বিজ্ঞানের কথা – Bangla Green News https://bgn24.com সংবাদে নতুনত্বের সূচনায়! Mon, 28 Oct 2024 06:26:57 +0000 en-US hourly 1 https://wordpress.org/?v=6.8.1 ক্যালকুলেটর বলে দেবে আপনি মৃত্যুর কতটা কাছে https://bgn24.com/?p=3980 https://bgn24.com/?p=3980#respond Mon, 28 Oct 2024 06:26:56 +0000 https://bgn24.com/?p=3980 গবেষকরা একটি এআইনিয়ন্ত্রিত ক্যালকুলেটর তৈরি করেছেন যা আপনাকে বলতে পারে আপনি আপনার মৃত্যুর ঠিক কতটা কাছে। ল্যানসেট ডিজিটাল হেলথ-এ প্রকাশিত গবেষণায় প্রকাশ করা হয়েছে যে এআই-চালিত ইলেক্ট্রোকার্ডিওগ্রাম (AI-ECGs) একজন ব্যক্তির ভবিষ্যতের স্বাস্থ্য সমস্যা এবং এমনকি মৃত্যুর ঝুঁকির পূর্বাভাস দিয়ে সাহায্য করতে পারে। কিন্তু সেগুলি এখনও দৈনন্দিন চিকিৎসা পরিষেবায়  ব্যবহার করা হয়নি। বর্তমানে এআই  ক্যালকুলেটরের এই ভবিষ্যদ্বাণী পৃথক রোগীদের জন্য স্পষ্ট কার্যক্রম পরিচালনা করে না। সেইসঙ্গে  জীববিজ্ঞানের সাথে এর কার্যকারিতা সারিবদ্ধ নয়। এই সমস্যাগুলি মোকাবেলা করার জন্য, ল্যানসেট গবেষকরা AI-ECG রিস্ক এস্টিমেটর (AIRE) নামে একটি নতুন টুল তৈরি করেছেন। মৃত্যুর পূর্বাভাস দিয়ে AIRE ভবিষ্যতে হৃদযন্ত্র বিকল হওয়ার ভবিষ্যদ্বাণী করতে পারে। এটি এমন একটি অবস্থা যেখানে হৃৎপিণ্ড পাম্প করা বন্ধ করে দেয়, যার ফলে দশটির মধ্যে প্রায় আটটি ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য সমস্যা এবং প্রাথমিকভাবে রোগীর  মৃত্যু ঘটে। 

গবেষকরা লিখেছেন, ‘আমরা AI-ECG রিস্ক এস্টিমেটর (AIRE) প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে পূর্ববর্তী AI-ECG পদ্ধতির এই সীমাবদ্ধতাগুলি সমাধান করার চেষ্টা করেছি।  যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য সংস্থা ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের অধীনে দুটি হাসপাতাল আগামী বছরের মাঝামাঝি থেকে এই প্রযুক্তি পরীক্ষা করার জন্য প্রস্তুত। তবে বিশেষজ্ঞরা আশা করছেন যে এটি পাঁচ বছরের মধ্যে স্বাস্থ্য পরিষেবা জুড়ে ব্যবহার করা হবে। হাসপাতালে প্রবেশকারী শত শত রোগী শীঘ্রই একটি এআই “ডেথ  ক্যালকুলেটর” থেকে আনুমানিক আয়ুষ্কালের পূর্বাভাস পেতে পারে। এই টুলটি একটি একক ইলেক্ট্রোকার্ডিওগ্রাম (ECG) পরীক্ষা ব্যবহার করে, যা কয়েক মিনিটের মধ্যে হার্টের কার্যকলাপ রেকর্ড করে  লুকানো স্বাস্থ্য সমস্যাগুলি শনাক্ত করতে পারে। AI-ECG   বা AIRE নামে পরিচিত এই প্রোগ্রামটি ৭৮% পর্যন্ত নির্ভুলতার সাথে ECG-এর পর ১০ বছরের মধ্যে মৃত্যুর ঝুঁকি সঠিকভাবে শনাক্ত করতে পারে বলে গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে। 

ল্যানসেট গবেষকরা ১,৮৯,৫৩৯ রোগীর ১.১৬ মিলিয়ন ইসিজি পরীক্ষার ফলাফলের ডেটাসেট ব্যবহার করে প্রযুক্তিটির  প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। তারা দেখেছেন যে, এটি তিন-চতুর্থাংশ (৭৬%) ক্ষেত্রে এবং ভবিষ্যতের এথেরোস্ক্লেরোটিক কার্ডিওভাসকুলার রোগের মতো গুরুতর হৃদযন্ত্রের সমস্যা (যেখানে ধমনী সংকীর্ণ, রক্ত ​​​​প্রবাহকে কঠিন করে তোলে) দশটির মধ্যে সাতটি ক্ষেত্রে শনাক্ত করেছে। চিকিৎসকদের শুধুমাত্র রোগ নির্ণয়ই নয়, ‘এআই  ডেথ  ক্যালকুলেটর’ স্বাস্থ্য ঝুঁকির একটি পরিসরও জানাবে যা চিকিৎসকদের রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, যদি AIRE শনাক্ত করে যে আপনি একটি নির্দিষ্ট হৃদযন্ত্রের ছন্দের সমস্যার উচ্চ ঝুঁকিতে আছেন, তাহলে আপনি এটিকে প্রতিরোধ করতে আরো বেশি সক্রিয় হয়ে উঠবেন।

