ব্যবসা বাণিজ্য – Bangla Green News https://bgn24.com সংবাদে নতুনত্বের সূচনায়! Sun, 10 Dec 2023 09:22:04 +0000 en-US hourly 1 https://wordpress.org/?v=6.8.1 ড্রাগন ফল! ‘টনিক’ উপকারিতা ও অপকারিতা! https://bgn24.com/?p=3571 https://bgn24.com/?p=3571#respond Sun, 10 Dec 2023 09:22:02 +0000 https://bgn24.com/?p=3571 কয়েক বছর ধরে ড্রাগন ফল বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠার পর বিদেশী এ ফলটি এখন বাংলাদেশেই উৎপাদিত হচ্ছে। দেশের কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ড্রাগন ফলের আলাদা চারটি প্রজাতিও উদ্ভাবন করেছেন।

এগুলো হচ্ছে বারি-১, যা কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট উদ্ভাবন করেছে। এছাড়া কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যানতত্ত্ব বিভাগ ও জার্মপ্লাজম সেন্টার মিলিতভাবে তিন প্রজাতির ড্রাগন ফল উদ্ভাবন করেছে। এগুলো হচ্ছে বাউ ড্রাগন-১, বাউ ড্রাগন-২ এবং বাউ ড্রাগন-৩।

দেশীয়ভাবে উৎপাদন বাড়ার কারণে দামও কমে এসেছে এক সময়ের দামি এই ফলটির।

তবে সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘টনিক’ ব্যবহার করে উৎপাদিত ড্রাগন ফল এবং এর স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিয়ে নানা ধরনের আলোচনা হচ্ছে। অনেকে বলছেন, এসব ফল থেকে মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি দেখা দিতে পারে।

কিন্তু ড্রাগন চাষে কি আসলেই ‘টনিক’ ব্যবহৃত হচ্ছে? আর ব্যবহৃত হলে এসব ড্রাগন ফল খেলে স্বাস্থ্য ঝুঁকির সম্ভাবনা কতটা রয়েছে?

‘টনিক’ ব্যবহৃত হচ্ছে? নাটোর ড্রাগন ফ্রুটস- এর পরিচালক মনিরুজ্জামান মুন্না। বছরে প্রায় ৫০-৬০ টনের মতো ড্রাগন ফল উৎপাদন করে থাকেন তিনি। ১০ বছর আগে ২০১৪ সালে ইউটিউব দেখে ড্রাগন ফল গাছের চারা সংগ্রহ করে নাটোরে বাগান গড়ে তোলেন তিনি। বিবিসি বাংলাকে মুন্না বলেন, একবার ড্রাগন ফলের বাগান করলে এবং সেটি সঠিকভাবে চাষাবাদ করা হলে প্রায় এক শতাব্দী ধরে ফল পাওয়া সম্ভব। ‘যে ডালটা পুরাতন হয়ে যাবে, ওই ডালটা কেটে দিলে উপর দিয়ে নতুন ডাল বের হয়। এভাবে রি-শাফল করে যদি কেউ কাটে সেক্ষেত্রে গাছ যতদিন চান ততদিন রাখতে পারবে।’

টনিক কী?
কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউটের ফল বিভাগের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো: উবায়দুল্লাহ কায়ছার বলেন, টনিকটা হচ্ছে এক ধরণের হরমোন। এটা গাছে ব্যবহার করলে তার বৃদ্ধি বেশি ও দ্রুত হয়। এই পদ্ধতির ব্যবহার বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট উৎসাহিত করে না।

তিনি বলেন, ‘এটা আমাদের গবেষণার রিকমেন্ডেড না। এটা বাহির থেকে একটা হরমোন আসছে। এটা আমাদের সরকারিভাবেও অনুমোদিত না।’

টনিক ব্যবহার করে উৎপাদিত ড্রাগন চেনার উপায়
অধ্যাপক ড. মো: মোক্তার হোসেন বলেন, টনিক ব্যবহার করে উৎপাদিত ড্রাগন ফল দেখে চেনার কিছু উপায় রয়েছে। এগুলো হচ্ছে-

সাধারণ ও প্রাকৃতিকভাবে উৎপাদিত ড্রাগন ফলের ওজন আড়াই শ’ থেকে সর্বোচ্চ তিন শ’ গ্রাম পর্যন্ত হয়ে থাকে। আর টনিক ব্যবহার করে উৎপাদিত ড্রাগন ফলের ওজন তিন শ’ গ্রাম থেকে শুরু করে নয় শ’ গ্রাম পর্যন্ত হয়ে থাকে।

টনিক ব্যবহার করে উৎপাদিত ফলের বাহ্যিক আকার উদ্ভট হয়ে যায়।

এই ড্রাগন ফলের রঙ পার্পেল বা লাল রঙ হয় থাকে না। সহজ করে বলতে গেলে, পুরো ফলটি আর এক রঙা থাকে না। পার্পেল বা লাল রঙের সাথে সবুজ রঙের মিশ্রণ থাকে। এক পাশে বা কমপক্ষে এক তৃতীয়াংশ সবুজ থাকে। কারণ পুরো এক রঙের হওয়া পর্যন্ত গাছে রাখা হলে সেটি পঁচে যায়। আর এক সাথে চার-পাঁচদিনের মধ্যে বিক্রি না হলে পুরোটাই হলুদ রঙের হয়ে যাবে।

টনিক ব্যবহার করে উৎপাদিত ড্রাগন ফল হবে পানসে। মিষ্টি একেবারেই হবে না। এছাড়া স্বাদেও বেশ ভিন্ন হবে।

