বরের বাহক বেলে মাছি (স্যান্ডফ্লাই) স্যাঁতসেঁতে জায়গায় থাকে এবং লাফিয়ে চলে।

এ মাছি কালাজ্বরের জীবাণু বহন করে। সুস্থ মানুষকে কামড় দিলে সে কালাজ্বরে আক্রান্ত হয়। দ্রুত সময়ে চিকিৎসা না করলে রোগী মারা যায়। একটি ইনজেকশনে কালাজ্বর সেরে যায়। ব্যয়বহুল হলেও সরকার বিনা মূল্যে কালাজ্বরের চিকিৎসাসেবা দিচ্ছে। কালাজ্বরের লক্ষণ হলো, দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে জ্বর, প্লিহা বড় হয়ে পেট ফুলে যাওয়া, ওজন কমে যাওয়া, রক্তস্বল্পতা, দুর্বলতা ও দেহের শক্তি কমে যাওয়া।

]]>
https://bgn24.com/?feed=rss2&p=3217 0
প্রসূতি মা’কে দশ হাজার টাকা দিলেন আইবিডাব্লুিউএফ! https://bgn24.com/?p=3068 https://bgn24.com/?p=3068#respond Fri, 23 Sep 2022 16:22:02 +0000 https://bgn24.com/?p=3068 প্রসূতি মা’কে দশ হাজার টাকা দিলেন আইবিডাব্লুিউএফ!

মানবতার কল্যাণে আইবিডাব্লুিউএফ ইন্ডাস্ট্রিয়ালিস্টস এন্ড বিজনেসমেন ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন ঝিনাইদহ জেলা শাখার উদ্যোগে শুক্রবার সকালে কালীগঞ্জ উপজেলার মা ও শিশু হাসপাতালে একজন অসহায় প্রসূতি মাকে নগদ ১০০০০          ( দশহাজার) টাকা সহায়তা দেওয়া হয়।

জানা গেছে, গত সোমবারে কালীগঞ্জ উপজেলার মা ও শিশু হাসপাতালে অত্র উপজেলার রামনগর গ্রামের ইমন হোসেনের স্ত্রী আকলিমা খাতুন সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। ক্লিনিকের বিল দিতে না পারায় তারা বাচ্চাসহ প্রসূতি মাকে বাড়িতে নিতে পারে নি। খবর পেয়ে এমতাবস্থায় আইবিডাব্লিউএফ এর উদ্যোগে নগদ সহায়তা হিসেবে ১০০০০ টাকা তাকে দেওয়া হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন আইবিডাব্লিউএফ এর জেলা সভাপতি জিয়াউল ইসলাম খান, সহ-সভাপতি সাব্বির আহমেদ জুয়েল, সাধারণ সম্পাদক ইমতিয়াজ আহমেদ এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, নির্বাহী সদস্য প্রভাষক আব্দুস সবুর প্রমূখ।

]]>
https://bgn24.com/?feed=rss2&p=3068 0
কুড়িগ্রামে নোংরা পরিবেশে খাবার তৈরি করায় জরিমানা  https://bgn24.com/?p=2905 https://bgn24.com/?p=2905#respond Wed, 07 Sep 2022 12:09:26 +0000 https://bgn24.com/?p=2905 কুড়িগ্রামে নোংরা পরিবেশে খাবার তৈরি করায় জরিমানা 

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলায় ২টি দধি-মিষ্টির দোকান এবং ১ টি হোটেলে অভিযান পরিচালনা করে মোট ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কুড়িগ্রাম জেলা কার্যালয়।

০৭সেপ্টেম্বর (বুধবার) দুপুরে তৈরিকৃত দই-মিষ্টির প্যাকেটে গায়ে উৎপাদনকারীর নাম ঠিকানা, উৎপাদনের তারিখ, মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ, খুচরা মূল্য ইত্যাদি না লেখায় কুড়িগ্রাম শাপলা চত্ত্বরে অবস্থিত পাবনা প্লাস দধি ও মিষ্টান্ন ভাণ্ডারকে ৩ হাজার টাকা, একই অপরাধে ঘোষ পাড়ায় অবস্থিত বৈকালি দই এন্ড মিষ্টান্ন ভাণ্ডারকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

