রাজনীতি – Bangla Green News https://bgn24.com সংবাদে নতুনত্বের সূচনায়! Fri, 21 Feb 2025 06:08:22 +0000 en-US hourly 1 https://wordpress.org/?v=6.8.1 বাংলাকে বিচার বিভাগের দাপ্তরিক ভাষা করার দাবী মুক্তিজোটের https://bgn24.com/?p=4061 https://bgn24.com/?p=4061#respond Fri, 21 Feb 2025 06:08:16 +0000 https://bgn24.com/?p=4061 এছাড়াও সংগঠনের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য (প্রচার) মোঃ মামুন সিকদার স্বাক্ষরিত প্রেসনোটে বলা হয়- মানুষের মুখের ভাষা- আপন ভাষা রক্ষার সংগ্রামের পরিণতিতেই এদেশের স্বাধীনতা এসেছিল কিন্তু স্বাধীনতার অর্ধশতাব্দী পরেও আদালতের দাপ্তরিক ভাষা বাংলা হয়নি। অথচ, বিভিন্ন সময় রাষ্ট্রীয়ভাবে বাংলা ভাষাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষার স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি করছি।

এদিকে সরকার সর্বস্তরে (আন্তর্জাতিকতার শর্ত ব্যতিরেকে) বাংলা ভাষা চালু করার ক্ষেত্রে কেন পদক্ষেপ নিচ্ছে না বা প্রতিষ্ঠানসমূহকে বাধ্য করছে না- এই মর্মে হাইকোর্ট বিভাগ এর বিচারপতি কাজী রেজাউল হক ও বিচারপতি এ বি এম আলতাফ হোসাইন এর বেঞ্চ থেকে ১৭ই ফেব্রুয়ারি ২০১৪ খ্রিস্টাব্দে একটি রুল জারি করে।

কিন্তু বিস্ময়কর হলেও সত্য খোদ আদালতের দাপ্তরিক ক্ষেত্রই অদ্যাবধি এই নির্দেশের বাইরে আছে! বিচার বিভাগ কি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের বাইরের কোনো প্রতিষ্ঠান? বিচার বিভাগ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের একটা প্রতিষ্ঠান মাত্র। স্বাধীন হলেও প্রাতিষ্ঠানিক এই পরিচয়ের বাইরে তার কোনো আলাদা পরিচয় নেই।

বিচার বিভাগের দাপ্তরিক ভাষা বাংলা করার ক্ষেত্রে শিক্ষাসহ যে আনুষঙ্গিক শর্ত রয়েছে সেই ব্যাপক কর্মসীমানা বিচার বিভাগের থাকে না। রাষ্ট্র-কাঠামোর কোনো বিভাগই এককভাবে স্বয়ংসম্পূর্ণ নয় আর সেটা হয়ও না, হলে সে সরকার হয়ে ওঠে- কারণ সরকারই কেবল সব বিভাগের সমন্বিত ক্রিয়ায় সর্বোচ্চ কর্তৃত্বে আসীন থাকে।

এক্ষেত্রে কথিত ‘টেকনিক্যাল সমস্যা’ বা পরিভাষাসহ বহুবিধ অজুহাতে কাল বিলম্ব মোটেই গ্রহণযোগ্য নয় কারণ এমন অজুহাতেই স্বাধীনতার অর্ধ শতাব্দী পেরিয়ে গেছে এবং যতোদিন ব্যবহার-বিধি বাধ্যতামূলক না হচ্ছে এই অজুহাতে আরও ১০০ বছর পেরিয়ে গেলেও আশ্চর্য হওয়ার কিছু থাকবে না।

ছত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী মহান একুশে ফেব্রুয়ারিতে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ ও তার গণতান্ত্রিক বিনির্মাণের প্রত্যাশা সত্য হয়ে উঠুক- শহীদ বেদিতে দ্রোহী শোকের স্মারকে রাখা ফুলগুলো সৃজনের মহামন্ত্রে বৈশ্বিক বার্তা হয়ে ফিরুক, আধুনিক বাংলাদেশের রাজনীতিতে ৫২ থেকে ২৪ সব শহিদানের অস্তিত্ব জানান দিক তাঁরা ছিল, আছে এবং থাকবে।

ক্তিজোটের সংগঠন প্রধান আবু লায়েস মুন্নার নেতৃত্বে সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহজামাল আমিরুলসহ পুষ্পমাল্য অর্পণের সময়, সহ-সভাপতি মোঃ আমানউল্লাহ আমান, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য শরীফ মোঃ বেদুইন হায়দার লিও, উত্তম কুমার, আক্তার হোসেন মোল্লা, মোঃ মামুন সিকদারসহ যুব মুক্তিজোট-এর আহ্বায়ক মোঃ আব্দুল আউয়াল, শ্রমিক মুক্তিজোটের আহ্বায়ক- মোঃ রাশেদুল ইসলাম খোকন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায় ফারুক মিয়া তালুকদার এছাড়াও কেন্দ্রীয় কমিটি, মহানগর ও বন্ধু সংগঠনসমুহের নেতা-কর্মীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