মোক্তার হোসেন বলেন, ‘যখন আপনি টনিক ব্যবহার করছেন, তখন গ্রোথ (ফলের বৃদ্ধি) খুব র‍্যাপিডলি (দ্রুত) হচ্ছে। বাহ্যিক আকারও তখন স্বাভাবিকভাবেই ভিন্ন হবে। বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান তৈরি হওয়ার জন্য পর্যাপ্ত সময় পাওয়া যাচ্ছে না। এর আগেই সেগুলো তুলে বিক্রি করে দিতে বাধ্য হচ্ছে কারণ সেগুলো বেশি দিন থাকলে ওয়েট (ওজন) অনেক বেড়ে যায়।

স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি আছে কি?
অধ্যাপক ড. মো: মোক্তার হোসেন বলেন, স্বাভাবিক প্রক্রিয়ার বাইরে কৃত্রিমভাবে উৎপাদিত যেকোনো পণ্যেরই স্বাস্থ্য ঝুঁকি থাকে। যদিও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বিভিন্ন রাসায়নিক নিরাপদ উপায়ে ব্যবহারের মাত্রা ঠিক করে দেয়। কিন্তু বাংলাদেশে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এটা মানা হয় না।

বেশি পরিমাণে হরমোন বা রাসায়নিক ব্যবহার করা হলে তা স্বাস্থ্যের জন্য হুমকিস্বরূপ। তবে এই হরমোন ব্যবহারের কোনো সহনীয় মাত্রা আছে কি না এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, হরমোন ব্যবহারেরই কোনো অনুমোদন বাংলাদেশে নেই।

কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউটরে ফল বিভাগের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো: উবায়দুল্লাহ কায়ছার বলেন, এই টনিক ব্যবহার করে উৎপাদিত ফলের স্বাস্থ্য ঝুঁকি খাকতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। এই হরমোন মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার করা হলে এর একটা স্বাস্থ্য ঝুঁকি রয়েছে। আর এ কারণেই তারা এটি পরীক্ষা করে দেখার উদ্যোগ নিয়েছেন বলে জানান।

]]>
https://bgn24.com/?feed=rss2&p=3571 0
সম্পদের অর্ধেক দাতব্য কাজে ব্যয় ধনকুবের https://bgn24.com/?p=3446 https://bgn24.com/?p=3446#respond Sat, 18 Mar 2023 09:55:10 +0000 https://bgn24.com/?p=3446 নাম তার পুথান নাদুভাক্কাট্ট চেন্থামরাক্ষা মেনন, যিনি মূলত পিএনসি মেনন নামে পরিচিত। ভারতীয় বংশোদ্ভূত হলেও মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমানের নাগরিক পিএনসি মেনন। বর্তমানে তিনি পরিবার নিয়ে দুবাইয়ে বসবাস করেন। সেখানে গড়ে তুলেছেন ব্যবসায়িক সাম্রাজ্য।

তিনি ভারতীয় সোভা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা। এটি দুবাই, ভারত ও যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক বহুজাতিক রিয়েল এস্টেট ডেভালাপার্স কোম্পানি।

সম্প্রতি মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ‘খালিজ টাইমস’কে এক বিশেষ সাক্ষাৎকার দেন এই ধনকুবের।

এ সময় নিজের মোট সম্পদের অর্ধেক দাতব্য কাজে ব্যয় করার কথা জানান পিএনসি মেনন।

তিনি বলেন, “শুধু অর্থ আয় করার জন্য আমি ব্যবসা করি না। বরং আমার মোট সম্পদের অর্ধেক ব্যয় করি বিভিন্ন দাতব্য কাজে।”

দাতব্য এই অর্থ তিনি ওমান, ভারত ও দুবাইয়ে ব্যয় করেন বলে জানান পিএনসি মেনন।

এছাড়া বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ সম্পদশালী মার্কিন ধনকুবের ওয়ারেন বাফেট ও মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটসের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত দাতব্য সংস্থা ‘দ্য গিভিং প্লেজ’ এর অন্যতম অনুদান প্রদানকারী পিএনসি মেনন।

ভারতের কেরালার বাসিন্দা পিএনসি মেনন। ভারতে সোভা গ্রুপের প্রধান কার্যালয় বেঙ্গালুরুতে। তবে পুনে, দিল্লি, গুজরাটসহ বিভিন্ন রাজ্যে আকাশচুম্বি ভবন তৈরি করেছে তার কোম্পানি।

এই কোম্পানির যেসব সিস্টার কনসার্ন রয়েছে সেগুলোর মধ্যে অন্যতম- সোভা হাইরাইজ ভেঞ্চার্স প্রাইভেট লিমিটেড, সোভা অ্যাসেটস প্রাইভেট লিমিটেড, সোভা নান্দামবাক্কাম প্রাইভেট লিমিটেড, সার্ভিসেস অ্যান্ড ট্রেড কোম্পানি এলএলসি, সোভা সিটি, সোভা তাম্বারাম ডেভালাপার্স লিমিটেড, সোভা ডেভালাপার্স (পুনে) লিমিটেড এবং সোভা ইনভেস্টমেন্ট এলএলসি।

১৯৪৮ সালে ভারতের কেরালার ত্রিসুরে জন্ম পিএনসি মেননের। তার বাবা ত্রিসুরের একজন ব্যবসায়ী ছিলেন। কিন্তু মাত্র ১০ বছর বয়সে বাবাকে হারান পিএনসি মেনন। তিনি স্থানীয় শ্রী কেরালা ভার্মা কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন, কিন্তু সেখান থেকে গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করতে পারেননি। ছিটকে পড়ে যান শিক্ষাজীবন থেকে। এরপর শুরু করেন ইন্টারিয়র ডিজাইনিংয়ের ব্যবসা।