এছাড়া খাবার ঢেকে না রাখা, অপরিষ্কার অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে খাবার তৈরির অপরাধে শাপলা চত্ত্বরে অবস্থিত জান্নাত হোটেলকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

অভিযানে নেতৃত্ব দানকারী কর্মকর্তা, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কুড়িগ্রাম জেলা কার্যালয় এর সহকারী পরিচালক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, জনস্বার্থে এরূপ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

অভিযানে সহযোগিতা করেন উপজেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর মোঃ রফিকুল ইসলাম ও সদর থানা পুলিশ।

]]>
https://bgn24.com/?feed=rss2&p=2905 0
কালীগঞ্জে লাইফ সাইন্সে টাকা দিলেই মেলে পঁচিশ রকমের সার্টিফিকেট https://bgn24.com/?p=2636 https://bgn24.com/?p=2636#respond Tue, 16 Aug 2022 16:09:53 +0000 https://bgn24.com/?p=2636 কালীগঞ্জে লাইফ সাইন্সে টাকা দিলেই মেলে পঁচিশ রকমের সার্টিফিকেট

বিভিন্ন পদের ডাক্তারী সার্টিফিকেটের জন্য এখন আর পড়ালেখার প্রয়োজন নেই। টাকা দিলেই কোনো ঝামেলা ছাড়া অনায়াশেই পাওয়া যাচ্ছে সার্টিফিকেট। তবে জাল ও অবৈধ । কালীগঞ্জ শহরের ফয়লা (কোলা রোডের) পশ্চিম পাশে জাল সার্টিফিকেট তৈরির সিন্ডিকেট চক্রের দৌরাত্ম্য এখন চরমে। প্রতিদিনই চলছে এ অবৈধ কর্মকাণ্ড। এ চক্ররা ভোয়া ডাক্তারী পঁচিশ পদের সার্টিফিকেটর পাশাপাশি বিভিন্ন অশিক্ষিত-শিক্ষিতদের কাছ থেকে প্রশিক্ষণের নামে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা।

খুবই গোপনে বিভিন্ন কৌশল আর প্রযুক্তি ব্যবহার করে কালীগঞ্জের লাইফ সাইন্স মেডিকেল টেকনোলজি ট্রেনিং ইনিস্টিউট সোসাইটি পরিচালিত একটি আধুনিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নামের অবৈধ প্রতিষ্ঠানটি দিনের পর দিন এ কর্মকাণ্ড
চালিয়ে যাচ্ছে। এ প্রতিষ্ঠানের মালিক হোমিওপ্যাথি ডাঃ বিশ্বাস রাজীব কিশোর ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার ফয়লা (কোলা রোড) এর পশ্চিম পাশে তার তিন তলা ভবনে দীর্ঘদিন ধরে এই সার্টিফিকেটের রমরমা ব্যবসা করে আসছে।

মাঝে মধ্যে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অভিযান পরিচালনা করে দুই একজনকে আটক করলেও মূল হোতারা সব সময় ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে। এবিষয়ে কর্মরত সাংবাদিকেরা “লাইফ সাইন্স মেডিকেল টেকনোলজি ট্রেনিং ইনিস্টিউটে” মঙ্গলবার দুপুরে তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে ঐ প্রতিষ্ঠানের মালিক ডাঃ বিশ্বাস রাজীব কিশোর তার কোন বৈধ কাগজ-পত্র দেখাতে পারিনি এবং সাথে সাথে তার প্রতিষ্ঠানের নিচ তলার একটি রুম ও দ্বিতীয় তলায় ওঠার সিঁড়ির গেটে তালা ঝুলিয়ে দেন। সাংবাদিকদের কোন ছবি তুলতেও নিষেধ করেন। এব্যপারে তিনি ক্যামেরার সামনে কোন কথা বলতেও নারাজ। আর ছবি ও ভিডিও করে কোন লাভ হবে না তার কারণ আমার প্রতিষ্ঠান ও আমার নামে অনেক নিউজ হয়েছে কেউ কিছু করতে পারিনি আর পারবেও না।

