অর্থনীতি – Bangla Green News https://bgn24.com সংবাদে নতুনত্বের সূচনায়! Tue, 17 Sep 2024 04:16:03 +0000 en-US hourly 1 https://wordpress.org/?v=6.8.1 সামান্নাজ সুপার অয়েল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও এস এ গ্রুপের চেয়ারম্যানের নিকট ৪০০ কোটি টাকা খেলাপি ঋণ আদায় https://bgn24.com/?p=3920 https://bgn24.com/?p=3920#respond Mon, 16 Sep 2024 19:37:41 +0000 https://bgn24.com/?p=3920 সামান্নাজ সুপার অয়েল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও এস এ গ্রুপের চেয়ারম্যানের মো. শাহাবুদ্দিন আলম নিকট ৪০০ কোটি টাকা খেলাপি ঋণ আদায় করা হয়েছে। অর্থঋণ আদালতের বেঞ্চ সহকারী রেজাউল করিম বলেন, মো. শাহাবুদ্দিন আলমের কাছ থেকে তিন বছরে ৪০০ কোটি টাকার খেলাপি ঋণ আদায় হয়েছে এবং গত ১৫,০৯,২০২৪ রোববার। খেলাপি ঋণ আদায় হওয়ায় তাকে ৪৫ দিনের জন্য পাসপোর্ট ফেরত দেওয়া হয়েছে।ব্যবসায়ী মো. শাহাবুদ্দিন আলম ৪৫ দিনের জন্য বিদেশ যাত্রার অনুমতি নিয়েছেন। তিনি চট্টগ্রাম নগরের ডবলমুরিং এলাকার সামান্নাজ সুপার অয়েল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও এস এ গ্রুপের চেয়ারম্যান।

একই সঙ্গে আদালত তার বিদেশ যাত্রার নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। চট্টগ্রামের অর্থঋণ আদালেতের শীর্ষ ঋণ খেলাপি মো. শাহাবুদ্দিন আলম উপস্থিত হয়ে জানান, সোনালী, অগ্রণী ও রূপালী ব‍্যাংকের তিন মামলায় গত তিন বছরে প্রায় ৪০০ কোটি টাকার ঋণ পরিশোধ করা হয়েছে

]]>
https://bgn24.com/?feed=rss2&p=3920 0
বাজেটে সংকট মুক্তির ভাবনা নেই, চাপ বাড়বে সাধারণ মানুষের উপরঃ মুক্তিজোট https://bgn24.com/?p=3746 https://bgn24.com/?p=3746#respond Sat, 08 Jun 2024 11:33:03 +0000 https://bgn24.com/?p=3746 বাজেটে সংকট মুক্তির কোন ভাবনা নেই এমন কি এ বাজেটে আরও চাপ বাড়বে সাধারণ মানুষের উপর বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের সংগঠন প্রধান-আবু লায়েস মুন্না।

তিনি আরও বলেন আমরা বিসিএস পরীক্ষায় পাশ করার জন্য মুখস্ত করি পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ শাসক হল সম্রাট অশোক। কিন্তু আমার সন্দেহ আছে আমরা কয়জন জানি বা জানতে চেষ্টা করি যে অশোকের রাষ্ট্র পরিচালনায় আর্থিক নীতি কি ছিল। আলেকজান্ডারের রাষ্ট্র নীতি বা তার গুরু এরিস্টোটলের কথা জানলেও কয়জন জানি যে আমাদের চাণক্য ছিল অশোকের গুরু ও তার একটি আর্থিক নীতিও ছিল। যেখানে তিনি বলেন রাজা তার প্রজাদের কাছ থেকে কর নিবে এমনভাবে যেমন প্রজাপতি/মৌমাছি ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করে। যার ফলে ফুলের পরাগায়ন বৃদ্ধি হয়।

৮ই জুন ২০২৪ খ্রিঃ তারিখে মুক্তিজোটের সংগঠন প্রধান আবু লায়েস মুন্না এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানান। মুক্তিজোটের সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহজামাল আমিরুল স্বাক্ষরিত লিখিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানান আমাদের দেশে যখন নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দামের উত্তাপে জ্বলছে সধারণ মানুষ, তখন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী সবাইকে বড় অঙ্কের বাজেটের স্বপ্নে ভাসালেন। তিনি যখন স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট সরকার আর স্মার্ট সমাজব্যবস্থার কথা বলছেন; তখন একজন স্বল্প আয়ের নাগরিককে বাজারে গিয়ে ১৬০ টাকায় এক ডজন ডিম কিনতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এদিকে প্রতিটি নাগরিকের মাথাপিছু আয় ১২ হাজার ৫০০ ডলার আর মূল্যস্ফীতি ৪-৫ শতাংশের ঘরে রাখার আশা জাগাচ্ছেন, তখনো সীমিত আয়ের একজন ভোক্তাকে চালচুলো ঠিক রাখতে রীতিমতো সংগ্রাম করতে হচ্ছে।

লিখিত বক্তব্যে আরও বলেন একজন সাধারণ মানুষ যখন ১০ শতাংশের খাদ্য মূল্যস্ফীতির চাপ সামলাতে মরিয়া, তখন অর্থমন্ত্রীর তা কমিয়ে সাড়ে ৬ শতাংশে নামানোর ঘোষণা দিচ্ছেন। এমনকি মোবাইল ফোনে কথা বলা থেকে শুরু করে অসংখ্য নিত্যপণ্য, পণ্যের কাঁচামালে শুল্ক-কর বসানো হয়েছে। পার্কে ভ্রমণ থেকে জুস-বিশুদ্ধ পানিসহ বিভিন্ন অত্যাবশ্যক পণ্য ও সেবায় বসছে করের খড়্গ। এছাড়াও বিভিন্ন খাতে বিভিন্ন স্তরে ভ্যাট আরোপের পাাশপাশি আইসক্রিম, বৈদুতিক বাতি, ফ্রিজ-এসি, পানির ফিল্টার, সুইস-সকেট, মোটরসাইকেল, কাজুবাদামসহ বহু পণ্যে শুল্ক ও ভ্যাট আরোপ করা হয়েছে এ বাজেটে। মোবাইল ফোনের সিম কার্ড, ইন্টারনেট ও ফোনে এসবের প্রভাব সরাসরি পণ্যের দামে পড়বে। পণ্যে যতটুকু শুল্ক-কর বসে, দাম বাড়ে তার চেয়ে বেশি হারে। বাড়তি দামের সরাসরি প্রভাব পড়ে ভোক্তার ঘাড়ে। ব্যাংকে টাকা রাখলে বাড়তি আবগারি শুল্ক দিতে হবে। এর প্রভাব কমবেশি আমানতকারী সব গ্রাহকের ওপরই পড়বে।

হিসাব বিজ্ঞানের জনক লুকা প্যাসিওলির পিছনে লুকানোর নীতির উপর ভর করে স্বপ্ন পুরণের সক্ষমতা কম বলেই কি বেশি ধার-কর্জ আর কর-রাজস্বে ভর করে বেশি খরচের বাজেট সাজিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে এ রকম একটি বাজেটই (৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার) গত ৬ই জুন বৃহস্পতিবার তিনি জাতির সামনে প্রস্তাব করেছেন।

অর্থমন্ত্রী বাজেটে ব্যক্তিপর্যায়ে ২০ লাখ টাকার বেশি আয় করলেই ৩০ শতাংশ সর্বোচ্চ কর দেওয়ার কথা বলেছেন। এর ফলে মোটামুটি মধ্য স্তরের চাকরিজীবীকেও এ করের স্তরে পড়ে ৩০ শতাংশ হারে কর দিতে হবে। অথচ কালো টাকা সাদা করার জন্য কর দিতে হবে মাত্র ১৫ শতাংশ এতে প্রমান হয় এ বাজেট সাধারণ মানুষের প্রতিনিধিত্ব না করে একটি সুনির্দিষ্ট  শ্রেনীর প্রতিনিধিত্ব করে। যা আধুনিক অর্থনীতির জনক পল অ্যান্থনি স্যামুয়েলসনের নীতিরই প্রতি ফলন যেখানে বলা হয় গ্লাস ভরার পর যেটুকু উপচে পড়বে তাই অন্যরা পাবে অর্থাৎ একজনের পেট ভরার পর যেটুকু উচ্ছিষ্ট থাকবে তা অন্যরা খাবে। অর্থাৎ এ বাজেট যেন জোনাথন সুইফটের ‘এ মডেস্ট প্রোপোজাল’ এরই নামান্তর।

