কৃষি ও কৃষক – Bangla Green News https://bgn24.com সংবাদে নতুনত্বের সূচনায়! Mon, 23 Sep 2024 10:09:19 +0000 en-US hourly 1 https://wordpress.org/?v=6.8.1 লালশাক-সবজিতে মাত্রারিক্ত রাসায়নিক, ফলে কীটনাশক https://bgn24.com/?p=3955 https://bgn24.com/?p=3955#respond Mon, 23 Sep 2024 10:09:18 +0000 https://bgn24.com/?p=3955 শাক-সবজি ও ফলে ক্ষতিকর উপাদানের উপস্থিতি জানতে পৃথক দু’টি গবেষণা পরিচালনা করেছে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ (বিএফএসএ)। এসব গবেষণায় শাক-সবজিতে মাত্রারিক্ত রাসায়নিক ও ফলে কীটনাশকের উপস্থিতি মিলেছে।আজ সোমবার রাজধানীতে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ আয়োজিত গবেষণার ফলাফল অবহিতকরণ সেমিনারে নয়টি সবজিতে হেভি মেটালের উপস্থিতি এবং চারটি ফলে কীটনাশকের রেসিডিউর নিয়ে করা গবেষণার ফলাফল উপস্থাপন করা হয়।

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শফিকুল ইসলাম ও ড. মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া সবজিতে রাসায়নিকের মাত্রা নিয়ে গবেষণা করেন। তারা বাজার থেকে নয় ধরনের সবজি সংগ্রহ করেছিলেন। এর মধ্যে ছিল আলু, বেগুন, ঢেঁরস, টমেটো, লালশাক, পটল, বাঁধাকপি, শসা ও মটরশুটি।

গবেষণায় দেখা গেছে, এসব সবজিতে লেড, ক্রমিয়াম, কাডমিয়ামসহ বেশ কয়েকটি রাসায়নিকের উচ্চমাত্রার উপস্থিতি পাওয়া গেছে। তবে এই তালিকায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকর মাত্রায় হেভি মেটালের উপস্থিতি পাওয়া গেছে লালশাকে।

গবেষকরা জানান, যেসব সব সবজিতে হেভি মেটাল রয়েছে সেগুলো দীর্ঘদিন খেলে ক্যানসারের মতো প্রাণঘাতি রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।

গবেষণায় উঠে এসেছে, লালশাকে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে ক্যাডমিয়ামের মতো ভারী ধাতু পাওয়া গেছে। যেখানে ক্যাডমিয়ামের সর্বোচ্চ সহনীয় মাত্রা ১৯০ মাইক্রোগ্রাম প্রতি কেজিতে, সেখানে লালশাকে পাওয়া গেছে ৭০৪.৩২ মাইক্রোগ্রাম প্রতি কেজিতে।

বেগুনে পাওয়া গেছে ২৭৫.৬৬ মাইক্রোগ্রাম প্রতি কেজিতে, ঢেঁরসে ৩৪৯ মাইক্রোগ্রাম ও টমেটোতে ১৯৫ মাইক্রোগ্রাম প্রতি কেজিওত। ক্যাডমিয়ামের সর্বোচ্চ উপস্থিতি পাওয়া গেছে নারায়ণগঞ্জ থেকে সংগ্রহ করা নমুনা থেকে।

একইভাবে ক্রোমিয়ামের মতো ভারী ধাতুর মাত্রাতিরিক্ত উপস্থিতি পাওয়া গেছে শিম, শশা, ঢেঁরস, পটল ও লালশাকে। লেডের মতো ভারী ধাতুর উপস্থিতি পাওয়া গেছে বেগুন, বাঁধাকপি, শিম, শশা, ঢেঁরস, পটল, টমেটো ও লালশাকসহ নয়টি সবজিতেই।

এদিকে ফলের গবেষণা উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসাইন প্রধান। তার গবেষক দল আম, লিচু, বরই ও পেয়ারার প্রতিটির ৮০টি করে মোট ৩২০টি নমুনা পরীক্ষা করেন।

পরীক্ষা শেষে তিনি ৩৯টি নমুনায় কীটনাশকের অবশিষ্টাংশের উপস্থিতি খুঁজে পান। যা মোট নমুনার ১২ দশমিক ১৯ শতাংশ। তবে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে (১৮.৮ শতাংশ) পাওয়া গেছে লিচুতে যা খুব উদ্বেগজনক। সবচেয়ে কম পাওয়া গেছে আমে (৮.৮)।

তিনি জানান, ফলের মৌসুমে ঢাকা, রাজশাহী, পাবনা ও বগুড়া থেকে তিনি এসব নমুনা সংগ্রহ করেন।

এসবের মধ্যে সর্বোচ্চ অবশিষ্টাংশের সীমা (এমআরএল) এর চেয়ে অতিরিক্ত পাওয়া যায় ৩০টি নমুনায়।

এ সময় গবেষকরা এ সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য মনিটরিং, উত্তম কৃষি চর্চার ওপর জোর দেয়া, কৃষকদের প্রশিক্ষণ প্রদান এবং জনসচেতনতা বাড়ানোর পরামর্শ প্রদান করেন।রাজধানীর নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ আয়োজিত গবেষণার ফলাফল অবহিতকরণ সেমিনারে এসব গবেষণার ফলাফল উপস্থাপন করা হয়।

]]>
https://bgn24.com/?feed=rss2&p=3955 0
পথ দেখাচ্ছে ড্রাগন ফল চাষ https://bgn24.com/?p=3771 https://bgn24.com/?p=3771#respond Wed, 03 Jul 2024 06:34:32 +0000 https://bgn24.com/?p=3771 কুমিল্লার তিতাস উপজেলা একটি নিচু এলাকা। সচারাচর এলাকার কৃষকরা জমিতে ধানের পাশাপাশি কেউ কেউ সবজি চাষ করে থাকেন। কিন্তু ব্যতিক্রম মুহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন পলাশ। তিনি শখের বসে চাষ করছেন ড্রাগন ফল। তার এ ড্রাগন চাষে বর্তমানে আয়ের পথ দেখাচ্ছে অন্যদের। তার দেখাদেখি ড্রাগন ফল চাষ শুরু করছেন অনেকেই। প্রতিদিন উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন এসে ড্রাগনের চাষ পদ্ধতি জেনে নিচ্ছেন।

সরেজমিনে মুহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন পলাশের বাগানে ঘুরে দেখা যায়, চারদিকে সবুজের সমারোহ। প্রায় পাঁচ ফুট উচ্চতার প্রতিটি কংক্রিটের খুঁটি পেঁচিয়ে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে আছে ড্রাগন ফলের গাছ। প্রতিটি গাছে ঝুলছে ১৫ থেকে ২০টি করে কাঁচা, পাকা ও আধা পাকা ড্রাগন ফল।

বাগানে কর্মরত শ্রমিক জলিল বলেন, তিন বছর আগে নিজের ৩০ শতাংশ জমিতে ড্রাগন ফলের চাষ শুরু করেন। ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রথমে ৫৫ টাকা করে ছয় শ’টি ড্রাগন ফল গাছের চারা এনে রোপণ করেন। চার মাসেই গাছে ফল আসে। প্রথমবার প্রতিটি গাছে চার থেকে পাঁচটি ফল এলেও এ বছর দ্বিতীয়বারে প্রতিটি গাছে ১০ থেকে ২০টি ফল আসছে। ওই একই জমিতে সাথী ফসল হিসেবে রয়েছে আম, পেঁপে ও লেবু গাছ। বর্তমানে প্রতি কেজি ড্রাগন ফল বাগান থেকে বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকায়, এর বাজার মূল্য রয়েছে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা।

এ বিষয়ে দেলোয়ার হোসেন পলাশ বাসসকে জানান, ড্রাগন ফল চাষ একটি লাভজনক ফল চাষ। অল্প পুজিতে এটি চাষ করা যায়। আমি এক বছর আগে শখের বসে ৩০ শতাংশ জমিতে ছয় শ’ চারা রোপণ করি। ইনশা আল্লাহ গত দুই বছরের মতো এ বছরও পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনের চাহিদা পূরণ করেও কয়েক লাখ টাকা বিক্রি করতে পারব। তাই চিন্তা করছি, এ বছর ড্রাগন ফলের চাষ আরো বাড়াব। কারণ বাজারে ড্রাগন ফলের চাহিদা অনেক এবং ফলটি বেশ রসালো ও সুস্বাদু।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সালাহউদ্দিন বাসসকে জানান, সব ধরনের মাটিতে ড্রাগন চাষ হয়। তবে উঁচু জমিতে ভালো ফলন পাওয়া যায়। তিন মিটার পর পর গর্ত করে চারা রোপণ করতে হয়। বছরের যে কোনো সময় চারা রোপণ করা যায়। তবে এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে হলে ভালো। বাণিজ্যিকভাবে ড্রাগন চাষ করার জন্য উপজেলা কৃষি অফিস চাষিদের উৎসাহিত করছে।