সূত্র : ইন্ডিয়া টুডে

]]>
https://bgn24.com/?feed=rss2&p=3980 0
“বিজ্ঞানী” জামাল নজরুল ইসলাম, ঝিনাইদহ শহরে জন্মগ্রহণ করেন https://bgn24.com/?p=3678 https://bgn24.com/?p=3678#respond Sat, 24 Feb 2024 10:46:53 +0000 https://bgn24.com/?p=3678 ২০১২ সালের জুনে সুইজারল্যান্ডের লার্জ হ্যাড্রন কোলাইডারে হিগস বোসন কণা আবিষ্কারের সময় সারা পৃথিবীর পদার্থবিজ্ঞানীদের মধ্যে প্রচণ্ড উত্তেজনা চলছিল। সবাই অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন, ১৯৬৪ সালে ব্রিটিশ পদার্থবিজ্ঞানী পিটার হিগস এবং আরও কয়েকজন বিজ্ঞানী যে অনন্য বোসন কণার অস্তিত্বের কথা তাত্ত্বিকভাবে প্রমাণ করেছিলেন, যা পরে হিগস বোসন কণা নামে পরিচিতি পায়, তা বাস্তবে পাওয়া যাবে কি না, তা দেখার জন্য। কিন্তু সে সময় এই উত্তেজনার পাশাপাশি অপবিজ্ঞানীরা আরও একটি উত্তেজনা পৃথিবীব্যাপী ছড়িয়ে দিয়েছিলেন ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং অন্য সব প্রচারমাধ্যমে, যেটা ছিল খুব মারাত্মক। প্রচার করা হচ্ছিল, লার্জ হ্যাড্রন কোলাইডারে কৃত্রিমভাবে বিগ ব্যাং সংঘটনের কাজ চলছে, যার ফলে পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাবে। এ রকম পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাওয়ার কাল্পনিক ঘটনাকে বিজ্ঞানের মোড়ক

দিয়ে অনেক গল্প-উপন্যাস লেখা হয়েছে। সিনেমাও তৈরি হয়েছে অনেক। অনেক মানুষ বিজ্ঞান ও কল্পনার মাঝখানের সীমানা বুঝতে না পেরে এসব কাল্পনিক কাহিনি বিশ্বাস করে ফেলেন। ২০১২ সালে এ রকম অনেকের ভেতর একটা ভয় ও উৎকণ্ঠা তৈরি হয়ে গেল, পৃথিবী কি ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে? বাংলাদেশের গণমাধ্যমেও পৃথিবী ধ্বংসের এই তত্ত্ব প্রচারিত হচ্ছিল। তখন বাংলাদেশের বিজ্ঞানীদের মধ্যে অনেকেই এগিয়ে এলেন মানুষকে আশ্বস্ত করার জন্য। বাংলাদেশের মানুষ যাঁর কথায় সবচেয়ে বেশি আশ্বস্ত হলেন, তিনি ছিলেন প্রফেসর জামাল নজরুল ইসলাম। এর আগেও অনেকবার এ রকম হয়েছে।

১৯৮৮ সালে হঠাৎ বাংলাদেশে গুজব ছড়িয়ে পড়ল, ঢোলকলমিগাছের পাতা ছুঁলেই নাকি মানুষ মারা যাচ্ছে। গুজবের ডালপালা গজাতে শুরু করল। অনেকে বলতে লাগলেন, পাতা নয়, পাতায় যেসব পোকা হয়, সেসব পোকা মানুষের গায়ে বসলেই মানুষ মারা যাচ্ছে। তখনো বাংলাদেশে ডিজিটাল যুগ শুরু হয়নি। মানুষ খবরের কাগজ পড়ে এবং রেডিও-টেলিভিশন থেকে খবর সংগ্রহ করত। অনেক সংবাদপত্রেও প্রকাশিত হতে লাগল, দেশের কোথায় কতজন মারা গেছে ঢোলকলমির সংক্রমণে। হুজুগে মানুষ এসব আরও ফুলিয়ে–ফাঁপিয়ে প্রচার করে। লোকে দূর থেকে কেরোসিন ছিটিয়ে, বাঁশের আগায় করে আগুন দিয়ে ঢোলকলমিগাছ পোড়াতে শুরু করল। এর মধ্যেই একদিন টেলিভিশনে সরাসরি অনুষ্ঠানে গিয়ে প্রফেসর জামাল নজরুল ইসলাম নিজের হাতে ঢোলকলমিগাছের পাতা মেখে, পাতার পোকা নিজের হাতে ধরে দেখালেন, এসবে মানুষের কোনোক্ষতি হয় না। গুজব থেমে গেল। অপবিজ্ঞানের সামনে বিজ্ঞানের সরাসরি প্রয়োগ, সাধারণ মানুষের বোধগম্য আকারে প্রকাশ যে কত কার্যকর, তা প্রফেসর জামাল নজরুল ইসলাম অনেকবারই দেখিয়েছেন।

