ভিন্নমত – Bangla Green News https://bgn24.com সংবাদে নতুনত্বের সূচনায়! Sat, 07 Jan 2023 06:48:28 +0000 en-US hourly 1 https://wordpress.org/?v=6.8.1 খেজুরের রস খেতে গিয়ে গণপিটুনির শিকার? https://bgn24.com/?p=3342 https://bgn24.com/?p=3342#respond Sat, 07 Jan 2023 06:48:28 +0000 https://bgn24.com/?p=3342 চুয়াডাঙ্গায় খেজুরের রস খেতে গিয়ে চোর সন্দেহে গণপিটুনির শিকার হয়েছেন তিন কিশোর। পরে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল করলে পুলিশ এসে তাদের উদ্ধার করে।

শুক্রবার রাতে সদর উপজেলার মোমিনপুর ইউনিয়নের ট্যাংরামারির মাঠে ১৫ থেকে ২০ জনের একটি দল খেজুরের রস খেতে গেলে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, গতকাল রাতে ১৫ থেকে ২০ জন কিশোর মিলে ট্যাংরামারির মাঠে খেজুর রস খেতে যায়। গ্রামবাসী তাদের চোর সন্দেহে একজোট হয়ে ধাওয়া দিয়ে তিন কিশোরকে আটক করে। এ সময় বাকিরা পালিয়ে যায়। আটকদের এলাকাবাসী তাদের গণপিটুনি দেয়। পরে এলাকাবাসীদের কেউ জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ কল করলে সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তিন কিশোরকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে হেফাজতে নেয় পুলিশ।

আহতরা হলেন চুয়াডাঙ্গা শহরের ইসলামপাড়ার লালনের ছেলে পৃতম (১৪), জিনতলাপাড়ার মিনার ছেলে আমান (১৭), একই এলাকার শাহিনের ছেলে পারভেজ (১৬)।

গ্রামবাসীদের দাবি, শীতের মৌসুমে গাছিরা অনেক কষ্ট করে খেজুরগাছ কেটে রস সংগ্রহ করে গুড় বা পাটালি বিক্রি করে উপার্জন করে আসছে। মাঠে কিংবা রাস্তার পাশে খেজুর গাছ থাকায় রাতের আধারে মানুষ এসে রস খেয়ে যায়। পাহারা দিলেও একাধিক লোক থাকায় উল্টো হুমকি-ধামকি দেয় তারা। আবার অনেক সময় রস খেয়ে ভাড় নিয়ে ও ভেঙে রেখে যায়।

এলাকাবাসী জানায়, গতকাল রাতে একদল ছেলের মাঠে দেখতে পায় গ্রামবাসী। একসাথে এত লোক দেখে গ্রামবাসীরা ডাকাত ভেবে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। তখন গ্রামবাসী একত্রে হয়ে তাদেরকে ধাওয়া দেয়। এ সময় সবাই পালাতে পারলেও তিনজন ধরা পড়ে। তাদেরকে করে চড়-থাপ্পর দিয়ে পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়।

আহত পৃতমের বাবা লালন বলেন, গতকাল রাতে ইসলামপাড়ায় ওয়াজ শোনার কথা বলে বের হয় পৃতম। ওয়াজে না গিয়ে ১৫-২০ জন মিলে ট্যাংরামারিতে খেজুর রস চুরি করে খেতে যায়। এ সময় গ্রামবাসী চোর সন্দেহে ধাওয়া করলে সবাই পালালেও পৃতমসহ তিনজন ধরা পড়ে। তাদেরকে ব্যাপক মারধর করে পুলিশে দেন গ্রামবাসী। পরে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে থানা হেফাজতে নিয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা: হাসানুর রহমান বলেন, রাতে তিন কিশোরকে হাসপাতালে নিয়ে আসে পুলিশ সদস্যরা। তাদের শরীরের বেশিরভাগ স্থানেই আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।

উদ্ধারকারী চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাসুম বিল্লাহ বলেন, জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ থেকে কল পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে তিন কিশোরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে পুলিশ। তারা খেজুরের রস চুরি করার সময় হাতেনাতে আটক হওয়ায় সামান্য মারধর করেছে গ্রামবাসী। চিকিৎসা শেষে তাদেরকে থানা হেফাজতে নেয়া হয়েছে। আগামীকাল তাদের পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হবে।

]]>
https://bgn24.com/?feed=rss2&p=3342 0
১২ স্ত্রী ও ১০২ সন্তান নিয়ে দিশেহারা মুসা https://bgn24.com/?p=3326 https://bgn24.com/?p=3326#respond Sun, 01 Jan 2023 09:07:32 +0000 https://bgn24.com/?p=3326 ১২ স্ত্রী ও ১০২ সন্তানের পরিবারের খরচ মেটাতে হিমশিম খাচ্ছেন ৬৭ বছর বয়সী উগান্ডার নাগরিক মুসা হাসাহইয়া। খবর জিনিউজ’র।

প্রতিবেদনে বলা হয়, পরিবারের সদস্যদের ভরণপোষণে হিমশিম খাওয়ায় আর যেন সন্তান না জন্ম নেয় সেজন্য স্ত্রীদের পরিবার পরিকল্পনার পরামর্শ দিচ্ছেন তিনি।

মুসার ১২ স্ত্রীর ঘরে জন্মেছে ১০২ জন সন্তান। তার সেই সন্তানদের অনেকের বিয়ে হয়েছে। সেই প্রজন্মের সংখ্যা এখন ৫৬৮ জন। সবমিলিয়ে মুসার বিশালকার সংসারে সদস্য সংখ্যা এখন ৬৭০ জন। নাতি-নাতনিদের অনেকের নামও জানেন না মুসা।