]]>
https://bgn24.com/?feed=rss2&p=4061 0
ভারত বাংলাদেশের অভিন্ন নদীগুলোর পানিবণ্টন আন্তর্জাতিক পানি আইন অনুযায়ী করতে হবে দাবি মুক্তিজোটের https://bgn24.com/?p=4058 https://bgn24.com/?p=4058#respond Wed, 19 Feb 2025 06:39:59 +0000 https://bgn24.com/?p=4058 ১৯শে ফেব্রুয়ারি ২০২৪ খ্রিঃ তারিখে মুক্তিজোটের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য (প্রচার)- মোঃ মামুন সিকদার স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে মুক্তিজোটের সংগঠন প্রধান আবু লায়েস মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহজামাল আমিরুল এ দাবি করেন।

তাঁরা বলেন কোনো রাষ্ট্র আপত্তি করলেই একটি অভিন্ন নদী থেকে উজানের দেশ মনের খুশিমতো পানি তুলে নিতে পারে কি না? নৈতিকভাবে একটি দেশের এই অধিকার নেই বলেই তো অধিকাংশ দেশের সম্মতিক্রমে একটি আন্তর্জাতিক পানি কনভেনশন প্রণয়ন করা হয়েছে। সর্বোপরি গঙ্গা চুক্তি করার সময়ই বলা হয়েছিল যে পর্যায়ক্রমে বাংলাদেশের অন্য সব অভিন্ন নদীর ক্ষেত্রেও ন্যায্যতার ভিত্তিতে এ ধরনের পানিবণ্টন চুক্তি করা হবে।

অথচ গত ১৬ই ফেব্রুয়ারি থেকে এই খরা মৌসুমে হঠাৎ তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তিস্তা পাড়ের কৃষক ও বাসিন্দাদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। এতে তিস্তায় জেগে ওঠা চরে পেঁয়াজ, মিষ্টি কুমড়া, ডাল ও বাদামসহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষতি হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। এলাকাবাসী মনে করছেন, তিস্তার পানি নিয়ে ভারত দায়িত্বহীন আচরণ করছে। উল্লেখ্য, প্রতিবছর এসময় তিস্তায় কোনো পানিপ্রবাহ থাকেনা। এই আচরনের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে এবং মুক্তিজোট সতর্ক করে বলেছে যে আপনারা আমাদের অধীকার নিয়ে খেলবেন না।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয় বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকা সত্ত্বেও ভারত তিস্তার সমাধান করেনি। সমতার ভিত্তিতে দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে পানিবণ্টন চুক্তির উদাহরণ এই উপমহাদেশেই আছে। সিন্ধু নদীর পানিবণ্টন প্রশ্নে পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের ১৯৬২ সালে স্বাক্ষরিত একটি চুক্তি আছে। নানা রাজনৈতিক ও ভৌগোলিক টানাপোড়েনের মধ্যেও দুই দেশ এই চুক্তিটি যথাযথভাবে মেনে চলছে। তাহলে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে ভারতের চুক্তি করতে বা মানতে বাঁধা কোথায়।

তিস্তা ব্যারাজ বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের তিস্তা অববাহিকার বিস্তীর্ণ এলাকায় সেচসুবিধা প্রদানের মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচনে ব্যাপক সহায়তা করে থাকে। কিন্তু ভারত জলপাইগুড়ির গজলডোবায় আরেকটি ব্যারাজের মাধ্যমে তিস্তার প্রায় সব পানি প্রত্যাহার করে নেওয়ায় বাংলাদেশ অংশের ব্যারাজটি হুমকির মুখে পড়েছে।

এদিকে বেশ কয়েকবার গঙ্গার মতো তিস্তা নিয়েও চুক্তির পরিকল্পনা করা হয়। ১৯৮৩ সালে তিস্তার পানির ৩৯ শতাংশ ভারত, বাংলাদেশ ৩৬ শতাংশ আর ২৫ শতাংশ নদীর জন্য বিবেচনায় নিয়ে খসড়া চুক্তি প্রস্তাব করা হয়। ২০১১ সালে ৪২ দশমিক ৫ শতাংশ ভারত, বাংলাদেশ ৩৭ দশমিক ৫ শতাংশ আর ২০ শতাংশ পানি নদীর বাস্তুতন্ত্র রক্ষার জন্য বিবেচনায় নিয়ে নতুন প্রস্তাব আসে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের আপত্তির কারণে তিস্তা চুক্তিতে স্বাক্ষরের বিষয়টি ঝুলে গিয়েছে।

তাঁরা প্রশ্ন তোলেন, যে ভারতের হাইকোর্ট ২০১৭ সালে নদীকে জীবন্ত মানুষের অধিকার দিয়ে আইন পাশ করে সেই রাষ্ট্র কিভাবে উজানে নদীতে বাঁধ দিয়ে নিম্নঅঞ্চলের অববাহিকাকে শুকিয়ে ফেলে। এটা কি তাদের করা আইনের লংঘন নয়।

তাই শুধু তিস্তা নয় সকল নদীর পানি বন্টন করতে হবে এবং তা আমাদের যথাযথভাবে দিতে হবে।

প্রসঙ্গতঃ দুই বা ততোধিক দেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত আন্তর্জাতিক নদীর পানিবণ্টন নিয়ে জাতিসংঘের কনভেশনটি হচ্ছে, দ্য কনভেনশন অন দ্য ল অব নন-ন্যাভিগেশনাল ইউজেস অব ইন্টারন্যাশনাল ওয়াটারকোর্সেস, ১৯৯৭। দ্বিপক্ষীয় বা আঞ্চলিক পানি চুক্তির ক্ষেত্রেও এই কনভেনশনটিকে ভিত্তি হিসেবে ধরার কথা বলা আছে। কিন্তু বাংলাদেশ বা ভারত—কেউই এই আইনটিতে স্বাক্ষর করেনি।