এ ব্যাপারে পৃথিবী বিখ্যাত আরেক পদার্থবিজ্ঞানীর সঙ্গে জামাল নজরুল ইসলাম স্যারের খুব মিল আছে। তিনি ছিলেন রিচার্ড ফাইনম্যান। কাছাকাছি সময়েই রিচার্ড ফাইনম্যান যুক্তরাষ্ট্রের জনগণের সামনে উন্মোচন করেছিলেন ১৯৮৬ সালের নভোযান চ্যালেঞ্জারের বিস্ফোরণের প্রধান বৈজ্ঞানিক কারণ। ফাইনম্যান সরাসরি প্রচারিত টেলিভিশন ক্যামেরার সামনে এক গ্লাস বরফের ভেতর এক টুকরা রাবার রেখে দেখিয়েছিলেন, তীব্র ঠান্ডায় কীভাবে রাবারের স্থিতিস্থাপকতা নষ্ট হয়ে যায়, যার ফলে চ্যালেঞ্জারের রিংয়ের রাবার ঠিকমতো কাজ করেনি। মজার ব্যাপার হচ্ছে, মার্কিন প্রফেসর রিচার্ড ফাইনম্যান এবং বাংলাদেশের প্রফেসর জামাল নজরুল ইসলাম সহকর্মী ও বন্ধু ছিলেন। ক্যালটেকে তাঁরা একই ডিপার্টমেন্টে কাজ করতেন, থাকতেনও কাছাকাছি বাসায়। ফাইনম্যান জামাল স্যারের বাসার বাঙালি রান্না খেয়ে খুব আনন্দ পেয়েছিলেন। বিশেষ করে বাঙালি পদ্ধতিতে রান্না করা মাছের তরকারি।