তিনি বললেন, পরিস্থিতি মোটেই ভালো না। আমার আর তেমন সম্পদ নেই। আমি আর সন্তান চাই না। এজন্য আমি আমার স্ত্রীদের পরিবার পরিকল্পনার পরামর্শ দিয়েছি।

চারটির বেশি বিয়ে করা উচিত নয় বলে এখন মনে করছেন মুসা। কারণ, একটা সময় বিপুল সম্পদ থাকলেও বর্তমানে মুদ্রাস্ফীতির যুগ চলছে। এখন মানুষের আয়ের চেয়ে ব্যয় অনেক। এতো বড় সংসার নিয়ে তিনি দিশেহারা।

একাধিক বিয়ের বিষয়ে মুসা জানান, ১৯৭১ সালে ১৬ বছর বয়সে প্রথম বিয়ে করেন মুসা। তার প্রথম স্ত্রীর নাম হানিফা। দুবছর পর জন্ম নেয় তাদের প্রথম কন্যাসন্তান। এরপর থেকে তার পরিবার দ্রুতগতিতেই বেড়েছে। স্ত্রীর সংখ্যা বাড়ার পাশাপাশি সন্তানও বেড়েছে।

 

/এনএএস

]]>
https://bgn24.com/?feed=rss2&p=3326 0
একবার পড়ার অনুরোধ রইল! ডাকবাংলা বাজার দোকান মালিক সমিতির নির্বাচনে কি ঘটেছে! https://bgn24.com/?p=3030 https://bgn24.com/?p=3030#respond Thu, 22 Sep 2022 03:32:03 +0000 https://bgn24.com/?p=3030 একবার পড়ার অনুরোধ রইল! ডাকবাংলা বাজার দোকান মালিক সমিতির নির্বাচনে কি ঘটেছে!

“ঝিনাইদহের গ্রাম-গঞ্জের খবর” পেইজে একটি ভিডিও নিউজ করেছিলাম “রাত পোহালেই ডাকবাংলা বাজার দোকান মালিক সমিতির নির্বাচন” তাতে এক শ্রেণির মানুষের চুলকানি শুরু হয়। এই নিউজে আমি আমার মনগড়া কোন কথায় বলেনি। এটা ছিল সাধারণ ভোটার, স্থানীয় লোকদের মতামত, এবং ছিল আমার জরিপ সব মিলেই ছিল একটি সত্য বাস্তব নিউজ।

এই নিউজ দেখার পর ডাকবাংলা বাজার দোকান মালিক সমিতির ভোট সম্পর্কে যাদের অনেক ধারণা ছিল তারা সত্য নিউজটাকে অনেক প্রধান্য দিয়েছিল। কিন্তু অন্যরা আমাকে হুমকির মাধ্যমে অনেক আদরও করেছিল তাতে আমি কিছু মনে করেনি এবং ভয়ও পায়নি। সত্য কথা বলতে গেলে আমি কারও কোন পক্ষ নিয়ে কোন দিনই নিউজ করি নি। দুঃখের বিষয় হলোও সত্য যে, সত্য বললেও যেন কোন পক্ষ হয়ে যায়। তাহলে কি আমার “ঝিনাইদহের গ্রাম-গঞ্জের খবর” পেইজটি চুপচাপ বসে থাকবে? না! ইনশাআল্লাহ বসে থাকবে না । এই পেইজের অনেক শুভাকাঙ্খী আছেন তাদের সহযোগিতায় এবং যারা চুলকানোর জন্য বসে থাকেন তাদের সার্বিক তিক্ত ভালোবাসায় আমরা এগিয়ে যাবো ইনশাআল্লাহ।

হ্যঁ ভুলের উর্ধে মানুষ নয়! মানুষের উর্ধেই ভুল এটাই মনে হয় সত্য। তাতে আমিও তো একজন মানুষ। সুতরাং আমারও ভুল হতেই পারে এটাই বাস্তব! আর এই ভুলটা যে আমাকে ধরিয়ে দিবেন তিনিই হলেন আমার কাছে মহৎ ব্যক্তি,যে এই ভুলের কারণে আমাকে কোন ক্ষতি করার চেষ্টা করবেন তিনি তো আমার থেকে ও ভুল করবেন। সত্য কিনা বিবেক বুদ্ধি অন্তরের মন দিয়ে ভাবুন। আচ্ছা বলুন এই দুনিয়ায় কে কতোদিন বাজবে। আমি তো সারা জীবন বেঁচে থাকার চিন্তাই করি না! কখন যেন আল্লাহর ডাকে সাড়া দিয়ে এতো সুন্দর দুনিয়ায় মা, ভাই, বোন,বন্ধু শুভাকাঙ্ক্ষী ফেলে চলে যাবো এটা ভাবি।

একটু গভীর ভাবে চিন্তা করলে দেখা যাবে, এই দুনিয়ায় বেঁচে আছি এটাই মিথ্যা, সত্যটাই হলো কখন জানি বিদায় নিয়ে ওপারে যেতেই হবে। আমাকে সেই সৃষ্টি জগতের মালিকের কাছে হিসাব দিতে হবে। ১. আমি শৈশব, কৈশোর, যৌবন কিভাবে কাটিয়েছি? ২. আমি কিভাবে অর্থ উপার্জন করেছি এবং কোন পথে ব্যয় করেছি। ৩. আমি আমার পাওয়ার বা ক্ষমতা দুনিয়ায় কিভাবে প্রয়োগ বা ব্যবহার করেছি। দুনিয়ায় যতোদিন বেঁচে আছি প্রত্যেকটি কর্মের হিসাব আমার মৃত্যুর পর সেই সত্তা যিনি আসমান-জমিনের মধ্যে যা কিছু আছে এমনকি আমারও মালিক সেই মহান আল্লাহর কাছে কড়াই গুন্ডা হিসাব দিতে হবে। একটু ভেবেছি? যার কর্মফলের হিসাব দিয়ে আল্লাহর দরবারে আজীবন সুখ-দুঃখের মধ্যে থাকতে হবে।