]]>
https://bgn24.com/?feed=rss2&p=3771 0
বিশ্বের সবচেয়ে দামি আম! উৎপাদন ভালো https://bgn24.com/?p=3749 https://bgn24.com/?p=3749#respond Mon, 10 Jun 2024 08:15:56 +0000 https://bgn24.com/?p=3749 রাজধানীর আসাদগেট এলাকায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের একটি ফলের বাগান আছে। সেখানে হরেক রকমের ফলের গাছ। বড় ফটকটি ধরে ভেতরে ঢুকলে দুই পাশে চোখে পড়ে আমের গাছ। গত শুক্রবার (৭ জুন) সকালে সেখানে গিয়ে দেখা গেল, আমের গাছগুলো প্রায় ফলশূন্য। এ বাগানের অন্য আমগাছগুলোরও এ অবস্থা। ব্যতিক্রম ছোট কয়েকটি আমগাছের। সেই গাছ এ দেশের কোনো প্রজাতি নয়। এ আমের নাম মিয়াজাকি। অনেকেই জানেন, এটি বিশ্বের সবচেয়ে দামি আম। জাপানি আম এটি।

এই উদ্যানের সঙ্গে জড়িত আছেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মেহেদী মাসুদ। তিনি বলছিলেন, এবার এ বাগানে অন্য সব আমের গাছে ফল তেমন প্রায় আসেনি। কিন্তু মিয়াজাকির ফলন খুব ভালো হয়েছে। দেশের অন্যত্রও এ আমের ফলন ভালো।

কৃষিবিদ ও আম উৎপাদনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের কথা, এ বছর আমের ‘অফ ইয়ার’। দেশের এই একটি ফল যেটি এক বছর ভালো হয়, পরের বছর হয় না। কৃষি অধিদপ্তরই বলেছে, এবার দেশে অন্তত ১৫ শতাংশ আম কম উৎপাদিত হবে গত বছরের চেয়ে। তবে মিয়াজাকির ক্ষেত্রে এ কথা খাটছে না।কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ‘বছরব্যাপী ফল উৎপাদনের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন প্রকল্পের’ তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩–২৪ অর্থবছরে এ যাবতকালের সর্বোচ্চ ২৫ টন মিয়াজাকি উৎপাদিত হয়েছে। তার আগের বছর হয়েছিল ২৪ টন। বাংলাদেশে এ আম আসার পর এবার সর্বোচ্চ উৎপাদনের সম্ভাবনা, বলছে সূত্রগুলো। মাঠপর্যায়েও এ আমের ভালো উৎপাদনের চিত্র পাওয়া গেছে।

মিয়াজাকি বা সূর্যডিমের কথা

জাপানি শব্দ মিয়াজাকি শব্দের অর্থ ‘সূর্যডিম’। টকটক লাল রং, যেন সকালের লাল সূর্য। আবার আকৃতি ডিমের মতো। সব মিলিয়ে সূর্যডিম। এ আম সাধারণের ভাগ্যে জোটে না বললেই চলে। কারণ উচ্চ মূল্য। কিন্তু কতটা উচ্চ মূল্য? ভারতের সংবাদমাধ্যম লাইভমিন্ট ১ জুন ভারতের ন্যাশনাল হর্টিকালচার বোর্ডের সূত্র ধরে এক প্রতিবেদনে বলেছে, দেশটিতে দেড় হাজার প্রজাতির আমের চাষ হয়। এগুলোর দাম কমবেশি প্রতি কেজি ১০০ থেকে ২০০ রুপির মধ্যে পড়ে। কিন্তু গত বছর দেশটিতে এক কেজি আম আড়াই লাখ রুপিতেও বিক্রি হয়েছে।

মিয়াজাকি অ্যাগ্রিকালচারাল ইকোনমিক ফেডারেশনের হিসাব অনুযায়ী, জাপানের সূর্যডিম বা মিয়াজাকি বিশ্বের সবচেয়ে দামি আম। জাপানে ২০১৯ সালে এক জোড়া মিয়াজাকির দাম উঠেছিল প্রায় পাঁচ হাজার ডলার, অর্থাৎ চার লাখ টাকার বেশি।

জাপানে মেইজি যুগ হিসেবে ধরা হয় ১৮৬৮ থেকে ১৯১২ সাল পর্যন্ত সময়কে। এ সময়টায় জাপান বিচ্ছিন্ন সামন্ততান্ত্রিক অবস্থান থেকে সরে এসেছিল। এই সময়েই এ আমের উদ্ভব হয়। তবে এর চাষ বেশি করে শুরু হয় গত শতকের সত্তরের দশকে।

মাখনের মতো মোলায়েম, সুগন্ধ আর রসে ভরপুর হওয়ার জন্য এ আমের এত কদর।

বাংলাদেশে এবার ভালো ফলছে

বাংলাদেশে মিয়াজাকির বাণিজ্যিক উৎপাদন এখনো সেভাবে শুরু হয়নি। শখের বশেই অনেকে এ আমের চারা জাপান থেকে এনে লাগিয়েছিলেন। কিন্তু ধীরে ধীরে এর বাণিজ্যিক উৎপাদন বাড়ছে। বাংলাদেশে শুরুর দিকে প্রতি কেজি আম পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে। গত বছর অনেক খামারি দুই হাজার টাকা দরে বিক্রি করেছেন। এর কমেও কেউ কেউ বিক্রি করেছেন।

মীর শাহীনুর রহমান নাটোরের কৃষিবিদ। শহরের ডিসি কার্যালয়ের কাছে হাজরা নাটোর এলাকায় তাঁর আমের বাগান। কয়েক বছর ধরেই তিনি মিয়াজাকি আমের চাষ করছেন। কিন্তু এবারকার মতো ফলন হয়নি আগে। এ বছর অন্তত দুই হাজার কেজি আম উৎপাদন হতে পারে বলে জানান মীর শাহীন। গত বছর মিয়াজাকির উৎপাদন ছিল ৮০০ কেজির মতো। তবে এর আগের বছর উৎপাদন হয়েছিল হাজার কেজি। আর এসব আম বিক্রি করে লাভও হয়েছে যথেষ্ট। নিজেই বলছিলেন, দুই বছর আগে মিয়াজাকি বিক্রি করেছেন প্রতি কেজি দুই হাজার টাকায়। গত বছর এর দাম কিছু কমেছিল।

মীর শাহীনুর রহমান বলছিলেন, ‘বিশ্বের দামি আম বলে এর সুখ্যাতি আছে। কিন্তু জাপানে এর উৎপাদন হয়, আমরা তো তা করি না। এখানে দাম কম হওয়া উচিত।’

মিয়াজাকির মতো একটি বিদেশি প্রজাতির আমের উৎপাদনে যে যত্নবান হওয়া উচিত, তা মনে করেন খাগড়াছড়ির আলুটিলার রিপল চাকমা। শহরের কাছের আলুটিলা নামের জায়গায় রিপল চাকমার ২০ একরের বড় আমের বাগান। এ বাগানে গোটা পঞ্চাশেক গাছ মিয়াজাকির। গতবার যেখানে প্রতি গাছে দু–একটি করে আম হয়েছিল, এবার তার চেয়ে বেশি হয়েছে। কিন্তু এবার ফল ধরে রাখতে পারেননি বেশি।

রিপল মনে করেন, অন্য আমের উৎপাদনে যেসব ব্যবস্থা নেওয়া হয়, মিয়াজাকির ক্ষেত্রে তা করা যাবে না। এটা তিনি উপলব্ধি করেন, কিন্তু কীভাবে তা করা দরকার, এ নিয়ে বিশদ ধারণা নেই তাঁর। তাই এ আম নিয়ে নিজের পড়াশোনা বাড়ানোর পাশাপাশি কৃষি দপ্তরের কর্মকর্তাদের পরামর্শ নিতে চান তিনি।

উত্তরের জেলা দিনাজপুরের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হর্টিকালচার সেন্টারের ক্যাম্পাসে মিয়াজাকি আমের কয়েকটি মাতৃ গাছ আছে। সদর উপজেলার সদরপুরে এই সেন্টার। এগুলো থেকে চারা উৎপাদন করে তা আগ্রহীদের দেওয়ার ব্যবস্থা আছে। এসব গাছেও এবার আম্রপালি ধরেছে আগের চেয়ে বেশি।

হর্টিকালচার সেন্টারের উপপরিচালক মো. এজামুল হক প্রথম আলোকে বলেন, মিয়াজাকির ফলন যেমন বাড়ছে, তেমনি এর সঙ্গে বাড়ছে জনপ্রিয়তা। এবার এ পর্যন্ত অন্তত ২০০ চারা উৎপাদন ও বিতরণ হয়েছে। আগে এ আম নিয়ে এতটা আগ্রহ ছিল না।

মিয়াজাকি বাংলাদেশে এত কমে পাওয়া যায় কীভাবে

বাংলাদেশের অন্য আমগুলোর তুলনায় মিয়াজাকির দাম অপেক্ষাকৃত বেশি। তারপরও প্রতি কেজির দাম এক হাজার থেকে দুই হাজার টাকা। বিশ্বে যে আমের দাম লাখ টাকার বেশি, সেটি এ দেশে কীভাবে এত কমে দেওয়া সম্ভব হয়?