পৃথিবীর প্রথম সারির পদার্থবিজ্ঞানীদের একজন ছিলেন আমাদের জামাল স্যার। কেমব্রিজ, ক্যালটেকের মতো পৃথিবীর বিখ্যাত সব প্রতিষ্ঠানে কাজ করার পরও যিনি বাংলাদেশে চলে এসেছিলেন মাটির টানে, বাংলার সংস্কৃতির টানে। ১৯৮৪ থেকে ২০১৩ সালে মৃত্যুর আগপর্যন্ত তিনি বাংলাদেশের বিজ্ঞান, প্রকৌশল, অর্থনীতিসহ প্রায় সব বিষয়েই যেমন গভীর বৈজ্ঞানিক গবেষণার প্রমাণ রেখেছেন, তেমনি সরাসরি জড়িয়ে ছিলেন সংগীতসহ শিল্পকলার অন্য অনেক শাখার সঙ্গে। তিনি খুব ভালো পিয়ানো বাজাতেন, আইনস্টাইনের মতো বেহালা বাজাতেন, সত্যেন বসুর মতোএসরাজ বাজাতেন। চমৎকার গান করতেন। চট্টগ্রাম শিল্পকলা একাডেমিতে জামাল স্যারের সংগীতানুষ্ঠানও হয়েছে। আর বিজ্ঞান! জামাল স্যারের হাতে গড়ে উঠেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক গণিত ও ভৌতবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট।জামাল স্যারের জন্ম ১৯৩৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের ঝিনাইদহে। তাঁর বাবা খান বাহাদুর সিরাজুল ইসলাম ছিলেন ব্রিটিশ ইন্ডিয়ার সাব–জজ। বাবার কর্মসূত্রে তাঁর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পড়াশোনা হয়েছে কলকাতায়। সেখান থেকে চট্টগ্রামে আসার পর কলেজিয়েট স্কুলে পড়াশোনা করেছেন নবম শ্রেণি পর্যন্ত। তারপর চলে গেলেন পশ্চিম পাকিস্তানের মারির লরেন্স কলেজে। সেখান থেকে পাস করলেন সিনিয়র কেমব্রিজ (যা এখন ও লেভেল নামে পরিচিত) এবং হায়ার সিনিয়র কেমব্রিজ (এ লেভেল) পরীক্ষা। তারপর চলে গেলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে। সেখান থেকে বিএসসি পাস করলেন। তারপর সোজা ইংল্যান্ডের কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে। ১৯৫৯ সালে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণিত ও তত্ত্বীয় পদার্থবিজ্ঞানে অনার্সসহ বিএসসি পাস করলেন, পরের বছর এমএসসি। কেমব্রিজের ট্রিনিটি কলেজ থেকে পিএইচডি সম্পন্ন করে তিনি যোগ দিলেন সেখানকার ইনস্টিটিউট অব থিওরিটিক্যাল অ্যাস্ট্রোনমিতে। ১৯৭১ সাল পর্যন্ত তিনি সেখানেই ছিলেন। এ সময় তাঁর গবেষণার বন্ধু ছিলেন স্টিফেন হকিং। এরপর যোগ দিলেন আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি ক্যালটেকে। রিচার্ড ফাইনম্যানের সঙ্গে বন্ধুত্ব সেখান থেকেই। ক্যালটেকের পর তিনি কাজ করেছেন ইউনিভার্সিটি অব ওয়াশিংটনে। ১৯৭৩ সালে ফিরে এলেন লন্ডনে। যোগ দিলেন কিংস কলেজে। নোবেল বিজয়ী পদার্থবিজ্ঞানী আবদুস সালাম খুব ভালোবাসতেন জামাল স্যারকে। আবদুস সালামের প্রতিষ্ঠিত ইতালির ইন্টারন্যাশনালথিওরিটিক্যাল ফিজিকস সেন্টারের ফেলো ছিলেন জামাল স্যার। ১৯৭৮ থেকে ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত জামাল স্যার ছিলেন লন্ডনের সিটি ইউনিভার্সিটিতে। ১৯৮৪ সালে বাংলাদেশে একেবারে ফিরে এলেন। যোগ দিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগে। ১৯৮৭ সালে তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে গড়ে তুললেন আন্তর্জাতিক গণিত ও ভৌতবিজ্ঞান গবেষণাকেন্দ্র। প্রফেসর আবদুস সালাম এই গবেষণাকেন্দ্রের উদ্বোধনী সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে এসেছিলেন। ২০০৪ সাল পর্যন্ত এই গবেষণাকেন্দ্রের পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেছেন জামাল স্যার। এরপর ২০০৬ পর্যন্ত তিনি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের অধ্যাপক হিসেবে কাজ করে অবসর গ্রহণ করেন। অবসরের পরও তিনি ইমেরিটাস অধ্যাপক হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে। বাংলাদেশে দীর্ঘ কর্মজীবনে তিনি পেয়েছেন এ দেশের মানুষের অকুণ্ঠ ভালোবাসা। পেয়েছেন বাংলাদেশ একাডেমি অব সায়েন্সেসের স্বর্ণপদক, রাষ্ট্রীয় একুশে পদক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পুরস্কার ইত্যাদি। কিন্তু সত্যিকারের বিজ্ঞানীদের জন্য সবচেয়ে বড় পুরস্কার হলো তাঁদের আবিষ্কৃত জ্ঞানের প্রয়োগে নতুন জ্ঞানের সৃষ্টি। সে হিসেবে জামাল স্যারের সবচেয়ে বড় অর্জন হলো কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রকাশিত তাঁর তিনটি মৌলিক বই দ্য আলটিমেট ফেট অব দ্য ইউনিভার্স, রোটেটিং ফিল্ডস ইন জেনারেল রিলেটিভিটি ও অ্যান ইন্ট্রোডাকশন টু ম্যাথমেটিক্যাল কসমোলজি; যেগুলো মহাবিশ্বের প্রতি বিজ্ঞানীদের দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে সাহায্য করেছে। সারা বিশ্বের কসমোলজির শিক্ষার্থীদের জন্য এসব বই অবশ্যপাঠ্য। ১৯৭৭ সালে রয়্যাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটির কোয়ার্টারলি জার্নালে একটিছোট্ট টেকনিক্যাল পেপার ‘পসিবল আলটিমেট ফেট অব দ্য ইউনিভার্স’ প্রকাশ করেছিলেন জামাল নজরুল ইসলাম। এরপর নোবেলজয়ী পদার্থবিজ্ঞানী স্টিভেন ওয়েইনবার্গ, ফ্রিম্যান ডাইসন, স্টিফেন হকিং, জয়ন্ত নারলিকার প্রমুখ বিজ্ঞানী জামাল স্যারকে অনুরোধ করেন এই টেকনিক্যাল পেপারের একটি জনপ্রিয় ভার্সন রচনা করতে; যা সাধারণ পাঠকের বোধগম্য হবে। এর