slider – Bangla Green News https://bgn24.com সংবাদে নতুনত্বের সূচনায়! Mon, 24 Mar 2025 04:48:34 +0000 en-US hourly 1 https://wordpress.org/?v=6.8.1 তরমুজের সাদা অংশটি খেলে কী হয় https://bgn24.com/?p=4078 https://bgn24.com/?p=4078#respond Mon, 24 Mar 2025 04:48:33 +0000 https://bgn24.com/?p=4078 সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটা ভিডিও বেশ ভাইরাল। ঢাকার কারওয়ান বাজারের এক তরমুজ বিক্রেতা বলছেন, ‘ওই কী রে! ওই কী রে!’ পরক্ষণেই বলছেন, ‘মধু মধু!’ মধুর সঙ্গে তুলনা না করলেও তরমুজ আদতে নানান পুষ্টিগুণে ভরপুর। পানিসমৃদ্ধ ফলটিতে আছে প্রচুর ভিটামিন এ, সি, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম এবং অন্যান্য পুষ্টিগুণ। তরমুজের শাঁসেই যে সব পুষ্টি থাকে, তা নয়; এর সাদা অংশটিও দারুণ পুষ্টিগুণে ভরপুর। আর তা খাওয়া চলে অনায়াসে। জেনে নিন মহৌষধি গুণের কথা।

কর্মক্ষমতা বাড়ায়

তরমুজের সাদা অংশ, অর্থাৎ এর বহিরাবরণ ও লাল শাঁসের মাঝখানে যে অংশটুকু থাকে, তাতে পাবেন সিট্রুলিন নামে একধরনের নন-এসেনশিয়াল অ্যামিনো অ্যাসিড। এটি খেলে আমাদের কর্মক্ষমতা বাড়তে পারে কল্পনার চেয়েও অধিক।

সিট্রুলিন আমাদের রক্তনালির প্রসারণ ঘটায়। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল লাইব্রেরি অব মেডিসিনের গবেষণা বলছে, সিট্রুলিন মাংসপেশিতে অক্সিজেনের জোগান দেয়। ফলে কর্মক্ষমতা বাড়ে।

খাবেন কীভাবে? উত্তর হলো, তরমুজের লাল শাঁসের মতো এমনিতেই খেতে পারেন। চাইলে চাটনি বানিয়েও খাওয়া যায়। যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণের রাজ্যগুলোতে তরমুজের সাদা অংশের চাটনি প্রাচীন চিকিৎসাপদ্ধতির একটি অংশ।

রক্তচাপ কমায়

আমেরিকান জার্নাল অব হাইপারটেনশন যে গবেষণা চালিয়েছে, তাতে দেখা গেছে, তরমুজের সাদা ও অন্যান্য অংশ প্রাপ্তবয়স্কদের উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে দারুণভাবে সাহায্য করে। শুধু তা-ই নয়, তরমুজে যে সিট্রুলিন আছে, সেটিও উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। তরমুজ মূত্রবর্ধকও বটে। ফলে এটিও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।

ফাইবারের উৎস

তরমুজের খোসা ফাইবার বা আঁশের সমৃদ্ধ উৎস। আর এটা তো জানা কথাই, ফাইবারসমৃদ্ধ খাবারের অনেক উপকারিতা। একবার চলুন ফাইবারের কী কী উপকারিতা, তাতে চোখ বুলিয়ে নিই—

  • নিয়মিতভাবে মলত্যাগের ক্ষেত্রে সহায়ক এবং কোলন ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়।
  • কোলেস্টেরল ও ব্লাড সুগার কমাতে সাহায্য করে।
  • ফাইবারসমৃদ্ধ খাবার দ্রুত পেট ভরায়, ভরা রাখে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

সূত্র: হেলথলাইন

]]>
https://bgn24.com/?feed=rss2&p=4078 0
বড় বাপের পোলায় খায় https://bgn24.com/?p=4071 https://bgn24.com/?p=4071#respond Tue, 18 Mar 2025 08:23:33 +0000 https://bgn24.com/?p=4071 ‘বায়ান্ন বাজার তেপ্পান্ন গলি’ খ্যাত ঢাকার ঐতিহ্যবাহী চকবাজার। এটি পুরান ঢাকায় অবস্থিত।

এখানকার অধিবাসীদের জন্য ১৬৭৬ সালে মোগল সুবেদার শায়েস্তা খান নির্মাণ করেন ঐতিহ্যবাহী শাহি মসজিদ। পরে ১৭০২ সালে নবাব মুর্শিদ কুলি খাঁ এই চকবাজারকে রূপান্তর করেন আধুনিক বাজারে। সেই থেকে এ বাজার ভরে ওঠে সমঝদার মানুষের মুখরোচক খাবারে। আর ওই সময় থেকেই রমজান মাস এলে এখানকার রোজাদারদের জন্য তৈরি হয় নানা ধরনের বাহারি ইফতারি। বাণিজ্যের জন্য বসতে শুরু করে ভাসমান বাজার। সে ঐতিহ্য আজও বহমান।

পূর্বের ধারবাহিকতা বজায় রেখে চকবাজারসহ আশপাশের এলাকাজুড়ে চোখে পড়ে মুখরোচক ইফতারির বাহার, যা হরহামেশাই মন কেড়ে নিচ্ছে রোজাদারসহ সবার।

বর্তমানে চকবাজার ছাড়াও পুরান ঢাকার বাংলাবাজার, সদরঘাট, বংশাল, গুলিস্তান, ওয়ারী, লক্ষ্মীবাজার, বাবুবাজার, আরমানিটোলা, সুরিটোলা, কাপ্তানবাজার, চানখাঁর পুল, আজিমপুর, টিপু সুলতান রোড, নারিন্দাসহ রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে বাহারি ইফতারি পাওয়া যায়। পুরান ঢাকার সব পাড়া-মহল্লায় হরেক রকম ইফতার পাওয়া গেলেও চকবাজারের ইফতার স্থানীয় রোজাদারদের জন্য সারাদিন যেন মুখিয়ে থাকা ভোজন বিলাস।