আসলে আমরা অন্ধকারের মধ্যে লুকিয়ে আছি, আলোর স্বাদ কিভাবে নিবো! আমরা পিছন থেকে আল্লাহর দেওয়া ধার নিয়ে একজনকে হিট করতে ভালো বাসি। আপনি ভাবছেন কেউ এটা দেখছে না? তাহলে ভুল ধারণার মধ্যে আছেন (একটু কাল্পনিক চিন্তা করুন সিসিটিভির ফুটেজের দিকে লক্ষ্য করুন ) চোর ধরা পড়ে সিসিটিভির ফুটেজে আমি আপনি ধরা পড়বো আমার আপনার যে,সৃষ্টি করেছেন তিনার কাছে।

কি লাভ এতো চেষ্টা করে! আল্লাহ যদি আমার ক্ষতি করেন তাহলে দুনিয়ার এমন কারও ক্ষমতা নেই যে,তা ঠেকাবেন। আবার আল্লাহ যদি আমাকে ক্ষতি না চান তাহলে কারও এমন কোন পাওয়ার বা ক্ষমতা নেই সে তা করে দেখাবেন। আমি একদিন একটি হাদিস পড়েছিলাম- এক সাহাবী রাসুল সাঃ এর কাছে জিজ্ঞেস করলেন ইয়া রাসুলুল্লাহ গুনাহ কি? আর পূর্ণ কি? তিনি রাসুল সাঃ বললেন পূর্ণ হলো নিজের বিবেকে সঠিক যা বলে তাই করা। আর গুনাহ হলো দুনিয়ার স্বার্থ হাসিলের জন্য নিজের বিবেকের বিরুদ্ধে যে কোন কাজ করা।

অন্য একটি হাদিসে পড়েছিলাম – এক ব্যক্তি রাসুল সাঃ এর কাছে জিজ্ঞেস করলেন ইয়া রাসুলুল্লাহ আমি প্রতিদিন যে কাজ গুলো করি সেই কাজের মধ্যে কোনটা ভালো কাজ আর কোনটা খারাপ কাজ আমি কিভাবে বুঝতে পারবো? রাসুল সাঃ বললেন তুমি যে কাজ করবে তাতে তোমার প্রতিবেশীগন যদি বলেন এটা ভালো তাহলে তুমি বুঝবে এটা ভালো কাজ। আর যদি তারা বলেন এটা খারাপ তাহলে বুঝবে এটা খারাপ কাজ (ইবনে মাজাহ)। তাহলে বুঝতে পারছেন আমাদের মৃত্যুর পরে কি হিসাব দিবো আল্লাহর কাছে। একটু গবেষণা করন।

ফিরে আসি পূর্বের কথায়! আমার ঐ নিউজে সব প্রার্থীকে পাশ করিয়ে দিতে পারে এমনটা নয় আবার সবাইকে ফেল করিয়ে দিতে পারে এমনটা ও নয়। আম-জনতার রিকোয়েস্টে এই নিউজ করা হয়েছিলো। হ্যঁ আমার একটু ভুল হয়েছে যদি কয়েকজন ব্যক্তির সাক্ষাৎ এর ভিডিও দিতাম তাহলে হয়তোবা আমাকে সরাসরি কেউ কিছু বলতে পারতো না। কিন্তু আমার কাছে অডিও সাক্ষাৎ আছে। তা নিয়ে চুলকানোর কি আছে?( শ্রদ্ধা করি আমার এক বড় ভাইকে! সত্যিই তিনি রাজনৈতিক নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন ইনশাআল্লাহ।) হঠাৎ কেন এটা বললাম জানার দরকার নেই। বড় ভাই আমার এই লেখাটুকু পড়লে তিনি নিজেই বুঝবেন ইনশাআল্লাহ আমার আর গুরুর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাক না কেন?

Please Believe me আমি কাউকে ছোট বা বড় করার জন্য এই নিউজ করেনি। এটা আমার দায়িত্ব তাই করেছিলাম। কিন্তু আল্লাহ তায়ালা সত্যিই আমার এই নিউজের সাড়ে ৯৯% সত্যতা নিশ্চিত করছেন ইনশাআল্লাহ। এমনও ভাষা শুনেছি যদি এই নিউজ সত্য না হয় তাহলে আমাকে অনেক প্রশ্নের মুখে পড়তে হবে। বুঝি না! কেন জানি! নিউজ করলেই একটু খনিকের জন্য আল্লাহ তায়ালা আমাকে পরিক্ষায় ফেলছেন। অনেকের হুমকি-ধামকি শুনতে হচ্ছে। আমাকে দেখলে মুখ ফিরিয়ে ও নিচ্ছেন অনেকে। যায় হোক আল্লাহ তায়ালা যেন আমাকে সঠিক তথ্য তুলে ধরার তৌফিক দান করেন।