অথচ বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বর্তমান পৃথিবীর অর্থনীতিতে ‘ইকোলজি বেজড ইকোনোমিকস’ একটি আলোচ্য প্রসঙ্গ। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সবচেয়ে আমরা ক্ষতিগ্রস্থ হলেও ‘ইকোলজি বেজড ইকোনোমিকস’ নীতির কোন উল্লেখ নেই বলেও মন্তব্য করেন আবু লায়েস মুন্না। তিনি মুক্তিজোটের পক্ষ থেকে দাবী করেন যেহেতু আমাদের দেশ শুধু কৃষি প্রধানই নয় নদী মাতৃক দেশ তাই কৃষি, শিক্ষা, বস্ত্র ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য নৌ ও সুমদ্র বন্দরগুলোকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বাজেট করতে হবে। যাতে বাজেটের সুফল সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছায়।

]]>
https://bgn24.com/?feed=rss2&p=3746 0
সিগারেটে রাজস্ব ক্ষতি ৩৫০০ কোটি টাকা https://bgn24.com/?p=3473 https://bgn24.com/?p=3473#respond Sun, 14 May 2023 12:23:42 +0000 https://bgn24.com/?p=3473 জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ঢিলামি ও ভুল নীতির কারণে সরকার ৯ মাসে (জুলাই-মার্চ) সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকার বেশি রাজস্ব হারিয়েছে।এনবিআর-এর বেঁধে দেওয়া দামের চেয়ে বাড়তি দরে সিগারেট বিক্রি করায় এ রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে। এতে ভোক্তারা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। আর সরকার বঞ্চিত হয়েছে প্রাপ্য রাজস্ব থেকে।

এই প্রেক্ষাপটে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাজেটের খসড়া চূড়ান্ত করতে রেওয়াজ অনুযায়ী আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আলোচনায় বসতে যাচ্ছে এনবিআর-এর প্রতিনিধিদল। বৈঠকে সিগারেটের বিক্রয়মূল্য, ব্যক্তিশ্রেণির করমুক্ত আয়ের সীমা নির্ধারণসহ জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবেন প্রধানমন্ত্রী।

সূত্র জানায়, গত অর্থবছরে সিগারেট খাতে প্রায় ২৮ হাজার কোটি টাকা ভ্যাট আদায় হয়েছে, যা মোট আদায়কৃত ভ্যাটের প্রায় ৩০ শতাংশ। রাজস্ব আদায়ের সবচেয়ে বড় একক খাত হওয়ায় আগামী বাজেটে সিগারেট খাতে এনবিআর-এর বিশেষ নজর থাকবে।

এ খাতে রাজস্ব পরিহার রোধে আইনি কঠোর পদক্ষেপ থাকবে। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী সিগারেটের বিক্রয়মূল্য, করমুক্ত আয়ের সীমা, সারচার্জ বা সম্পদ করের মতো জনগুরুত্বপূর্ণ ও রাজস্ব নীতিসংশ্লিষ্ট বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেবেন। মূলত এ বৈঠকে বাজেটে রাজস্ব নীতি চূড়ান্ত হবে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এনবিআরের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা যুগান্তরকে বলেন, সিগারেটের মূল্য নির্ধারণেই গোঁজামিল আছে।

বর্তমান সময়ে খুচরা পয়সার প্রচলন বা বিনিময় মূল্য না থাকা সত্ত্বেও প্রতি শলাকা সিগারেটের খুচরা মূল্য নির্ধারণে ভাঙতি পয়সা রাখা হয়। এ কারণে খুচরা পর্যায়ে বিক্রির সময় পূর্ণাঙ্গ টাকায় মূল্য রাখা হয়। যেমন ১৪ টাকা ২০ পয়সার বেনসন বা মালবোরো সিগারেট ১৫-১৬ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

বর্ধিত এ অর্থ থেকে এনবিআর অতীতে কখনো রাজস্ব আদায় করতে পারেনি, ভবিষ্যতেও পারবে না। তাই ভবিষ্যতে মূল্য নির্ধারণের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।

তিনি আরও বলেন, বর্ধিত দামে সিগারেট বিক্রির বিষয়টি নজরে আসার সঙ্গে সঙ্গেই এনবিআর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিলে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আদায় করতে পারত।

প্রতিবছর বাজেটে এনবিআর সিগারেটের বিক্রয়মূল্য, সম্পূরক শুল্ক ও ভ্যাট নির্ধারণ করে দেয়। যেমন, চলতি বাজেটে অতি উচ্চস্তরের (বেনসন, মালবোরো) ১০ শলাকা সিগারেটের মূল্য নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে ১৪২ টাকা।

একইভাবে উচ্চস্তরের (গোল্ডলিফ) ১০ শলাকার মূল্য ১১১, মধ্যম স্তরের (স্টার, নেভি) ১০ শলাকার মূল্য ৬৫ এবং নিম্নস্তরের (হলিউড, ডার্বি) ১০ শলাকার মূল্য ৪০ টাকা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। অতীতে এই মূল্যেই খুচরা পর্যায়ে সিগারেট বিক্রি হলেও গত কয়েক বছর ধরে খুচরা বিক্রেতারা বেঁধে দেওয়া দামের চেয়ে বেশি মূল্যে বিক্রি করছেন।

পাশাপাশি অতি উচ্চস্তর, উচ্চস্তর, মধ্যম স্তরের সিগারেট উৎপাদনে সম্পূরক শুল্ক ৬৫ শতাংশ এবং নিম্নস্তরের সিগারেটে ৫৭ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এর সঙ্গে ১৫ শতাংশ মূসক বা ভ্যাট রয়েছে। সব মিলিয়ে অতি উচ্চস্তর, উচ্চস্তর, মধ্যম স্তরের সিগারেটে শলাকাপ্রতি ৮০ শতাংশ এবং নিম্নস্তরের সিগারেটে ৭২ শতাংশ রাজস্ব আরোপিত আছে।

হিসাব মতে, এক শলাকা বেনসন ও মালবোরো বিক্রি হওয়ার কথা ১৪ টাকা ২০ পয়সা দরে; কিন্তু বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১৫-১৬ টাকা দরে। একইভাবে ১১ টাকা ১০ পয়সার গোল্ডলিফ ১২ টাকায়, ৬ টাকা ৫০ পয়সার স্টার ও নেভি ৭ টাকা এবং ৪ টাকার ডার্বি, হলিউড ও শেখ বিক্রি হচ্ছে ৫ টাকায়।

খুচরা পর্যায়ে বাড়তি দামে সিগারেট বিক্রি করায় প্রতি শলাকায় (৮০ পয়সা/১.৮০ টাকা* ৮০ শতাংশ) অতি উচ্চস্তরের সিগারেটে ৬৫ পয়সা থেকে ১ টাকা ৪৪ পয়সা, উচ্চস্তরে ৭২ পয়সা, মধ্যমস্তরে ৪০ পয়সা এবং নিম্নস্তরের সিগারেটে (১ টাকা* ৭২ শতাংশ) ৭২ পয়সা রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।

এই বিপুল অঙ্কের রাজস্ব ক্ষতির বিষয়টি অনুধাবন করতে পেরে গত বছরের আগস্টে বৃহৎ করদাতা ইউনিটের (এলটিইউ-ভ্যাট) তৎকালীন কমিশনার ওয়াহিদা রহমান চৌধুরী এনবিআর-এ চিঠি দেন এবং ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সঙ্গে সভা করেন। সেপ্টেম্বরে বৈঠকের কার্যবিবরণীতে আইনগত বাধ্যবাধকতা তুলে ধরে তা সমাধানে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানান। কিন্তু এনবিআর কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।

গত মার্চ পর্যন্ত সিগারেট উৎপাদনের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, দেশের সর্ববৃহৎ সিগারেট উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো অতি উচ্চস্তরের (বেনসন) ৪৩৬ কোটি ৬২ লাখ শলাকা, উচ্চস্তরের (গোল্ডলিফ) ২৫৪ কোটি ৮১ লাখ শলাকা, লাকি স্ট্রাইক ৬৩ কোটি ৫৫ লাখ শলাকা, মধ্যম স্তরের স্টার ৪২৫ কোটি ৩৯ কোটি শলাকা এবং নিম্নস্তরের হলিউল/ডার্বি ৩ হাজার ৮৭ কোটি শলাকা সিগারেট বিক্রি করে। এসব সিগারেট বর্ধিত দামে বিক্রি করায় রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে স্তরভিত্তিক যথাক্রমে ২৭৯ কোটি থেকে ৬২৮ কোটি, ১৮৩ কোটি, ৯১ কোটি, ১৭০ কোটি এবং ২ হাজার ২২৩ কোটি টাকা।