এই ঐতিহ্যবাহী ইফতার ঢাকার ভোজন রসিকদের জন্য আকর্ষণ ও দর্শনীয়ও বটে।

এসব এলাকায় গেলে হাঁকডাক শোনা যায়, ‘এটা চকবাজারের সেরা, বড় বাপের পোলায় খায় ঠোঙ্গায় বইরা লইয়া যায়’, ‘বায়ান্ন বাজার তেপ্পান্ন গলির শাহী সূতি কাবাব’। এমন হাঁক ডাকে বুঝা যায় এটা রাজধানীর পুরান ঢাকার চকবাজার। যে বিক্রেতা যত আয়োজন করে ডাকতে পারেন, সে দিকে চোখে পড়ে ক্রেতাদের ভীড়। তাই তো বরাবরের মতো এবারো ঐতিহ্যবাহী চকবাজারে ইফতার সামগ্রীর বাজার জমজমাট হয়ে উঠেছে।

চকবাজারে দুপুরের পরপর দোকানিরা নানা পদের ইফতারির পসরা সাজিয়ে বসেন। পুরান ঢাকার বিশেষ খাবার যেমন- কাবাব, মোগলাই পরোটা, হালিম, শাহি জিলাপি, রেজালা, গরুর আচার, মুরগির আচার, লেগ রোস্ট, বোরহানির মতো খাবারের স্বাদ মানুষকে টেনে নিয়ে আসছে প্রতি রমজানে। চকবাজারে ইফতার বাজার বসে শাহি মসজিদের সামনে রোডের দুই পাশজুড়ে। পুরান ঢাকার স্থানীয়রা ছাড়াও ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে ভোজন বিলাসীরা এখানে আসেন পছন্দের ইফতার সামগ্রী কিনতে।

গাজীপুর থেকে বন্ধুদের সাথে ইফতার বাজারে এসেছেন জাহিদুর রহমান। তিনি বলেন, ফেসবুকে ইউটিউবে চকবাজারের জনপ্রিয়তা দেখে বন্ধুদের সাথে নিয়ে এলাম ইফতার কিনতে। অনেকদিন পর সব বন্ধুরা একসাথে হয়েছি। তাই ইফতার পার্টির ইফতার আমরা এখান থেকে কিনলাম। আমরা চিকেন গ্রিল, ডিম চপ, কবুতর রোস্টসহ অন্যান্য খাবার কিনেছি।

বরিশালের লঞ্চের যাত্রী হারুন হাবীব এসেছেন চকবাজারে ইফতার কিনতে। তিনি বলেন, পরিবার নিয়ে বরিশাল যাচ্ছি, ছেলে-মেয়েরা মোবাইলে চকবাজারের ইফতারের ভিডিও দেখে আবদার করেছে তারাও এখানকার ইফতার খাবে। তাই ওদের আবদার পূরণের জন্য যানজটে কষ্ট করেও এখানে থেকে ইফতার কিনলাম।

‘বড় বাপের পোলায় খায়’-এর বিক্রেতা বলেন, এটি বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী ইফতার বাজার। এখানে মানুষ আসবেই।

এবার প্রতি পিস কিমা পরোটা ১১০ টাকা, টান পরোটা ৮০ টাকা, চিকেন সাসলিক ১১০ টাকা, অ্যারাবিয়ান কাবাব ৮০ টাকা, মুঠি কাবাব ৬০ টাকা, হালিম ৩০০ /৪০০/ ৮০০ টাকা বাটি, বটি কাবাব ১২০ টাকা, দই বড়া ২৫ টাকা, শাহী জিলাপি ৩০০ টাকা, সাধারণ জিলাপি ২০০ টাকা, চিকেন চাপ ১৫০ টাকা, কোয়েল পাখির রোস্ট ১০০ টাকা প্রতি পিচ, খাসির লেগ রোস্ট ৮০০ টাকা। এছাড়াও রয়েছে হরেক রকমের শরবত, ছোলা, পেয়াজু, বেগুনি, ফালুদা, আলুর চপসহ নানা রকমের ফল।

ইফতার বিক্রেতা তাওসিফ আহমেদ বলেন, গতবারের তুলনায় আমাদের এবার বিক্রি ভালো। আমরা সবসময় খাবারের গুণগত মান ঠিক রাখার চেষ্টা করি। তাই আমাদের ক্রেতারা বার বার আমাদের কাছে আসেন।

চকবাজারের বেশিরভাগ ইফতার বিক্রেতারা বংশপরম্পরায় এখানে ব্যবসা করছেন। কারো ব্যবসা এখন তৃতীয় প্রজন্ম, কারো ব্যবসা চতুর্থ প্রজন্মের বংশধররা পরিচালনা করছেন। কিছু কিছু বিক্রেতা আবার মৌসুমি ব্যবসায়ী। তারা শুধু রোজার মাসে এখানে ইফতারের দোকানগুলো পরিচালনা করেন।

সূত্র : বাসস

]]>
https://bgn24.com/?feed=rss2&p=4071 0
উন্নয়নের করাতে প্রাণ হারানো গাছে শ্রদ্ধা https://bgn24.com/?p=4064 https://bgn24.com/?p=4064#respond Sat, 22 Feb 2025 08:50:12 +0000 https://bgn24.com/?p=4064 তীব্র সবুজ সংকটে ভুগছে রাজধানী। উন্নয়নের করাতে একের পর এক প্রাণ হারাচ্ছে গাছ। ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের পলাশীমুখী র‌্যাম্প নির্মাণের জন্য হাতিরঝিলের একাংশ ভরাট ও পান্থকুঞ্জ পার্কের দুই হাজারের বেশি গাছ কাটা হয়েছে। এই ঘটনায় প্রাণ হারানো গাছের জন্য শোক প্রকাশ করেছেন বৃক্ষপ্রেমী একদল শিশু-তরুণ। গতকাল শুক্রবার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে পান্থকুঞ্জ ও হাতিরঝিলে কেটে ফেলা পাঁচটি গাছ ও বুনোফুল দিয়ে শহীদ মিনার তৈরি করা হয়েছে। বাংলাদেশের সব মৃত গাছের স্মরণ ও গাছ রক্ষার দাবিতে শহীদ মিনারটি তৈরি করেছে বাংলাদেশ গাছ রক্ষা আন্দোলন। পান্থকুঞ্জ পার্কে মৃত গাছ দিয়ে পরম যত্নে শহীদ মিনার তৈরি করে, তাতেই পুষ্পস্তবক অর্পণ করে ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে।