২৬ বছর বয়সে তিনি ওমানে পাড়ি জমান। বেশ কয়েক বছর প্রচেষ্টার পর সেখানে তিনি তার ইন্টারিয়র ডেকোরেশনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠা করেন। পরবর্তীতে ১৯৯৫ সালে তিনি ভারতের বেঙ্গালুরুতে সোভা লিমিটেড নামে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালু করেন। স্ত্রীর সোভার নামেই তিনি নামকরণ করেন তার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের। ব্যক্তিগত জীবনে তিন সন্তানের জনক পিএনসি মেনন। তার দুই মেয়ে বিন্দু ও রেবাথি। আর এক ছেলে রবি মেনন।

ওমান থেকে কেন দুবাইয়ে আসলেন? এমন প্রশ্নের জবাবে পিএনসি মেনন জানান, মূলত ছোট মেয়ে রেবাথির পড়াশুনার জন্যই তিনি ওমান থেকে পাড়ি জমান দুবাইয়ে। ইন্টারিয়র ডিজাইনিং নিয়ে পড়াশোনার জন্য সেখানকার একটি আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন রেবাথি। তার জন্যই ওমান থেকে পুরো পরিবার নিয়ে দুবাইয়ে চলে আসেন পিএনসি মেনন।

এরপর সেখানেও তিনি গড়ে তোলেন আইকনিক প্রজেক্ট। দুবাইকে বিশ্বের সবচেয়ে নিরাপদ ও ব্যবসা-বান্ধব স্থান উল্লেখ করে জীবনের পরবর্তী সময় সেখানেই কাটিয়ে দেওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন এই ধনকুবের।

দুবাইকে কেন এতটা নিরাপদ ভাবছেন- এই প্রশ্নের জবাবে পিএনসি মেনন বলেন, এর প্রধান কারণ এখানে কোন ধরনেও দুর্নীতি নেই। পুরোপুরি দুর্নীতিমুক্ত একটি দেশ। তাছাড়া এখানকার সরকার খুবই উৎপাদনশীল একটি সরকার। কোনো বিষয় নিয়ে সরকারের কাছে যাওয়ার প্রয়োজন হলে মাত্র দুই মিনিটেই তাদের সঙ্গে দেখা করা যায় এবং বিষয়টি সমাধান করা যায়। এছাড়া দুবাইয়ের জীবনমানও তার ভীষণ পছন্দ। সেই সঙ্গে সেখানকার নারীর নিরাপত্তা ব্যবস্থাও তার দুবাইয়ে পাড়ি জমানোর একটি অন্যতম কারণ।

তিনি বলেন, বিশ্বের কোনও দেশে এতগুলো সুযোগ-সুবিধা এক সঙ্গে পাওয়া যাবে না, যা দুবাইয়ে পাওয়া যায়। এ কারণেই জীবনের বাকি সময় দুবাইয়ে কাটিয়ে দেওয়ার ইচ্ছাপোষণ করেন তিনি।

 

]]>
https://bgn24.com/?feed=rss2&p=3446 0
পরিবেশবান্ধব কারখানা বাংলাদেশে https://bgn24.com/?p=3405 https://bgn24.com/?p=3405#respond Sat, 25 Feb 2023 09:09:55 +0000 https://bgn24.com/?p=3405 লিড সনদে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে বাংলাদেশের গ্রিন টেক্সটাইল লিমিটেড এখন বিশ্বের সবচেয়ে পরিবেশবান্ধব কারখানা। ১১০ নম্বরের মধ্যে তারা পেয়েছে ১০৪। শুধু তারাই নয়, বিশ্বের সবচেয়ে পরিবেশবান্ধব ১০টি কারখানার ৮টি বাংলাদেশের।

শীর্ষ ১০-এর মধ্যে থাকা দেশের অন্যান্য পরিবেশবান্ধব কারখানা হলো—রেমি হোল্ডিংস লিমিটেড, ফতুল্লা অ্যাপারেলস, তারাসিমা অ্যাপারেলস লিমিটেড, প্লামি ফ্যাশনস লিমিটেড, সিল্কেন সুইং লিমিটেড, মিথেলা টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। তবে তালিকার তৃতীয় স্থানে থাকা বাংলাদেশি কারখানার নাম প্রকাশ করা হয়নি। শুধু দেশের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

আজ সকালেই লিড সনদের এই তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। বিজিএমইএ এই খবর নিশ্চিত করেছে।

এই ১০ কোম্পানির সব কটিই প্লাটিনাম সনদ পেয়েছে। ১১০-এর মধ্যে যেসব কোম্পানি ৮০ বা তার চেয়ে বেশি নম্বর পায়, তারা প্লাটিনাম সনদ লাভ করে। কোনো কারখানা ৬০ থেকে ৭৯ নম্বর পেলে গোল্ড সনদ পায়, ৫০ থেকে ৫৯ পেলে পায় সিলভার সনদ আর ৪০ থেকে ৪৯ পেলে পায় সার্টিফায়েড সনদ।