পাশাপাশি ডাকবাংলা বাজার দোকান মালিক সমিতির মোট ৬৮৯ টি ভোটারসহ নয়টি পদে ১৬ জন প্রার্থীদের সবার কাছে “ঝিনাইদহের গ্রাম-গঞ্জের খবর”পেইজের পক্ষ থেকে অনুরোধ করবো। এই বাজারে আমরা সবাই ভাই ভাই,চাচা-ভাতিজা অথবা নিকটতম আত্মীয় একজনের কোন সমস্যা হলে আরেক জন দ্রুত ছুটে যান তার কাছে। এটা আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করি। কারণ এটা আমি ব্যক্তিগত ভাবে জানি। সুতরাং এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কেউ কোন মন খরাপ করবেন না প্লিজ! আপনারা সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে একে অন্যের সহযোগিতা, পরামর্শ দিয়ে এই বাজারকে উন্নত একটি পরিবেশে ডিজিটাল রুপে রুপ ধারন করানোর জন্য চেষ্টা করবেন ইনশাআল্লাহ।

আর যারা বিজয় লাভ করেছেন তাদেরকে ও আমার ” ঝিনাইদহের গ্রাম-গঞ্জের খবর”পেইজের পক্ষ থেকে জানায় মোবারক বাদ। আল্লাহ আপনাদের নেক উদ্দেশ্য পুরন করুক আমিন। কিন্তু জয়লাভ হয়ে খুশির ও কোন কারণ নেই। আপনি আমি ভাবছি ব্যপক প্রতিযোগিতার মাধ্যমে নির্বাচনে আমি প্রতিপক্ষকে পরাজয় করে জয়লাভ করেছি। এটা ভাবাটাও এক ধরনের বোকামি! কারণ আপনি জয়লাভ হয়েছেন ভোটারদের ভোটে। ক্ষমতার মালিক আল্লাহ। আর মানুষ উছিলা! আপনি জয়ের মালা পরার পূর্বে কি ওয়াদা করেছেন ভোটারদের সাথে। আপনিই জানেন মনে মনে কি ওয়াদা করেছিলেন বাজারের দোকান মালিকদের হঠাৎ কি কি চমক দিবেন।।

যদি আপনি সঠিক ভাবে ৬৮৯ জন সদস্যকে নিয়ে আপনার মনের আসা গুলো এবং ভোটারদের কষ্ট গুলো নিরসন করে বাজারকে উন্নয়ন করতে পারেন তাহলেই আপনি আশা করতে পারেন আপনি সফল নেতা,সফল প্রার্থী,সফল মানুষ, সফল দোকান মালিক, সফল বিজয়,সফল জয়লাভ করতে পেরেছেন ইনশাআল্লাহ। তাই সঠিক নেতৃত্বই বয়ে আনতে পারে ভালো কিছু! প্রিয় পাঠক আবারও সবাইকে “ঝিনাইদহের গ্রাম-গঞ্জের খবর” পেইজের পক্ষ থেকে জানায় মোবারক বাদ। আমার এই খুদ্র লেখা টি পড়ে কেউ মনে কষ্ট নিবেন না প্লিজ। ভুল বুঝবেন না। লেখার মধ্যে কোন ত্রুটি থাকলে ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন এবং ভুল ধরিয়ে দিয়ে সঠিক লেখাও বলাটার পরামর্শ দিবেন ইনশাআল্লাহ। আল্লাহ তায়ালা সবাইকে সঠিক বুঝ বুঝার তৌফিক দান করুন আমিন।

সাইফুল ইসলাম,
সাংবাদিক ও পল্লী চিকিৎসক,ডাকবাংলা বাজার, ত্রিমহনী, ঝিনাইদহ। মোবাইলঃ ০১৯২৫-২২৫৬৯১

]]>
https://bgn24.com/?feed=rss2&p=3030 0
গরু চোর গ্রেফতারের দাবিতে মানব বন্ধন https://bgn24.com/?p=2981 https://bgn24.com/?p=2981#respond Sat, 17 Sep 2022 03:43:30 +0000 https://bgn24.com/?p=2981 গরু চোর গ্রেফতারের দাবিতে মানব বন্ধন

 

চোরের উপদ্রপে অতিষ্ট চাষীরা ব্যাতিক্রমী মানববন্ধন করেছে। শুক্রবার কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরী উপজেলার কচাকাটা থানার মাদারগঞ্জ বাজার লাগোয়া সড়কে গরু ও মহিষ লালন-পালনকারী খামারী, কৃষক, চাষী ও গ্রামবাসীরা এ মানব বন্ধন করে।

মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী কৃষকরা অভিযোগ করে বলেন, একটি সংঘবদ্ধ চোর চক্র নাগেশ্বরী উপজেলার কচাকাটা থানার অন্তর্ভুক্ত চর কৃষ্ণপুর এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে গরু-মহিষ চুরি করে আসছে।

কয়েকদফা চোর সনাক্ত হলেও বিচার পাচ্ছেন না ভুক্ত ভোগী কৃষকরা। বিচার চাইতে গেলেই চোর চক্রের হামলার শিকার হতে হচ্ছে তাদের।

এসব চুরির ঘটনায় কচাকাটা থানা পুলিশ নির্বিকার ভুমিকা পালন করছে বলে অভিযোগ তাদের। চোরের দলটি সক্রিয় থাকায় কৃষকদের মাঝে বর্তমানে এক ভীতিকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

এ মানববন্ধনে এলাকা বাসীর পক্ষে বক্তব্য রাখেন, আনোয়ার হোসেন,আব্দুল খালেক, হাবিবুর রহমান প্রমূখ । বক্তারা অবিলম্বে চিহ্নিত চোরদের গ্রেপ্তার দাবী জানান।

]]>
https://bgn24.com/?feed=rss2&p=2981 0
সাবেক চেয়ারম্যানের স্ত্রীকে নিয়ে অজানার উদ্দেশ্য স্বর্ণব্যবসায়ী বিপুল দত্ত https://bgn24.com/?p=2649 https://bgn24.com/?p=2649#respond Thu, 18 Aug 2022 06:05:58 +0000 https://bgn24.com/?p=2649 সাবেক চেয়ারম্যানের স্ত্রীকে নিয়ে অজানার উদ্দেশ্য স্বর্ণব্যবসায়ী বিপুল দত্ত