আগে এ রকম বিষয়ে হাতে গোনা কয়েকটি মাত্র বই প্রকাশিত হয়েছে। স্টিভেন ওয়েইনবার্গের ফার্স্ট থ্রি মিনিটস প্রকাশিত হয়েছে মাত্র এক বছর আগে। জামাল স্যার সবার অনুরোধে রচনা করলেন দ্য আলটিমেট ফেট অব দ্য ইউনিভার্স। ১৯৮৩ সালে কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি প্রেস থেকে এই বই প্রকাশিত হওয়ার পর মহাবিশ্বের ভবিষ্যৎ পরিণতি নিয়ে বিজ্ঞানীদের মধ্যে তো বটেই, সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যেও ব্যাপক আগ্রহ তৈরি হয়। পরে জামাল স্যারকে অনুসরণ করে এ রকম বই আরও অনেকেই লিখেছেন। ১৯৮৮ সালে প্রকাশিত স্টিফেন হকিংয়ের আলোড়ন সৃষ্টিকারী বই আ ব্রিফ হিস্ট্রি অব টাইম-এর আইডিয়া জামাল স্যারের দ্য আলটিমেট ফেট অব দ্য ইউনিভার্স থেকে উৎসৃত। বিখ্যাত পদার্থবিজ্ঞানী পল ডেভিস ১৯৯৪ সালে প্রকাশ করলেন তাঁর জনপ্রিয় বই দ্য লাস্ট থ্রি মিনিটস, যা জামাল স্যারের বইটির পরের অধ্যায় বলা চলে। পল ডেভিস তাঁর বইয়ের সাবটাইটেলে উল্লেখকরেছেন, ‘কনজেকসার্স অ্যাবাউট দ্য আলটিমেট ফেট অব দ্য ইউনিভার্স’।আইনস্টাইনের জেনারেল থিওরি অব রিলেটিভিটিতে রোটেটিং ফিল্ড বা ঘূর্ণমান ক্ষেত্রের গাণিতিক ভিত্তি তৈরি করে দিয়েছেন জামাল স্যার। তাঁর গবেষণাপত্রের ভিত্তিতে তিনি রচনা করেছেন আরেকটি মাইলফলক বই রোটেটিং ফিল্ডস ইন জেনারেল রিলেটিভিটি। ১৯৮৫ সালে কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি প্রেস থেকে প্রকাশিত এই বই মূলত গবেষক এবং শিক্ষার্থী–গবেষকদের জন্য লেখা। এই গাণিতিক ভিত্তি প্রয়োগ করেই পরবর্তীকালে স্টিফেন হকিং ব্ল্যাকহোলের ‘হকিং রেডিয়েশন’-এর আলো দেখতে পেয়েছেন। বিজ্ঞান মানুষের কৌতূহল মেটায়, হয়তো বিজ্ঞানের প্রতি কিছুটা আগ্রহও তৈরি করে। কিন্তু সত্যিকারের বিজ্ঞানশিক্ষার জন্য দরকার বিজ্ঞানের মৌলিক গ্রন্থ। জামাল স্যারের দ্য আলটিমেট ফেট অব দ্য ইউনিভার্স-এ মহাবিশ্বের মহাবিস্ময় ব্যাখ্যা করা হয়েছে গণিত ব্যবহার না করে। কিন্তু পদার্থবিজ্ঞানের মূল ভাষা হলো গণিত। মহাবিশ্বের উৎস, গঠন, বিবর্তন এবং পরিণতির গণিত বুঝতে হলে একটা নির্ভরযোগ্য বইয়ের দরকার ছিল। সেই দরকার মিটিয়েছেন জামাল স্যার। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বসে তিনি রচনা করেছেন অ্যান ইন্ট্রোডাকশন টু ম্যাথমেটিক্যাল কসমোলজি। ১৯৯২ সালে কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি প্রেস থেকে প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে পৃথিবীর সব সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের কসমোলজির শিক্ষার্থীদের জন্য এই বই প্রধান বইয়ে পরিণত হয়েছে। ২০০১ সালে এই বইয়ের দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছে। ২০০৪ সালে প্রকাশিত হয়েছে এর অনলাইন সংস্করণ। জামাল স্যার বাংলা ভাষায় রচনা করেছেন কৃষ্ণ বিবর। ১৯৮৫ সালে বাংলা একাডেমি থেকে প্রকাশিত বইটি ব্ল্যাকহোলের ওপর বাংলায় লেখা অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য। সেই বইয়ের শুরুর দিকে জামাল স্যার লিখেছেন, অনাগত ভবিষ্যতে বিশ্বের কী অবস্থা হবে এবং কী ঘটনা ঘটবে, এসব প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার ব্যাপারে কৃষ্ণ বিবর-এর একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। এই ভূমিকার ব্যাপারটা তো আমরা সবাই দেখেছি। ব্ল্যাকহোল এখন আবিষ্কৃত হয়েছে, এর তত্ত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এদের পেছনে যে বিজ্ঞানীদের অবদান, তাঁদের কেউ কেউ নোবেল পুরস্কারও পেয়েছেন। শুরুর দিকেএই বৈজ্ঞানিক ভিত্তি যাঁরা তৈরি করে দিয়েছেন, আমাদের জামাল স্যার তাঁদেরই একজন। আমাদের খুব কাছের, একেবারে নিজেদের বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক বলেই হয়তো আমরা জামাল স্যারের মেধা পুরোপুরি গ্রহণ করতে পারিনি। যে আন্তর্জাতিক মানের গবেষণাকেন্দ্র তিনি নিজের হাতে তৈরি করেছিলেন, সেই গবেষণাকেন্দ্রে আমরা সে রকম আন্তর্জাতিক মানের ফসল ফলাতে পারিনি। অবসর গ্রহণের পরও জামাল স্যার আমাদের মধ্যে ছিলেন। তিনি দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির ব্যাপারে অনেক গবেষণা করেছেন অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিষয়েও। সম্ভবত জামাল স্যারই বাংলাদেশের একমাত্র বিজ্ঞানী, যিনি সরাসরি দৃঢ়ভাবে বলেছেন, ‘আমাদের দেশে বিদেশি সাহায্যের কোনো দরকার নেই। বিদেশি সাহায্য বন্ধ হলেই আমরা নিজেদের পায়ে দাঁড়াতে শিখব, বাধ্য হয়েই শিখব।’ জামাল স্যারের এ কথায় নীতিনির্ধারকদের কেউই কোনো গুরুত্ব দেননি সে সময়। ২০১৩ সালের ১৬ মার্চ জামাল স্যারের জীবনাবসান হয়। কিন্তু তিনি বেঁচে আছেন তাঁর সৃষ্ট জ্ঞানের মধ্যে, তাঁর গবেষণা ও গবেষণাকেন্দ্রের মধ্যে। তাঁর স্মরণে তাঁর প্রতিষ্ঠিত গবেষণাকেন্দ্রের নাম দেওয়া হয়েছে ‘জামাল নজরুল ইসলাম গণিত ও ভৌতবিজ্ঞান গবেষণাকেন্দ্র’। জামাল স্যারের বৈজ্ঞানিক উত্তরাধিকার বহন করতে হলে যথাযথ যোগ্যতা অর্জন করতে হবে আমাদের।