একইভাবে ইউনাইটেড ঢাকা টোব্যাকো মধ্যম স্তরের ক্যামেল সিগারেট ১২ কোটি ৯১ শলাকা, নেভি সিগারেট ১৩৭ কোটি ৭৫ লাখ শলাকা এবং নিম্নস্তরের সেখ সিগারেট ১৩১ কোটি শলাকা বিক্রি করে। এতে রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে যথাক্রমে ১৫ কোটি ৫০ লাখ, ৫৫ কোটি ১০ লাখ এবং ৯৪ কোটি টাকা। অতি উচ্চস্তরের আরেকটি জনপ্রিয় ব্র্যান্ড মালবোরোর উৎপাদনের তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, এ ব্র্যান্ডের সিগারেট থেকেও সরকার মোটা অঙ্কের রাজস্ব হারিয়েছে।

সব মিলিয়ে খুচরা পর্যায়ে বাড়তি দামে সিগারেট বিক্রি হওয়ায় ৯ মাসে সরকার সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকার বেশি রাজস্ব হারিয়েছে। মালবোরো ব্র্যান্ডের সিগারেটের তথ্য যোগ করলে রাজস্বহানির পরিমাণ ৪ হাজার কোটি টাকার কাছাকাছি পৌঁছবে বলে ধারণা করা যাচ্ছে।

এ বিষয়ে তামাকবিরোধী সংস্থা আর্ক ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. রুমানা হক যুগান্তরকে বলেন, আমাদের এক গবেষণায় দেখা গেছে, বেশি দামে সিগারেট বিক্রি করায় অর্থবছর শেষে সরকারের প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব ক্ষতি হবে। গবেষণালব্ধ ফলাফল তুলে ধরে এনবিআরকে চিঠিও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এনবিআর বিষয়টি আমলে নেয়নি।

তিনি আরও বলেন, বেশি দামে সিগারেট বিক্রির পেছনে প্যাকেটের গায়ে লেখা ‘খুচরা মূল্য’ ও ‘সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য’ শব্দ দুটিকে ঢাল হিসাবে ব্যবহার করছে তামাক কোম্পানিগুলো। এক্ষেত্রে প্রজ্ঞাপন বা বিধিমালায় জটিলতা যদি থেকেও থাকে, এনবিআর-এর উচিত ছিল বিষয়টি দ্রুত সমাধান করা। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে এনবিআর পদক্ষেপ না নেওয়ায় সরকার মোটা অঙ্কের রাজস্ব হারাচ্ছে। আগামী দিনে বাজার মনিটরিং জোরদারের পাশাপাশি বাজেটে এ বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নেওয়া উচিত।

]]>
https://bgn24.com/?feed=rss2&p=3473 0
টাকার নতুন নোট https://bgn24.com/?p=3339 https://bgn24.com/?p=3339#respond Wed, 04 Jan 2023 11:59:23 +0000 https://bgn24.com/?p=3339 বাজারে আসছে ৫০ টাকার নতুন ব্যাংক নোট। গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের স্বাক্ষর সংবলিত ৫০ টাকা মূল্যমানের নতুন ব্যাংক নোট আগামী রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল অফিস থেকে ইস্যু করা হবে। যা পরবর্তীকালে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অন্যান্য অফিস থেকেও ইস্যু করা হবে।

বুধবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করেছে।

নির্দেশনায় বলা হয়- নতুন মুদ্রিত নোটের রঙ, আকৃতি, ডিজাইন ও সব নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য আগের মতো অপরিবর্তিত থাকবে। নতুন মুদ্রিত বর্ণিত নোটের পাশাপাশি বর্তমানে প্রচলিত ৫০ টাকা মূল্যমানের অন্যান্য নোটও বৈধ নোট হিসেবে যুগপৎ চালু থাকবে।

]]>
https://bgn24.com/?feed=rss2&p=3339 0
আমাদের কৃষির অন্তরায়,এম এ কবীর : ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক, কলামিস্ট ও সভাপতি, ঝিনাইদহ জেলা রিপোর্টার্স ইউনিটি https://bgn24.com/?p=2146 https://bgn24.com/?p=2146#respond Wed, 06 Jul 2022 03:09:16 +0000 https://bgn24.com/?p=2146
  • আমাদের কৃষির অন্তরায়
  • এম এ কবীরঃ

    জীবনযাপনের,জীবনধারণের এবং জীবন সাজানোর বেশিরভাগ উপাদানের নিরবচ্ছিন্ন জোগানদার হলো প্রকৃতি। প্রকৃতি আমাদের কী না দেয়! খাদ্য, ফলমূল থেকে শুরু করে ওষুধ, পথ্য, পানীয়, কাপড়, এমনকি বাড়ি-ঘর নির্মাণের উপাদান। নিশ্বাস নেয়ার জন্য অক্সিজেন জোগান দেয়া, জীবন-জীবিকার উপায় সৃষ্টি, নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবস্থা, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় সহায়ক ভূমিকা পালন-সবকিছুই প্রকৃতির অবদান। এমনকি আমাদের ভেতরের মানবিক আবেগ আর শৈল্পিক অনুভবকে জাগিয়ে তোলার অনুপ্রেরণাও প্রকৃতি। প্রকৃতিতে জীবজগৎ ও উদ্ভিদ জগতের যথার্থ সহাবস্থান আর সমৃদ্ধ জীববৈচিত্র্য মানুষের নিজের টিকে থাকার পূর্বশর্ত।

    ভারতের বাঁধে ভাটির বাংলাদেশ খরায় শুকায়, হঠাৎ বানে ভাসে! ব্রহ্মপুত্র – বরাক অববাহিকার উজানে প্রাকৃতিক বন ধ্বংস করে চলে নির্বিচার বাণিজ্যিক বনায়ন, পাহাড় কাটা, পাথর উত্তোলনসহ খনিজ আহরণের বিশাল সব আয়োজন। প্রাকৃতিক বিন্যাসকে চ্যালেঞ্জ করা, আমূল পরিবর্তন করে দেয়া কোনো শক্তিশালী রাষ্ট্রের পক্ষে সম্ভব নয়। নদীকে একদিকে বাধাগ্রস্ত করলে অন্যদিকে সে যে গতিপথ খুঁজে নেয়, তা হয় অনেক বেশি বিধ্বংসী।

    একটার পর একটা প্রতারণার খবর বের হচ্ছে। এই প্রতারণা হচ্ছে নানা কৌশলে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে। সাধারণ মানুষের হাজার হাজার কোটি টাকা প্রতারকেরা নিয়ে যাচ্ছে। আইনের ফাঁক গলিয়ে তারা রেহাইও পেয়ে যাচ্ছে। সুকুমার রায় ছোটদের জন্য লিখেছেন প্রচুর। তার শিশুসাহিত্য সমগ্রে ‘পাজি পিটার’ নামক যে জনপ্রিয় চরিত্রটি আছে সেটা একজন প্রতারকের। পিটারের প্রতারণাগুলো অভিনব। তার লোক ঠকানোর কৌশল আমাদেরকে অভিভূত করে। যুবক পিটারের হয়তো সুযোগ ছিল সৎপথে জীবিকা নির্বাহের। সে যে তা করেনি গল্প পাঠে মনে হয়, সে রকম কোনো ইচ্ছেই তার ছিল না কখনও। প্রতারণাতেই তার সুখ, প্রতারণাতেই তার আনন্দ।