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বাজারগোপালপুরে পরকীয়া সম্পর্কের জেরে ৩ সন্তানের জননী মুসলিম নারীকে নিয়ে লাপাত্তা হয়েছেন হিন্দুপাড়ার বিপুল দত্ত নামের স্বর্ণব্যবসায়ী। ঘটনাটি ঘটেছে বেশ কয়েকদিন আগে কিন্তু মুসলিম নারীকে হিন্দু সম্প্রদায়ের ২ সন্তানের জনকের লাপাত্তা হবার ঘটনায় এলাকায় বেশ আলোচনা সমালোচনা শুরু হয়েছে। পরিবার ও প্রতিবেশী সূত্রে জানাগেছে, ঝিনাইদহ সদর উপজেলার মধুহাটি ইউনিয়নের বাজারগোপালপুর পাড়ার সাহাজান আলির মেয়ে ৩ সন্তানের জননী কুলসুম খাতুনের সাথে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন হিন্দুপাড়ার চিত্তরঞ্জন দত্তের ছেলে বিপুল দত্ত।সে বাজারগোপালপুর বাজারের জুয়েলার্সের মালিক।

ব্যক্তিগত কাজে গত রোববার সে ঢাকা যাবার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়।পরে তার পরিবারের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। মোবাইল ফোন বন্ধ বলে তার স্ত্রী জানান। এদিকে ওইদিন থেকেই সারুটিয়া গ্রামের সাহাজান আলির মেয়ে কুলসুম খাতুন বাড়ি থেকে বের হলে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায় বলে তার ভাই স্বীকার করেন। তার ৩ টি মেয়ে সন্তান রয়েছে। তিনি মধুহাটি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন জুয়েলের প্রথম স্ত্রী। প্রতিবেশীরা জানান,বিপুল দত্তের স্ত্রী মানসিক সমস্যায় ভূগছেন। জুয়েল চেয়ারম্যানের সাথে বিপুল দত্তের বন্ধুত্বের সম্পর্ক ছিল। সম্ভাবত ওই সূত্রধরে তার স্ত্রীর সাথে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। এদিকে একজন মুসলিম নারীর সাথে হিন্দু সম্প্রদায়ের ছেলের সাথে পরকীয়া ও তাদের অজানার উদ্দেশ্য পাড়ি দেয়ার বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় চায়ের দোকানে নানামুখী আলোচনা সমালোচনা চলছে।

 

]]>
https://bgn24.com/?feed=rss2&p=2649 0
ঝিনাইদহের ছেলে তুষার ১০ বছর ধরে অজানা রোগে ভুগছে! ডাক্তাররা ইংরেজিতে কি বলে বুঝি না বললেন মা-বাবা!  https://bgn24.com/?p=2151 https://bgn24.com/?p=2151#respond Wed, 06 Jul 2022 03:28:52 +0000 https://bgn24.com/?p=2151 ঝিনাইদহের ছেলে তুষার ১০ বছর ধরে অজানা রোগে ভুগছে! ডাক্তাররা ইংরেজিতে কি বলে বুঝি না বললেন মা-বাবা! 

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

জন্মের পর থেকেই খারিদুল ইসলাম তুষারের দুই পা বাঁকা। এর দুই বছর পর থেকেই শরিরের বিভিন্ন স্থানে শুরু হয় নানা ধরনের অজানা রোগ। ডাক্তার ইংরেজিতে কি বলে বুঝতে পারেনা তুষারের বাবা লুৎফার রহমান ও মা পারুলা বেগম। ভুক্তভোগী তুষারের বাবা একজন ভ্যান চালক এবং মা পরের বাড়িতে কাজ করেন। বাবা মায়ের এই স্বল্প ইনকামে ঝিনাইদহ শহরে বাসা ভাড়া আর সংসারের খরচ চালিয়ে থাকেনা তুষারের ঔষধ কেনার সামর্থ্য।

অভাবের সংসার থেকে টাকা বাচিয়ে ঢাকার পঙ্গু, সিআরপি ও শিশু হাসপাতালে নিয়েও কোনো প্রতিকার হয়নি তুষারের। রক্ত শুন্য জরাজীর্ণ শরীর তারপর ভেতর থেকে উঠে আসা একটি বড় আকারের টিউমার মাজার উপর ভর করেছে। বাবা-মায়ের ভাষ্যমতে এই টিউমারের কারণে মাঝে মাঝে প্রস্রাব বন্ধ হয়ে যায়! তাছাড়া প্রস্রাব-পায়খানা অটোমেটিক ভাবেই হয়ে যায় ধরে রাখতে পারে না। দুটি পায়ের পাতা থেকে গুড়ালী পর্যন্ত পচন ধরেছিল। চিকিৎসা নিয়ে একটি পা কোনরকম সেরে উঠলেও আরেকটি পায়ে পচন ধরেই আছে।