বিশ্বের বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান পরিবেশবান্ধব স্থাপনার সনদ দিয়ে থাকে। তাদের মধ্যে অন্যতম একটি যুক্তরাষ্ট্রের ইউএস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল (ইউএসজিবিসি)। তারা ‘লিড’ নামে পরিবেশবান্ধব স্থাপনার সনদ দিয়ে থাকে। এই লিডের তালিকায় গ্রিন টেক্সটাইল এখন শীর্ষ পরিবেশবান্ধব কারখানা।
লিড-এর পূর্ণাঙ্গ রূপ লিডারশিপ ইন এনার্জি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ডিজাইন। সনদটি পেতে একটি প্রকল্পকে ইউএসজিবিসির তত্ত্বাবধানে নির্মাণ থেকে উৎপাদন পর্যন্ত বিভিন্ন বিষয়ে সর্বোচ্চ মান রক্ষা করতে হয়। এ জন্য নতুন ভবন নির্মাণ কিংবা পুরোনো ভবন সংস্কার করেও আবেদন করা যায়।লিড তালিকার শীর্ষ ১০০টি কোম্পানির মধ্যে ৫২টি বাংলাদেশের। অর্থাৎ, এ তালিকায় থাকা সবচেয়ে বেশি কোম্পানি বাংলাদেশের। এরপর সবচেয়ে বেশি বেশি কোম্পানি আছে চীনের। তাদের আছে ১০টি কারখানা। এরপর পাকিস্তানের আছে ৯টি কারখানা। শ্রীলঙ্কা ও ভারতের আছে ৬টি করে কারখানা। ভিয়েতনাম ও তাইওয়ানের আছে ৪টি করে কারখানা।
বেশ কিছু ক্যাটাগরিতে লিড সনদ দেওয়া হয়। এর মধ্যে টেকসই কারখানা প্রাঙ্গণ ক্যাটাগরিতে গ্রিন টেক্সটাইল পেয়েছে ১০-এ ১০; পানির দক্ষ ব্যবহারে পেয়েছে ১১-তে ১১; জ্বালানি ও পরিবেশে পেয়েছে ৩৩-এ ৩২; উপকরণ ও সম্পদে ১৩-তে ১১; অভ্যন্তরীণ পরিবেশ মানে ১৬-তে ১৪, উদ্ভাবনে ৬-এ ৬, আঞ্চলিক অগ্রাধিকারে ৪-এ ৪; অবস্থান ও যাতায়াতে ২০-এ ১৫।পোশাকশিল্পের উদ্যোক্তা সাজ্জাদুর রহমান মৃধার হাত ধরে ২০১২ সালে দেশে পরিবেশবান্ধব কারখানার যাত্রা শুরু হয়। পাবনার ঈশ্বরদী ইপিজেডে তাঁর প্রতিষ্ঠিত ভিনটেজ ডেনিম স্টুডিও প্রথম এই মর্যাদা লাভ করে। বর্তমানে বিশ্বে অন্য যেকোনো দেশের চেয়ে বাংলাদেশেই সবচেয়ে বেশি পরিবেশবান্ধব পোশাক ও বস্ত্রকল রয়েছে। তৈরি পোশাক ও বস্ত্র খাতের পাশাপাশি শিপইয়ার্ড, জুতা ও ইলেকট্রনিকস পণ্য খাতেও আছে পরিবেশবান্ধব কারখানা। বাণিজ্যিক ভবনও হচ্ছে পরিবেশবান্ধব, তবে সংখ্যায় কম।

বিজিএমএইএর তথ্যানুসারে, বাংলাদেশে পরিবেশবান্ধব কারখানার সংখ্যা ১৮৩। আরও পাঁচ শতাধিক কারখানা এই সনদ পাওয়ার প্রক্রিয়ায় আছে বলে জানিয়েছে তারা।

]]>
https://bgn24.com/?feed=rss2&p=3405 0
বাণিজ্যমেল স্থায়ী ঠিকানায় https://bgn24.com/?p=1758 https://bgn24.com/?p=1758#respond Mon, 27 Dec 2021 08:56:35 +0000 https://bgn24.com/?p=1758 শেরেবাংলা নগরের পরিবর্তে প্রথমবারের মতো রাজধানীর পূর্বাচলে বসতে যাচ্ছে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা (ডিআইটিএফ)। শেরেবাংলা নগর থেকে পূর্বাচলের দূরত্ব প্রায় ২৫ কিলোমিটার। পূর্বাচলে নবনির্মিত ‘বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে’ বসবে এবারের মেলা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি আগামী ১ জানুয়ারি মেলা উদ্বোধন করবেন।

মেলায় নগরবাসীকে আনা-নেওয়ার জন্য থাকবে বিআরটিসির ৩০টি বাস। খাবারের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রথমবারের মতো ক্যাটারিং সার্ভিস চালু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন। মেলায় পছন্দের পণ্য অগ্রিম ক্রয়াদেশ (অর্ডার) দিলে তা কোম্পানির নিজস্ব উদ্যোগে ক্রেতার ঠিকানায় পৌঁছে দেওয়া হবে।বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি গতকাল আমাদের সময়কে বলেন, ‘প্রথমবারের মতো বাণিজ্যমেলা স্থায়ী ভেন্যুতে হতে যাচ্ছে- এটিই সবচেয়ে বড় বিষয়। দীর্ঘ এক যুগের বেশি সময় ধরে চেষ্টা চলছিল একটি স্থায়ী কমপ্লেক্স নির্মাণের। সেই লক্ষ্য পূরণ হয়েছে।’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৯ সালে দায়িত্ব গ্রহণের পরই ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা স্থায়ী কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন। পরে এ প্রকল্পে সহযোগিতার হাত বাড়ায় চীন। বাংলাদেশ ও চীনের যৌথ উদ্যোগে অবশেষে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের পূর্বাচল নতুন শহরে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে ‘বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টার’। পূর্বাচল ৪ নম্বর সেক্টরে ২০ একর জমির ওপর ২০১৭ সালের ১৭ অক্টোবর মেলার অবকাঠামো নির্মাণ শুরু করে ‘চায়না স্টেট কনস্ট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন’। গত বছরের ৩০ নভেম্বর নির্মাণকাজ সম্পন্ন করার ঘোষণা দেয় তারা। ‘চায়না-বাংলাদেশ ফ্রেডশিপ এক্সিবিশন সেন্টার’ নির্মাণে ব্যয় হয়েছে প্রায় ১ হাজার ৩০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে চীনের অনুদান প্রায় ৬২৫ কোটি টাকা। ৩৩ হাজার বর্গমিটারের ‘ফ্লোর স্পেসের’ মধ্যে ভবন নির্মাণ করা হয়েছে ২৪ হাজার ৩৭০ বর্গমিটার জায়গা নিয়ে। এক্সিবিশন হলের আয়তন ১৫ হাজার ৪১৮ বর্গমিটার। এতে ৮০০টি স্টল রয়েছে।