]]>
https://bgn24.com/?feed=rss2&p=4058 0
শুল্ক-কর বৃদ্ধির অধ্যাদেশ প্রত্যাহারের দাবি মুাক্তিজোটের https://bgn24.com/?p=4047 https://bgn24.com/?p=4047#respond Sat, 11 Jan 2025 17:05:56 +0000 https://bgn24.com/?p=4047 শতাধিক নিত্যব্যবহার্য পণ্যে ও সেবার ওপর মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) ও সম্পূরক শুল্ক বাড়াতে জারি করা সরকারি অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে বিবৃতি দিয়েছে মুক্তিজোট

১১ই জানুয়ারি মুক্তিজোটের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য (দপ্তর) উত্তম কুমার ঘোষ স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে দেওয়া যৌথ বিবৃতিতে মুক্তিজোটের সংগঠন প্রধান আবু লায়েস মুন্না ও  সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহজামাল আমিরুল এই দাবি জানান।

গত ১০ জানুয়ারি বিস্কুট, ওষুধ, পোশাক কেনাকাটা, মিষ্টি, বেশ কয়েক ধররেনর টিস্যু, মোটর গাড়ির গ্যারেজ, এলপি গ্যাস, ওষুধ, মোবাইলে ফোনের সিম ব্যবহারের মত নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও সেবাসহ শতাধিক পণ্য ও সেবায় শুল্ক, কর, ভ্যাট বাড়িয়ে দুটি অধ্যাদেশ জারি করে অন্তর্বর্তী সরকার।

বিবৃতিতে তাঁরা বলেন, উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির ফলে জনজীবন এমনিতেই দুর্বিষহ। এর মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের এই সিদ্ধান্ত গ্রামীণ স্বল্প উপার্জনকারী এবং নিম্ন-মধ্যম আয়ের মানুষের ওপর যে বিরূপ প্রভাব পড়বে, তা দেশের অর্থনীতি ও জনজীবনে গভীর সংকট তৈরি করবে।

এছাড়াও, অন্তর্বর্তী সরকারের এ সিদ্ধান্ত যেমন ছাত্র-জনাতার গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্খার সাথে যায় না তেমনি তা বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের মতোই বর্তমান মূল্যস্ফীতির মধ্যে শতাধিক পণ্যের ভ্যাট ও শুল্ক বাড়িয়ে নিম্ন আয়ের মানুষের জীবন আরও বিপদের মুখে ঠেলে দেওয়া। এতে অন্তর্বর্তী সরকারও যে সাধারণ জনগণের চাওয়া পাওয়া পূরণ করতে পারছেন না তা স্পষ্ট।

তাই বিবৃতিতে তারা দাবি করেন, অবিলম্বে সরকারকে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্খা বিরোধী এসকল সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে।

]]>
https://bgn24.com/?feed=rss2&p=4047 0
ইংরেজি নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়েছে মুক্তিজোট https://bgn24.com/?p=4039 https://bgn24.com/?p=4039#respond Tue, 31 Dec 2024 13:25:46 +0000 https://bgn24.com/?p=4039 ৩১শে ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রিঃ তারিখে মুক্তিজোটের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য (দপ্তর)- উত্তম কুমার ঘোষ স্বাক্ষরিত শুভেচ্ছা বার্তায় মুক্তিজোটের সংগঠন প্রধান আবু লায়েস মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহজামাল আমিরুল দেশবাসীসহ পৃথিবীর সব মানুষকে মুক্তিজোটের পক্ষ থেকে খ্রিষ্টীয় নতুন বছর-২০২৫ উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

শুভেচ্ছা বার্তায় তাঁরা বলেন বর্তমান দুনিয়ার প্রতিটি প্রান্তই প্রতিটি মানুষের জন্যে এবং প্রতিটি মানুষ স্বকীয়, স্বতন্ত্র বলেই সমগ্র পৃথিবীর জন্যে প্রত্যেক মানুষই আজ অনিবার্য- যেখানে ধর্মের বিকল্প থাকলেও মানুষের বিকল্প কেবল মানুষই!

আমরা যে জনপদেরই হই মানুষ হিসেবে তাই বিগতের পদপ্রান্তে দাঁড়িয়ে সমাগত নতুন বছরের শুভকামনা- পৃথিবীর প্রত্যেক মানুষকে।

আরও বলেন প্রকৃতিগতভাবে প্রতিটি মানুষ স্বকীয় এবং তার বোধ ও মতের এই স্বীকৃতিটুকুই মানবীয় মর্যাদার শ্রেষ্ঠ দাবি। শাসনব্যবস্থার ইতিহাসে এই দাবির রাজনৈতিক পরিণতিই হলো গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা। ঠিক যেমন ’৫২ এর ভাষা আন্দোলনের রাজনৈতিক পরিণতিতেই ’৭১ এর স্বাধীনতা কিংবা বোধগত প্রত্যয়ে খোদিত ‘গণতন্ত্র মুক্তি পাক’- অক্ষয় সে দাবির স্মারকে প্রতিষ্ঠিত ৯০ তথা “২০২৪” আবু সাইদ-মুগদ্ধর রক্তের উপর দাঁড়িয়ে আজকের বাংলাদেশ।