পায়ের পচন ও মাজার উপর টিউমারের কারণে হেঁটে চলাচল ও বিছানায় ঘুমাতে খুবই কষ্ট পেতে হয় তুষারের। একটি হুইল চেয়ারের অভাবে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এভাবেই তাকে হাটা-চলা করতে হয়। সোজা হয়ে বসতে না পারায় একটি বালিশ কোলে চেপে ধরে সারাক্ষণ চেয়ারের উপর বসে থাকে। বাবার সহায় সম্বল তুষারের চিকিৎসার পেছনে শেষ। বুক চেরা কষ্ট হলেও চেয়ে চেয়ে দেখা ছাড়া আর কিছুই করার নেই তাদের। লজ্জায় মুখ খুলতে না চাইলেও ছেলের অকাল মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করতে অন্তরটা যেন কারো সাহায্যের আকুতি করছে। তা না হলে চিকিৎসার অভাবে (আল্লাহ না করুক) সন্তানের নিরব মৃত্যু চেয়ে চেয়ে দেখা ছাড়া আর কিছুই করার নেই তুষারের অসহায় বাবা-মার। তুষারের এই অসহায় পরিবারের পক্ষ থেকে সমাজের বৃত্তবানদের কাছে সাহায্যের আবেদন করেছেন স্বজনরা।

ভুক্তভোগী খারিদুল ইসলাম তুষারের বাবার মোবাইল নাম্বার- 01772479841
বাসা ঝিনাইদহ শহর সংলগ্ন কালিকাপুর প্রাইমারি স্কুলের পাশে।

]]>
https://bgn24.com/?feed=rss2&p=2151 0
মাংস বেশি খাওয়া নিয়ে সংঘর্ষ https://bgn24.com/?p=1642 https://bgn24.com/?p=1642#respond Tue, 26 Oct 2021 11:25:30 +0000 https://bgn24.com/?p=1642 চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় বিয়ে বাড়িতে মাংস বেশি খাওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের জেরে নববধূকে তালাক দেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই আবারও বিয়ে করেছেন সবুজ আলী নামের সেই বর। গতকাল সোমবার রাতে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার সোনারদাড়ি গ্রামে বরের বাড়িতে এই বিয়ে হয়।

এর আগে গত রোববার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে সদর উপজেলার বদরগঞ্জ দশমিপাড়ায় মাংস বেশি খাওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনার পর রাতেই বরপক্ষ ও কনেপক্ষের সমঝোতার ভিত্তিতে বিয়ে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত হয়। পরে ওই নববধূকে তালাক দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে বর সবুজ আলী বলেন, ‌‘বিয়ের দিন তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে উভয়পক্ষ। একপর্যায়ে কনে পক্ষের লোকজন আমার পক্ষের কয়েকজনকে মারধর করে আহত করে। পরে ওইদিন রাতে বিষয়টি সমাধান না হওয়ায় বিয়ে বিচ্ছেদ হয়। রাতেই কনে আমার সঙ্গে কথা বলে। আমরা আমাদের ভুল বুঝতে পারি।’

তিনি আরও বলেন, ‘সোমবার সকালে কনে আমার বাড়ি চলে আসে। রাতে আমরা আবারও বিয়ে করি। আমার স্ত্রী সুর্মি আক্তার সুমি বর্তমানে আমাদের বাড়িতেই আছে।’

বরপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, বদরগঞ্জ দশমিপাড়ার রহিম আলীর ছেলে সবুজের সঙ্গে গত রোববার একই এলাকার নজরুল ইসলামের মেয়ে সুর্মি আক্তার সুমির বিয়ের অনুষ্ঠান চলছিল। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বরপক্ষের লোকজনকে খেতে দেওয়া হয়। বর সবুজের সঙ্গে খেতে বসেন তার বন্ধুসহ আত্মীয়-স্বজনরা। খাওয়া শেষ হওয়ার মুহূর্তে বরপক্ষের লোকজন আরও মাংস চান।

ওই সময় আরও মাংস দিতে কনেপক্ষ অপরাগতা প্রকাশ করলে উভয়পক্ষের বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা শুরু হলে কনেপক্ষের লোকজন বরপক্ষের তিনজনকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আহত করেন।

এ ঘটনায় কনেপক্ষের লোকজনের অভিযোগ, বরপক্ষের লোকজন ভাত না খেয়ে শুধু মাংস খেতে থাকেন। বারবার মাংস চাওয়াতে তারা পরে দেবেন বলে জানালে বরপক্ষের লোকজন তাদের ওপর চড়াও হন। তারা তাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন।যদিও এ ঘটনায় পুলিশে অভিযোগ করেনি কোনোপক্ষই। সন্ধ্যায় আহত তিনজনকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওইদিন রাতে বিয়ে বিচ্ছেদ হয় ওই দম্পতির। তবে তা জানাজানি হয় সোমবার।

]]>
https://bgn24.com/?feed=rss2&p=1642 0
গরুর মালিক খুঁজে পাচ্ছে না কাস্টমস! https://bgn24.com/?p=1381 https://bgn24.com/?p=1381#respond Wed, 07 Jul 2021 06:50:33 +0000 https://bgn24.com/?p=1381 সুদূর মার্কিন মুল্লুক থেকে সাত সমুদ্র তেরো নদী পাড়ি দিয়ে বিমানে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসেছে ব্রাহমা প্রজাতির ১৮টি গরু। টানা ১৮-২০ ঘণ্টার ভ্রমণের ধকল সইতে না পেরে গত সোমবার সকালে পৌঁছানোর পর পরই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে একটি গরু। জীবত থাকা ১৭টি গরুরও মালিক খুঁজে পাচ্ছে না কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। তাই একরকম বিপাকেই রয়েছেন কাস্টমস কর্মকর্তারা। আপাত সেগুলো প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের হাতে তুলে দিয়ে সমস্যা সমাধানের পথ খুঁজছেন। ঢাকা কাস্টমস হাউস কমিশনার মোয়াজ্জেম হোসেন আমাদের সময়কে বলেন, ‘নিয়মানুযায়ী গরু, পশুপাখি অথবা পচনশীল পণ্য বিদেশ থেকে কোনো প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি আমদানি করলে সেগুলো দেশে পৌঁছানোর আগেই কাস্টমসসহ বিমানবন্দরের প্রশাসনিক সব আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে হয়। কিন্তু ওই ১৮টি গরু আমদানির বিষয়ে কোনো আবেদন কাস্টমস কর্তৃপক্ষ পায়নি। তা ছাড়া বাংলাদেশে ব্রাহমা গরু আমদানির অনুমতি নেই। বিশেষ প্রয়োজনে কেউ আনলেও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পূর্বানুমতি লাগে।’ কাস্টমস কমিশনার বলেন, ‘বিমানের ভেতরে