দোতলা পার্কিং ভবনের আয়তন ৭ হাজার ৯১২ বর্গমিটার। গাড়ি পার্কিং করা যাবে ৫০০টি। এ ছাড়া এক্সিবিশন ভবনের সামনে খোলা জায়গায় আরও এক হাজার গাড়ি পার্ক করা যাবে। রয়েছে ৪৭৩ আসনের মাল্টি ফাংশনাল হল, ৫০ আসনের কনফারেন্স রুম, ৬টি নেগোশিয়েশন মিটিং রুম, ৫০০ আসনের রেস্তোরাঁ, শিশুদের খেলার জায়গা, নামাজের কক্ষ, ২টি অফিস কক্ষ, মেডিক্যাল বুথ, অতিথি কক্ষ, ১৩৯টি শৌচাগার, বিল্ট ইন পাবলিক অ্যাড্রেস সিস্টেম, নিজস্ব ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট, স্টোর রুম, সিএটিভি কন্ট্রোল রুম, অটোমেটেড সেন্ট্রাল এসি সিস্টেম, ইন বিল্ট ইন্টারনেট-ওয়াইফাই, আধুনিক অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা, আলাদা রেজিস্ট্রেশন হল, আধুনিক ফোয়ারা, ইন বিল্ট পতাকা স্ট্যান্ড এবং রিমোট কন্ট্রোল ইলেকট্রনিক ফটক।

‘মেড ইন বাংলাদেশ’ ব্র্যান্ড পৃথিবীর সব দেশে ছড়িয়ে দিতে একযুগ চেষ্টার পর অবশেষে বিশ্বমানের একটি স্থায়ী ‘পণ্য প্রদর্শনী কেন্দ্র’ তৈরি সম্পন্ন হয়েছে। বাণিজ্যমেলা শেষ হওয়ার পর এ ভেন্যুতে সারা বছর বিভিন্ন খাতভিত্তিক মেলা আয়োজনের সুযোগ থাকছে। এ কারণে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ গুনতে হবে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে। এর বাইরে বিদেশি যে কোনো প্রতিষ্ঠান ও সংস্থা মেলা বসাতে পারবে। এ কারণে সারা বছর মেলা হবে স্থায়ী প্রদর্শনী কেন্দ্রে। এবার ছোট-বড় ২৩০টি স্টল ও প্যাভিলিয়ন থাকবে মেলায়। বাণিজ্যমেলায় ৬টি দেশ থেকে কয়েকটি

প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করবে।

বিআরটিসির পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানও মেলায় পরিবহন সেবা দিতে পারবে। নগরবাসী সহজেই যাতে মেলা প্রাঙ্গণে যেতে পারেন, সেই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে স্টল ও প্যাভিলিয়ন কমিয়ে আনা হয়েছে। এ ছাড়া আগের মতো বিশাল আকারের প্যাভিলিয়ন করার সুযোগ না থাকায় শুধু পণ্য প্রদর্শনী করা যাবে। এ কারণে ক্রেতারা পছন্দের পণ্যের অর্ডার দিয়ে পরবর্তী সময় তা সংগ্রহ করতে পারবেন।

বর্তমানে ১৯০টি দেশে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানি হয়। তৈরি পোশাক, চামড়া, ওষুধ, মৎস্য, জাহাজ, ইলেকট্রনিকস এবং আইটি খাতের সফটওয়্যারসহ কয়েক হাজার পণ্য রপ্তানি হয় বিভিন্ন দেশে। কিন্তু বাংলাদেশের পণ্য আমদানিকারক কিংবা ক্রেতাদের দেখানোর জন্য কোনো স্থায়ী প্রদর্শনীকেন্দ্র এতদিন ছিল না। এ অবস্থায় সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া ও দুবাইসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিদেশি ক্রেতাদের সঙ্গে উদ্যোক্তারা নিয়মিত বৈঠক করে ক্রয়াদেশ আনতেন। স্থায়ী প্রদর্শনীকেন্দ্র হওয়ায় বিদেশিরা এখন বাংলাদেশমুখী হবেন।