অশ্রুক্রোধ আর প্রতিরোধের দুর্দমনীয় ভালোবাসায় ‘খ্রিষ্টীয় নতুন বছর ২০২৫ সকলের জীবনে বয়ে আনুক অনাবিল সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি। সেই সাথে মানুষে-মানুষে সম্প্রীতি, সৌহার্দ ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধন আরও দৃড় হবে এই প্রত্যাশাও করেন তাঁরা।

]]>
https://bgn24.com/?feed=rss2&p=4039 0
বিজয়ের এই মহান দিনে পৃথিবীর সব মানুষকে মুক্তিজোটের শুভেচ্ছা https://bgn24.com/?p=4023 https://bgn24.com/?p=4023#respond Mon, 16 Dec 2024 03:41:11 +0000 https://bgn24.com/?p=4023 ১৬ই ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রিঃ তারিখে মুক্তিজোটের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য (দপ্তর)- উত্তম কুমার ঘোষ স্বাক্ষরিত যৌথ বিবিৃতিতে মুক্তিজোটের সংগঠন প্রধান আবু লায়েস মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহজামাল আমিরুল বিজয়ের এই মহান দিনে বাংলাদেশিসহ পৃথিবীর সব মানুষকে মুক্তিজোটের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।

বিবিৃতিতে তাঁরা বলেন ১৯৫০ সালে রাজশাহীর খাপড়াছড়ি ওয়ার্ডে বাঙ্গালী রাজবন্দীদের উপর গুলি দিয়ে শুরু, অতঃপর ৫২র ভাষা আন্দোলন ৬ দফা থেকে ৭০ হয়ে ৭ই মার্চের প্রতিরোধী উচ্চারণ এবং সশস্ত্র প্রতিধ্বনিতে ২৬শে মার্চ বঙ্গীয় অস্তিত্বের সদম্ভ ঘোষণায় ১৭ই এপ্রিল বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে বাংলার শাসন নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা নিজেদের হাতে তুলে নেয় স্বাধীন বাংলার প্রথম সরকার এবং তা কেবল প্রথম সরকার নয় বরং দল মত নির্বিশেষ জাতীয় সরকার ছিল সেটি।

১৭৫৭ সালের ২৩শে জুন, পলাশীর এমনি এক আম্রকাননে- বাংলার শাসন নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা তথা আমাদের স্বাধীনতা দেশীয় ষড়যন্ত্র আর বিদেশী চাতুর্যতায় হাতছাড়া হয়েছিল; সারগতভাবে সমগ্র ভারতবর্ষেরও স্বাধীনতার সূর্যাস্তের দিন ছিল সেটি অতঃপর দীর্ঘ আঁধার পথে ১৯৩০ সালে তিনদিনের জন্যে হলেও সমগ্র ভারতবর্ষের স্বাধীনতার প্রথম সূর্যোদয় ঘটে এই বাংলাতেই এবং তা মাস্টারদা সূর্যসেনের নেতৃত্বে চট্টগ্রামে। জাতীয় রাজনীতি ও তার দীর্ঘ পথ চলার পরিণতিতেই প্রায় ২১৪ বছর পর, ১৭ই এপ্রিল, ১৯৭১ সালে ইতিহাসের পরম্পরায় অশ্রু-ক্রোধ-ভালোবাসায় বঙ্গ হৃদয় এদিন কেঁদেছিল। আর কাঁদতে কাঁদতেই যেন ইতিহাসের চাকাকে নিজেদের জয়ের দিকে টেনে ধরেছিল।

তাঁরা আরও বলেন আপন ভূমিতে প্রায় নয় মাসের রক্তাক্ত যুদ্ধে ৩০ লক্ষ মানুষের তাজা প্রাণ আর ২ লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রম হারিয়ে বৈশ্বিক রাজনীতির ময়দানে কূটনৈতিক জঙ্ঘ জিতে- ১৬ই ডিসেম্বর, ১৯৭১ জাতীয় সরকারের নেতৃত্বেই পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ নিজের স্বাধীন সার্বভৌম অস্তিত্ব প্রতিষ্ঠা করে- সবুজ ঘেরা সূর্যস্পর্শিত রক্ত স্মারক-এর স্পর্ধিত পতাকা হাতে নিজের বিজয় ঘোষণা করে। এমনকি এই উপমহাদেশে ‘স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ’ই একমাত্র দেশ- যে দেশটি কোন গভর্নর জেনারেলের (লর্ড মাউন্ট ব্যাটেন) আদেশ বলে জন্ম নেয়নি বরং তা জাতীয় রাজনীতির পরিণতি অর্থেই অর্জিত হয়েছে।

স্বাধীনতার অর্ধ শতাব্দী পর, জাতীয় রাজনীতির মর্যাদায় অঙ্কিত সেই পতাকা ও তার রক্ত স্মারকে সংবদ্ধ হয়ে উঠুক আমাদের জাতীয় রাজনীতি- যা হবে আধুনিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে যথার্থই স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের রাজনীতি।