পান্থকুঞ্জ পার্ক ও হাতিরঝিল রক্ষার দাবিতে ৭০ দিন ধরে এই পার্কে অবস্থান করছেন প্রকৃতিপ্রেমী তরুণরা। পরিবেশবিদরা বলছেন, এসব গাছের মৃত্যুর জন্য অপরিকল্পিত উন্নয়ন দায়ী। কাটা গাছ দিয়েই শহীদ মিনার বানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ গাছ রক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক আমিরুল রাজীব বলেন, আজকের এ শ্রদ্ধা গাছের জন্য, পরিবেশের জন্য। এ রকম একটি গাছ তৈরি করতে মানুষের পুরো জীবন লেগে যায়। অথচ উন্নয়নের ডামাডোলে গাছের জীবন রক্ষা পায় না।বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের সভাপতি অধ্যাপক আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, পান্থকুঞ্জে ছায়া ছিল, পাখি ছিল। মানুষ এখানে সময় কাটাতে আসত। পান্থকুঞ্জ ও হাতিরঝিলকে মুক্তি দিন। পান্থকুঞ্জ ধ্বংস হলে শুধু এই এলাকার মানুষ নয়, পুরো রাজধানীর বাসিন্দা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।

]]>
https://bgn24.com/?feed=rss2&p=4064 0
বড় মাইলফলকের দিকে নজর https://bgn24.com/?p=4054 https://bgn24.com/?p=4054#respond Thu, 23 Jan 2025 08:47:01 +0000 https://bgn24.com/?p=4054 ওয়েস্ট ইন্ডিজের মেয়েদের কাছে প্রথম ম্যাচে পাত্তাই পায়নি বাংলাদেশ। তাতে প্রত্যাশা কমে গিয়েছিল। দ্বিতীয় ম্যাচেও ব্যাটিং হয়নি জুতসই, তবু দুইশ’র কম পুঁজি নিয়ে বাংলাদেশ পেয়েছে ৬০ রানের ঐতিহাসিক জয়। এতে সরাসরি বিশ্বকাপ খেলার আশাও টিকে রয়েছে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের। সে দিকে তাকিয়ে আছেন অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি। আগের ম্যাচেও দুইশ’র নিচে পুঁজি গড়ে কোনো লড়াই করতে পারেনি বাংলাদেশ, এবার স্বল্প পুঁজি নিয়ে ম্যাচ জেতায় বড় ভূমিকা বোলারদের।

নাহিদা আক্তার, মারুফা আক্তারদের কৃতিত্ব দেন জ্যোতি। ম্যাচ শেষে তিনি বলেন,  ‘প্রথমত, আমি মনে করি যে, দলের বিশ্বাস ছিল। যদিও রানটা অনেক কম ছিল। এসব উইকেটে দুইশ’র বেশি রান না করলে বোলারদের জন্য কাজটা অনেক কঠিন। তবে আমরা যখন মাঠে নামি, এর আগেই বলছিলাম যে, সবাই যেন জয়ের বিশ্বাস রাখি। কারণ, আমরা যদি জায়গায় বল রাখতে পারি, পরিকল্পনা অনুযায়ী সময়মতো উইকেট নিতে পারি, তাহলে (জেতা) সম্ভব।’ দলের প্রতিটি বোলার কিংবা ফিল্ডার সকলে শতভাগের বেশি দিয়েছে জানিয়ে বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেন, ‘প্রতিটি বোলার, প্রতিটি ফিল্ডার যেভাবে ১১০ ভাগ দিয়েছে এবং চেষ্টা করেছে, সেটা অসাধারণ ছিল। সবার চেষ্টায় এরকম একটা জয় সম্ভব হয়েছে।’ এদিন টস জিতে আগে বল করতে চেয়েছিল বাংলাদেশ। টস হেরে ব্যাট করতে গিয়ে বিপর্যয়ে পড়ে দল। পরে দলকে একাই টানেন জ্যোতি। নিজের তৃপ্তি জানিয়ে জ্যোতি বলেন, ‘আমাদের পরিকল্পনা ছিল আগে বল করার। টসে হেরে যখন ব্যাটিংয়ে গেছি, যেহেতু ভালো ট্র্যাক, আমাদের লক্ষ্য ছিল দুইশ’র বেশি রান। সেটা আমরা পারিনি। আমি চেষ্টা করেছি, নিজের ধরনের বাইরে গিয়ে অনেক বেশি বল খেলতে এবং থিতু হতে। এখন দিন শেষে মনে হচ্ছে, রানগুলো অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল দলের জন্য এবং দলের জন্য অবদান রাখতে পেরে আমি অনেক বেশি খুশি।’ আগামী শনিবার শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের সামনে হাতছানি দু’টি। ম্যাচ জিততে পারলে দেশের বাইরে প্রথমবার সিরিজ জেতার পাশাপাশি সরাসরি বিশ্বকাপ খেলাও নিশ্চিত হয়ে যাবে। তবে বিশ্বকাপ খেলার সমীকরণ সরিয়ে সিরিজ জেতার মাইলফলকে মন দিয়ে চাপমুক্ত থাকার কথা জানালেন জ্যোতি।