]]>
https://bgn24.com/?feed=rss2&p=1758 0
যাত্রা শুরু বোপমা রাঙামাটি জেলা কমিটি https://bgn24.com/?p=1730 https://bgn24.com/?p=1730#respond Mon, 29 Nov 2021 13:40:22 +0000 https://bgn24.com/?p=1730
  • যাত্রা শুরু করলো অর্গানিক প্রডাক্ট ম্যানুফ্যাকচার অ্যাসোসিয়েশন (বোপমা) রাঙামাটি জেলা শাখা। গত ২৮/১১/২০২১ কমিটির আনুষ্ঠানিক ঘোষনা দেন অর্গানিক চাষী ব্যাবসায়ীদের সংগঠন বোপমা এর কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সভাপতি ও অনুষ্ঠানের প্রধান আলোচক মোঃ মনিরুজ্জামান। তিনি নব দায়িত্ব প্রাপ্তদের সাথে স্থানীয় সাংসদ দীপংকর তালুকদার এর সাথে পরিচয় করিয়ে দেন। অনুষ্ঠানে  বিশেষ অতিথি হিসাবে আরও উপস্থিত রাঙামাটি কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপপরিচালক তপন পাল, রাঙামাটি চেম্বার অফ কমার্স এ্যাণ্ড ইন্ডাট্রির সভাপতি আব্দুল ওয়াদুদ, ডা হাসান আহমেদ মেহেদী,যুগ্ন সাধারন সম্পাদক (বাপমা) সভার সভাপতিত্ব করেন কৌশিক চাকমা, সভাপতি  (বাপমা) রাঙামাটি জেলা ।প্রধান আলোচক তার আলোচায় বলেন বোপমা দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশে অর্গানিক পদ্ধতিতে পণ্য উৎপাদনে বিশেষ ভূমিকা পালন করে আসছে।আমরা স্বপ্ন দেখি দেশ একদিন ভেজাল ও বিষ মুক্ত খাবার উৎপাদনে বিশ্বে শীর্ষ অবস্থানে থাকবেঅর্গানিক প্রডাক্ট ম্যানুফ্যাকচার অ্যাসোসিয়েশন(বোপমা) দেশের প্রতিটি প্রান্তে অর্গানিক চাষি উদ্যোক্তা তৈরী করতে বদ্ধ পরিকর। তিনি মাননীয় সাংসদের কাছে একটি অর্গানিক জোন করার দাবি জানান।আলোচনায় জনাব ডা হাসান আহমেদ মেহেদী বলেন আজ সময় এসেছে সবাই কে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনে এগিয়ে আসতে হবে।অনুষ্ঠানে আরও আলোচনা করেন অর্গানিক সার্টিফিকেশন বাংলাদেশ (ওসিবি) এর পরিদর্শক বেদুইন হায়দার লিও।

    প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাননীয় সংসদ দীপংকর তালুকদার বলেন অর্গানিক পণ্যের ব্যাবহার এখন
    সময়ের দাবি। রাঙামাটির ভার্জিন মাটিকে কাজে লাগিয়ে আর্গানিক চাষ বৃদ্ধি করতে হবে। পরে বেপমার নির্বাহী সভাপতি মোঃ মনিরুজ্জামানের দাবির পেক্ষিতে জনাব দীপংকর তালুকদার একটি আর্গানিক অঞ্চল তৈরী ঘোষণা দেন ও অর্গানিক চাষীদের সব রকমের সাহায্যের আস্বাস দেন ।

    ]]>
    https://bgn24.com/?feed=rss2&p=1730 0
    অর্গনিক সার্টিফিকেশন বাংলাদেশ (ওসিবি) এর যাত্রা শুরু https://bgn24.com/?p=1666 https://bgn24.com/?p=1666#respond Sat, 06 Nov 2021 07:49:23 +0000 https://bgn24.com/?p=1666 যাত্রা শুরু করলো

    অর্গানিক পণ্যের উপর বাংলাদেশে প্রথম বেসরকারি প্রতিষ্ঠান অর্গানিক সার্টিফিকেশন বাংলাদেশ সংক্ষেপে ওসিবি
    গত ০৫/১১/২০২১ ইংরেজি তারিখে রাজধানীর গুলশান ক্লাবে এর উদ্বোধন করা হয়।
    এতে প্রধান অতিথি হিসাবে ভার্চুয়ালে উপস্থিত হন
    জনাব কামাল আহমেদ মজুমদার এমপি, মাননীয় প্রতিমন্ত্রী, শিল্প মন্ত্রণালয়।
    মাননীয় প্রতিমন্ত্রী তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, বর্তমানে যে ১০৬ মিলিয়ন ডলারের যে বিশ্ব বাজার রয়েছে সেখানে বাংলাদেশের রপ্তানি বৃদ্ধি করতে হবে আর এক্ষেত্রে অর্গানিক পণ্যের সার্টিফিকেশনের মাধ্যমে ওসিবি রাখতে পারে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা।

    বিশেষ অতিথি হিসাবে এদিন আরও উপস্থিত ছিলেন টিম রবার্ট গ্যামন, অর্গনিক ননো টেকনোলজির বিশেষজ্ঞ মার্কিন যুক্তরাস্ট্রের নাগরিক, এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন
    ওসিবি সার্টিফিশন বডির চেয়ারম্যান জনাব সাইফুল হাসিব, সাবেক মহা পরিচালক, বিএসটিআই। সার্টিফিকেশন বডির আর এক সদস্য মো মহাফুজুর রহমান,সবেক রাষ্ট্র দুত পোল্যান্ড ব্যাক্তিগত কারনে আসতে পারেনি। অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন দেশের অর্গনিক পণ্য উৎপাদন ও রপ্তানিতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখা ব্যাক্তিবর্গ।

    অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে অর্গানিক কোম্পানি গুলোর শিল্পায়ন,অবস্থান, গুনগত মান, এবং তার সার্টিফিকেশন নিয়ে প্রবন্ধ পাঠ করেন জনাব মোঃ খোরশেদ আলম, প্রিন্সিপাল সাইন্সটিস, বারি ও অবৈতনিক উপদেষ্টা অর্গানিক সার্টিফিকেশন বডি। তিনি তার লিখিত বক্তব্য রাখেন সেটা এদেশের অর্গনিক পণ্য বিকাশের পথে একটা মাইল ফলক হবে।

    পবিত্র কুরআন তেলয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। কুরআন তেলোয়াত করেন জনার মাসুদুর রহমান। অনন্য দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জনাব মিজানুর রহমান, আহমেদ কবির, জিয়া উদ্দিন, মুক্তাদুল হক, মোঃ নাসির উদ্দীন, মিজানুর রহমান বিজয় সহ উপস্থিত আরও অনেকে। বক্তরা বলেন