(প্রদীপ দেব)

লেখক: শিক্ষক ও গবেষক, আরএমআইটি, মেলবোর্ন, অস্ট্রেলিয়া

সূত্র: কৃষ্ণ বিবর, আলটিমেট ফেট অব দ্য ইউনিভার্স, রোটেটিং ফিল্ডস ইন জেনারেল রিলেটিভিটি, অ্যান ইন্ট্রোডাকশন টু ম্যাথমেটিক্যাল কসমোলজি—জামাল নজরুল ইসলাম। দ্য লাস্ট থ্রি মিনিটস—পল ডেভিস।

]]>
https://bgn24.com/?feed=rss2&p=3678 0
‘ডেভিল ধূমকেতু’ এভারেস্টের চেয়েও বড় https://bgn24.com/?p=3582 https://bgn24.com/?p=3582#respond Tue, 12 Dec 2023 09:19:36 +0000 https://bgn24.com/?p=3582 পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু পর্বতশৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্টের চেয়েও বড় একটি ধূমকেতু। বিজ্ঞানীরা বলেছেন, এটি মাউন্ট এভারেস্টের চেয়ে তিন গুণ বড়।

দেখে মনে হয় এটির ‘শিং’ আছে। আর এ জন্য এটিকে বলা হচ্ছে ‘ডেভিল ধূমকেতু’। সম্প্রতি রহস্যময় সেই ধূমকেতুটি চতুর্থবারের মতো বিস্ফোরিত হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের বরাত দিয়ে আর্থ ডট কমের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। এতে বলা হয়েছে, এটিই এখন পর্যন্ত ধূমকেতুটির সবচেয়ে বড় বিস্ফোরণ হতে পারে।

প্রথম দুই দফার বিস্ফোরণের পর এটির নাম দেয়া হয়েছিল ‘ডেভিল ধূমকেতু’। এদিকে, সবশেষ বিস্ফোরণের পর ধূমকেতুটি হঠাৎ করে আগের চেয়ে অন্তত ১০০ গুণ বেশি উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, ‘১২পি’ নামে পরিচিত এই বিশাল ধূমকেতুটি পৃথিবীর কাছাকাছি আসার সঙ্গে সঙ্গে টেলিস্কোপ ছাড়াই দৃশ্যমান হতে পারে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক পোস্টের তথ্যানুসারে, গত ৫ এবং ৭ অক্টোবর ‘ডেভিল ধূমকেতু’ বিস্ফোরিত হয়।

ফলে এটির অতিরিক্ত কিছু ফুটেজ পান জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। যেখানে দেখা যায়, ধূমকেতুটি থেকে দুটি ‘শিং’ উদ্ভূত হচ্ছে। ধূমকেতুটিকে ‘ক্রায়োভোলক্যানিক’ বলা হচ্ছে, যার অর্থ ঠান্ডা আগ্নেয়গিরি।

এটি প্রায় ৩০ কিলোমিটার প্রশস্ত। কিছু বিশেষজ্ঞ রসিকতা করে বলেছেন, অদ্ভুত আকৃতির হওয়ায় ডেভিল ধূমকেতুকে বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীর মহাকাশযানের মতো দেখায়, যেমন ‘স্টার ওয়ারস’র মিলেনিয়াম ফ্যালকন। পৃথিবীর সঙ্গে বিশাল এই ধূমকেতুর সংঘর্ষ হতে পারে কি না, তা নিয়েও শঙ্কা প্রকাশ করেছেন অনেকে।

তবে সেই শঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে বিজ্ঞানীরা বলছেন, ২০২৪ সাল পর্যন্ত পৃথিবীর খুব কাছে আসবে না ‘ডেভিল ধূমকেতু’। কাছে আসলে এটি টেলিস্কোপ ছাড়াই দেখা যাবে।

]]>
https://bgn24.com/?feed=rss2&p=3582 0
গুগলকে চ্যালেঞ্জ জানাতে নয়া হাতিয়ার মাস্কের https://bgn24.com/?p=3395 https://bgn24.com/?p=3395#respond Sun, 19 Feb 2023 07:18:20 +0000 https://bgn24.com/?p=3395 কৃত্রিম মেধার দুনিয়ায় জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে ইলন মাস্ক স্থাপিত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সংক্রান্ত গবেষণা সংস্থা ‘ওপেনএআই’। কৃত্রিম মেধা দিয়ে তারা তৈরি করে ফেলেছে এক আশ্চর্য সফ্টওয়্যার, নাম চ্যাটজিপিটি।

চ্যাটজিপিটিকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন রোবটও বলা যায়। কয়েক সেকেন্ডে হাজার হাজার শব্দ লিখে ফেলা কিংবা নিমেষে জটিল কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া- চ্যাটজিপিটির কাছে সবটাই যেন অতিসামান্য।

চ্যাটজিপিটি মূলত শিক্ষামূলক কথোপকথন ভিত্তিক প্রযুক্তি। ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে এর প্রকাশ ঘটে। আর তার পর থেকেই চমকের পালা। কৃত্রিম মেধাসম্পন্ন এই প্রযুক্তি চলে এসেছে মানুষের হাতের মুঠোয়। তাকে ইচ্ছামতো কাজে লাগানো যাচ্ছে।

প্রকাশের প্রায় সাথে সাথেই চ্যাটজিপিটির জনপ্রিয়তা আকাশ ছুঁয়ে ফেলে। মাত্র ৫ দিনের মধ্যে এই প্রযুক্তির ব্যবহারকারীর সংখ্যা পৌঁছে গিয়েছিল ১০ লাখে। ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসের মধ্যে ১০ কোটির বেশি মানুষ চ্যাটজিপিটির আস্বাদ নিয়ে ফেলেছেন। ব্যবহারকারীর সংখ্যা উত্তরোত্তর বেড়েই চলেছে।

চ্যাটজিপিটির প্রযুক্তিকে আরো উন্নত করে তুলতে ‘ওপেনএআই’-এর সাথে হাত মিলিয়েছে মাইক্রোসফ্‌ট। এই প্রযুক্তি আগামী দিনে গুগলকে টেক্কা দিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। দাবি, গুগলে যে প্রশ্নের উত্তর জানতে চান মানুষ, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন চ্যাটজিপিটি সে উত্তর দেয় আরো বেশি যত্ন নিয়ে।

চ্যাটজিপিটিকে যেকোনো ধরনের প্রশ্ন করা যাবে। সাথে সাথেই সে সব প্রশ্নের জবাব বলে দেবে কৃত্রিম মেধার এই সফ্‌টওয়ার। মৌলিক কবিতা, নাটক কিংবা পরীক্ষার খাতায় প্রয়োজনীয় আস্ত রচনাও লিখে দেবে চ্যাটজিপিটি। যে কারণে এটি পড়ুয়াদের কাছে জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।