    শহিদুল ইসলাম,ঝিনাইদহের কালিগঞ্জ উপজেলার ভাতঘরা দয়াপুর সম্মিলিত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক। অবসর কাটাতে ফলের বাগান করেন। বাগানে দার্জিলিং কমলা, ম্যান্ডারিন কমলাসহ অন্যান্য ফলের গাছ রয়েছে। গত বছর বাগানের ম্যান্ডারিন ও দার্জিলিং কমলা পাঁকার আগে প্রচুর রস ছিল তবে যখন পাঁকার সময় আসে তখন রস শুকিয়ে যায়। উপজেলার ত্রিলোচনপুর ইউনিয়নের কৃষক আসাদ শেখ ইউটিউব ও বিভিন্ন গণ মাধ্যমের ভিডিও দেখে চায়না কমলার চাষ করেন কিন্তু ফল পাকার পর দেখা যায় রস শুকিয়ে খাওয়ার অনুপযুক্ত হয়ে গেছে। ফল বিক্রি করতে না পেরে তিনি বাগান কেটে ফেলেন। যশোর জেলার চৌগাছা উপজেলার ২৫ জন কৃষক তাদের শতাধিক বিঘার চায়না কমলা গাছ একই কারণে কেটে ফেলেন। ঝিনাইদহের বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের আলমগীর হোসেন বলসুন্দরী কুলের চারা লাগিয়ে ফল আসার পর দেখেন অন্য জাতের কুলের চারা তাকে দিয়ে প্রতারিত করা হয়েছে। মাগুরার নাসির হোসেন ইউটিউবে ফাতেমা ধানের বাম্পার ফলনের ভিডিও দেখে ওই ধানের চাষ করে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন। এই চিত্র সারা দেশের। হাজারো কৃষি উদ্যোক্তা ইউটিউব, ফেসবুক ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে উৎসাহিত হয়ে নতুন নতুন দেশি-বিদেশি ফল ফসলের চাষ করে দারুনভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন,নষ্ট হয়েছে শত শত হেক্টর ফসলী জমি। ক্ষতিগ্রস্ত উদ্যোক্তরা বলেছেন, বেকারত্ব ঘোচাতে কোন প্রশিক্ষণ ছাড়াই কৃষিখাতকে বেছে নিয়ে তারা ধোকায় পড়েছেন। তারা বিশ^াস করেন কৃষিখাত থেকে স্মার্ট রোজগার করা সম্ভব তবে সঠিক নির্দেশনার অভাব ও কৃষিখাতে প্রতারকদের দৌরাত্মের কারণে তারা এমন ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। শিক্ষিত কৃষি উদ্যোক্তারা জানান, অধিক মুনাফালোভী এক শ্রেণির উদ্যোক্তা যেকোন ফল ফসলের চারা উৎপাদন করে অথবা অন্য কোথা থেকে সংগ্রহ করে অধিক লাভের অসত্য গল্প শুনিয়ে ইউটিউব, ফেসবুক ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচার করে। এর মাধ্যমে তারা প্রবাস ফেরৎ শিক্ষিত তরুণ, বেকার যুবক এবং যারা নিজের যায়গা জমি থেকে বাড়তি আয়ের চিন্তা করেন তাদের প্রলুব্ধ করেন। আগ্রহীরা না বুঝে সেই ফল ফসলের চারা লাগান,চাষ করেন। কয়েক বছর পর যখন ওই সকল উদ্যোক্তার বাগানের গাছে ফল আসে তখন তারা বুঝতে পারেন, তারা ধোকায় পড়েছেন। কালিগঞ্জ উপজেলার কাষ্টভাঙ্গা ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামের শরিফুল ইসলাম ভিয়েতনামি নারিকেলের চারা লাগিয়ে ৪ বছরেরও গাছে ফল না আসায় এ বছর আবারও বিদেশে পাড়ি জমিয়েছেন। বিরাজমান সমস্যা থেকে বের হয়ে আসতে তরুণ কৃষি উদ্যোক্তারা বলেছেন- চারা বিক্রেতাদের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের নিবন্ধন থাকা দরকার। নার্সারী পরিদর্শন করে মাতৃগাছের বয়স ও সংখ্যা অনুযায়ী চারা তৈরির সম্ভাব্যতা নির্ধারণ, চারা বিক্রির রেজিষ্টার সংরক্ষণ, নিবন্ধিত সকল নার্সারীতেই পর্যাপ্ত মাতৃ গাছ থাকা, চারা বিক্রির সময় ভাউচার দেয়া, বিভিন্ন বয়সী চারার মান অনুযায়ী দাম নির্ধারণ, সরকারিভাবে পরিক্ষীত নয় এমন কোনো বিদেশি ফল ফসলের চারা উৎপাদন এবং ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ করা, অঞ্চল ভিত্তিক মাটির গুনাগুন ও আবহাওয়া বিবেচনায় নিয়ে কোন ফল ফসল চাষ করলে কৃষক লাভবান হবে তা প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদে বিলবোর্ড স্থাপনের মাধ্যমে কৃষকদের জানানো, কোনো উদ্যোক্তা বিদেশি ফল ফসলের চারা উৎপাদন করে সরকারিভাবে অনুমোদন না নিয়ে তা যেন বিক্রয় করতে না পারে সে বিষয়ে নজরদারী করা। কৃষি উদ্যোক্তা ও গণমাধ্যম কর্মী মিজানুর রহমানের মতে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দেশি বিদেশি ফল ফসলের চাষ করে যারা প্রতারিত তাদের নিয়ে সেমিনার কিংবা মত বিনিময় সভা করার উদ্যোগ কৃষি বিভাগ নিতে পারে। তবে এরই মধ্যে যশোর অঞ্চলে সরকারিভাবে একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। প্রকল্পটিতে উচ্চমূল্যের ফসল উৎপাদন, শস্য উৎপাদনে বৈচিত্রতা আনা, নিরাপদ ফসল উৎপাদন, কৃষি পণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ, নারী ও তরুণ উদ্যোক্তা সৃষ্টি, কৃষি বাণিজ্যিকীকরণসহ নানা সুবিধা দিতে যশোর অঞ্চলে টেকসই কৃষি সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ১৭১ কোটি ৩২ লাখ টাকা। আর এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে ২৮ হাজার ৬২০ জন কৃষকের দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে প্রকল্প এলাকায় উচ্চমূল্যের নিরাপদ ফসল উৎপাদন ১৫ শতাংশ বৃদ্ধি হবে। এছাড়া ব্যয় সাশ্রয়ী ও ফলপ্রদ প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে উচ্চ মূল্য ফসলের উৎপাদনশীলতা ১৫ শতাংশ বৃদ্ধি ও উৎপাদন ব্যয় ২০ শতাংশ কম করে কৃষিকে লাভজনক করা হবে। পাশাপাশি খোরপোশ কৃষিকে বাণিজ্যিক কৃষিতে রূপান্তরের জন্য ১ হাজার ৮০০ জন শিক্ষিত তরুণ ও নারী কৃষি উদ্যোক্তা তৈরি করা হবে। ‘যশোর অঞ্চলে টেকসই কৃষি সম্প্রসারণ’ শীর্ষক প্রকল্পের মাধ্যমে এসব লক্ষ্য অর্জন করা হবে। কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে প্রস্তাব পাওয়ার পর গত ৯ মার্চ অনুষ্ঠিত হয় প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভা। সভায় দেয়া সুপারিশগুলো প্রতিপালন করায় প্রকল্পটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে উপস্থাপনের সুপারিশ করা হয়েছে। অনুমোদিত এ প্রকল্প ২০২৭ সালের জুনের মধ্যে বাস্তবায়ন করবে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর (ডিএই)। প্রকল্পে বলা হয়েছে, দেশের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার পুষ্টি চাহিদাপূরণ, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা এবং উৎপাদন থেকে বিপণন পর্যন্ত সকল পর্যায়ে কৃষককে লাভজনক করা আবশ্যক। এ উদ্দেশ্য অর্জনে উচ্চ মূল্যের ফসল উৎপাদন, টেকসই কৃষি প্রযুক্তির সম্প্রসারণ, সংগ্রহ এবং তরুণ উদ্যোক্তাদের কৃষির মূল ধারায় অর্ন্তভুক্ত করা অপরিহার্য।