    কৃষি প্রধান বাংলাদেশে ব্যাপক জনসংখ্যার কারনে প্রতিনিয়ত অধিক খাদ্য উৎপাদনের রাসায়নিক সার ব্যাবহার করা হয়েছে।এর কারণে আমরা সদা সর্বদা প্রকৃতির খাবার থেকে বঞ্চিত আর মাটির উর্বরতা দিন দিন কমে আসছে। আমরা ফিরে যেতে চাই আবহমান জীববৈচিত্র্যের প্রচীন বাংলাতে তাই আমরা আনন্দের সাথে জানাচ্ছি যে, আমাদের এ দেশে পর্যাপ্ত পরিমান অর্গানিক পণ্য উৎপাদন হওয়া শুরু হয়েছে। আশার কথা হলো এই আর্গানিক খাদ্য দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে।

    কিন্তু পরিতাপের বিষয় হল সরবরাহ ও বিদেশে রপ্তানির ক্ষেত্রে দেশী কোন নিদৃষ্ট কোন প্রত্যায়ন পত্র বা অর্গানিক সার্টিফিকেশন না থাকায় কৃষক, ব্যবসায়ী ও রপ্তানিকারকরা অর্গানিকপণ্যের যথাযথ মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। কারন বিশ্ব বাজারে অর্গানিক পন্যের দাম বেশি। অর্গনিজ পন্য কম পরিমাণে উৎপাদন হয় বলে অর্গনিক পন্যের অনুমোদন না থাকলে কৃষক, ব্যবসায়ী সবাই নায্য মুল্য হতে বঞ্চিত হবে।

    আবার এই পণ্যের সার্টিফিকেশন দেশের বাইরের প্রতিষ্ঠান করে বলে সেখানে সার্টিফিকেশন বাবদ মোটা অংকের টাকা বাইরে চলে যায়।

    এই বিষয় গুলো মাথায় রেখে দেশের খ্যাতিমান অর্গানিক সেক্টরের বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি অর্গানিক সার্টিফিকেশন বডি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে, নাম “অর্গানিক সার্টিফিকেশন বাংলাদেশ লি: (ওসিবি)”।
    একটি দেশীয় প্রতিষ্ঠান কিন্তু আন্তর্জাতিক মান অনুসরণ করে কাজ করবে। ( আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান The International Federation of Organic Agriculture Movements  সংক্ষেপে ifoam )

    প্রত্যেক বক্তৃাই আশা করেন আন্তর্জাতিক বাজারে আমাদের অর্গনিক পণ্য অচিরেই পাবে তার মান ও দাম। মোঃ মনিরুজ্জামান এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করে প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান জনাব আনোয়ার হোসেন রানা।

    ]]>
    https://bgn24.com/?feed=rss2&p=1666 0
    বাগাড় মাছ বিক্রি,উৎসুক জনতার ভিড় https://bgn24.com/?p=1635 https://bgn24.com/?p=1635#respond Thu, 21 Oct 2021 07:56:17 +0000 https://bgn24.com/?p=1635 নাটোরের সিংড়া কোর্ট মাঠে ৩১ কেজি ওজনের বিশালাকারের দুটি বাগাড় মাছ বিক্রি হয়েছে। মাছ দুটি যমুনা নদীতে জেলেদের জালে ধরা পড়ে বলে জানা গেছে। মাছ দুটি এক হাজার ও ৮০০ টাকা কেজি দরে ৫৫ হাজার ৮০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

    বুধবার দুপুরে ২০ ও ১১ কেজি ওজনের মাছ দুটি দেখতে উৎসুক জনতার ভিড় দেখা যায়। পরে মাছ দুটি যথাক্রমে এক হাজার ও ৮০০ টাকা কেজি দরে কিনে নেন স্থানীয়রা।

    স্থানীয় পরিবেশকর্মী জুলহাস কায়েম বলেন, দুপুরে প্রশাসনিক ভবনের পাশে কোর্ট মাঠে যমুনা নদীর দুটি বাগাড় মাছ বিক্রির জন্য ওঠে। মৎস্য ভাণ্ডারখ্যাত চলনবিলের সিংড়ায় বাগাড় মাছ আসার খবরে মাছ দুটি দেখতে ভিড় পড়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন তা কিনে ভাগ করে নেন।

    মাছ বিক্রেতা শেরপুরের ইসমাইল হোসেন বলেন, মাছ দুটি যমুনা নদীতে জেলেদের জালে ধরা পড়ে। পরে সেখান থেকে কিনে নিয়ে বেশি দামে বিক্রির জন্য এখানে এনেছি। তবে মাছ ক্রেতার চেয়ে উৎসুক জনতার ভিড় বেশি।

    এর আগে গত বছরও এখানে মাছ বিক্রির জন্য এসে ছিলাম। পরে বেশি দামে বিক্রিও করেছিলাম।

    চলনবিল জীববৈচিত্র্য রক্ষা কমিটির সভাপতি ও বিল হালতি ত্রিমোহনী কলেজের ভূগোলের অধ্যাপক আখতারুজ্জামান বলেন, এটি দক্ষিণ এশিয়ায়প্রাপ্ত একটি বিশালাকারের বাগারিয়াস গণের মাছের প্রজাতি। এটিকে দানব বাগাড় বলে।

    তবে বাংলাদেশের ২০১২ সালের বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনে তফসিল ২ অনুযায়ী এ প্রজাতিটি সংরক্ষিত। আমরা এ বিষয়ে মানুষকে সচেতন করা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