তিনি বলেন, ‘সমীকরণের চিন্তা এখনো করছি না। প্রথম ম্যাচ হারার একদিন পরই দল এভাবে ঘুরে দাঁড়ালো, এটিই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এটা আমাদের অনেক বেশি কাজে লাগবে। দু’টি পয়েন্ট গুরুত্বপূর্ণ ছিল। মোমেন্টাম সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। দল সেটা পেয়েছে। শেষ ম্যাচে আমাদের চেষ্টা এটাই থাকবে। সিরিজ জয়ের একটা চেষ্টা থাকবে। দেশের বাইরে আমরা কখনো সিরিজ জিততে পারিনি। এটা অর্জন করতে পারলে আমাদের দলের জন্য অনেক বড় একটা মাইলফলক হয়ে থাকবে।’

]]>
https://bgn24.com/?feed=rss2&p=4054 0
স্বর্ণের খনির সন্ধান https://bgn24.com/?p=4051 https://bgn24.com/?p=4051#respond Tue, 14 Jan 2025 12:10:13 +0000 https://bgn24.com/?p=4051 পাকিস্তানে বিশাল এক স্বর্ণের খনির সন্ধান পাওয়া গেছে। সিন্ধু নদের পাঞ্জাব অংশের অববাহিকা এলাকা এই খনিতে অন্তত ২৮ লাখ ভরি স্বর্ণ মজুত আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

পাঞ্জাব প্রদেশের সাবেক খনিজ সম্পদ মন্ত্রী ইব্রাহিম হাসান মুরাদ এই সংবাদের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তারউদ্ধৃতি দিয়ে ভারতীয় ও পাকিস্তানের বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। তিনি বলেছেন, মজুত স্বর্ণ প্রক্রিয়াজাত করলে এর মূল্য দাড়াবে ৮ হাজার কোটি রুপি। এতে দেশের সংকটে জর্জরিত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করবে। 

তিনি জানিয়েছেন, পাকিস্তানের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ১২৭ স্থানে খনন করে এই স্বর্ণের সন্ধান পেয়েছে। 

গত ১০ জানুয়ারি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক বার্তায় ইব্রাহিম হাসান মুরাদ বলেন, ‘সিন্ধু নদের পাঞ্জাব অংশের অববাহিকায় ৩২ কিলোমিটার জুড়ে বিস্তৃত এই খনিতে অন্তত ২৮ লাখ ভরি (প্রায় ৩৩ টন) স্বর্ণ মজুত রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বর্তমান বাজারে এই পরিমাণ স্বর্ণের দাম ৮ হাজার কোটি পাকিস্তানি রুপি।

তিনি আরও বলেন, ‘পাকিস্তানের ভূতাত্ত্বিক গবেষণা সংস্থা জিওলজিক্যাল সার্ভে অব পাকিস্তান (জিএসপি) এই জরিপ পরিচালনা করেছে। সিন্ধু নদের পাঞ্জাবের তীরবর্তী অঞ্চলের ১২৭টি জায়গার নমুনা সংগ্রহ ও তা পরীক্ষার মাধ্যমে এই সিদ্ধান্তে এসেছে জিএসপি।’ 

পাকিস্তানের ভূতাত্ত্বিক জরিপের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, সিন্ধু নদের তলদেশ থেকে প্রায় ৬০০ বিলিয়ন রুপি মূল্যের স্বর্ণ উত্তোলন সম্ভব।

বিশেষজ্ঞদের মতে, হাজার হাজার বছর ধরে হিমালয় থেকে সিন্ধু নদের স্রোতের সঙ্গে ভেসে আসা সোনার কণা নদীর তলদেশে জমা হয়ে এই মজুত তৈরি করেছে, যাকে ‘প্লেসার ডিপোজিশন’ বলা হয়।

ইব্রাহিম হাসান মুরাদ জানিয়েছেন, কেবল অ্যাটক জেলায় ৩২ কিলোমিটার এলাকা জুড়েই প্রায় ৩২ দশমিক ৬ মেট্রিক টন সোনা থাকতে পারে। স্থানীয় বাসিন্দারা দীর্ঘদিন ধরে সিন্ধু নদ থেকে সোনার কণা সংগ্রহ করলেও ২০২৪ সালে পাঞ্জাব সরকার নদী থেকে সোনা উত্তোলনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে এবং অবৈধ খনন বন্ধে ১৪৪ ধারা জারি করে।

]]>
https://bgn24.com/?feed=rss2&p=4051 0
মানুষের ওপর চাপ আরও বাড়ল https://bgn24.com/?p=4044 https://bgn24.com/?p=4044#respond Sat, 11 Jan 2025 05:50:18 +0000 https://bgn24.com/?p=4044 নানা কারণে গেল বছর নিত্যপণ্যের বাজার ছিল রীতিমতো ‘পাগলা ঘোড়া’। দামের চোটে বছরজুড়ে গড় মূল্যস্ফীতি থেকেছে দুই অঙ্কের ঘরে। খরচা ছুটলেও মানুষের রোজগার বাড়েনি তেমন। উল্টো চাকরি খুইয়ে ধুঁকছেন অনেকে। এর মধ্যেই দুঃসংবাদ হয়ে হাজির শতাধিক পণ্য ও সেবায় নতুন শুল্ক-কর। এতে নাটাই যেভাবে ছুটবে, তাতে জীবনযাত্রা খরচার সামাল দেওয়া অনেকটাই দুঃসাধ্য হয়ে পড়বে নির্ধারিত আয়ের মানুষের। গেল আগস্টে দেশের রাজনৈতিকে মঞ্চ বদলের পর অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে মানুষের যে প্রত্যাশা ছিল, তাও ফিকে হয়ে আসছে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, শুল্ক-করের পরিমাণ না বাড়িয়ে এর আওতা বাড়ানো উচিত। বিভিন্ন খাতে অনেক ব্যবসায়ী আছেন, যারা ভ্যাট দিচ্ছেন না। কর হার কমিয়ে এসব ব্যবসায়ীকে ভ্যাটের আওতায় আনা গেলে সরকারের রাজস্ব বাড়বে। তবে সরকার সে পথে না হেঁটে যারা নিয়মিত ভ্যাট দিচ্ছেন, তাদের ওপরেই আরও বোঝা চাপাল। এতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে ব্যবসা-বাণিজ্যে। বাড়বে কর ফাঁকির প্রবণতাও। তারা মনে করেন, সরকারের উচিত, প্রয়োজনীয় পণ্য ও সেবায় ভ্যাট অব্যাহতি বা কমানো, ভ্যাট ব্যবস্থা সহজ করা। পাশাপাশি ভ্যাট কমিয়ে করের আওতা বাড়ানো।