তল্লাশি চালিয়ে সাদেক এগ্রো নামের একটি প্রতিষ্ঠানের কাগজপত্র পাওয়া গেছে। ওই প্রতিষ্ঠানটি যদিও গরুর মালিকানার বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করেনি। তবে যে প্রতিষ্ঠানই গরু আনুক না কেন, এ ক্ষেত্রে একটি প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছে। তারা ধারণা করেছিল- মালিকানা না পাওয়া গেলে গরুগুলো হয়তো নিলামে ওঠানো হবে। তখন তারা গরুগুলো নেবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘কার্গো বিমানের ভেতরে যে কাগজ পাওয়া গেছে, তাতে ১৮টি গরুর ক্রয়মূল্যে দেখানো হয় ৪০ হাজার মার্কিন ডলার। বাংলাদেশে প্রতিটি ব্রাহমা জাতের গরুর দাম ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকা। সেই হিসাবে এগুলোর বর্তমান বাজারমূল্য কমবেশি তিন কোটি টাকা।’

জানা যায়, গরুগুলো বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পরেই এর মালিকদের খোঁজ করা হয়। কিন্তু নানাভাবে চেষ্টা করেও আসল মালিকদের খোঁজ মেলেনি। মূল্যবান গরুগুলো আমদানি ও মালিকানা দাবি না করার পেছনে অন্য কোনো কারণ রয়েছে কিনা, তা নিয়েই এখন জোর আলোচনা হচ্ছে বিমানবন্দরে। মালিকানা না পাওয়ায় সাময়িক সংরক্ষণের জন্য গরুগুলো প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ঢাকা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. কাজী রফিকুজ্জামান ও ভেটেরিনারি প্যাথলজিস্ট ডা. মোহাম্মদ ওমর ফারুকের কাছে হস্তান্তর করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। এর আগে অবলা প্রাণিগুলোর স্বাস্থ্যপরীক্ষাসহ আনুসাঙ্গিক কার্যক্রম সম্পাদন করা হয়। বর্তমানে ১৭টি গরুর ঠাঁই হয়েছে সাভার প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে।

]]>
https://bgn24.com/?feed=rss2&p=1381 0
থাপ্পড় খেয়েছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাকরন https://bgn24.com/?p=1281 https://bgn24.com/?p=1281#respond Thu, 10 Jun 2021 06:51:43 +0000 https://bgn24.com/?p=1281 সম্প্রতি জনসংযোগে গিয়ে এক ব্যক্তির হাতে থাপ্পড় খেয়েছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাকরন। এ ঘটনায় তোলপাড় চলছে দেশটিতে।

এবার সেই ঘটনায় প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করলেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট। ইমানুয়েল ম্যাকরন বলেছেন, “গণতন্ত্রে ক্ষোভ প্রকাশের সুযোগ আছে, তবে নির্বুদ্ধিতার সাথে সহিংসতা যুক্ত হলে তাকে প্রশ্রয় দেওয়া যায় না। আমি বরাবরই সাধারণ মানুষের কাছাকাছি আসাটাকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করি। অনেক সময়ই তারা ক্ষোভ-হতাশা প্রকাশ করেন।”তার চলমান জনসংযোগ কর্মসূচিতে এ ঘটনা কোনো প্রভাব ফেলবে না বলেও জানান ম্যাকরন।

মঙ্গলবার ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতেও সব দলের আইনপ্রণেতারা ওই ঘটনায় প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।

দেশটির প্রধানমন্ত্রী জ্যঁ ক্যাসেক্স বলেন, দেশের প্রধানের ওপর হামলার অর্থ হল গণতন্ত্রের ওপর আঘাত। গণতন্ত্রের অর্থ হল বিক্ষোভ, বিতর্ক, আর আলোচনার মাধ্যমে মতামত আদান-প্রদান। মতভেদ থাকতে পারে। সেটা জানানোর বৈধ উপায়ও আছে। কোনোভাবেই মৌখিকভাবে হেনস্তা বা শারীরিক আঘাত গ্রহণযোগ্য নয়।

দেশটির একটি বামপন্থী দলের আইনপ্রণেতা আদ্রিয়েন কোয়াটেনেন্স মনে করেন, যে হামলার শিকার হয়েছেন ম্যাকরন তা কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়। তিনি বলেন, গণতন্ত্রে যে কোনো সমস্যা আলোচনা আর ব্যালটের মাধ্যমে সমাধান করতে হয়। সহিংসতার মাধ্যমে নয়।

উল্লেখ্য, ড্রোম প্রদেশের ছোট শহরটির রেঁস্তোরা ব্যবসায়ী ও স্কুল পরিদর্শনের পর অপেক্ষমান সাধারণ মানুষের সাথে কুশল বিনিময়ে এগিয়ে যান প্রেসিডেন্ট ম্যাকরন। হঠাৎই ঘটে অপ্রীতিকর ওই ঘটনা। দেহরক্ষীরা দ্রুত সামলে নিলেও এ ঘটনার ভিডিও ফুটেজ ভাইরাল হয়েছে অনলাইনে।