    বাংলাদেশে পুষ্টিকর উচ্চমূল্যের শস্য উৎপাদন, কৃষি পণ্য বিপণনে অঞ্চলভিত্তিক সম্ভাবনা ও সুযোগ কাজে লাগানো, শিক্ষিত নারী, তরুণ ও যুব সমাজকে উদ্বুদ্ধ করে বাণিজ্যিক কৃষি ব্যবস্থা প্রবর্তনের মাধ্যমে খাদ্য নিরাপত্তা অর্জনে অবদান রাখার জন্য প্রকল্পটি করা হয়েছে। প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য সম্পর্কে বলা হয়েছে, ৩৪ হাজার ৬৬২টি কৃষি প্রযুক্তি প্রদর্শনীর আয়োজন করা হবে। এছাড়া ৬২টি কৃষি উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্র নির্মাণ, ৩১৮টি বিদ্যুৎবিহীন কুলিং চেম্বার, ৯৩টি কৃষি প্রযুক্তি মেলা, ১২৪টি উদ্বুদ্ধকরণ ভ্রমণ, ৩ হাজার ৪৬৬টি মাঠ দিবস আয়োজন, ২ হাজার ৬৯২ ব্যাচ অভ্যন্তরীণ প্রশিক্ষণ এবং ৩০ হাজার ৯৫৯টি কৃষি সরঞ্জামাদি ক্রয় করা হবে। প্রকল্পের আওতাভূক্ত জেলা ও উপজেলাগুলো হচ্ছে- যশোরের সদর, শার্শা, মণিরামপুর, কেশবপুর, ঝিকরগাছা, চৌগাছা, বাঘারপাড়া এবং অভয়নগর উপজেলা। মাগুরার সদর, শালিখা, শ্রীপুর ও মহম্মদপুর উপজেলা। ঝিনাইদহের সদর, মহেশপুর, হরিণাকুন্ডু, কোটচাঁদপুর, শৈলকুপা এবং কালীগঞ্জ উপজেলা। কুষ্টিয়ার সদর, দৌলতপুর, ভেড়ামারা, মিরপুর, খোকসা ও কুমারখালী উপজেলা। চুয়াডাঙ্গার সদর, দামুড়হুদা, জীবননগর, আলমডাঙ্গা এবং মেহেরপুরের সদর, মুজিবনগর এবং গাংনী উপজেলা। সূত্র জানায়, প্রকল্পটি নেয়ার আগে কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট ও মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে সম্ভাব্যতা যাচাই করা হয়েছে। সম্ভাব্যতা যাচাই প্রতিবেদনে সুনির্দিষ্ট প্রযুক্তি এবং কার্যক্রম প্রতিপালন করে কৃষি বাণিজ্যিকীকরণ, কৃষি উদ্যোক্তা সৃষ্টি এবং আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি সম্প্রসারণের স্বার্থে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের সুপারিশ করা হয়েছে। সম্ভাব্যতা যাচাই প্রতিবেদনে দেখা যায়, প্রকল্পের ঝুঁকি হিসাবে যশোর অঞ্চলে সাম্প্রতিক সময়ে শিলাবৃষ্টি, বজ্রপাত, ঘূর্ণিঝড় বৃদ্ধি এবং ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়াকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব ঝুঁকি এড়াতে প্রয়োজনীয় উপকরণ ও প্রযুক্তি সরবরাহ,বারিড পাইপ সেচ প্রযুক্তি সম্প্রসারণ, নিরাপদ উপায়ে চারা উৎপাদন এবং অবকাঠামোগত উন্নয়নের সুপারিশ করা হয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের যশোর অঞ্চলের উপ-পরিচালক নুরুজ্জামান জানান, ‘যশোর অঞ্চলে টেকসই কৃষি সম্প্রসারণ’ প্রকল্প বাস্তবভিত্তিক। সরকার একটি সময় উপযোগী প্রকল্প গ্রহণ করেছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে কৃষি অর্থনীতির চিত্র বদলে যাবে। উপকৃত হবে কৃষক।

    বাংলাদেশকে বাঁচিয়ে রেখেছে যে কৃষি তার উন্নতি নিয়ে সরকারের পদক্ষেপের বিবরণ প্রতিনিয়তই শুনছে দেশের মানুষ। নেদারল্যান্ডস কৃষি খাতে বছরে মাথাপিছু ৩১৪ ডলার, ভারত ৩৪ ডলার ও মায়ানমার ২৬ ডলার বিনিয়োগ করে। সেখানে বাংলাদেশে মাত্র ১৬ ডলার বিনিয়োগ করা হয়। যে কারণে বাংলাদেশে হেক্টর প্রতি ধানের উৎপাদন ৪ হাজার ৭৩৫ কেজি, আর চীনে তা ৭ হাজার কেজির বেশি। অন্যদিকে দেশে কৃষিজমি কমে যাওয়া এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ নানা সমস্যা বাড়ছে।

    দেশের ৭৮ লাখ হেক্টর আবাদি জমির মধ্যে ৫৫ লাখ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ করা যায়। এক হেক্টর মানে সাড়ে সাত বিঘা। বিঘায় গড়ে ২০ মণ ধান উৎপাদন ধরলে হেক্টরে ৫ টনের বেশি উৎপাদন হয়। তাহলে বোরো মৌসুমে ২ কোটি ৭৫ লাখ টন ধান উৎপাদন সম্ভব। আমন মৌসুমে দেড় কোটি টন আর আউশ মৌসুমে ৫০ লাখ টন ধান উৎপাদন তো সহজেই করা সম্ভব। তাহলে ৪ কোটি ৭৫ লাখ টন ধান উৎপাদন করতে খুব বেশি সমস্যা হওয়ার কথা নয়। ধান থেকে ৬৬ শতাংশ চাল উৎপাদন হয়। সে হিসেবে ৩ কোটি ১০ লাখ টন চাল তো উৎপাদিত হতেই পারে। দিনে গড়ে ৪০০ গ্রাম চাল খাই আমরা। ছোট শিশু থেকে মৃত্যুপথযাত্রী বৃদ্ধ ১৭ কোটি মানুষের সবাইকে এই হিসাবে ধরলে বছরে চাল লাগার কথা ২ কোটি ৪৮ লাখ টন। প্রশ্ন উঠছে,তাহলে খাদ্যঘাটতি কেন, বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবহার করে বছরে ৬০ লাখ টন খাদ্যশস্য আমদানি করতে হয় কেন, ধান ওঠার মৌসুমেই চাল আমদানিতে এত ব্যস্ত হতে হয় কেন, বছরব্যাপী চালের বাজার এত চড়া কেন? তেলের দাম বাড়ানোয় ধানের চাষ করাই দুষ্কর হয়ে গেছে। হাল চাষের খরচ বেড়ে গেছে। শ্যালো মেশিনে সেচের খরচ বেড়ে গেছে। খরচ বেড়েছে বলে কৃষক কি তাহলে ধান চাষ কমিয়ে দেবেন? না। কারণ ধান আবাদ না করে তার কোনো উপায় নেই। পেটের দায়ে এবং উপায় নেই বলে কৃষক যদি চাষাবাদ করে তাকে কি স্থায়ী উন্নয়নের কৃষি অর্থনীতি বলা যাবে?

    এম এ কবীর : ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক, কলামিস্ট ও সভাপতি, ঝিনাইদহ জেলা রিপোর্টার্স ইউনিটি

     

    ]]>
    https://bgn24.com/?feed=rss2&p=2146 0
    লালমনিরহাট পৌরসভার বাজেট ঘোষণা ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত। https://bgn24.com/?p=1931 https://bgn24.com/?p=1931#respond Wed, 29 Jun 2022 14:18:29 +0000 https://bgn24.com/?p=1931 লালমনিরহাট পৌরসভার বাজেট ঘোষণা ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত।

    লালমনিরহাট পৌরসভার ২০২২-২০২৩ ইং অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণা করা করেছে ।

    ২৯ জুন (বুধবার) দুপুরে লালমনিরহাট পৌরসভা মার্কেটের তৃতীয় তলা হলরুমে এ বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। এসময় প্রস্তাবিত বাজেটের নির্ধারণ অর্থের উৎস হতে আয় ব্যায় খাতের পাশাপাশি বিভিন্ন উন্নয়নমূল নানা বিষয় নিয়ে উন্মুক্ত আলোচনা সভা ও মতবিনিময় করেন লালমনিরহাট পৌরসভার মেয়র রেজাউল করিম স্বপন।

    লালমনিরহাট পৌরসভার ২০২২-২৩ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটের পৌর রাজস্ব আয় হল ১১ কোটি ৬০ লাখ ৬৯ হাজার ১০১ টাকা ধরা হয়েছে।পানি সরবরাহ খাতে ৫৪ লাখ ৫০ হাজার ০২ টাকা, উন্নয়ন হিসাব খাতে প্রকল্পসহ ৪১ কোটি ৬৩ লাখ ৭৯ হাজার ৪৫৮ টাকাসহ সর্বমোট ৫৩ কোটি ৭৮ লাখ ৯৮ হাজার ৫৬১ টাকা প্রস্তাবিত আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