কিছু করতে পারবে না এবিষয়ে জানতে চাইলে হোমিওপ্যাথি ডাঃ বিশ্বাস রাজীব কিশোর বলেন,আমার পরিচয়টা দিতে চাচ্ছি না আমি সবাইকে ম্যনেজ করে চলি আর ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন অফিসেও অনেক বার গিয়েছি। দরকার হলে আবারও যাবো কোন সমস্যা নেই। এই প্রতিষ্ঠানে কোন কোন ডাক্তার দ্বারা প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় জানতে চাইলে ডাঃ বিশ্বাস রাজীব কিশোর কোন ডাক্তারের নাম বলতে পারিননি।

ডাঃ বিশ্বাস রাজীব কিশোর হোমিওপ্যাথ ডি এইচ এম এস (ঢাকা) এই কোর্স করে তার ব্যবস্থাপনাপত্রে ডাঃ লেখার নিয়ম আছে কি না জানাতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের ডাক্তার লেখা নিয়ম আছে। আমি কোলকাতা থেকে সাত দিনের কোর্স করে এসেছি।

এদিকে লেখাপড়া না করে এভাবে টাকার বিনিময়ে ভুয়া ডাক্তারের সার্টিফিকেট কেনার নিয়ম অব্যাহত থাকলে বছরের পর বছর পরিশ্রম করে যারা সার্টিফিকেট পায় তাদের মর্যাদা ক্ষুন্ন হবে। একই সঙ্গে এর একটা খারাপ প্রভাব সমাজের ওপর পড়বে বলে মনে করেন অনেকে।

এবিষয়ে ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন সুভ্রা রানী দেবনাথ বলেন,
এই প্রতিষ্ঠানের নাম আজই শুনলাম। আজই খবর নিবো আগামীকাল সেখানে যাবে এবং তথ্য সঠিক হলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। ডি এম এফ ও ডি এইচ এম এস কোর্স করা ডিপ্লোমা ধারীরা ব্যবস্থাপনাপত্রে ডাক্তার লেখতে পারবে কি না জানাতে চাইলে তিনি বলেন, এ ধরনের ডিপ্লোমাধারী ব্যক্তিরা তাদের ব্যবস্থাপাপত্রে ডাক্তার লেখতে পারবে না।

 

]]>
https://bgn24.com/?feed=rss2&p=2636 0
কোটচাঁদপুরে এমএইচভি কর্মীকে শারীরিক ভাবে লাঞ্চিত করার অভিযোগ https://bgn24.com/?p=2625 https://bgn24.com/?p=2625#respond Mon, 15 Aug 2022 03:13:57 +0000 https://bgn24.com/?p=2625 কোটচাঁদপুরে এমএইচভি কর্মীকে শারীরিক ভাবে লাঞ্চিত করার অভিযোগ

কোটচাঁদপুর (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধিঃ

ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে এমএইচভি মমিন আহম্মেদ কে শারীরিক ভাবে লাঞ্চিত করেছেন ক্লিনিকের সিএইচসিপি। রবিবার হরিণদীয়া কমিউনিটি ক্লিনিকে এ ঘটনা ঘটে। থানায় অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী। ভুক্তভোগী এম,এইচ,ভি মমিন আহম্মেদ বলেন, কোটচাঁদপুর উপজেলার ১১ টি কমিউনিটি ক্লিনিকের মধ্যে হরিণদীয়া একটি। এ ক্লিনিকে ৭ জন এমএইচভি কাজ করেন। এরমধ্যে ২ জন চাকুরী ছেড়ে দেয়ায় ওই পদ দুইটি খালি পড়ে আছে। এ সব পদে কোন লোক নিয়োগ না হলেও সে তাঁর স্ত্রীকে নিয়োগ দেখাচ্ছেন। এ সব নিয়ে কথা বলায় সিএইচসিপি হাফিজুর রহমান আমাকে গলা ধাক্কা দিয়ে বের করে দেন। গালি দেন অকথ্য ভাষায়। তিনি বলেন, সম্প্রতি তিনি আলামিন নামের এক এমএইচডির টাকা উত্তোলন করে আত্মাসাতের চেষ্টা করেন। তবে বিষয়টি জানাজানি হয়ে পড়ায় ওই টাকা তাকে ফেরত দিতে হয়।