কৃষিবিদ এবং আম বিষয়ে একাধিক বইয়ের লেখক মৃত্যুঞ্জয় রায় বলছিলেন, ‘মিয়াজাকির উৎপাদনে আসলে যে যত্ন নেওয়ার দরকার হয়, তা আমাদের এখানে কিছুই প্রায় হয় না। আর অন্য আমের জাতের মধ্যেই এর উৎপাদন হয়। কিন্তু জাপানে বা অন্যত্র মিয়াজাকির জন্য আলাদা নেট হাউস তৈরি থাকে। একেকটি আমের জন্য বিশেষ যত্ন নেওয়া হয়। এতে কতটা আলো পড়ছে, কতটা পানি দরকার, তা মেপে মেপে দেওয়া হয়।’

মৃত্যুঞ্জয় রায় বলেন, ‘মিয়াজাকির মূল আকর্ষণ এর রং। বিশেষ যত্ন নিলেই এমন রং হয়। কিন্তু আমাদের এখানে সেই রংটাই তো হয় না।’

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষিবনায়ন ও পরিবেশ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হাসান মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ জাপানে তাঁর পিএইচপডি সম্পন্ন করেছেন। তিনি বলছিলেন, মিয়াজাকি উৎপাদনে একটি গাছে সাধারণত একটি আম রাখা হয়। এর নিবিড় পরিচর্যা হয়।

এটি আম গাছে রেখে সেই আমে সিসি ক্যামেরা লাগিয়ে তা পর্যবেক্ষণের রীতিও আছে বলে জানান ‘বছরব্যাপী ফল উৎপাদনের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন প্রকল্পের’ প্রকল্প পরিচালক মো. মেহেদী মাসুদ।

পাহাড়ে বেশি হচ্ছে মিয়াজাকি

পার্বত্য চট্টগ্রামে মিয়াজাকির উৎপাদন অপেক্ষাকৃত বেশি হচ্ছে। এ প্রতিবেদন করার সময় পাহাড়ের পাঁচজন আমচাষির সঙ্গে কথা হয়। প্রত্যেকেই এবার মিয়াজাকির ভালো উৎপাদনের কথা বলেছেন। তবে আম্রপালি বা রাংগুই আমের পাশে সহযোগী হিসেবেই এখনো এর চাষাবাদ হচ্ছে। শখের বশে শুরু হলেও এখন বাণিজ্যিকভাবেই এসব উৎপাদন হচ্ছে। মিয়াজাকির এই বাণিজ্যিক উৎপাদনে এগিয়ে আছেন খাগড়াছড়ির মহালছড়ি উপজেলার হ্লাশিং মং চৌধুরী। উপজেলার ধুমনীঘাটে তাঁর ফলের বাগান।

হ্লাশিং মং চৌধুরী বলেন, এবার দেড় হাজার টনের মতো উৎপাদন হতে পারে মিয়াজাকি। আরও হতে পারত। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে অনেক আম ঝরে গেছে।

খাগড়াছড়ি জেলা সদরের রোয়াসাপাড়ায় মিয়াজাকির চাষ করেছেন জুপিটার চাকমা। তিনি প্রথম আলোকে বলছিলেন, ‘মিশ্র ফলের বাগান করেছি। ২০ থেকে ২৫ প্রকার ফলের চারা লাগিয়েছি। এর মধ্যে মিয়াজাকি আমগাছও লাগিয়েছি। এবার তিনটি গাছে ভালো ফলনও এসেছে। পাহাড়ি মাটিতে এ আম খুব ভালো হচ্ছে।’

পার্বত্য চট্টগ্রামে মিয়াজাকির ভালো উৎপাদনের কারণ হিসেবে এখানকার প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্যকেই মূল কারণ বলে মনে করেন আমবিশেষজ্ঞ অধ্যাপক এম রহিম। তাঁর কথা, পাহাড়ের উঁচু স্থানে দিনে গরম বেশি থাকলেও রাতে তা কমে আসে। এই কম তাপমাত্রা আমের মিষ্টতা তৈরির প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে। পাহাড়ে এই প্রক্রিয়া দ্রুত হয়।

আমের মৌসুমের শেষ দিকেই হয় আম মিয়াজাকি। এ জন্য এ আমে পোকার আক্রমণ অপেক্ষাকৃত বেশি হওয়ার আশঙ্কা থাকে বলে মনে করেন অধ্যাপক রহিম। তবে ফ্রুট ব্যাগের মাধ্যমে যত্ন করে এর চাষ করলে ফল ভালো হতে পারে বলে মনে করেন এই বিশেষজ্ঞ।

Source: “prothomalo”

]]>
https://bgn24.com/?feed=rss2&p=3749 0
যশোরে তালগাছপ্রেমী চিত্তরঞ্জন দাস!! https://bgn24.com/?p=3738 https://bgn24.com/?p=3738#respond Thu, 23 May 2024 07:03:29 +0000 https://bgn24.com/?p=3738 গ্রীষ্মের তপ্ত দুপুরে যখন অনেকেই ঘরে বসে বিশ্রাম নেন কিংবা নিরাপদে কোথাও অবস্থান করেন, তখন রাস্তার পাশে গাছ লাগাতে বা গাছের পরিচর্যা করতে দেখা যায় চিত্তরঞ্জন দাসকে (৬৭)। শুধু গ্রীষ্মই নয়, ঘোর বর্ষা কিংবা তীব্র শীতেও একই কাজ করেন তিনি।দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে এভাবেই তালগাছ লাগাচ্ছেন চিত্তরঞ্জন। প্রায় প্রতিদিনই তিনি প্রয়োজনীয় সরঞ্জামসহ সাইকেল নিয়ে বেরিয়ে পড়েন।

তালগাছপ্রেমী চিত্তরঞ্জনের বাড়ি যশোরের অভয়নগর উপজেলার ধোপাদী গ্রামের দক্ষিণপাড়ায়। নিজকাজের কারণে এখন স্থানীয়দের কাছে পরিচিত ব্যক্তি তিনি। অনেকের কাছে অনুপ্রেরণারও।

যশোরের অভয়নগর ও মণিরামপুর উপজেলাসহ নওয়াপাড়া পৌরসভা এলাকার অন্তত ৪২টি ছোট-বড় সড়কের দুই ধারে ১৬ বছরে দুই লাখ ৮৮ হাজার তালের বীজ বুনেছেন চিত্তরঞ্জন। একইসঙ্গে এসব সড়কে খেজুর গাছেরও প্রায় ৫৬ হাজার বীজ বপন করেছেন তিনি।

চিত্তরঞ্জন দাস দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘তালগাছের ছায়ায় বসে মানুষ বিশ্রাম নেয়, গল্প করে, কৃষকরা ভাত খায় বা ঝড় বৃষ্টির সময় পথচারীরা আশ্রয় নেয়—এসব দেখে আমার খুব ভালো লাগে। তালগাছ ছিল না বলে এত বছর ধরে এলাকায় বাবুই পাখির খুব একটা দেখা মিলত না। এখন সেই পাখিরা আবার ফিরছে। ওদের দেখে মন ভরে যায়।’শুধু বীজ বপনই নয়, নিয়মিত এগুলোর পরিচর্যাও করেন তিনি। প্রায়ই সকালে বিভিন্ন গ্রামের উদ্দেশে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েন সাইকেলে। সঙ্গে থাকে কোদাল, পানির বোতল ও দা। চারার নিচে আগাছা হলে তুলে ফেলেন। বৃষ্টিতে গোঁড়া থেকে মাটি সরে গেলে জমি থেকে মাটি নিয়ে তা ভরে দেন। গ্রামবাসীদের তালগাছ রক্ষায় উদ্বুদ্ধ করেন।