    এতে প্রস্তাবিত ব্যয় ধরা হয়েছে রাজস্ব খাতে ১০ কোটি ৯২ লাখ ৭৪৬ টাকা, পানি সরবরাহ খাতে ৫৪ লাখ ২৫ হাজার টাকা ও উন্নয়ন খাতে ৪১ কোটি ৬৩ লাখ ৭৯ হাজার ৪৯৮ টাকা। সর্বমোট ৫৩ কোটি ১০ লাখ ৫ হাজার ২০৪ টাকা ব্যয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

    বছর শেষে উদ্বৃত্ত ধরা হয়েছে ৬৮ লাখ ৯৩ হাজার ৩৫৭ টাকা। বাজেটে পৌর এলাকার রাস্তা, মাস্টার ড্রেন নির্মাণ, সড়ক বাতির সম্প্রসারণ, পানি সরবরাহ, পয় নিষ্কাশন ব্যবস্থা, চিত্ত বিনোদনের ব্যবস্থা, পাবলিক টয়লেট, দারিদ্র লক্ষ্যে প্রশিক্ষণ প্রদান করে দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তর ও স্বল্পসূদে কর্মসংস্থানের জন্য ঋণদান কর্মসূচিকে অগ্রাধীকার প্রদান করা হয়েছে।

    এছাড়া বাজেটে বিভিন্ন মহামারী (করোনাসহ) মোকাবেলার জন্য রাজস্ব এডিপি তহবিল হতে ১৩ লাখ টাকা, মশক নিধন, স্যানিটারি ও বৃক্ষরোপণ খাতে ১২ লাখ টাকা, ঔষধপত্র ইপিআই ও গরীব দুঃস্থ্য ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানের অনুদান খাতে ৩২ লাখ টাকা, জাতীয় দিবস উৎযাপন, খেলাধুলা ও সাংস্কৃতি খাতে ১০ লাখ টাকা, ময়লা আবর্জনা, ড্রেন পরিষ্কারের মাসিক লেবার বিলসহ ১ কোটি ১৫ লাখ টাকা বাজেটে রাজস্ব খাতে ব্যয় বরাদ্দ রাখা হয়েছে।

    এছাড়া উন্নয়ন বাজেটে অবকাঠামো উন্নয়ন (রাস্তা, ড্রেন, কালভার্ট, টয়লেট নির্মাণ, শহর সৌন্দর্য্যবর্ধন, সোলার প্যানেল স্থাপন, বস্তির অবকাঠামো উন্নয়ন, সড়ক বাতি) খাতে ২২ কোটি টাকা ও পৌর শপিং কমপ্লেক্স বর্ধিতকরণের জন্য ৪ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।

    এসময় লালমনিরহাট পৌরসভার মেয়র রেজাউল করিম স্বপনের সভাপতিত্বে পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর, জেলায় কর্মরত ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ, শিক্ষক, ব্যবসায়ী নেতা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

    উল্লেখ্য যে, ২০২১-২০২২ অর্থ বছরের বাজেটে লালমনিরহাট পৌরসভার ৭৩% বাজেট অর্জন করা সম্ভব হয়েছে, যা ইতিপূর্বে কখনো লালমনিরহাট পৌরসভার পক্ষে সম্ভব হয়নি।

    ]]>
    https://bgn24.com/?feed=rss2&p=1931 0
    ফেসবুক বিনিয়োগে আগ্রহী…. https://bgn24.com/?p=1529 https://bgn24.com/?p=1529#respond Tue, 07 Sep 2021 04:51:42 +0000 https://bgn24.com/?p=1529 টেক বিশ্বের মোড়ল বলতে যে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে আমরা বুঝি, এগুলোর মধ্যে ফেসবুক অন্যতম। সম্প্রতি বাংলাদেশে ভ্যাট রেজিস্ট্রেশন করেছে তারা। প্রদান করেছে ভ্যাটও। আশার কথা হচ্ছে, বাংলাদেশকে নিয়ে ভাবছে ফেসবুক। এ দেশে তারা বিনিয়োগও করতে চায়। বিস্তারিত জানিয়েছেন- আজহারুল ইসলাম অভি

    বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে চায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক। প্রাথমিকভাবে যেসব তথ্য জানা গেছে, সেসব তথ্য মতে ফেসবুক এ দেশে এক বিলিয়ন ডলার (৮ হাজার কোটি টাকা) বিনিয়োগ করতে চায় বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। কোন কোন খাতে বিনিয়োগ করবে, তা স্পষ্ট করে জানা যায়নি। তবে দেশের ডিজিটাল অবকাঠামো খাতে ফেসবুক বিনিয়োগের এ আগ্রহ প্রকাশ করেছে। ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এ বিষয়টি ইতোমধ্যেই নিশ্চিত করেছেন। বিস্তারিত জানতে চাইলে এ বিষয়ে তিনি বলেন, এটা ছিল আলোচনার একেবারে প্রথম ধাপ। পরে আরও বিস্তারিত বলা যাবে, আসলে তারা কোন কোন খাতে বিনিয়োগ করতে চায়। এক বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, টাকার পরিমাণ এমনই হবে।

    তারা ডিজিটাল অবকাঠামোর কথা বলেছে। আমরা তাদের আগ্রহকে স্বাগত জানাই। বিভিন্ন দেশে ফেসবুক এ ধরনের বিনিয়োগ করে থাকে। তাদের আগ্রহের তালিকায় বাংলাদেশের নাম আছে। এর মানে, ফেসবুক বাংলাদেশকে গুরুত্ব দিয়ে ভাবছে। তারা এখন এ দেশে ভ্যাট দেয়। বিনিয়োগ করতে চায়। এটা এ দেশের জন্য অন্যতম একটা দিক।টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের সঙ্গে গত মাসে ফেসবুক প্রতিনিধির এক ভার্চুয়াল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। মূলত তখনই এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। এতে অংশ নেন ফেসবুকের বাংলাদেশবিষয়ক হেড অব পাবলিক পলিসি সাবহানাজ রশীদ দিয়া। মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘বিটিআরসির সঙ্গে ফেসবুকের এই বিনিয়োগ সম্পর্কিত ওয়ার্কিং গ্রুপ করে উভয়পক্ষ সম্ভাব্য সম্ভাবনাগুলো দেখে এই প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়া হবে।’ বৈঠকে ফেসবুক জানায়, দেশে বিনিয়োগের সুযোগ কাজে লাগাতে মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়াসহ কয়েকটি দেশের মতো এক্সপ্রেস ওয়াই-ফাই, টেরাগ্রাফ, ওপেন ট্রান্সপোর্ট নেটওয়ার্কের মতো বিষয়ে কাজ করার আগ্রহ রয়েছে তাদের। উল্লেখ্য, বাংলাদেশে এখন ফেসবুক ব্যবহারকারী ৪ কোটি ৮০ লাখের বেশি।

    বিশ্ববাজারে ফেসবুক ব্যবহারকারীর দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান দশম। এর আগে ‘রয়টার্স ডিজিটাল জার্নালিজম কোর্স’ শীর্ষক একটি অনলাইন প্রশিক্ষণ শুরু করেছিল ফেসবুক জার্নালিজম প্রজেক্ট ও রয়টার্স। ডিজিটাল রিপোর্টিং ও এডিটিং বিষয়ে বাংলাদেশসহ এশিয়া প্যাসিফিকের ৯টি দেশের সাংবাদিকদের জন্য চালু করা হয়েছিল প্রশিক্ষণ কোর্সটি। রয়টার্স ডিজিটাল জার্নালিজম কোর্সটি চারটি মডিউলে ভাগ করা হয়েছিল। এর মাধ্যমে নতুন ও অভিজ্ঞ সাংবাদিকদের ডিজিটাল নিউজ রিপোর্টিংয়ের মৌলিক বিষয়গুলো হাতে-কলমে শেখানো হবে বলে জানিয়েছিল তারা।

    মডিউলগুলো হচ্ছে ডিজিটাল সংবাদ সংগ্রহ, যাচাইকরণ ও রিপোর্টিং, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কার্যকরভাবে প্রকাশ করা এবং সুস্থতা ও সহনশীলতা। ফেসবুকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, ‘এশিয়া প্যাসিফিকের সাংবাদিকরা যেন ডিজিটাল নিউজে দক্ষতা ও জ্ঞান অর্জন করতে পারেন, এ জন্যই আমাদের এ আয়োজন।’ এ ছাড়া বাংলাদেশের সাংবাদিকদের জন্য ফেসবুকের সঙ্গে যৌথভাবে সেন্টার ফর কমিউনিকেশন অ্যাকশন বাংলাদেশ (সিসিএবি) ‘ফেসবুক ফান্ডামেন্টালস ফর নিউজ’ শীর্ষক একটি প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আয়োজন করছে।