অর্থাৎ ২০২৪ এর ছাত্র-জনতার গণঅভ্যূত্থান পরবর্তী ফ্যাসিবাদমুক্ত পরিবেশে এবারের বিজয় দিবস অবশ্যই আমাদের জন্য বেশি আনন্দের ও গৌরবের এবং অনেক বেশি অর্থবহ এবং তাৎপর্যপূর্ণ। তাই তাঁরা প্রত্যাশা করেন এ বিজয় দিবস যেন হয়ে উঠে বারবার ঠকে যাওয়া জনগণের প্রতি রাষ্ট্র ও সরকারের দায় কিংবা প্রতিশ্রুতি পূরণের।

]]>
https://bgn24.com/?feed=rss2&p=4023 0
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে সরকারী ছুটির দাবি মুক্তিজোটের https://bgn24.com/?p=4020 https://bgn24.com/?p=4020#respond Sat, 14 Dec 2024 08:45:36 +0000 https://bgn24.com/?p=4020 বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট ১৪ ই ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবসকে সরকারি ছুটি ঘোষণার দবি করেছে।

আজ সকালে শহীদ বুদ্ধিজীবি কবর স্থানে ১৯৭১ সালের ১৪ ই ডিসেম্বরের শহীদ বুদ্ধিজীবিদের পুষ্পমাল্য অর্পণ শেষে গণমাধ্যমের সাথে আলাপকালে এই দাবি করেন মুক্তিজোটের সংগঠন প্রধান আবু লায়েস মুন্না। তিনি সাংবাদিকদের আরও বলেন তারা সাংগঠনিক ভাবে ২০১৭ সাল থেকে এই দাবি করে আসছেন।

পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠীর জাতিকে মেধাহীন করার জন্য এ নৃশংস গণহত্যা পরিকল্পনার অংশ ছিল। তাই আমাদের দেশরে বর্তমান প্রজন্ম যেন এ স্মৃতি ভুলে না যায় সে জন্য পাঠ্য পুস্তকে ৭১ এ বুদ্ধিজীবি হত্যাকাণ্ডের ইতিহাসকে সংযুক্ত করার কথাও বলেন মুক্তিজোটের সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহজামাল আমিরুল।

মুক্তিজোটের কেন্দ্রীয় কার‌্যনির্বাহী সদস্য (প্রচার) শরিফ মোঃ বেদুইন হায়দার লিও স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানান হয় ১৯৭১ সালে বুদ্ধিজীবী হত্যার পৈশাচিকতা এ দেশ কখনও ভুলবে না, তাই অর্ধ শতাব্দী যাবৎ সর্বস্তরের মানুষ ১৪ই ডিসেম্বর রাস্তায় নেমে আসে। কেবল রায়ের বাজার বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ নয় বরং সে শোকের মাতম কালো ব্যান্ডেজ- হয়ে সমগ্র দেশজুড়ে সবার বুকে বুকে ছড়িয়ে পড়ে। যদিও অনতিকাল পরেই সে শোক অশ্রু-ক্রোধ ও অর্জনের স্মারক হিসেবে ‘১৬ই ডিসেম্বর, মহান বিজয় দিবস’ এর আনন্দ হয়ে ফিরে আসে, তবুও বেদনাটুকু যেন রয়েই যায়; অতঃপর অসংখ্য মৃত্যু ও রক্তদামে অর্জিত লাল-সবুজের সার্বভৌম নিশানকে সবাই স্যালুট করে- অশ্রু মুছে। এভাবে ১৪ই ডিসেম্বর হয়ে সব শহীদানের সওগাত আমার পতাকায় ভাসে।

পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠী দ্বারা নৃশংস গণহত্যার সাথে বেছে বেছে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা কেবল তাদের নারকীয় পৈশাচিকতার নতুন মাত্রা ভাবলে ভুল হবে বরং স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ বা আমাদের বিজয় অবধারিত জেনেই তা ঘটানো হয়েছিল, যা সন্দেহাতীতভাবে ভবিষ্যৎ জাতীয় জীবন প্রাসঙ্গিকতায় দেশ ও রাষ্ট্র বিরোধী জঘণ্য পরিকল্পনাকেই নিশ্চিত করে।

এক্ষেত্রে, তৎকালীন রাষ্ট্রশক্তির সংশ্লিষ্টতাতেই তা ঘটানো হয়েছিল বিধায় তার প্রত্ত্যুৎরেও ন্যায়ত অনিবার্য হয়ে ওঠে রাষ্ট্রীয় ভূমিকা এবং সেটা কোন ব্যক্তিবিশেষের ক্ষেত্রে নয় বরং সামষ্টিক ক্ষেত্রে ঘটেছিল বলেই- এটা কেবল মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত শ্রদ্ধা বা রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দানের বিষয় নয়, বরং উত্তর প্রজন্মের স্বার্থে তা রাষ্ট্রীয় দায়ীত্বের অন্তর্গত। তাই এ দিনটিকে যদি রাষ্ট্রীকতা দ্বারা (রাষ্ট্রীয় ছুটি) নির্দিষ্ট না করা হয় তবে তা হবে রাষ্ট্রকৃত স্মৃতিহত্যার অপরাধ।  অর্থাৎ “স্মৃতিহত্যা গণহত্যার মতই জঘণ্য!!