আবার নানা কারণে তার লাগানো কয়েক হাজার গাছ নষ্টও হয়ে গেছে। ২০১৬ সালে ভবদহ এলাকার জলাবদ্ধতার কারণে অনেক গাছ মারা গেছে। কিছু গাছ স্থানীয়রা নষ্ট করেছেন। আবার অনেক গাছ উপড়ে ফেলা হয়েছে রাস্তা সংস্কারের সময়। আবার প্রতিনিয়ত হাতপাখা ব্যবসায়ীরা ছোট ছোট গাছের পাতা কেটে নিয়ে যান। এভাবে অনেক চারা নষ্ট হয়েছে। তারপরও হতাশ নন চিত্তরঞ্জন। তিনি তার শখের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।

২০০৮ সালের দিকে লাগানো তালগাছগুলো এখন অনেক বড় হয়েছে। সেগুলোতে ফল ধরেছে। নানান প্রজাতির পাখি, বিশেষ করে বাবুই এসে বাসা বেঁধেছে। গ্রামবাসীদের অনেকে এখন কাঁচা তাল পেড়ে খায়। তাল পাকলে অনেকে তা সংগ্রহ করে বাড়ি নিয়ে যায়। এগুলো দেখে চিত্তরঞ্জনের মন ভালো হয়ে যায়।নানা উপায়ে এই বিপুল সংখ্যক তালবীজ সংগ্রহ করেছেন তিনি। কোথাও এর খোঁজ পেলে চিত্তরঞ্জন ছুটে যান সেখানে। যশোরের ভবদহ অঞ্চলের ৫০টি গ্রাম থেকে তালবীজ সংগ্রহ করেন তিনি। কেউ বিক্রি করেন আবার বিনা পয়সায় কেউ বীজ দিলে খুশি মনে তা নেন। বর্ষায় বাড়ি বাড়ি ঘুরে এমনকি আবর্জনার স্তূপ থেকেও তালবীজ সংগ্রহ করেন তিনি। একেকটা বীজ কিনতে সব মিলিয়ে চার টাকার মতো খরচ হয় তার। নিজের আয়ের একটা অংশ খরচ করেন এর পেছনে। অনেক ব্যক্তি তাকে তাল-বীজ কিনতে সহায়তা করেন। প্রথম দিকে চিত্তরঞ্জনের পরিবারের লোকজন তার ওপর বিরক্ত হতেন। এখন তারাও সহযোগিতা করছেন।

অবশ্য প্রথম দিকে গ্রামের অনেকে ভালোভাবে নেয়নি চিত্তরঞ্জনের এই কাজ। তবে এখন তাদের অনেকের দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টেছে।

তবে এত গাছ থাকতে তালগাছ লাগানো কেন শুরু করলেন, জানতে চাইলে চিত্তরঞ্জন ডেইলি স্টারকে জানান, ২০০৮ সালের কোনো এক বর্ষায় তিনি চায়ের দোকানে বসে বৃষ্টি থামার অপেক্ষা করছিলেন। পাশেই দেখলেন এক ভদ্রলোক পত্রিকা পড়ছেন। চিত্তরঞ্জন নিজে পড়ালেখা না জানলেও পত্রিকায় তালগাছের ছবি দেখে কৌতূহলী হন। পরে সেই ভদ্রলোক চিত্তরঞ্জনকে বললেন, ‘দেখেন আমেরিকার এক বিজ্ঞানী বলেছেন, তালগাছের অনেক গুণ। সবচেয়ে বড় কথা মাথা উঁচু এ গাছটি বজ্রপাতকে দুর্বল করে দেয়।’ তালগাছ নিয়ে বিজ্ঞানীর কথাটা খুব মনে ধরেছিল চিত্তরঞ্জনের। শুনেই মনে হয়েছিল, প্রায়ই তো আশপাশের গ্রামে বাজ (বজ্রপাত) পড়ে মানুষ মরে। মাঠে-ঘাটে আরও তালগাছ থাকলে নিশ্চয়ই এটা হতো না।তারপর থেকে শুরু করলেন তার বাবার লাগানো গাছ পরিচর্যার কাজ। এরপর তালবীজের খোঁজে আশপাশের গ্রামে ঢু মারলেন। কয়েকদিনের মধ্যে হাজারখানেক বীজ সংগ্রহ করে তা লাগিয়ে দিলেন অভয়নগরের প্রায় দুই কিলোমিটার দীর্ঘ ধোপাদী-মশিয়াহাটী সড়কের দুই ধারে। এভাবে প্রথম বছর প্রায় আড়াই হাজার বীজ লাগিয়েছিলেন তিনি।

এখন যশোরের সীমানা পেরিয়ে দেশের অন্যান্য জেলায় এই কর্মকাণ্ড ছড়িয়ে দিচ্ছেন চিত্তরঞ্জন। গত বছর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা ও পিরোজপুরের কাউখালীতে ১০ হাজার তালবীজ লাগিয়েছিলেন। কাজে সন্তুষ্ট হয়ে সে সময় তাকে দুই জায়গা থেকে ২০ হাজার করে মোট ৪০ হাজার টাকা পেয়েছিলেন। এমন পুরস্কার পেয়ে খুশি চিত্তরঞ্জন। সেটাই ছিল তার জীবনে পাওয়া প্রথম পুরস্কার। ওই পুরস্কারের টাকার অর্ধেক খরচ হয়েছিল। বাকি টাকার সঙ্গে নিজের ৩০ হাজার মিলিয়ে এবার মোট ৫০ হাজার টাকার তালগাছের মাথা (গাছের তাল আর পাতা) কিনেছেন। এ বছর আরও ২০ হাজার টাকার বীজ কিনবেন বলে জানালেন।

তিন ছেলে-মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে চিত্তরঞ্জনের সংসার। বৃক্ষপ্রেমী মানুষ হলেও কৃষিকাজে জীবিকার পুরো ব্যবস্থা না হওয়ায় বাড়তি আয়ের জন্য চিত্তরঞ্জন মাঝেমধ্যে গাছ কিনে চেরাই করে বিক্রি করেন। অভাব-অনটনের মধ্যেও নিজের লক্ষ্যের দিকে তিনি এগিয়ে চলেছেন।

অভয়নগরের সুন্দলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিকাশ রায় কপিল ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘এ যুগে তার মতো সাদা মনের মানুষ বিরল। উপজেলার অন্যান্য ইউনিয়নে তার রোপণ করা অসংখ্য তালগাছ এখন মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। অভাবে থাকা এই মানুষটা সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে ভালো হতো।’

যতদিন বাঁচবেন, নিজের শখের এই কাজ চালিয়ে যাবেন বলেই জানালেন চিত্তরঞ্জন দাস।

]]>
https://bgn24.com/?feed=rss2&p=3738 0
রঙিন ফুলকপি চাষে সাফল্য https://bgn24.com/?p=3665 https://bgn24.com/?p=3665#respond Sat, 27 Jan 2024 07:09:50 +0000 https://bgn24.com/?p=3665 পাবনা সদর উপজেলার বিলভেদুরিয়া গ্রামের কৃষক আসলাম আলি। প্রতি বছর দুই বিঘা জমিতে পালং শাক আর কিছু শীতকালীন সবজি চাষাবাদ করেই এতদিন চলেছে তার জীবন। তবে এবার তিনি দেড় বিঘা জমিতে চাষ করেছেন নতুন জাতের রঙিন ফুলকপি, পেয়েছেন সাফল্যও।

শুরুটা ইউটিউব দেখে। ইউটিউবে কিছু ভিডিও দেখার পর রঙিন কপি চাষের প্রতি আগ্রহ আসে আসলামের। ঢাকা থেকে নিয়ে আসেন বেগুনি রঙের ভেলেনটিনা ও হলুদ রঙের কেরটিনা জাতের রঙিন কপির বিজ। তারপর দেড় বিঘা জমিতে প্রায় ৬ হাজারের বেশি কপি গাছ রোপণ করেন।

কেরটিনা জাতের হলুদ রঙের ফুলকপি ইতোমধ্যে বাজারজাত করতে শুরু করেছেন তিনি। গত ২০ জানুয়ারি এই রঙিন ফুলকপি বাজারে নিয়ে এসেই বাজিমাত করেন আসলাম।