ঘটনার পর থেকে এখনও আটককৃত হামলাকারীর পরিচয় প্রকাশ করেনি ফরাসি পুলিশ। এমনকি জানা যায়নি প্রেসিডেন্টকে চড় মারার কারণও।

]]>
https://bgn24.com/?feed=rss2&p=1281 0
আশ্রয়কেন্দ্রে দিন কাটছে “মারুফের” https://bgn24.com/?p=1266 https://bgn24.com/?p=1266#respond Sun, 06 Jun 2021 04:01:57 +0000 https://bgn24.com/?p=1266 ‘গত ২০শে এপ্রিল লকডাউনের বিষয়ে ঢাকার আদালত এলাকার সংবাদ প্রচার করছিলেন আইপি টিভির এক সাংবাদিক। তিনি যখন সরাসরি সংবাদ প্রচার করছিলেন তখন বুঝে ওঠার আগেই আচমকা ক্যামেরার ফ্রেমে ঢুকে পড়ে ১১ বছর বয়সী এক পথশিশু। সে বলতে থাকে ‘আচ্ছা- যে লকডাউন দিয়েছে, সামনে ঈদ, মানুষে খাবে কী? মাননীয় মন্ত্রী যে একটা লকডাউন দিয়েছে সেটা ভুয়া, থ্যাংক ইউ।’
বলার সঙ্গে সঙ্গে ওই পথশিশুটি ক্যামেরার ফ্রেম থেকে সরে যায়। পরে ওই ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। অনেকেই শিশুটির সাহসিকতা, সাবলীলভাবে কথা বলা ও স্মার্টলি ক্যামেরার ফ্রেম থেকে বেরিয়ে যাওয়া দেখে প্রশংসা করে। সবাই আগ্রহের সঙ্গে জানতে চায় কে ওই শিশুটি। পরে জানা যায়- ওই শিশুর নাম মারুফ। সে একজন পথশিশু।বাবা-মা’র সঙ্গে থাকে না সে। তার বাবা মুন্সীগঞ্জের বিক্রমপুরে থাকেন। মা-বাবার ডিভোর্স হয়ে গেছে। তারা এখন আলাদা সংসার করেন। বাবা ও মায়ের সংসার বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার পর মারুফ বড় অসহায় হয়ে যায়। পরে সে ঢাকায় চলে আসে। ঠাঁই হয় সড়কের পাশে ফুটপাথে, পার্কের খোলা জায়গায়।
ঘটনার পরই পরই তার আরেকটি ভিডিও অনলাইন মাধ্যমে ভাইরাল হয়। তার বাম চোখ ফোলা দেখা যায়। তার বাম চোখ কেন ফোলা সে বিষয়ে তার এবং কারও পক্ষ থেকে নির্ভরযোগ্য তথ্য পাওয়া যায়নি। যদিও ওই ছবি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা আলোচনা হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওই শিশু এখন মিরপুরে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য করা সরকারি আশ্রয়কেন্দ্রে আছে। তাকে সেখানে থাকা অন্য শিশুদের মতো তিনবেলা খাবার ও পড়াশুনার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার ওসি মো. মিজানুর রহমান জানান, একটি ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর শিশুটি সবার নজরে আসে। পরে জানা যায় ওই শিশুটির নাম মারুফ। সে কোর্ট এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ভাসমান শিশু ছিল। মানুষের কাছে ভিক্ষা চাইতো। তাকে বর্তমানে মিরপুরের সমাজসেবা অধিদপ্তরের সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য করা সরকারি আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।  
এ বিষয়ে সমাজসেবা অধিদপ্তরের প্রবেশন অফিসার (ঢাকা সিএমএম কোর্ট) এসএস মাসুদ রানা গতকাল মানবজমিনকে জানান, ওই শিশুটি সুবিধাবঞ্চিত ছিল। তার থাকা ও সুচিকিৎসার জন্য তাকে মিরপুরের সরকারি আশ্রয়কেন্দ্রে রাখা হয়েছে।  যেসব  শিশু এতিম ও অসহায় তাদের ওই আশ্রয়কেন্দ্রে রাখা হয়ে থাকে।
গতকাল সকালে ওই আশ্রয়কেন্দ্রে গেলে মারুফের বিষয়ে কেউ নাম প্রকাশ করে কোনো তথ্য দিতে চাননি। তারা সবাই বলেন যে, মারুফের বিষয়ে কথা বলা নিষেধ আছে। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কেন্দ্রের এক কর্মচারী জানান, এ আশ্রয়কেন্দ্রে তাকে সবাই ‘লকডাউন মারুফ’ নামে চেনে। সে এখানে এসে প্রথমে থাকতে চাচ্ছিল না। সবাইকে বলতো যে, সে তার মায়ের কাছে যাবে। মুন্সীগঞ্জে গ্রামের বাড়িতে যাবে। কিন্তু, আশ্রয়কেন্দ্রে সুযোগ-সুবিধা পেয়ে এখন সে আর কোনো কথা বলে না।  
সূত্র জানায়, সব শিশুর মতো সে সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর নাস্তা করে। এরপর বই ও খাতা নিয়ে পড়তে বসে। দুপুরে খাবারের পর ঘুমিয়ে পড়ে। বিকালে বসে এবং খেলে সময় কাটায়। সন্ধ্যায় আবার পড়তে বসে। রাত হলে রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। তাকে আশ্রয়কেন্দ্রের কর্মকর্তারা অনেক আদর ও যত্ন করে। এভাবেই ওই আশ্রয়কেন্দ্রে ২৪ ঘণ্টা কাটছে তার।

]]>
https://bgn24.com/?feed=rss2&p=1266 0