শুধু প্রশ্নোত্তর নয়, চ্যাটজিপিটিতে আক্ষরিক অর্থেই ‘চ্যাট’ করতে পারেন মানুষ। রোবটের সাথে দিব্যি গল্প জুড়ে দেয়া যায়। কৃত্রিম মেধার সাহায্যে স্বতন্ত্রভাবে প্রশ্নকারীর সাথে কথোপকথন গড়ে তোলে চ্যাটজিপিটি।

সূত্র : আনন্দবাজার

]]>
https://bgn24.com/?feed=rss2&p=3395 0
হারানো বিজ্ঞপ্তি,বাকপ্রতিবন্ধী বাদপুকুরিয়ার বছির উদ্দিন https://bgn24.com/?p=2314 https://bgn24.com/?p=2314#respond Sun, 17 Jul 2022 04:55:03 +0000 https://bgn24.com/?p=2314 হারানো বিজ্ঞপ্তি
গত শুক্রবার (১৫ জুলাই) দুপুর ১ টার দিকে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ৩ নং সাগান্না ইউনিয়নের বাদপুকুরিয়া পূর্ব পাড়া গ্রামের কাজী সাদিক মিয়ার বাকপ্রতিবন্ধী মেজো ছেলে কাজী বছির উদ্দিন (৩৫) নামের একজন ব্যক্তি হারিয়ে গেছে। তার গায়ের রং ফর্সা, উচ্চতা ৫” ২” মুখে চাপ দাঁড়ি,
গায়ে সাদা ডুরাকাটা শার্ট, পর্ণে লালচে কালারের লুঙ্গি আছে।

তিনি গত শুক্রবার দুপুরে তার নিজ বাড়ি থেকে ঝিনাইদহ শৈলকূপা উপজেলার পোড়াহাটি চরপাড়া গ্রামের গোলাম রসুল এর ছেলে নায়েব আলী তার (বাকপ্রতিবন্ধী বছির) ভাইরা ভাই এর বাড়ির উদ্দেশ্য রওনা হয়। গতকাল শনিবার সকাল ১১ টার দিকে ভাইরা ভাই এর বাড়ি থেকে নিজের বাড়ির উদ্দেশ্য বের হলেও বাকপ্রতিবন্ধী বছির উদ্দিন ফিরে আসেনি তার নিজ বাদপুকুরিয়া গ্রামে। তাকে এ পর্যন্ত অনেক খোঁজাখুঁজির পরও কোন সন্ধান পাওয়া যায় নি। সুতরাং যদি কোন সহৃদয়বান ব্যক্তি এই বাকপ্রতিবন্ধী বছির উদ্দিনের খোঁজ পান তাহলে যোগাযোগ করুন এই নাম্বারে বড় ভাই ডাক্তার শামসুল- ০১৯২০-৬৩৬৩১৭
সেজো ভাই নাসির উদ্দীন- ০১৯০৯-৬৭৩৮০৭
সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম-০১৯২৫-২২৫৬৯১

]]>
https://bgn24.com/?feed=rss2&p=2314 0
দেশর সকল পুলিশ বাহিনীসহ তাদের পরিবারদেরকে ও সকল শ্রেণির মানুষেদের জানাই ঈদের আগাম শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন https://bgn24.com/?p=2121 https://bgn24.com/?p=2121#respond Tue, 05 Jul 2022 09:14:06 +0000 https://bgn24.com/?p=2121 ঈদ মানে খুশি ঈদ মানে আনন্দ। তাই সকল ভেদাভেদ ভুলে ধনী গরীব কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে উপভোগ করি ঈদ আনন্দ। পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে দেশর সকল পুলিশ বাহিনীসহ তাদের পরিবারদেরকে ও সকল শ্রেণির মানুষেদের জানাই ঈদের আগাম শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
”’শুভেচ্ছান্তে””

এস,আই মোখলেছুর রহমান।
অভয়নগর থানা। 
পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র, যশোর।

]]>
https://bgn24.com/?feed=rss2&p=2121 0
ঝিনাইদহ সদর উপজেলাবাসীকে জানাই ঈদের আগাম শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন https://bgn24.com/?p=2113 https://bgn24.com/?p=2113#respond Tue, 05 Jul 2022 06:58:21 +0000 https://bgn24.com/?p=2113 সকল ভেদাভেদ ভুলে ধনী গরীব কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে উপভোগ করি ঈদ আনন্দ। পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে সাধুহাটি ইউনিয়ন ও ডাকবাংলা বাজারের সকল ব্যবসায়ীবৃন্দ ও ঝিনাইদহ সদর উপজেলাবাসীকে জানাই ঈদের আগাম শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
শুভেচ্ছান্তে
রাজিব শেখ 
সাবেক সাধারণ সম্পাদক 
ডাকবাংলা বাজার দোকান মালিক সমিতি
ঝিনাইদহ সদর ঝিনাইদহ। 
]]>
https://bgn24.com/?feed=rss2&p=2113 0
পবিত্র ঈদুল আজহার আগাম শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। https://bgn24.com/?p=2106 https://bgn24.com/?p=2106#respond Tue, 05 Jul 2022 06:50:37 +0000 https://bgn24.com/?p=2106 সকল ভেদাভেদ ভুলে ধনী গরীব কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে উপভোগ করি ঈদ আনন্দ। পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে সাধুহাটি ইউনিয়ন ও ডাকবাংলা বাজারের সকল ব্যবসায়ীবৃন্দসহ ঝিনাইদহ সদর উপজেলাবাসীকে জানাই ঈদের আগাম শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
শুভেচ্ছান্তে
মেসার্স সায়িম  ট্রেডার্স। 
প্রোঃ হাফিজুর রহমান।
ডাকবাংলা বাজার।
ঝিনাইদহ সদর ঝিনাইদহ। 
]]>
https://bgn24.com/?feed=rss2&p=2106 0
মানবদেহে বসানো হলো শূকরের হৃৎপিণ্ড! https://bgn24.com/?p=1783 https://bgn24.com/?p=1783#respond Tue, 11 Jan 2022 07:08:45 +0000 https://bgn24.com/?p=1783 ইতিহাসে প্রথমবারের মতো মানবদেহে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে শূকরের হৃৎপিণ্ড। এ প্রক্রিয়ার ফলে বিশ্বজুড়ে অঙ্গদানের ক্ষেত্রে যে সমস্যার মুখে পড়তে হয়, তা থেকে মুক্তি মিলতে পারে বলে আশা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