    ]]>
    https://bgn24.com/?feed=rss2&p=1529 0
    শিক্ষা খাতে এক টাকাও ব্যয় করেনি ২৭ ব্যাংক https://bgn24.com/?p=1513 https://bgn24.com/?p=1513#respond Sun, 29 Aug 2021 04:13:49 +0000 https://bgn24.com/?p=1513 ব্যাংকের করপোরেট সামাজিক কার্যক্রম (করপোরেট সোশ্যাল রেসপন্সিবিটিলি-সিএসআর) বাবদ ব্যয়ের ৩০ শতাংশ অর্থ খরচের নির্দেশনা রয়েছে শিক্ষা খাতে। অথচ এ খাতে এক টাকাও ব্যয় করেনি ২৭টি ব্যাংক। বাকি ব্যাংকগুলোও ব্যয় করেছে নামমাত্র। শিক্ষা ছাড়া সিএসআরভুক্ত অন্যান্য খাতে ব্যয় হলেও বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সেসব বিষয়ে এখনো কোনো প্রতিবেদন পাওয়া যায়নি।সংশ্লিষ্টরা বলছেন, করোনা মহামারির কারণে দীর্ঘদিন থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় এ খাতে ব্যাংকের সিএসআরের অনুদান কমে এসেছে। তা ছাড়া ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় ব্যয় করার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে বিশেষ নির্দেশনা ছিল করোনাকালীন সময়ে। সে কারণেও এমনটি হয়ে থাকতে পারে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত সময়ে ৬০টি ব্যাংকের মাধ্যমে শিক্ষা খাতে মাত্র ২৩ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। এর মধ্যে ২৭টি ব্যাংকের ব্যয় শূন্য। ১৯টি ব্যাংকের শিক্ষায় ব্যয় লাখের ঘরে সীমাবদ্ধ। কোটির ঘর অতিক্রম করেছে মাত্র আটটি ব্যাংক। যেসব ব্যাংক শিক্ষা খাতে কোনো অর্থ ব্যয় করেনি সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য রাষ্ট্রায়ত্ত বেসিক ব্যাংক। এ ছাড়া এ তালিকায় সরকারি আরও দুটি ব্যাংকের নাম রয়েছে। সরকারি বিশেষায়িত খাতের বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক এবং প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকও কোনো অর্থ ব্যয় করেনি শিক্ষা খাতে। বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ কমার্স, কমিউনিটি, আইসিবি ইসলামিক, আইএফআইসি, মেঘনা, এনআরবি কমার্শিয়াল, গ্লোবাল ইসলামী, ওয়ান, পদ্মা, সীমান্ত, ট্রাস্ট, উত্তরা ও চলতি বছরে কার্যক্রমে আসা বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক।

    বিদেশি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মধ্যে ব্যাংক আল-ফালাহ, কমার্শিয়াল ব্যাংক অব সিলন, সিটি ব্যাংক এনএ, হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান (এনবিপি), স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক এবং দক্ষিণ কোরিয়ার উরি ব্যাংক এক টাকাও ব্যয় করেনি শিক্ষা খাতে।

    জানা গেছে, টেকসই উন্নয়নের ধারা বজায় রাখতে করপোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা সিএসআর বা বর্তমান বিশ্বে ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুদান। এটি হলো এক ধরনের ব্যবসায়িক শিষ্টাচার-রীতি বা দায়বদ্ধতা, যা সমাজের প্রতি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব পালনকে বুঝিয়ে থাকে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে পরিচালিত কার্যক্রমের ফলে উদ্ভূত নানারকম পরিবেশগত বিরূপ প্রভাব দূর এবং সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির মধ্যে বিদ্যমান ক্ষোভ, অসমতা ও দারিদ্র্যতা কমানো সিএসআরের প্রধান লক্ষ্য। ২০০৮ সালে প্রথমবারের মতো প্রজ্ঞাপন জারি করে সিএসআর খাতে ব্যয় করার দিকনির্দেশনা দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। পরবর্তীতে একাধিকবার প্রজ্ঞাপন জারি এবং ব্যয়ে খাত নির্ধারণ ছাড়াও এ সংক্রান্ত আইন যথাযথভাবে প্রয়োগের জন্য বিধিমালা প্রণয়ন করা হয়। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, পরিবেশ, আয় উৎসাহী কার্যক্রম, অবকাঠামো এবং সংস্কৃতি খাতকে অগ্রাধিকার দিয়ে সিএসআরের অর্থ ব্যয় করতে নির্দেশনা দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। সম্প্রতি করোনা মহামারিতে দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ভঙ্গুর পরিস্থিতি উন্মোচিত হলে স্বাস্থ্য খাতে সিএসআর ব্যয় বাড়াতে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে নির্দেশনা জারি করা হয়।

    বর্তমানে ব্যাংকগুলোর মোট সিএসআর ব্যয়ের ৬০ শতাংশই স্বাস্থ্য খাতে ব্যয়ের নির্দেশনা রয়েছে। বাকি ৪০ শতাংশের মধ্যে ৩০ শতাংশ শিক্ষা এবং ১০ শতাংশ অন্যান্য খাতে ব্যয় করতে বলা হয়েছে। ব্যাংকগুলোর

    সিএসআর খাতের ব্যয়ের দিকটি দেখাশোনা করে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাসটেইনেবল ফাইন্যান্স বিভাগ। সংশ্লিষ্ট বিভাগের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা যুগান্তরকে বলেন, ব্যাংকগুলোর কর-পরবর্তী নিট মুনাফা থেকে সিএসআর খাতে ব্যয়ের নির্দেশনা রয়েছে। তবে সিএসআর খাতে ব্যয় করতেই হবে, এমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। তবে যেসব ব্যাংক বিধি অনুযায়ী সিএসআর খাতে ব্যয় করে সেসব ব্যাংকের সার্বিক মানন্নোয়ন রেটিং বা প্রচলিত সংক্ষিপ্ত নাম হিসাবে ‘ক্যামেলস রেটিং’ সমৃদ্ধ হয়।

    ব্যাংকগুলো কোন খাতে সিএসআরের কত শতাংশ ব্যয় করছে বা করবে, তা সময়ে সময়ে নির্দেশনার মাধ্যমে জানিয়ে দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। মানন্নোয়নের এই রেটিং একটি ব্যাংকের জন্য খুবই প্রয়োজনীয় বিষয়।

    জানতে চাইলে সাসটেইনেবল ফাইন্যান্স বিভাগের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) খন্দকার মোর্শেদ মিল্লাত শনিবার যুগান্তরকে বলেন, ‘উল্লিখিত প্রতিষ্ঠানগুলো সিএসআরের ৬০ শতাংশ যদি করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ব্যয় করে থাকে তবে শিক্ষায় না দিলেও দোষের কিছু হবে না। বিষয়টি সরল দৃষ্টিতে বিবেচনা করব। কিন্তু যথাযথভাবে সিএসআর খাতে ব্যয় না করলে ব্যাংকগুলো ক্যামেলস রেটিংয়ে প্রাপ্য জবাব পেয়ে যাবে। অর্থাৎ তাদের রেটিং খারাপ হবে।’

    জানা গেছে, প্রতিটি ব্যাংক বছর শেষে লাভ ক্ষতির হিসাব চূড়ান্ত করে লাভের অংশ থেকে সিএসআর খাতে বরাদ্দ নির্ধারণ করে। এ ক্ষেত্রে আইন দ্বারা কোনো অর্থের পরিমাণ নির্ধারণ করে দেওয়া নেই। ব্যাংক তার সামর্থ্য ও সদিচ্ছা অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে।