স্মর্তব্য, স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ ইতোমধ্যে অর্ধশত বছর পেরিয়ে এসেছে- যথারীতি রাষ্ট্রীয় কর্তৃত্বে এ দেশ ও তার মানুষই ছিল; তবুও উত্তর প্রজন্ম জানে না ১৪ই ডিসেম্বর কী, কেন, কিভাবে, কখন, কোথায় ঘটেছিল!

বিশেষত, জাতীয় একটি দিন হিসেবে যৌক্তিকভাবেই তা যে রাষ্ট্রকৃত বা প্রাতিষ্ঠানিকতার শর্তকে অনিবার্য করে তোলে সেটাও এত বছরে আমাদের বোধগম্য হচ্ছেনা- এটা সদ্য স্বাধীন দেশ ও তার জাতীয় জীবনের প্রত্যুষে সেই সূর্য হারানোর আঁধার পরিণতি নয় কি?

অতএব, সংগত কারণেই অবিলম্বে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসকে রাষ্ট্রীয় ছুটি ঘোষণা করা হোক।”
শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় আরও উপস্থিত ছিলেন মুক্তিজোটের সহ-সভাপতি-মো: আমানউল্লাহ আমান, আক্তার হোসেন- কার্যনির্বাহী সদস্য, কেন্দ্রীয় কমিটি ও ঢাকা মহানগরের রূপনগর ও পল্লবী থানার সভাপতিসহ মহানগরের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

]]>
https://bgn24.com/?feed=rss2&p=4020 0
বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে মুক্তিজোট https://bgn24.com/?p=4012 https://bgn24.com/?p=4012#respond Tue, 03 Dec 2024 17:23:19 +0000 https://bgn24.com/?p=4012 ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দে মুক্তিজোটের কেন্দ্রীয় দপ্তরের দায়িত্বে থাকা উত্তম কুমুর ঘোষ স্বাক্ষরিত মুক্তিজোটের সংগঠন প্রধান আবু লায়েস মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক মো: শাহজামাল আমিরুল যৌথ বিবৃতিতে এ নিন্দা জানান ।

ভারতের আগরতলায় সহকারী হাইকমিশনে হামলা জেনেভা কনভেনশনের লংঘন উল্লেখ করে তাঁরা বলেন ‘হিন্দু সংঘর্ষ সমিতি’ নামের সংগঠনের ব্যনারে সহকারী হাইকমিশন প্রাঙ্গণে যে আক্রমণ হয়ছে তা পূর্ব পরিকল্পিত বলে আমাদের ধারণা।

সহকারী হাইকমিশনের ভেতরে ঢুকে বাংলাদেশের পতাকা নামিয়ে তাতে আগুন দেওয়া এবং ভাঙচুর করা জেনেভা কনভেনশনের সুস্পষ্ট লংঘন উল্লেখ করে তাঁরা বলেন ভারতের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির কৌশল হিসেবে বাংলাদেশ নিয়ে ঘৃণার ব্যবহার করলে উভয় দেশের সম্পর্কে দীর্ঘস্থায়ী টানাপড়েন সৃষ্টি হবে। আমরা আশা করব বাংলাদেশের নাগরিকদের গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষার প্রতি ভারতীয়রা শ্রদ্ধাশীল হবেন।

এই আঞ্চলিক উত্তেজনায় দেশবাসীকে সর্বোচ্চ সংযম দেখানোর আহ্বান জানিয়ে তাঁরা বলেন আমাদের দেশ একটি ধর্মীয় সম্প্রীতির দেশ; যেখানে জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে প্রতিটি নাগরিকের অধিকার ও স্বাধীনতা সুরক্ষিত থাকবে।

]]>
https://bgn24.com/?feed=rss2&p=4012 0
ফ্যাসিস্ট নির্মুলে কর্তৃত্ববাদী শাসন ব্যবস্থার পরিবর্তে ক্ষমতার বিকেন্দ্রীভুত-কেন্দ্রীকরণ করার কথা বলেন মুক্তিজোটের সাধারণ সম্পাদক https://bgn24.com/?p=3997 https://bgn24.com/?p=3997#respond Sat, 16 Nov 2024 18:03:25 +0000 https://bgn24.com/?p=3997 ১৬ই আগস্ট ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ তারিখে শাহবাগ চত্তরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী সমন্বয় পরিষদ ও সম্মিলিত বাংলাদেশ নাগরিক সংস্থার আয়োজনে গাজী মোস্তাফিজুর রহমান এর সভাপতিত্বে, ‘আইইটির ভিসির সকল দূর্নীতির তদন্ত ও অপসরন এবং বাংলাদেশে বৈষম্যহীন শিক্ষা সংস্কারের দাবী’তে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভার প্রতি সমর্থন জানিয়ে মুক্তিজোটের সাধারণ সম্পাদক-মোঃ শাহজামাল আমিরুল বলেন কর্তৃত্ববাদী শাসন ব্যবস্থার কারণে কর্তৃত্ববাদ, দুর্নীতিবাজ ও বৈষম্যর উৎপত্তি হয়। তাই আমরা দলীয়ভাবে ৫ই আগস্টের গণঅভ্যূত্থানের পর ১লা সেপ্টেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ তারিখ থেকেই এই সরকারের কাছে দাবী করে আসছি ক্ষমতার ভারসাম্যর জন্য সংবিধানের ৬০ ধারা অনুযায়ী ‘বিকেন্দ্রীভূত-কেন্দ্রীকরণ’ শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার।