মমিন আহম্মেদ আরো বলেন, হাফিজুর রহমান কমিউনিটি একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান। এরমধ্যে সে ব্যক্তিগত দোকান খুলেও কাজ করে থাকেন। তিনি ওই ক্লিনিকের মধ্যে বিকাশ ব্যবসা করেন। কারেন্টের বিল ও দেন তিনি। লাঞ্চিতের ঘটনায় মমিন রবিবার কোটচাঁদপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। অন্যদিকে অভিযুক্ত সিএইচসিপি হাফিজুর রহমান জানান, ক্লিনিকে এ ধরনের কোন ঘটনায় ঘটেনি। এ ছাড়া যে অভিযোগ করেছেন সেটা মিথ্যা। এ ব্যাপারে কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আব্দুর রশিদ বলেন, ওই ক্লিনিকে কয়েক জন অনুপস্থিত আছে, সেটা আমাকে জানিয়েছেন। এ ছাড়া ওখানে শুন্য পদে এখনও কোন লোক নেয়া হয়নি। তবে সিএইচসিপি হাফিজুরের স্ত্রীকে নেয়ার কথা ভাবছি। তবে ক্লিনিকে মারপিট বা লাঞ্ছিতের ঘটনা ঘটেছে, তা আমাকে জানানো হয়নি। তবে বিষয়টি কি ঘটেছে আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি।

]]>
https://bgn24.com/?feed=rss2&p=2625 0
কোটচাঁদপুরে স্বাস্থ্য সেবা নিয়ে সভাপতির প্রশ্ন?  https://bgn24.com/?p=2575 https://bgn24.com/?p=2575#respond Sun, 07 Aug 2022 13:35:40 +0000 https://bgn24.com/?p=2575 কোটচাঁদপুরে স্বাস্থ্য সেবা নিয়ে সভাপতির প্রশ্ন? 

কোটচাঁদপুর ঝিনাইদহ প্রতিনিধি:

হাসপাতালের পরিস্কার পরিছন্নতার অবস্থা ভাল, তবে প্রশ্ন রয়েছে স্বাস্থ্য সেবা নিয়ে রবিবার দুপুরে হাসপাতালের সম্মেলন কক্ষে হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় এ কথা বলেন, কমিটির সভাপতি ও ঝিনাইদহ ৩ আসনের সংসদ সদস্য এ্যাডঃ শফিকুল আজম খাঁন (চঞ্চল)। তিনি আর বলেন, অনেকে বলেছেন হাসপাতালের বাইরের পরিবেশ অনেক সুন্দর। তবে হাসপাতালের সেবার মান নিয়ে রয়েছে প্রশ্ন। আমার কাছে অনেকে বলেছেন, হাসপাতালে রোগী আসলে এখানকার চিকিৎসকরা রোগীকে যশোরে রেফার্ড করে দেন। তবে তিনি করোনার সময়ের চিকিৎসা সেবার জন্য ডাক্তার, নার্সদের প্রশাংসাও করেন। দীর্ঘ দুই বছর পর রবিবার দুপুরে কোটচাঁদপুর হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সভায় সভাপতিত্ব করেন ঝিনাইদহ- ৩ আসনের সংসদ সদস্য এ্যাডঃ শফিকুল আজম খাঁন৷ (চঞ্চল)। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আঃলীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান শরিফুনেচ্ছা মিকি, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রিয়াজ হোসেন, উপজেলা আঃলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাজাহান আলী, উপজেলা আঃলীগের সহ-সভাপতি নুরুল ইসলাম খান বাবলু, পৌর আঃলীগের সভাপতি কাজী আলমগীর, সাধারণ সম্পাদ রিপন মন্ডল, মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মঈন উদ্দিন, এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক, সেবিকা ও আঃলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা।

এর আগে তিনি কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ব্লাড ব্যাংকের উদ্ভোধন করেন। বিষয়টি নিয়ে কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আব্দুর রশিদ জানান, প্রতি মাসেই এ কমিটির সভা হওয়ার কথা। তবে এমপি সাহেব সময় না পাওয়ার কারনে, দুই বছর পর এ সভা করা হল।

]]>
https://bgn24.com/?feed=rss2&p=2575 0