তবে ভোক্তা-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ভোক্তার কাছ থেকে আদায় করা ভ্যাট-ট্যাক্সের বড় অংশই ব্যবসায়ী ও এনবিআরের কর্মকর্তারা মিলেমিশে লুটছেন। তা জমা হয় না সরকারের কোষাগারে। অথচ কর ফাঁকির এই মহোৎসবের কারণে বারবার বলি হচ্ছে মানুষ। রাজস্ব আয় বাড়ানোর ব্যাপারে এনবিআরের গরজ থাকলেও কর ফাঁকি ও চুরি বন্ধে এ প্রতিষ্ঠানের কোনো মাথাব্যথা নেই। 

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বিদ্যমান উচ্চ মূল্যস্ফীতিতে নতুন করে বাড়তি শুল্ক-করে মূল্যস্ফীতি আরও বাড়বে। তারা অন্য কোনো কৌশলে রাজস্ব বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন।
সরকারের এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলো। তাদের দাবি, জবাবদিহি না থাকায় অনির্বাচিত সরকারের এ সিদ্ধান্ত মানবে না জনগণ।

মূল্যস্ফীতি আরও ফুঁসবে
প্রায় তিন বছর ধরে চলতে থাকা উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে স্বস্তিতে নেই ভোক্তারা। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য বলছে, গেল বছর গড় মূল্যস্ফীতি ছিল ১০ দশমিক ৩৪ শতাংশ। তার আগের বছর ২০২৩ সালে এই হার ছিল ৯ দশমিক ৪৮। গত বছর উচ্চ মূল্যস্ফীতির চাপে ছিল মানুষ। সে তুলনায় মানুষের আয় বাড়েনি। উল্টো বেড়েছে বেকারের সংখ্যা। বিবিএসের ত্রৈমাসিক শ্রমশক্তি জরিপ অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) বেকারের  সংখ্যা ছিল ২৬ লাখ ৬০ হাজার, যা এক বছর আগে ওই সময়ে ছিল ২৪ লাখ ৯০ হাজার। অর্থাৎ এক বছরে বেকার বেড়েছে ১ লাখ ৭০ হাজার। 

এ পরিস্থিতিতে আইএমএফের শর্ত মানতে গিয়ে জনগণের ওপর আরও করের বোঝা চাপাল সরকার। বাজেটের আগেই বছরের মাঝামাঝি এসে অপ্রত্যাশিতভাবে শতাধিক পণ্য-সেবার ওপর ভ্যাট, সম্পূরক ও আবগারি শুল্ক বাড়াল জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। বিশেষ করে রেস্তোরাঁ, ওষুধ, কোমল পানীয়, সাবান, ডিটারজেন্ট, বিস্কুট, ফল, জুস, পোশাক, গৃহস্থালিসহ নানা পণ্যে শুল্ক-কর বাড়ানো হয়েছে। এগুলো আবশ্যক পণ্য। এ ছাড়া টেলিফোন, ইন্টারনেট ও এলপি গ্যাসের মতো কয়েকটি সেবার ক্ষেত্রেও শুল্ক-কর বাড়ল। এসব কারণে পণ্য ও সেবার খরচ বাড়বে, যা মূল্যস্ফীতিকে আরও উস্কে দেবে।

ওষুধের খরচও বাড়ল
অত্যাবশ্যকীয় ওষুধের বেলায়ও কঠোর সরকার। ওষুধের ক্ষেত্রে স্থানীয় ব্যবসায়ী পর্যায়ে ভ্যাট ২ দশমিক ৪ থেকে বাড়িয়ে ৩ শতাংশ করা হয়েছে। এতে ওষুধের খরচ বাড়বে বলে মনে করেন ব্যবসায়ীরা। বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতির মহাসচিব ও হাডসন ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম শফিউজ্জামান বলেন, ওষুধের দাম বাড়ার শঙ্কা রয়েছে। কারণ, ব্যবসায়ীরা লোকসান দিয়ে ওষুধ উৎপাদন করবেন না।

ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি তাসকীন আহমেদ বলেন, শুল্ক বাড়ালে উৎপাদন খরচ বাড়ে। ফলে অনেক ব্যবসায়ীর পক্ষে প্রতিযোগিতামূলক দাম রাখা কঠিন হয়ে পড়ে, বিশেষত যদি তারা আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে যুক্ত থাকে। উচ্চ শুল্ক-কর ব্যবস্থার কারণে বিনিয়োগকারীরা নিরুৎসাহিত হতে পারেন। নতুন প্রকল্পে বিনিয়োগ কমে যেতে পারে, বিশেষ করে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে। তাঁর মতে, চলমান উচ্চ মূল্যস্ফীতিতে এই সিদ্ধান্তে নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠী সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। যদিও সরকারের তাৎক্ষণিক রাজস্ব বাড়তে পারে, তবে সেটি সাময়িক। ভোক্তার চাহিদা কমে গেলে, ব্যবসায়ীরা কর ফাঁকি দিতে উৎসাহিত হলে রাজস্ব আয় কমবে। 