    ]]>
    https://bgn24.com/?feed=rss2&p=1513 0
    মধ্যবিত্তরা ক্ষতিগ্রস্ত https://bgn24.com/?p=1260 https://bgn24.com/?p=1260#respond Sat, 05 Jun 2021 04:16:02 +0000 https://bgn24.com/?p=1260 গত বৃহস্পতিবার ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকার জীবন-জীবিকার প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণা করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। অথচ জীবন-জীবিকার এই বাজেটে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন মধ্যবিত্তরা। অর্থমন্ত্রীর প্রস্তাবিত বাজেটে মধ্যবিত্তদের নিয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো নির্দেশনা নেই বলে মনে করেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. এবি মীর্জ্জা আজিজুল ইসলাম। নতুন অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ কথা বলেন।
    ড. এবি মীর্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, করোনা মহামারিতে কর্ম হারিয়ে অনেকে দুর্বিষহ জীবনযাপন করছেন। অনেকে পরবর্তীতে কাজ পেলেও তাদের আয় কমে গেছে। ফলে দারিদ্র্যের কাতারে চলে এসেছেন তারা। আবার অনেকে দারিদ্র্য থেকে অতি দারিদ্র্যে নেমে গেছেন। যারা কর্ম হারিয়ে নতুন দরিদ্র হয়েছেন তাদের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটে সুনির্দিষ্ট কোনো নির্দেশনা দেখা যায়নি।দেশের প্রখ্যাত এই অর্থনীতিবিদ বলেন, বাজেট তৈরিই হয় উচ্চবিত্তদের জন্য। আর একদম হত দরিদ্রদের জন্য। মাঝখানে মধ্যবিত্তরা হয় ক্ষতিগ্রস্ত। তাদের জন্য বাজেটে কিছুই থাকে না। বাজেটে তাদের লাভও নেই ক্ষতিও নেই। তবে করমুক্ত আয়সীমা বাড়ানো হলে হয়তো কিছুটা উপকার পেতো। তা ছাড়া বাজেটে তাদের জন্য কোনো নির্দেশনা নেই।
    সামগ্রিক বাজেট নিয়ে মীর্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট আকারে অনেক বড়। এই বাজেট মধ্যমানের সম্প্রসারণমূলক। তবে এই বাজেট বাস্তবায়নই হবে প্রধান সমস্যা। নিঃসন্দেহ বলতে পারি রাজস্ব আহরণ ও ব্যয়ের লক্ষ্যমাত্রা কোনোভাবে বাস্তবায়ন হবে না। কারণ এবারের রাজস্ব আহরণের অবস্থা খুবই করুণ।
    তিনি বলেন, বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে। কৃষি ও স্বাস্থ্য খাতকেও গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। বাজেটে বেশকিছু প্রণোদনা ও ভর্তুকির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, এগুলো পজেটিভ। বাজেট বাস্তবায়নে প্রশাসনিক অদক্ষতা এবং প্রশাসন দুর্নীতিমুক্ত হতে হবে।
    তিনি বলেন, বাজেটে গত অর্থবছরের তুলনায় প্রায় ১৩ শতাংশ আকার বৃদ্ধি করা হয়েছে। জিডিপি প্রবৃদ্ধি ধরা হচ্ছে ৭.২ শতাংশ। ফলে প্রস্তাবিত বাজেটকে মধ্যম মানের সম্প্রসারণমূলক বলা যায়। সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর বরাদ্দ বাড়ানোর পাশাপাশি ক্ষুদ্র, কুটির ও মাঝারি শিল্পের বোনাস, সেটাও কিছুটা বাড়ানো হয়েছে। কৃষিখাতে বরাদ্দ কিছুটা বাড়ানো হয়েছে। এগুলো কিছুটা হলেও সহায়ক ভূমিকা পালন করবে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য। ব্যবসায়ীরা সবসময়ই চাইবেন কোনো কর না দিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করতে কিন্তু আমি মনে করি অবকাঠামোগত দুর্বলতা, জ্বালানি স্বল্পতা বিনিয়োগকারীদের এ ধরনের সমস্যাগুলো বাজেটে কতটা বিবেচনায় নেয়া হয়েছে তা বলা মুশকিল। তিনি আরো বলেন, গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো আমাদের রাজস্ব আহরণের দিকে দৃষ্টি দিতে হবে।

    ]]>
    https://bgn24.com/?feed=rss2&p=1260 0
    নতুন কর নয়, বরং কর ফাঁকি বন্ধ করুন: সিপিডি https://bgn24.com/?p=1246 https://bgn24.com/?p=1246#respond Mon, 31 May 2021 11:03:03 +0000 https://bgn24.com/?p=1246 নতুন কর আরোপ না করে কর ফাঁকি ও অর্থ পাচার বন্ধ করার পদক্ষেপ নিয়ে সম্প্রসারণমূলক বাজেট করার সুপারিশ করেছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। বলেছে, নীতি পরিকল্পনায় মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির চিন্তা থেকে বেরিয়ে বৈষম্য রোধ ও সুষম বণ্টনেরে দিকে মনোযোগ দিতে হবে।

    আজ সোমবার ভার্চ্যুয়াল প্ল্যাটফর্মে আগামী ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট উপলক্ষে দেশের অর্থনীতির স্বাধীন পর্যালোচনা করতে গিয়ে এমন সুপারিশ করেছে। সিপিডির সম্মানীয় ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান, নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন, গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম এতে বক্তব্য দেন। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সংস্থাটির জ্যেষ্ঠ গবেষণা ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান।

    প্রবন্ধে বলা হয়, চলতি অর্থবছরের বাজেট বাস্তবায়ন চিত্র হতাশাজনক মনে হচ্ছে। ১০ মাসে হয়েছে ৪২ শতাংশ, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় কম। ১০ মাসে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) বাস্তবায়ন হয়েছে ৪৯ শতাংশ। আর স্বাস্থ্য খাতের এডিপি বাস্তবায়ন মাত্র ৩১ শতাংশ। এ ছাড়া ব্যক্তি খাতে ঋণ অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রা ছিল যেখানে ১৫ শতাংশ, প্রথম ৮ মাসে তা হয়েছে ৮ দশমিক ৮ শতাংশ।

    সম্প্রসারণমূলক বা বড় বাজেট করার পক্ষে যুক্তি দিতে গিয়ে বলা হয়েছে, জিডিপির তুলনায় ঋণ এখনো ৩২ থেকে ৩৩ শতাংশের ঘরে রয়েছে। এখনো ঋণ করার অনেক সুযোগ রয়েছে। কৃষি খাতে মূল্য কমিশন ও ব্যাংক কমিশন করার সুপারিশও করেছে সিপিডি।

    প্রবন্ধে আরও বলা হয়, মূল্য কমিশন থাকলে কৃষকেরা সরাসরি পণ্য বিক্রি করতে পারবেন, ন্যায্যমূল্যও পাবেন। এ কমিশন থাকলে কোন সময়ে কী নিত্যপণ্য আমদানি করতে হবে, তার পরামর্শ পাওয়া যেত।

    আর ব্যাংক কমিশন করা বহুদিনের সুপারিশ সিপিডির। সরকার একবার উদ্যোগ নিয়েও আবার পিছিয়ে গেছে। এটা দরকার। এর অন্যতম কারণ হচ্ছে খেলাপি ঋণের যা দেখা যাচ্ছে, তা যে কোনো স্বচ্ছ ছবি নয়, এমনটা বলা যায়। প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়নে সুশাসনের ঘাটতি রয়েছে বলেও সিপিডির কাছে ধরা পড়েছে।

    প্রণোদনা বাস্তবায়নে বহু পাক্ষিক টাস্কফোর্স গঠনের পরামর্শ দিয়েছে সিপিডি। বলেছে, স্বাস্থ্য, সামাজিক নিরাপত্তা, কৃষি এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি পর্যায়ের উদ্যোক্তাদের দিকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে আগামী বাজেটটি করতে হবে। বলেছে, এ সময়ে নতুন কর আরোপ করা কঠিন। কিন্তু বাজেট তো করতে হবে। অর্থের দরকার। ফলে এখন দরকার হচ্ছে কর ফাঁকি বন্ধ করা এবং অর্থ পাচার বন্ধের দিকে নজর দেওয়া।

    সিপিডির সম্মানীয় ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান বাজেট বাস্তবায়নে প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বাড়ানোর পরামর্শ দেন।

    নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন বলেন, সরকার বলছে, সামাজিক নিরাপত্তা খাতে জিডিপির ৩ শতাংশ বরাদ্দ। বাস্তবে এটা দেড় শতাংশ হবে।

    গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, যেকোনো সংস্কারের বিষয় এলেই সরকারের মধ্যে পাশ কাটিয়ে যাওয়ার প্রবণতা দেখা যায়।

    ]]>
    https://bgn24.com/?feed=rss2&p=1246 0