তিনি আরও বলেন বাংলাদেশ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ অর্থাৎ গণপ্রজাতন্ত্র অর্থই হল আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা তাই আমরা দলীয় ভাবে বার বার বলছি ১৯৭৩ সালের অধ্যাদেশ অনুযায়ী সিনেটের ভোটের মাধ্যেদিয়ে ভিসি নির্বাচন করতে অথচ সরকার বিগত সরকার গুলোর মতই আইন বহির্ভুতভাবে সকল বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে ভিসি নিয়োগ দিচ্ছেন। অর্থাৎ তার বিশ্ববিদ্যালয় বা তার স্টাফ ও ছাত্রদের প্রতি কোন দায়বদ্ধতা থাকে না। তাই সে কর্তৃত্ববাদী ও দুর্ণীতিবাজ হয়ে ওঠে।


সরকারের প্রতি ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে নিহত ও আহত পরিবারের পূনর্বাসন ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য মানুষের নাগালের মধ্যে রাখার আহ্বান করে মুক্তিজোটের সাধারণ সম্পাদক বলেন বিগত সরকারগুলোও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যে মূল্যর দাম নিয়ন্ত্রণ করতে না পারার কারণে জনগণের রোষানলে পড়েছিল। তাই তিনি সরকারকে সাবধান করে দিয়ে নিত্য পণ্যর দাম নিয়ন্ত্র করতে বলেন।


এছাড়াও তিনি সরকারকে দ্রুত নির্বাচন কমিশনের সংস্কার করে সুষ্ঠ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দিয়ে নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের কথা বলেন তিনি।

]]>
https://bgn24.com/?feed=rss2&p=3997 0
নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনে মুক্তিজোটের ১২ প্রস্তাব https://bgn24.com/?p=3988 https://bgn24.com/?p=3988#respond Mon, 04 Nov 2024 11:00:35 +0000 https://bgn24.com/?p=3988 মুক্তিজোটের সংগঠন প্রধান আবু লায়েস মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহজামাল আমিরুল স্বাক্ষরিত চিঠিতে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন থেকে নির্দিষ্ট কৃত ইমেইলে ১২টি প্রস্তাব পাঠিয়েছেন। ৪ঠা নভেম্বর ২০২৪ খ্রিঃ তারিখে মুক্তিজোটের কার‌্য নির্বাহী কমিটির সদস্য (প্রচার) শরিফ মোঃ বেদুইন হায়দার লিও স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান হয়।

নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনে মুক্তিজোটের ১২ প্রস্তাবঃ

১. নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে বাংলাদেশের সংবিধান-এর ১১৮ নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বিধি কমিশনে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনা করে পাশ করতে হবে।

২. কমিশনে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সমন্বয়ে ‘জাতীয় পরিষদ’ গঠন করে, জাতীয় পরিষদে আলোচনার মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনের বিধি-বিধান সংস্কার করতে হবে।

জাতীয় পরিষদ গঠনঃ কমিশনে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের সমন্বয়ে জাতীয় পরিষদ গঠন করতে হবে। জাতীয় পরিষদের সাধারণ কর্ম নির্বাহের জন্য আহ্বায়ক হিসেবে নির্দিষ্ট থাকবেন পদাধিকার বলে মাননীয় প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং সদস্য হিসেবে অন্যান্য কমিশনারগণ। আর উক্ত জাতীয় পরিষদের প্রধান তথা চূড়ান্ত নির্দেশনাদানকারী কর্তৃত্বে থাকবেন মহামান্য রাষ্ট্রপতি।

৩. নির্বাচন কমিশনের প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতায় নির্বাচনকালীন সময়ে তথা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার সাথে সাথে  “স্বরাষ্ট্র এবং জনপ্রশাসন” মন্ত্রণালয় নির্বাচন কমিশনের অধীনে দেয়ার সুনির্দিষ্ট আইন পাশ করতে হবে। কারণ নির্বাচনকালীন সময়ে নির্বাচন কমিশন মূখ্যতঃ স্বরাষ্ট্র ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় হয়ে সরকারমুখীনতায় ঝুলে থাকে। আমরা দেখেছি বিগত নির্বাচন কমিশন ডিসিদের কাছে সহায়তা চাইছে এবং তা দেওয়ার জন্যও ডিসিরা কথা দিচ্ছেন। এরকম সহায়তার কথা বলছি না। মুক্তিজোট দাবী করছে— স্বরাষ্ট্র ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে সরাসরি নির্বাচন কমিশনের অধীনে আনতে হবে; নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীন ও শক্তিশালী করতে আইন সংশোধন করতে হবে যাতে উক্ত মন্ত্রণালয় অধীভুক্ত সকল কর্মচারী কর্মকর্তা নির্বাচনকালীন সময় নির্বাচন কমিশনের আদেশ নির্দেশ মেনে চলতে বাধ্য থাকে।

৪. যেহেতু নির্বাচন করে নির্বাচন কমিশন তাই জেলা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকেই রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ দিতে হবে।

৫. সকল নির্বাচনে পোলিং এজেন্ট প্রথা বাতিল করতে হবে। বর্তমানে দেশে প্রায় অর্ধশত দল নিবন্ধিত। এছাড়াও অনেকে স্বতন্ত্র নির্বাচন করে যদি একটি কেন্দ্রে ৫০ জন প্রার্থী থাকে এবং তাদের ৫০ জন পোলিং এজেন্ট থাকে তাহলে যেমন বিশৃঙ্খলা হবে তেমন ভোটারদের প্রভাবিত করতে এবং ভোট সেন্টার থেকে ব্যালট বাক্সে জাল ভোট দিতে আর কিছুই লাগে না। তাই এই প্রথা বাতিল করতে হবে।