রাজস্ব আয়ে বড় ঘাটতি
পণ্য ও সেবায় শুল্ক-কর বাড়ানোর কারণে নিত্যপণ্যের দর বাড়বে না বলে বারবার আশ্বস্ত করেছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তবে বাস্তবতা বলছে ভিন্ন কথা। যেখানে আমদানি পর্যায়ে শুল্ক কমালে ভোক্তা তার সুফল পান না, সেখানে ভ্যাট-ট্যাক্স বাড়লে পণ্যের দাম বাড়বে না– তা আষাঢ়ে গল্প ছাড়া কিছুই নয়। গেল বছরের সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে চাল, ভোজ্যতেল, চিনি, খেজুরসহ বেশ কয়েকটি পণ্যে উদারতা দেখিয়ে ঢালাওভাবে আমদানি শুল্ক ও ভ্যাট কমিয়েছে সরকার। তবে সে তুলনায় বাজারে এসব পণ্যের দর কমেনি। উল্টো দর বেড়েছে চাল ও ভোজ্যতেলের। অর্থাৎ শুল্ক-কর ছাড়ের সুফল যাচ্ছে ব্যবসায়ীর ঘরে। নতুন করে শুল্ক-কর বাড়ানোর কারণে ফের জিনিসপত্রের দাম বাড়ানোর সুযোগ নেবেন ব্যবসায়ীরা। 

২০২৪-২৫ অর্থবছরে ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করেছিল ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার। বাজেটে রাজস্ব আহরণ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা। অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে (জুলাই-নভেম্বর) রাজস্ব আহরিত হয়েছে ১ লাখ ২৬ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪২ হাজার ২৩৮ কোটি টাকা কম। এক বছরে ব্যবধানে কমেছে ২ দশমিক ৬২ শতাংশ। এনবিআর বলছে, অতিরিক্ত ১২ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব বাড়াতেই শুল্ক-কর বাড়াতে হয়েছে। 

অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলেছেন, করোনা, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধসহ নানা কারণে যথাসময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি আগের সরকার। তা ছাড়া ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কারণে বাজার ব্যবস্থাপনা ছিল নাজুক। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর মুদ্রানীতি সংকোচন করার পাশাপাশি সরকারি ব্যয়ে কাটছাঁট করে। এতে বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হওয়ায় কর্মসংস্থান কমেছে। অন্তর্বর্তী সরকারও সিন্ডিকেট, চাঁদাবাজি কমিয়ে সরবরাহ ব্যবস্থা ঠিক করতে পারেনি। এসব ক্ষেত্রে অনেকটা আত্মসমর্পণ করেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। সম্প্রতি তিনি সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে বলেন, তেল ও চিনি ব্যবসায়ীরা অনেক শক্তিশালী। তা ছাড়া বিভিন্ন সময় তিনি বলেন, অতিরিক্ত চাঁদাবাজির কারণেই দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আসছে না। 

কেন মানুষের ওপর চাপ সৃষ্টি করে সরকারের রাজস্ব বাড়ানোর এ উদ্যোগ– এ ব্যাপারে জানতে চাইলে অর্থ মন্ত্রণালয় ও এনবিআরের কয়েকজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে  বলেন, সরকারের চাওয়াতেই চলমান ঋণ কর্মসূচির পরিমাণ বাড়িয়ে ৫৩০ কোটি ডলার করে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। তবে এ জন্য রাজস্ব বাড়ানোর শর্তে কঠোর অবস্থানে সংস্থাটি। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরেই কর-জিডিপি অনুপাত দশমিক ২ শতাংশ বাড়ানোর শর্ত দিয়েছে তারা, টাকার অঙ্কে যা ১২ হাজার কোটির বেশি। আগে এ শর্ত পূরণ অনেকটা ঐচ্ছিক থাকলেও পরবর্তী কিস্তি থেকে তা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এই লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবভিত্তিক নয় বলে এনবিআর থেকে একাধিকবার জানানো হয়। এ অবস্থায় শুল্ক-কর বাড়ানোর বিকল্প ছিল না।

আইএমএফের শর্তের বিষয়টি উল্লেখ না করলেও রাজস্ব বাড়ানোর তাগিদ বিষয়ে কথা বলেছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। সম্প্রতি সচিবালয়ে তিনি বলেন, বেশ কিছু পণ্য আমদানিতে অনেক শুল্ক কমিয়ে কয়েক হাজার কোটি টাকা ছাড় দেওয়া হয়েছে। এতে রাজস্ব ঘাটতি অনেক বেশি হয়ে গেছে। তাই রাজস্ব বাড়াতেই এসব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে শুল্ক-কর বাড়লেও নিত্যপণ্যের দাম বাড়ে না। তাই সাধারণ মানুষের কষ্ট হবে না বলেও দাবি করেন তিনি।

তবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক চেয়ারম্যান বদিউর রহমান বলেন, মানুষের কষ্ট হবে– এটা কোনো সরকারই বোঝে না। অন্তর্বর্তী সরকারেরও একই অবস্থা। সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, যে কর দেয় না, তার কাছ থেকে আদায় করার মুরদ নেই। দুর্নীতি করে পাচারকারীকেও ধরবেন না। আর অর্থবছরের মাঝপথে এসে শুল্ক-কর বাড়িয়ে দেবেন– এটা কি গ্রহণযোগ্য হবে?

কর ফাঁকির বলি সাধারণ মানুষ 
কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সহসভাপতি এস এম নাজের হোসাইন বলেন, সরকার এসব পণ্যকে নিত্যপণ্য বলে স্বীকার না করলেও এগুলো জীবন-জীবিকার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। এগুলোর ওপর ভ্যাট ও শুল্ক বাড়ানোর প্রভাব পড়বে ভোক্তার ঘাড়ে। 
তাঁর অভিযোগ, সরকার যখন শুল্ক ছাড় দেয়, তখন ভোক্তা সেই সুফল পান না। এর ফল ভোগ করে ব্যবসায়ী চক্র। অন্যদিকে ভোক্তা ভ্যাট-ট্যাক্স দিলেও ব্যবসায়ী ও এনবিআরের কর্মকর্তারা মিলে তা লুটে নেন। অথচ কর ফাঁকির মহোৎসবের কারণে সাধারণ মানুষ বারবার বলি হচ্ছেন।