রঙিন কপির প্রতি ক্রেতাদের আগ্রহ থাকায় দাম পাচ্ছেন ভালো। বাজারে সাধারণ কপি ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর তার রঙিন ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে।তবে ভেলেনটিনা জাতের বেগুনি রঙের কপি এখনও বাজারজাতকরণের জন্য প্রস্তুত হয়নি। আর দুই-এক সপ্তাহ পরে এগুলো বাজারে আসবে বলে জানান আসলাম।  

তিনি বলেন, ‘শুরুতে কেউ বিষয়টা নিয়ে উৎসাহ দেয়নি। তবে বাম্পার ফলন আর ভালো দাম পাওয়ায় এখন সবাই খুশি। এখন আমার খেতের হলুদ আর বেগুনি রঙের বিদেশি জাতের কপি দেখতে ভিড় বাড়ছে। বাজারেও রঙিন ফুলকপির চাহিদা ও দাম বাড়ায় ভালো লাভের আশা করছি।’

 ‘এক বিঘা জমিতে সাদা কপি চাষের ২০-২৫ হাজার টাকা। বিক্রি হয় ৪০-৫০ হাজার টাকায়। আর রঙিন ফুলকপিতে এক বিঘায় ৩৫ থেকে ৩৮ হাজার টাকা খরচ হয়। বিক্রি ৮০-৯০ হাজার টাকার হবে বলে আশা করছি। আর দেড় বিঘা জমির রঙিন ফুলকপি দেড় লাখ টাকায় বিক্রি করতে পারব বলে আশা করছি’, যোগ করেন তিনি।   

তাকে দেখে এলাকার অনেকেই বিদেশি জাতের ফুলকপি আবাদের প্রতি আগ্রহী হয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

]]>
https://bgn24.com/?feed=rss2&p=3665 0
ড্রাগন ফল! ‘টনিক’ উপকারিতা ও অপকারিতা! https://bgn24.com/?p=3571 https://bgn24.com/?p=3571#respond Sun, 10 Dec 2023 09:22:02 +0000 https://bgn24.com/?p=3571 কয়েক বছর ধরে ড্রাগন ফল বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠার পর বিদেশী এ ফলটি এখন বাংলাদেশেই উৎপাদিত হচ্ছে। দেশের কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ড্রাগন ফলের আলাদা চারটি প্রজাতিও উদ্ভাবন করেছেন।

এগুলো হচ্ছে বারি-১, যা কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট উদ্ভাবন করেছে। এছাড়া কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যানতত্ত্ব বিভাগ ও জার্মপ্লাজম সেন্টার মিলিতভাবে তিন প্রজাতির ড্রাগন ফল উদ্ভাবন করেছে। এগুলো হচ্ছে বাউ ড্রাগন-১, বাউ ড্রাগন-২ এবং বাউ ড্রাগন-৩।

দেশীয়ভাবে উৎপাদন বাড়ার কারণে দামও কমে এসেছে এক সময়ের দামি এই ফলটির।

তবে সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘টনিক’ ব্যবহার করে উৎপাদিত ড্রাগন ফল এবং এর স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিয়ে নানা ধরনের আলোচনা হচ্ছে। অনেকে বলছেন, এসব ফল থেকে মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি দেখা দিতে পারে।

কিন্তু ড্রাগন চাষে কি আসলেই ‘টনিক’ ব্যবহৃত হচ্ছে? আর ব্যবহৃত হলে এসব ড্রাগন ফল খেলে স্বাস্থ্য ঝুঁকির সম্ভাবনা কতটা রয়েছে?

‘টনিক’ ব্যবহৃত হচ্ছে? নাটোর ড্রাগন ফ্রুটস- এর পরিচালক মনিরুজ্জামান মুন্না। বছরে প্রায় ৫০-৬০ টনের মতো ড্রাগন ফল উৎপাদন করে থাকেন তিনি। ১০ বছর আগে ২০১৪ সালে ইউটিউব দেখে ড্রাগন ফল গাছের চারা সংগ্রহ করে নাটোরে বাগান গড়ে তোলেন তিনি। বিবিসি বাংলাকে মুন্না বলেন, একবার ড্রাগন ফলের বাগান করলে এবং সেটি সঠিকভাবে চাষাবাদ করা হলে প্রায় এক শতাব্দী ধরে ফল পাওয়া সম্ভব। ‘যে ডালটা পুরাতন হয়ে যাবে, ওই ডালটা কেটে দিলে উপর দিয়ে নতুন ডাল বের হয়। এভাবে রি-শাফল করে যদি কেউ কাটে সেক্ষেত্রে গাছ যতদিন চান ততদিন রাখতে পারবে।’

টনিক কী?
কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউটের ফল বিভাগের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো: উবায়দুল্লাহ কায়ছার বলেন, টনিকটা হচ্ছে এক ধরণের হরমোন। এটা গাছে ব্যবহার করলে তার বৃদ্ধি বেশি ও দ্রুত হয়। এই পদ্ধতির ব্যবহার বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট উৎসাহিত করে না।

তিনি বলেন, ‘এটা আমাদের গবেষণার রিকমেন্ডেড না। এটা বাহির থেকে একটা হরমোন আসছে। এটা আমাদের সরকারিভাবেও অনুমোদিত না।’

টনিক ব্যবহার করে উৎপাদিত ড্রাগন চেনার উপায়
অধ্যাপক ড. মো: মোক্তার হোসেন বলেন, টনিক ব্যবহার করে উৎপাদিত ড্রাগন ফল দেখে চেনার কিছু উপায় রয়েছে। এগুলো হচ্ছে-

সাধারণ ও প্রাকৃতিকভাবে উৎপাদিত ড্রাগন ফলের ওজন আড়াই শ’ থেকে সর্বোচ্চ তিন শ’ গ্রাম পর্যন্ত হয়ে থাকে। আর টনিক ব্যবহার করে উৎপাদিত ড্রাগন ফলের ওজন তিন শ’ গ্রাম থেকে শুরু করে নয় শ’ গ্রাম পর্যন্ত হয়ে থাকে।

টনিক ব্যবহার করে উৎপাদিত ফলের বাহ্যিক আকার উদ্ভট হয়ে যায়।

এই ড্রাগন ফলের রঙ পার্পেল বা লাল রঙ হয় থাকে না। সহজ করে বলতে গেলে, পুরো ফলটি আর এক রঙা থাকে না। পার্পেল বা লাল রঙের সাথে সবুজ রঙের মিশ্রণ থাকে। এক পাশে বা কমপক্ষে এক তৃতীয়াংশ সবুজ থাকে। কারণ পুরো এক রঙের হওয়া পর্যন্ত গাছে রাখা হলে সেটি পঁচে যায়। আর এক সাথে চার-পাঁচদিনের মধ্যে বিক্রি না হলে পুরোটাই হলুদ রঙের হয়ে যাবে।

টনিক ব্যবহার করে উৎপাদিত ড্রাগন ফল হবে পানসে। মিষ্টি একেবারেই হবে না। এছাড়া স্বাদেও বেশ ভিন্ন হবে।

মোক্তার হোসেন বলেন, ‘যখন আপনি টনিক ব্যবহার করছেন, তখন গ্রোথ (ফলের বৃদ্ধি) খুব র‍্যাপিডলি (দ্রুত) হচ্ছে। বাহ্যিক আকারও তখন স্বাভাবিকভাবেই ভিন্ন হবে। বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান তৈরি হওয়ার জন্য পর্যাপ্ত সময় পাওয়া যাচ্ছে না। এর আগেই সেগুলো তুলে বিক্রি করে দিতে বাধ্য হচ্ছে কারণ সেগুলো বেশি দিন থাকলে ওয়েট (ওজন) অনেক বেড়ে যায়।

স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি আছে কি?
অধ্যাপক ড. মো: মোক্তার হোসেন বলেন, স্বাভাবিক প্রক্রিয়ার বাইরে কৃত্রিমভাবে উৎপাদিত যেকোনো পণ্যেরই স্বাস্থ্য ঝুঁকি থাকে। যদিও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বিভিন্ন রাসায়নিক নিরাপদ উপায়ে ব্যবহারের মাত্রা ঠিক করে দেয়। কিন্তু বাংলাদেশে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এটা মানা হয় না।

বেশি পরিমাণে হরমোন বা রাসায়নিক ব্যবহার করা হলে তা স্বাস্থ্যের জন্য হুমকিস্বরূপ। তবে এই হরমোন ব্যবহারের কোনো সহনীয় মাত্রা আছে কি না এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, হরমোন ব্যবহারেরই কোনো অনুমোদন বাংলাদেশে নেই।

কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউটরে ফল বিভাগের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো: উবায়দুল্লাহ কায়ছার বলেন, এই টনিক ব্যবহার করে উৎপাদিত ফলের স্বাস্থ্য ঝুঁকি খাকতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। এই হরমোন মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার করা হলে এর একটা স্বাস্থ্য ঝুঁকি রয়েছে। আর এ কারণেই তারা এটি পরীক্ষা করে দেখার উদ্যোগ নিয়েছেন বলে জানান।

]]>
https://bgn24.com/?feed=rss2&p=3571 0
নাম যেভাবে হাঁড়িভাঙ্গা হলো! https://bgn24.com/?p=3481 https://bgn24.com/?p=3481#respond Sat, 10 Jun 2023 11:53:24 +0000 https://bgn24.com/?p=3481 আঁশবিহীন, মিষ্টি ও সুস্বাদু হাঁড়িভাঙ্গা আমের যাত্রা শুরু হয়েছিল রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার তেকানী গ্রাম থেকে। এ গ্রামেই রোপণ করা একটি গাছের কলম থেকে এখন কয়েক লাখ আমগাছ হয়েছে। বদলে দিয়েছে আশপাশের মানুষের ভাগ্য। বদলে গেছে গ্রামের দৃশ্যপটও। হাঁড়িভাঙ্গা পরিণত হয়েছে রংপুরের ‘ব্র্যান্ডে’।

তবে শুরুতে এ আমের নাম হাঁড়িভাঙ্গা নয়, মালদিয়া ছিল। মালদিয়া আমের নাম হাঁড়িভাঙ্গা হয়ে ওঠার গল্প জানা গেল তেকানী গ্রামের বাসিন্দা আমজাদ হোসেন পাইকারের কাছে। তাঁর বাবা নফল উদ্দিন পাইকারকে সবাই বৃক্ষপ্রেমী হিসেবেই চিনতেন। তেকানী গ্রামে এখনো দাঁড়িয়ে থাকা হাঁড়িভাঙ্গা আমের মাতৃগাছটি রোপণ করেছিলেন নফল উদ্দিন।

প্রচণ্ড দাবদাহে এবার নির্ধারিত সময়ের আগে পাকতে শুরু করেছে হাঁড়িভাঙ্গা আম। আমচাষিদের দাবির মুখে নির্ধারিত সময়ের ১০ দিন আগে আম পাড়া মৌসুম শুরু হচ্ছে। আজ শনিবার থেকে বাজারে পাওয়া যাবে হাঁড়িভাঙ্গা আম। এবার ২৫০ কোটি টাকার হাঁড়িভাঙ্গা আম বেচাবিক্রি হতে পারে বলে কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ ও চাষিদের ধারণা।

আমজাদ হোসেন পাইকার জানান, সেটা ছিল খুব সম্ভবত ১৯৪৯ সাল। মিঠাপুকুরের উঁচা বালুয়া গ্রামটি ছিল ঝোপজঙ্গলে ভরপুর। সেই এলাকার জমি থেকে একটি আমের চারা নিয়ে এসে কলম করেন তাঁর বাবা নফল উদ্দিন। তখন এর নাম ছিল মালদিয়া।

আমজাদ হোসেন বলেন, আমগাছটিতে মাটির হাঁড়ি বেঁধে ফিল্টার বানিয়ে পানি দেওয়া হতো। একদিন রাতে কে বা কারা মাটির হাঁড়িটি ভেঙে ফেলে। তবে গাছে বিপুল পরিমাণ আম ধরে। সেগুলো ছিল খুবই সুস্বাদু। বিক্রির জন্য বাজারে নিয়ে গেলে মানুষ ওই আম সম্পর্কে জানতে চায়। তখন নফল উদ্দিন মানুষকে বলেছিলেন, যে গাছে লাগানো হাঁড়িটি মানুষ ভেঙে ফেলেছে, সেই হাঁড়িভাঙ্গা গাছের আম এগুলো। তখন থেকেই ওই গাছটির আম ‘হাঁড়িভাঙ্গা’ নামে পরিচিতি পায়।সুস্বাদু ও মিষ্টি হওয়ায় সেই মাতৃগাছ থেকে জোড়া কলম করার হিড়িক পড়ে যায়। এলাকার মানুষ জোড়া কলম নিয়ে লাগাতে থাকেন। গড়ে উঠতে থাকে বাগান। নফল উদ্দিন পাইকার মারা যাওয়ার পর হাঁড়িভাঙ্গা আমের মাতৃগাছে মানুষ এসে এত জোড়াকলম করতে লাগলেন যে গাছটির ডালগুলো হেলে পড়া শুরু করল। এরপর আশির দশকে বাণিজ্যিকভাবে গাছের কলম করে মানুষজন আমবাগান গড়ে তুলতে নেমে পড়ে।

স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আঁশবিহীন হাঁড়িভাঙ্গা আম অত্যন্ত মিষ্টি ও সুস্বাদু। আমের আঁটিও খুব ছোট। প্রতিটি আম ২০০ থেকে ৩০০ গ্রাম পর্যন্ত হয়। প্রায় ৩২ বছর আগে এই আমের চাষ বাণিজ্যিকভাবে শুরু হলেও এর তেমন একটা প্রচার ছিল না। তবে গত ২২ বছর থেকে ধীরে ধীরে প্রচার পেতে থাকে। রংপুরের মিঠাপুকুর ও বদরগঞ্জ উপজেলার কিছু এলাকায় উৎপাদিত হচ্ছে এই আম। কেননা, এ এলাকা হলো এই আমের উপযোগী লাল মাটি।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছে, হাঁড়িভাঙ্গা আম রংপুর অঞ্চলের অর্থনৈতিক দৃশ্যপটকেই পরিবর্তন করে দিয়েছে। আমটি দেশে-বিদেশে খ্যাতি পেয়েছে। কার্যকর উদ্যোগ নিলে এই আম দিয়ে বছরে কয়েক শ কোটি টাকার বাণিজ্য সম্ভব।

জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার খোড়াগাছ ও রানীপুকুর ইউনিয়ন, পদাগঞ্জ এলাকাসহ আরও কিছু আশপাশ এলাকায় চাষাবাদ হয়ে আসছে এই আম। আম পাড়ার মৌসুম শুরু হওয়ার আগেই এখনো আমের বাগান ও গাছ এরই মধ্যে দেশের বিভিন্ন এলাকার আম ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন চাষিরা। আমচাষি ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, প্রতিবছর জুনের দ্বিতীয় কিংবা তৃতীয় সপ্তাহ থেকে আম পাড়ার উৎসব শুরু হলেও এবার শুরু হয়েছে প্রথম সপ্তাহের পর।

মিঠাপুকুরের লুৎফর রহমান ও আবদুস সালাম সরকার নামের দুই ব্যক্তি ১৯৯০ সাল থেকে বাণিজ্যিকভাবে আম চাষ শুরু করেন। তিনি এ বছর ১৬ একর জমিতে হাঁড়িভাঙ্গা আমের চাষ করেছেন। তিনি বলেন, আমের মৌসুমে এ এলাকা থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা আয় হলেও এখানে আম প্রক্রিয়াজাতকরণের জন্য একটিও হিমাগার নির্মাণ করা হয়নি। বিপণনব্যবস্থাও খুব দুর্বল। রাস্তাঘাট এখনো খুব খারাপ। ফলে আমের বাজার পেতে অনেকটা কষ্ট পেতে হয়।

কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ ও চাষিরা জানিয়েছেন, হেক্টরপ্রতি আম ফলনে ব্যয় হয় ২৮-৩০ হাজার টাকা। এর সঙ্গে প্রতি হেক্টর জমি বর্গা নিতে ব্যয় ২০-২৫ হাজার টাকা। এতে প্রতি হেক্টর জমিতে আম উৎপাদনে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৫০ হাজার টাকা।কৃষি বিভাগের হিসাবমতে, প্রতি হেক্টরে ৩০০ থেকে ৩২৫ মণ আম উৎপাদিত হয়ে থাকে। বর্তমান আমের মণপ্রতি বাজার দর অনুযায়ী সর্বনিম্ন ১ হাজার ৫০০ টাকা থেকে ২ হাজার ২০০ টাকা। প্রতি হেক্টরের আম বিক্রি থেকে চাষিদের আয় হচ্ছে সাড়ে তিন লাখ টাকার ওপরে।

বর্তমানে রংপুরের তরুণ ও যুবকেরা হাঁড়িভাঙ্গা আমকে ঘিরে ব্যবসা শুরু করেছেন। আমের মৌসুমে তাঁরা চাষিদের আম কিনে বিভিন্ন স্থানে পাঠাচ্ছেন। বিশেষ করে মিঠাপুকুরের লালপুর, পদাগঞ্জ, তেয়ানিসহ আশপাশের গ্রামের যুবকেরা এখন আম ব্যবসায় জড়িয়ে বেকারত্ব দূর করেছেন।

রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ওবায়দুর রহমান মণ্ডল বলেন, ওই এলাকায় প্রায় ১৭ লাখের অধিক হাঁড়িভাঙ্গা আমগাছ রয়েছে। এ বছর ১ হাজার ৯০৫ হেক্টর জমিতে রয়েছে হাঁড়িভাঙ্গা আম। গত বছর ১ হাজার ৮৮৭ হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছিল। গরম হওয়ায় আমের আকার কিছুটা ছোট হলেও ফলন ভালো হয়েছে। প্রতি হেক্টরে ১২-১৫ টন আম পাওয়া যাবে।

]]>
https://bgn24.com/?feed=rss2&p=3481 0
ঝিনাইদহে পেঁয়াজের বীজ বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ https://bgn24.com/?p=3389 https://bgn24.com/?p=3389#respond Wed, 08 Feb 2023 12:26:18 +0000 https://bgn24.com/?p=3389 ঝিনাইদহে পেঁয়াজের বীজ বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ১৭ টা ইউনিয়নে ২০২২ ও ২০২৩ অর্থবছরে ৩০০ জন কৃষকের মধ্যে গ্রীষ্মকাল পেঁয়াজ চাষের জন্য কৃষক প্রতি ২৮ শত নগদ টাকা, ৪০ কেজি ইউরিয়া ফসফরাস জাতীয় সার ও এক কেজি উন্নত জাতের পেঁয়াজের বীজ ১ রোল পলিথিন ও কৃষকের প্রশিক্ষণ বাবদ ৭৫০ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। তবে এই প্রকল্পে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার কৃষি বিভাগের ব্যাপক অনিয়ম, স্বজন প্রীতি ,কৃষক নির্বাচনে অবহেলা , যন্ত্রতন্ত্রভাবে যে কোন একজনকে কৃষক সাজিয়ে বীজ বিতরণ সহ যথাযথ উপযুক্ত সময় বীজ কৃষকের হাতে পৌঁছে না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

এই অনিয়মের ফলে সরকার কৃষকের জন্য ব্যাপক ব্যয় করলেও কৃষি বিভাগের চরম অবহেলা ও উদাসীনতার কারণে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পেঁয়াজ উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে না । জানা গেছে যে সরকারের এই প্রকল্পে বরাদ্দকৃত অর্থ প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা। বরাদ্দকৃত ব্যাপক এই অর্থ দেশের কোন কাজেই আসেনি। ঝিনাইদহ সদর উপজেলার কৃষি বিভাগের এই অনিয়ম এর খবর সাংবাদিকরা জানতে পারার পর ঝিনাইদহ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ জাহিদুল করিম এর নিকট কৃষক এর তালিকা জানতে চাহিলে সে তালিকা প্রদান না করার জন্য বিভিন্ন তালবাহানা করে।

১০ই ডিসেম্বর তার কাছে কৃষকের তালিকা চাইলে সে বলে যে বিধি মোতাবেক আবেদন করেন। ১৮ ডিসেম্বর বিধি মোতাবেক আবেদন করে ইমেলে সে তালিকা দিতে দেরি করার জন্য বলেন যে ২০ কর্ম দিবস এর মধ্যে আমি আপনাকে তালিকা দেব। অর্থাৎ এই সময়ের ভিতরে মাঠে গেলে কোথাও যাতে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের খেত না পাওয়া যায়। তারপর ৮ই জানুয়ারি সে ইমেইলে সাংবাদিক কে মেল পাঠিয়ে তথ্য অধিকার আইন ২০০৯ এর ৯ ধারা এর ( ৬ ও ৭ উপধারা মোতাবেক ধারা ) মোতাবেক ইলেকট্রনিক ফরম্যাট বাবদ ৪০০ কৃষকের তালিকা প্রদানের জন্য ৪০০ টাকা খরচ দাবি করেন। অথচ ওই ধারায় তথ্য প্রদানের মূল্য স্বরূপ ফটোকপি প্রতি কপি ২ টাকা করে নেয়ার কথা আছে। ইমেইল করলে তথ্য অধিকার আইন অনুযায়ী বিনা খরচে তথ্য প্রদানের নিয়ম আছে। তখন সাংবাদিক এই তথ্য নেয়ার জন্য ১৫ ই জানুয়ারি সোনালী ব্যাংকে ৪ ০০ টাকা ফি জমা দিয়ে এই তথ্য সংগ্রহ করে।

কৃষকের তালিকা পাওয়ার পর মাঠ পর্যায়ে সরজমিনে ব্যাপক অনিয়মের তথ্য পাওয়া যায়। ঝিনাইদহ সদর উপজেলার সাধুহাটি ইউনিয়নের সাধুহাটি গ্রামে ১১ জন কৃষকের গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের প্রণোদনা সরবরাহ করা হয়েছে। তবে কোন পেঁয়াজের ক্ষেত পাওয়া যায়নি। শাহীন নামের একজন কৃষক দাবি করে যে সে এই জমিতে পেঁয়াজ করেছিল তবে বর্তমানে সেই জমিতে ভুট্টো চাষ হয়েছে। সুমন নামের একজন কৃষকের খেতে দেখা যায় যে রসুনের চাষ হয়েছে। সুমন দাবি করেছে এই খেতে পেঁয়াজ করার পর সে রসুন চাষ করেছে। রাশিদুল নামে একজনের দুই তিন কাটা জমিতে দেখা যায় যে খুব হালকা ভাবে ছোট ছোট পেঁয়াজের চারা হয়েছে। সুমনের খেতে কৃষি বিভাগের রসুনের প্রদর্শিত খামারের রসুন বপনের তারিখ ৭/-১১ /২০২২। পেঁয়াজের বীজ বিতরণের তারিখ দেখানো হয়েছে ১১/৯ /২০২২। রাশিদুল বলেন অন্যদের গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের বীজ বিতরণের প্রায় এক মাস পরে আমাদের কয়েকজনের বীজ দেওয়া হয়েছে। একটি খেতেও কোন প্রদর্শনী সাইনবোর্ড পাওয়া গেল না। কৃষক সুমনের যে খেতে রসুন এর প্রদর্শনী করা হয়েছে সে ক্ষেত মাত্র ১৭ শতক জমি হবে কিন্তু প্রদর্শনী সাইনবোর্ডে ৩৩ শতক জমি লেখা হয়েছে।

এই প্রসঙ্গে সাধুহাটি ইউনিয়নের উপসহকারী কৃষি অফিসার মিলন ঘোষের সাথে কথা বললে সে বলে যে সব পেঁয়াজ সঠিকভাবে চাষ হয়েছে এবং পেঁয়াজ উঠায় কৃষকেরা বিক্রয় করে ফেলেছে বলে কৃষকের ক্ষেতে কোন পেঁয়াজ দেখা যায়নি। যে অঞ্চলে পেঁয়াজ ভালো হয় সেই অঞ্চলেই চাষীদের গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের বীজ বিতরণ করা হয়েছে বলে সে দাবি করেন। তার কাছে জানতে চাওয়া হয় যে এই পেঁয়াজের মেয়াদকাল কত দিনের? প্রতিউত্তরে সে জানাই ১০০ থেকে ১২০ দিন। তখন তার কাছে বর্তমানে জমিতে পেঁয়াজ নাই কেন জিজ্ঞাসা করলে সে বলে যে সাংবাদিকদের সাথে আমাদের এই বিষয়ে কথা বলা নিষেধ আছে। আপনারা আমার স্যার উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাহিদুল করিমের সাথে যোগাযোগ করে কথা বলতে পারেন।

সদর উপজেলার দোগাছি ইউনিয়নে পাওয়া যায় সাধুহাটি ইউনিয়নের উল্টো চিত্র। পন্ডিত পুর গ্রামের সাতজন কৃষক তারা তাদের জমিতে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের চারা রোপন করেছে সবেমাত্র ১৫-২০ দিন হল। তবে পুটিয়া গ্রামের সজীব নাম করে একজন কৃষকের গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের বীজ বিতরণ করেছে। সে মুরগির ব্যবসা করে তার এক বিঘা জমি বন্ধক রেখে গমের চাষ করেছে। তার কোন পেঁয়াজের চাষ নাই। তাছাড়া কলমান খালি গ্রামের এক মহিলাকে পেঁয়াজ চাষী সাজিয়ে তাকে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের প্রণোদনা বিতরণ করেছে। সে প্রকৃতপক্ষে কোন কৃষক নয় । সে অত্র ইউনিয়নের উপসহকারী কৃষি অফিসারের বাচ্চা রাখেন। সেই সুবাদে তাকে এই গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের প্রণোদনা দেয়া হয়েছে।