সোমবার যুক্তরাষ্ট্রর বাল্টিমোরের ইউনিভার্সিটি অব মেরিল্যান্ড মেডিকেল স্কুলের বিবৃতির বরাত দিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান জানায়, গত শুক্রবার ৫৭ বছরের এক ব্যক্তির দেহে শূকরের হৃৎপিণ্ড প্রতিস্থাপন করা হয়েছে, যা জিনগত দিক থেকে পরিবর্তন করা হয়েছিল। আপাতত ওই রোগী সুস্থ হয়ে উঠছেন এবং তার শরীরের অঙ্গ কীভাবে কাজ করে, সেদিকে সার্বক্ষণিক নজরদারি রাখা হয়েছে।

চিকিৎসকদের দাবি, প্রাণীদের থেকে মানবদেহে অঙ্গ প্রতিস্থাপনের ক্ষেত্রে মাইলফলক হতে চলেছে এ ঘটনা।

অস্ত্রোপচারকারী চিকিৎসক বার্টলে গ্রিফিথ বলেন, এটি একটি যুগান্তকারী অস্ত্রোপচার ছিল। অঙ্গের অভাব যে রয়েছে, সেই সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে আমাদের আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে গেছে এ ঘটনা।

তিনি বলেন, আমরা সতর্কভাবে কাজ করেছি। তবে আমরা আশাবাদী যে বিশ্বের এ ধরনের প্রথম অস্ত্রোপচারের ফলে ভবিষ্যতে রোগীদের সামনে নয়া দিগন্ত উন্মোচিত হবে।

কেন মানুষের হৃৎপিণ্ড প্রতিস্থাপন করা হলো না জানতে চাইলে ইউনিভার্সিটি অফ মেরিল্যান্ড মেডিকেল স্কুলের তরফে জানানো হয়েছে— ডেভিড বেনেট (৫৭) নামে এক ব্যক্তি গত কয়েক মাস ধরে শয্যাশায়ী হয়ে পড়েছিলেন। একটি যন্ত্রের মাধ্যমে চলছিল তার হৃৎপিণ্ড। তার শরীরের যা অবস্থা ছিল, তাতে মানবদেহের হৃৎপিণ্ডের ধকল সইতে পারতেন না। সাধারণ অঙ্গগ্রহীতার শারীরিক অবস্থা যদি অত্যন্ত খারাপ হয়, তা হলে এ রকম পরিস্থিতির মুখে পড়তে হয়।

অঙ্গ প্রতিস্থাপনের আগে ডেভিড বলেছিলেন, বিষয়টি এ রকম ছিল যে মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়তে হবে অথবা এই প্রতিস্থাপন করতে হবে। আমি বাঁচতে চাই। আমি জানি, এটি অন্ধকারে তীর ছোড়ার মতো বিষয় ছিল। এই অঙ্গ প্রতিস্থাপনই ছিল আমার শেষ বিকল্প।

তিনি আরও বলেন, আমি সুস্থ হওয়ার পর বিছানা থেকে উঠে দাঁড়াতে উন্মুখ হয়ে আছি।

]]>
https://bgn24.com/?feed=rss2&p=1783 0
তরমুজ থেকে গুড় উৎপাদন!! https://bgn24.com/?p=1619 https://bgn24.com/?p=1619#respond Sat, 16 Oct 2021 04:24:03 +0000 https://bgn24.com/?p=1619
তরমুজ থেকে গুড় উৎপাদনে কৃষক মৃত্যুঞ্জয়ের সাফল্য
কয়েক বছর ধরেই ক্ষেতের অবিক্রিত তরমুজ নিয়ে চিন্তায় ছিলেন খুলনার তরুণ কৃষক মৃত্যুঞ্জয় মণ্ডল। বিক্রয়ের অযোগ্য় বলে নষ্ট হয়ে যাওয়া তরমুজগুলোকে কীভাবে কাজে লাগানো যায় – সেটাই ছিল তার চিন্তার বিষয়। সেই চিন্তা থেকেই এবছর বাতিল তরমুজ দিয়ে গুড় উৎপাদনের চেষ্টা করে সফল হন তিনি।
সাধারণ কৃষকের জন্য লাভজনক এই উদ্ভাবনটির তিনি নাম দিয়েছেন ‘তোগুড়’।
আজকের ইনসাইড বাংলাদেশে থাকছে তরুণ কৃষক মৃত্যুঞ্জয়ের এই উদ্ভাবনের গল্প।
]]>
https://bgn24.com/?feed=rss2&p=1619 0