যা বলছেন অর্থনীতিবিদরা
এ ব্যাপারে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মাননীয় ফেলো অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, কয়েক বছর ধরেই উচ্চ মূল্যস্ফীতির চাপ রয়েছে। জিনিসপত্রের দামের স্তরও অনেক ওপরে উঠে গেছে। এতে সবাই হিমশিম খাচ্ছে। তাদের প্রকৃত আয় কমে যাচ্ছে। এখন নতুন শুল্ক-কর আরোপের ফলে এই শ্রেণির মানুষের ওপর বাড়তি চাপ তৈরি হবে।
তিনি বলেন, অর্থবছরের মাঝপথে শুল্ক-করে এত বড় পরিবর্তন এর আগে হয়েছে কিনা, জানা নেই। এ ধরনের সিদ্ধান্ত যে মানুষ ভালোভাবে নেয়নি– এটি সরকার খুব ভালো জানে। এ ক্ষেত্রে আইএমএফের শর্তের বিষয়ও রয়েছে। তার পরও বাস্তবতার পরিপ্রেক্ষিতে মধ্যমেয়াদে সামষ্টিক অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা আনার লক্ষ্যেই এ সিদ্ধান্ত। আগামী বাজেটে হয়তো এগুলোকে আবার পুনর্বিবেচনা করতে পারে।
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সানেমের নির্বাহী পরিচালক ড. সেলিম রায়হান বলেন, তালিকায় থাকা ওষুধ, পোশাক, রেস্টুরেন্ট, মোবাইল ফোনসহ অনেক কিছুই নিত্যপণ্য। এগুলোর অজুহাতে অন্য অনেক পণ্যের দাম বাড়ানোর সুযোগ খুঁজবে ব্যবসায়ীরা। এমনিতেই এ মুহূর্তে মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বগতি সরকারের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। উচ্চ মূল্যস্ফীতির সময় কিছু ক্ষেত্রে করছাড় দেওয়া উচিত। এখন কর বাড়ানোর যৌক্তিক সময় নয়।

বিভিন্ন সংগঠনের ভাষ্য
সরকারের এ সিদ্ধান্তে ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। গতকাল আলাদা বিবৃতিতে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম ও সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি ও আইএমএফের চাপে সরকারের এ সিদ্ধান্ত প্রান্তিক, স্থায়ী উপার্জনকারী এবং নিম্ন-মধ্যম আয়ের মানুষের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। এ সিদ্ধান্ত প্রকারান্তরে স্বৈরাচারী সরকারের মতো জনগণের পকেট কাটার নীতি।

বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ বিবৃতিতে বলেন, শ্রমজীবী মানুষের জন্য সর্বজনীন রেশন ও ন্যায্যমূল্যের দোকান চালু না করে সরকার বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের মতোই বর্তমান মূল্যস্ফীতির মধ্যেই ভ্যাট ও শুল্ক বাড়িয়েছে। এই সিদ্ধান্তে গ্রামীণ স্বল্প উপার্জনকারী এবং নিম্ন-মধ্যম আয়ের মানুষের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়বে।
এদিকে জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সম্পাদক ফয়জুল হাকিম বিবৃতিতে শতপণ্যে শুল্ক-ভ্যাট বৃদ্ধির সরকারি সিদ্ধান্তের কঠোর সমালোচনা করে বলেন, ‘উচ্চ মূল্যস্ফীতির মধ্যে জনজীবন যখন বিপর্যস্ত, সে সময় এই কর বৃদ্ধি জনগণের জীবনযাত্রার ব্যয় আরেক দফা বাড়িয়ে তাকে আরও সংকটময় করবে। আইএমএফের শর্ত মেনে অন্তর্বর্তী সরকার এই গণবিরোধী সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’ বিবৃতিতে টিসিবির মাধ্যমে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য বিদেশ থেকে আমদানি করা ও সারাদেশে পূর্ণ রেশনিং চালু করার দাবি জানানো হয়।

]]>
https://bgn24.com/?feed=rss2&p=4044 0
বছরের প্রথম দিনেই শুরু হচ্ছে বাণিজ্যমেলা https://bgn24.com/?p=4036 https://bgn24.com/?p=4036#respond Tue, 31 Dec 2024 06:42:08 +0000 https://bgn24.com/?p=4036 বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর যৌথ উদ্যোগে নতুন বছরের প্রথম দিন অর্থাৎ আগামীকাল বুধবার (১ জানুয়ারি) থেকে বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে শুরু হচ্ছে মাসব্যাপী ২৯তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা (ডিআইটিএফ)-২০২৫। এদিন সকাল সাড়ে ১০টায় মেলা উদ্বোধন করবেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন- বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন এবং রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস-চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন।

২০২২ সালে শেরেবাংলা নগর থেকে স্থানান্তরিত হওয়ার পর এটি পূর্বাচল নতুন ভেন্যুতে তৃতীয় সংস্করণ। এ বছর ভারত, পাকিস্তান, তুরস্ক, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুর এবং হংকং-সহ সাতটি দেশের অংশগ্রহণে ৩৬২টি স্টল এবং প্যাভিলিয়ন অংশ নেবে।

কুড়িল, ভুলতা, গাজীপুর এবং নারায়ণগঞ্জ থেকে দর্শনার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে মেলা চলাকালে ৩০০টি বিআরটিসি বাস চলবে। মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে। মেলায় প্রবেশমূল্য প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য ৫০ টাকা এবং শিশুদের জন্য ২৫ টাকা।

]]>
https://bgn24.com/?feed=rss2&p=4036 0
ভাত খেয়ে যেভাবে গিনেস রেকর্ড করলেন ? https://bgn24.com/?p=4029 https://bgn24.com/?p=4029#respond Mon, 23 Dec 2024 06:33:28 +0000 https://bgn24.com/?p=4029 গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে ১ মিনিটে চপস্টিক দিয়ে সবচেয়ে বেশি ভাত খাওয়ার রেকর্ড কার, জানেন? ২৪ বছর বয়সী বাংলাদেশি তরুণী সুমাইয়া খানের। ১ মিনিটে তিনি ৩৭টি ভাত খেয়েছেন চপস্টিক দিয়ে।

গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের নিয়ম ছিল, প্রতিবার কেবল ১টি করে ভাতের দানাই মুখে তোলা যাবে। চপস্টিকে ১টির বেশি ভাত তুললেই রেকর্ড করার প্রয়াস বাতিল বলে গণ্য হবে। এর আগে এই রেকর্ডের পাশে যাঁর নাম ছিল, তিনি ১ মিনিটে খেয়েছিলেন মাত্র ১০টি ভাত।সুমাইয়া রামেন খেতে খুব ভালোবাসেন। আগে থেকেই চপস্টিক দিয়ে রামেন খেতে পটু। এরপর কোরিয়ান সংস্কৃতিতে মুগ্ধ হয়ে একে একে সব খাবারই চপস্টিক দিয়ে খেতে শুরু করেন। কয়েক বছর ধরে চপস্টিক দিয়ে ভাতও খান। সুমাইয়ার এক সহকর্মী গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে ১ মিনিটে চপস্টিক দিয়ে সবচেয়ে বেশি ভাত খাওয়ার আগের রেকর্ড সম্পর্কে জানতেন। আর তিনি নিশ্চিত ছিলেন, সুমাইয়া অনায়াসে সেই রেকর্ড ভেঙে ফেলতে পারবেন। তিনিই মূলত সুমাইয়াকে নতুন রেকর্ড গড়তে অনুপ্রাণিত করেন।গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসকে সুমাইয়া বলেন, ‘রামেন আমার খুবই পছন্দের খাবার। কোরিয়ান সংস্কৃতিও আমাকে খুব টানে। ফলে আমার সঙ্গে সব সময় চপস্টিক রাখতে শুরু করি। এর পর থেকে প্রায় সব ধরনের খাবার খাই চপস্টিক দিয়ে। আর যেহেতু আমি বাংলাদেশি, তাই ভাত খাই প্রতিদিনই।’

গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নিজের নাম লেখাতে পেরে সুমাইয়া খুব খুশি। তিনি বলেন, ‘এটা অবিশ্বাস্য। দারুণ অনুভূতি। আর আমার আশপাশের সবাই আমাকে নিয়ে গর্বিত। এটা আসলেই দুর্দান্ত। আমি সম্মানিত, আনন্দিত।’

গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের ফেসবুক পেজে সুমাইয়ার ১ মিনিটে ৩৭টি ভাত খাওয়ার ভিডিওটি এখন পর্যন্ত (২২ ডিসেম্বর) দেখা হয়েছে ১ লাখ ৭৮ হাজারের বেশি।

সূত্র: গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস

]]>
https://bgn24.com/?feed=rss2&p=4029 0
শুরু হতে পারে শৈত্যপ্রবাহ!! https://bgn24.com/?p=4026 https://bgn24.com/?p=4026#respond Sun, 22 Dec 2024 06:26:36 +0000 https://bgn24.com/?p=4026 আগামী মাসে শুরু হতে পারে শৈত্যপ্রবাহ। তবে এটা প্রাথমিকভাবে দেশের উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে হতে পারে। রোববার সকালে আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, চলতি মাসে শৈত্যপ্রবাহ হওয়ার কোনো সম্ভবনা নেই। আগামী জানুয়ারি থেকে দেশের উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে এই শৈত্যপ্রবাহ শুরু হতে পারে।

এদিকে পঞ্চগড়ে আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এদিন সকাল ৯টায় এ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। উত্তরের এই জেলাতে মৃদু শৈতপ্রবাহ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায়।

]]>
https://bgn24.com/?feed=rss2&p=4026 0
বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে মুক্তিজোট https://bgn24.com/?p=4012 https://bgn24.com/?p=4012#respond Tue, 03 Dec 2024 17:23:19 +0000 https://bgn24.com/?p=4012 ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দে মুক্তিজোটের কেন্দ্রীয় দপ্তরের দায়িত্বে থাকা উত্তম কুমুর ঘোষ স্বাক্ষরিত মুক্তিজোটের সংগঠন প্রধান আবু লায়েস মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক মো: শাহজামাল আমিরুল যৌথ বিবৃতিতে এ নিন্দা জানান ।

ভারতের আগরতলায় সহকারী হাইকমিশনে হামলা জেনেভা কনভেনশনের লংঘন উল্লেখ করে তাঁরা বলেন ‘হিন্দু সংঘর্ষ সমিতি’ নামের সংগঠনের ব্যনারে সহকারী হাইকমিশন প্রাঙ্গণে যে আক্রমণ হয়ছে তা পূর্ব পরিকল্পিত বলে আমাদের ধারণা।

সহকারী হাইকমিশনের ভেতরে ঢুকে বাংলাদেশের পতাকা নামিয়ে তাতে আগুন দেওয়া এবং ভাঙচুর করা জেনেভা কনভেনশনের সুস্পষ্ট লংঘন উল্লেখ করে তাঁরা বলেন ভারতের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির কৌশল হিসেবে বাংলাদেশ নিয়ে ঘৃণার ব্যবহার করলে উভয় দেশের সম্পর্কে দীর্ঘস্থায়ী টানাপড়েন সৃষ্টি হবে। আমরা আশা করব বাংলাদেশের নাগরিকদের গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষার প্রতি ভারতীয়রা শ্রদ্ধাশীল হবেন।

এই আঞ্চলিক উত্তেজনায় দেশবাসীকে সর্বোচ্চ সংযম দেখানোর আহ্বান জানিয়ে তাঁরা বলেন আমাদের দেশ একটি ধর্মীয় সম্প্রীতির দেশ; যেখানে জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে প্রতিটি নাগরিকের অধিকার ও স্বাধীনতা সুরক্ষিত থাকবে।

]]>
https://bgn24.com/?feed=rss2&p=4012 0