এই প্রসঙ্গে দোগাছি ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান কাজল জানান এই ইউনিয়নের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা তার যাদের সাথে সম্পর্ক ভালো শুধু তাদেরকেই বিভিন্ন প্রকার সুযোগ-সুবিধা দিয়ে থাকেন। আমি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হলেও কৃষকের ব্যাপারে আমার সাথে কোন পরামর্শ করা হয় না। যার কারণে যারা প্রকৃত কৃষক তারা অনেকেই কৃষি বিভাগের বিভিন্ন প্রকার সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

এই প্রসঙ্গে দোগাছি ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা কুহেলি বিশ্বাস এর সাথে কথা বললে সে বলে যে কোন প্রকার অনিয়ম স্বজনপ্রীতি এখানে ঘটেনি প্রকৃত কৃষকদেরই পেঁয়াজের প্রণোদনা দেয়া হয়েছে। চেয়ারম্যানের পরামর্শই তা হয়েছে বলে সে দাবি করেন। সে বলে যে ধান কাটার পরে আমার কৃষকেরা গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের চাষ করেছে ।তাই এখনো তাদের পেয়াজ মাঠে রয়েছে। এই পিয়াজ আরো দেড় দুই মাস পর কৃষক তুলতে পারবে বলে সে দাবি করেন।

এই প্রসঙ্গে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাহিদুল করিমের সাথে কথা বললে সে বলে নিয়ম মোতাবেক যথাযথ সময়ে কৃষকের মাঝে পেঁয়াজের প্রণোদনা বিতরণ করা হয়েছে। এতদিনে কৃষকের মাঠে আর গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ নেই বলেন জানান।

]]>
https://bgn24.com/?feed=rss2&p=3389 0
কম খরচে বেশি লাভ বাদাম চাষে ঝুঁকছে চাষী https://bgn24.com/?p=3257 https://bgn24.com/?p=3257#respond Tue, 15 Nov 2022 05:02:37 +0000 https://bgn24.com/?p=3257 কম খরচে বেশি লাভ বাদাম চাষে ঝুঁকছে চাষী

কুড়িগ্রামে জেলার চরাঞ্চলের মাটি বাদাম চাষের উপযোগী হওয়ায় এ বছরও বাদাম চাষ করেছেন কৃষকরা। ফলন হয়েছে সন্তোষজনক। চরের জেগে ওঠা বালু মাটি বাদাম চাষে উপযোগী হওয়ায় বাদাম চাষ করে লাভবান হচ্ছেন অনেকেই।

বাদাম চাষীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে,বালু মাটি বাদাম চাষের উপযোগী। বাদাম রোপণ করা থেকে শুরু করে পরিপক্ব হতে সময় লাগে প্রায় তিন মাস। প্রতি বছর বন্যায় ব্যাপক হারে ভাঙনের ফলে মাটি সরে গিয়ে জমিতে বালি মাটি উঠে এসেছে। এই বালু মাটিতে অন্য কোনো ফসল হয় না।

তবে অন্য ফসল না হলেও বালু মাটিতে বাদাম চাষ ভালো হয়। আগের চেয়ে বর্তমানে বাজারে বাদামের চাহিদা বেশি হওয়ায় এটি চাষে ঝুঁকছে চরাঞ্চলের কৃষকরা।

কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, জেলায় বাদাম চাষের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ হাজার ৩শ ৭৫ হেক্টর জমিতে। তবে অর্জিত হয়েছে ১ হাজার ৮শ ৫০ হেক্টর জমি। এর মধ্যে সদর,উলিপুর ও চিলমারীতে বাদামের আবাদ বেশি হয়েছে।

সদরের যাত্রাপুর ইউনিয়নের ভগপতিপুর গ্রামের বাদাম চাষী আলতাফ হোসেন বলেন,আমি এবার দুই বিঘা জমিতে বাদাম আবাদ করেছি। ফলনও ভালো দেখা যাচ্ছে। বাদাম চাষে বিঘা প্রতি সবমিলিয়ে খরচ হয় পাঁচ হাজার টাকার মতো।

এক বিঘা জমিতে বাদাম উৎপাদন হবে ১৫-১৬ মণ। বাদামের মৌসুমে প্রায় ২ হাজার টাকা প্রতি মণ বাদাম বিক্রি করা যায়। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে দুই বিঘা জমির বাদাম ৭০-৭৫ হাজার টাকায় বিক্রি করতে পারব।

একই এলাকার আব্দুল খালেক বলেন,আমি তিন বিঘা জমিতে বাদাম আবাদ করেছি। এক বিঘা জমিতে প্রায় ১০ কেজির মত বীজ লাগে। বাদামের বীজ রোপণ করা থেকে পরিপক্ব হতে তিন মাস সময় লাগে। বাদাম আবাদে লোকসান নাই বললে চলে।

কোনো প্রকার সার ও কীটনাশকের প্রয়োজন হয় না। এক বিঘা জমির বাদাম ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা বিক্রি করা যায়। আর এক বিঘা জমিতে সবমিলিয়ে খরচ হয় মাত্র চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা।

কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিপ্লব কুমার মোহন্ত বলেন, বাদাম লাভজনক আবাদ। কুড়িগ্রামের ৯টি উপজেলার মধ্যে উলিপুর,চিলমারী ও সদরে বাদামের আবাদ বেশি হয়।

এবার ফলন মোটামুটি ভালো হয়েছে। আশা করছি প্রতি বছরের ন্যায় এবারও কৃষকরা বাদাম বিক্রি করে লাভবান হতে পারবে।

 

]]>
https://bgn24.com/?feed=rss2&p=3257 0
দেশের ইলিশ যাচ্ছে ভারতে https://bgn24.com/?p=2877 https://bgn24.com/?p=2877#respond Mon, 05 Sep 2022 15:03:24 +0000 https://bgn24.com/?p=2877 দেশের ইলিশ যাচ্ছে ভারতে

দুর্গাপূজা উপলক্ষে ২ হাজার ৪৫০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। যার প্রথম দিনে বেনাপোল বন্দর দিয়ে দুটি ট্রাকে ৮ মেট্রিক টন ইলিশ ভারতে প্রবেশ করেছে।

সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় কাস্টমস ও বন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে ইলিশের ট্রাক প্রবেশ করেছে।

ইলিশ রপ্তানি কারক মাহিমা এন্টারপ্রাইজ প্রতিষ্ঠান। আর আমদানি কারক ভারতের এস আর ইন্টারন্যাশনাল । পণ্য চালানটি বন্দর থেকে ছাড় করাতে প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র দাখিল করে জিইও (GEO) নামে একটি সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠান।

এছাড়া প্রতিকেজি ইলিশের রপ্তানি মূল্য ১০ ডলার মূল্য নির্ধারন করা হয়েছে। দুই দেশেই শুল্কমুক্ত সুবিধায় এ ইলিশ ভারতে রপ্তানি করা হয়। এ ইলিশ ভারতে রপ্তানির জন্য বাংলাদেশি ৪৯ টি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান অনুমোদন পেয়েছেন।

বেনাপোল মৎস্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রন অফিসের পরিদর্শক মাহাবুব জানান, হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান দূর্গাপূজা উপলক্ষে সরকার গত ৪ সেপ্টম্বর বাংলাদেশের ৪৯ জন রপ্তানি কারককে প্রত্যেককে ৫০ টন করে ২ হাজার ৪৫০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেয়।

আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সমস্ত ইলিশ ভারতে রফতানির নির্দেশ রয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রনালয়ের। আজ প্রথম চালানে মাহিমা এন্টারপ্রাইজ নামে এক রপ্তানিকারক ৮ টন ইলিশ ভারতে পাঠালো।

মাছ রপ্তানিকারক প্রতিনিধি জিইও(GEO) সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট প্রতিনিধি আব্দুর রাজ্জাক জানান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে দূর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতে ২ হাজার ৪৫০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন হয়।

আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ২ হাজার ৪৫০ মেট্রিক টন ইলিশের সব চালান পাঠানোর নির্দেশনা রয়েছে। এবং যার মধ্যে থেকে তারা আজ প্রথম চালানে ৮ মেট্রিক টন ইলিশ ভারতে রপ্তানি হয়েছে।

]]>
https://bgn24.com/?feed=rss2&p=2877 0