৬. নূন্যতম একটি আসনে ৩ জন প্রতিদ্বন্দি থাকতে হবে এবং প্রতিটি আসনে ৪০ শতাংশ ভোট কাস্ট হলেই কেবল ভোট বৈধতা পাবে অন্যথায় পুনরায় নির্বাচন দিতে হবে।

৭. প্রবাসীদের ভোটদানের সুযোগ দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে

৮. প্রযুক্তি প্রসঙ্গে জনগণকে সচেতন করে তোলার প্রশ্নে পরীক্ষামূলকভাবে স্থানীয় নির্বাচনে স্বল্প পরিসরে ই-ভোটিং চালুর ব্যবস্থা করা যেতে পারে।

৯. জাতীয় নির্বাচনের সময় ৩ দিন ছুটি প্রদান করতে হবে।

১০. নির্বাচনে প্রতিনিধিত্ব করার জন্য যারা আবেদন করবেন (এমপি, মন্ত্রী, স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধি), তাদের ফার্স্ট ব্লাড (বাবা-মা, স্বামী-স্ত্রী, সন্তান) এর কেউ বাংলাদেশের বাইরে অন্য দেশের নাগরিকত্ব থাকলে উক্ত আবেদন অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে, এ আইন আরপিওতে যুক্ত করতে হবে।

১১. সংখ্যানুপাতিক ব্যবস্থায় নির্বাচন করতে হবে। কোন দল নূন্যতম ১% ভোট পেলে ৩টি আসন পাওয়ার যোগ্য হবে । সংসদীয় আসন ৩৩০ এ উন্নীত করতে হবে, এছাড়াও সংরক্ষিত আসন থাকতে হবে ২০ টি যার ১০ জন নারী প্রতিনিধি, ১ জন ব্যবসায়ী প্রতিনিধি, ২ জন কৃষক প্রতিনিধি, ১ জন শ্রমিক প্রতিনিধি, ১ জন সাংস্কৃতিক কর্মী, ১ জন মানবাধিকার কর্মী, ১ জন ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠির প্রতিনিধি, ১ জন তৃত্বীয় লিঙ্গ, ১ জন গার্মেন্টস কর্মীদের প্রতিনিধি, ১ জন ক্রীড়া প্রতিনিধি ।

১২. নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা রোধে কার্যকরী আইন প্রণয়নঃ নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার পূর্বশর্ত ভোটারদের প্রভাবমুক্ত ভোটদানের পরিবেশ নিশ্চিত করা। ভোটাররা যাতে নির্ভয়ে নিজ নিজ ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন, তার জন্যে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা রোধে কার্যকর আইন প্রণয়ন করতে হবে।

স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের স্বপ্ন বুকে নিয়ে ৫২ থেকে ৭১ হয়ে নুর হোসেন তথা আজকের আবু সাঈদ-মুগ্ধরা মরে না তাঁরা মুক্তির প্রেরণা হয়ে মানুষের মাঝে বেঁচে থাকে। আজকের আধুনিক বাংলাদেশ তাঁদের স্বপ্নেরই বিনির্মাণ হবে এই প্রত্যাশাও করেন তাঁরা।

]]>
https://bgn24.com/?feed=rss2&p=3988 0
মুক্তিজোটের ত্রিশাল উপজেলা কমিটি ঘোষণা https://bgn24.com/?p=3977 https://bgn24.com/?p=3977#respond Sat, 12 Oct 2024 09:49:28 +0000 https://bgn24.com/?p=3977 মুক্তিজোট মোঃ বাদশা দেওয়ানকে আহ্বায়ক করে ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল উপজেলা আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেছে ।

১০ই অক্টোবার ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ তারিখে মুক্তিজোটের কেন্দ্রীয় কার্যানির্বাহী কমিটির সদস্য (দপ্তর) উক্তম কুমার ঘোষ স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে মুক্তিজোটের সভাপতি আবু লায়েস মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহজামাল আমিরুল সহ কার‌্যকরি কমিটির ৭ জন সদস্যর অনুমোদনে এ কমিটি ঘোষণা করা হয়।

চিঠিতে আগামী ১ মাসের মধ্যে পূর্ণ উপজেলা আয়বায়ক কমিটি গঠনেরও নির্দেশ দেওয়া হয়। মুক্তিজোটের ঘোষিত ত্রিশাল উপজেলা আহ্বায়ক মোঃ বাদশা দেওয়ানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি মুক্তিজোটের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের প্রতি তাকে এ দায়িত্ব দেওয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন আমাকে যে দায়িত্ব দেওয়া হল তা যথাযথভাবে পালন করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করব। এমনকি সংগঠনের সকল সাংগঠনিক কাজে অংশ গ্রহনের ইচ্ছাও প্রকাশ করে তিনি ত্রিশাল উপজেলাবসির সুখে-দঃখে পাশে থাকার অঙ্গীকারও করেন ।

]]>
https://bgn24.com/?feed=rss2&p=3977 0