    ]]>
    https://bgn24.com/?feed=rss2&p=1635 0
    ডিজিটাল ই-কমার্স আইন প্রণয়ন;নতুন না বিদ্যমান আইন! https://bgn24.com/?p=1579 https://bgn24.com/?p=1579#respond Wed, 06 Oct 2021 07:29:15 +0000 https://bgn24.com/?p=1579 ই-কমার্স ব্যবসার নামে প্রতারণা ঠেকাতে সরকার ডিজিটাল ই-কমার্স আইন প্রণয়ন ও রেগুলেটরি অথরিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়। গত ২২ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র, আইন, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রীকে নিয়ে বৈঠক করে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি ই-কমার্স আইন প্রণয়ন ও রেগুলেটরি অথরিটি গঠনের ঘোষণা দেন। সে মোতাবেক ১৬ সদস্যের কমিটিও গঠিত হয়। মন্ত্রণালয়ের এমন সিদ্ধান্তে গ্রাহক, মার্চেন্ট, সুশীল সমাজের মধ্যে এক ধরনের আশার সঞ্চার হয়। কিন্তু গতকাল মঙ্গলবার ডিজিটাল কমার্স আইন এবং শক্তিশালী কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠায় গঠিত কমিটির প্রথম বৈঠকেই নতুন আইন না বিদ্যমান আইনে ই-কমার্স ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ (ব্যবস্থাপনা) করা হবে তা ঠিক করতে একটি উপকমিটি গঠন করা হয়েছে।
    কমিটির এমন সিদ্ধান্তে ই-কমার্সের অংশীজনরা মনে করছেন সরকার কি তা হলে ই-কমার্স আইন প্রণয়ন ও রেগুলেটরি অথরিটি গঠন থেকে সরে আসছে? তারা এও জানিয়েছেন, দেশে প্রায় ৩০ হাজার ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর সঙ্গে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে ২ লক্ষাধিক মানুষের। আর ৮০ লাখ পরিবার এর ভোক্তা। এ জন্য এ উদীয়মান ই-কমার্স খাতকে বিশ্বমানে রূপ দিতে এবং এ মাধ্যমে প্রতারণা ও জালিয়াতি ঠেকাতে একটি শক্তিশালী আইন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ গঠন প্রয়োজন।
    সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন ই-কমার্সের নামে পণ্য আমদানি বা ডেলিভারি দেওয়ার মাধ্যমে ওভার কিংবা আন্ডার ইনভয়েস করে দেশের
    অর্থ কেউ যেন পাচার করতে না পারে বা মানিলন্ডারিংয়ের মতো কোনো অপরাধ করতে না পারে সে সুরক্ষায় নতুন আইন প্রণয়ন দরকার।
    দুর্নীতি দমন কশিনের (দুদক) সাবেক চেয়ারম্যান ও কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) প্রেসিডেন্ট গোলাম রহমান আমাদের সময়কে বলেন, ই-কমার্স খাতে শৃঙ্খলা ফেরাতে নতুন আইন এবং রেগুলেটরি অথরিটি বা কমিশন গঠন করা যৌক্তিক। এ ছাড়া বিদ্যমান আইনে যে ধরনের শাস্তির বিধান আছে তা বাড়ানো দরকার।
    ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের সাবেক চেয়ারম্যান ও ট্রাস্টি এম হাফিজ উদ্দিন খান আমাদের সময়কে বলেন, এ বিষয়ে আইন প্রণয়ন একটি সময়পোযোগী পদক্ষেপ। ই-কমার্স একটি উদিয়মান খাত। কয়েকটি কোম্পানির জন্য এ খাত বিকাশে প্রতিবন্ধকতা তৈরি না করে আইন প্রণয়নের মাধ্যমে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার পক্ষে মত দেন তিনি।
    গতকাল মঙ্গলবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ডিজিটাল কমার্স আইন প্রণয়ন ও কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা কমিটির সভা শেষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এএইচএম সফিকুজ্জামান বলেন, ই-কমার্সের জন্য নতুন আইন হবে কিনা বা ই-কমার্স কর্তৃপক্ষ গঠিত হবে কি না, সেটা জানা যাবে আরও এক মাস পর। আইন ও কর্তৃপক্ষ গঠনের বিষয়ে একটি সাব-কমিটি হয়েছে। সে সাব-কিমিটির রিপোর্টের ওপর নির্ভর করবে নতুন আইন ও কর্তৃপক্ষ গঠন করা হবে কিনা। কমিটি পুরো বিষয়টি পর্যালোচনা করবে।
    তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমানে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন আছে, প্রতিযোগিতা কমিশন আইন আছে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন আছে, এমনও হতে পারে বর্তমান আইনগুলোকে সংশোধন করে নতুন কোনো ধারা, উপধারা সংযোজন হবে। আর কর্তৃপক্ষ করতে বেশ সময় লাগে, এখানে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের জড়িত থাকার বিষয় আছে। সহসা কর্তৃপক্ষ গঠন সম্ভব না-ও হতে পারে। তবে আমরা ডিজিটাল কমার্স সেলকে শক্তিশালী করব। এ সেলকে কারিগরিভাবেও সহায়তা দেওয়া হবে।’
    তিনি বলেন, ই-কমার্স কর্তৃপক্ষ করতে বেশ সময় লাগে, এখানে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের জড়িত থাকার বিষয় আছে। হঠাৎ যদি ছয় মাসের মধ্যে ডিজিটাল কর্তৃপক্ষ করতে বলা হয়Ñ সে ক্ষেত্রে অফিস ও অভিজ্ঞতাসহ সার্বিক বিষয়গুলো দ্রুত করা সম্ভব নাও হতে পারে। তবে ডিজিটাল কমার্স সেলকে আমরা শক্তিশালী করব। এ সেলকে কারিগরি সহায়তাও দেব। আমাদের ভাবনা সাব-কমিটিকে জানানো হয়েছে।
    সফিকুজ্জামান বলেন, সাব-কমিটিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নের্তৃত্বে বাংলাদেশ ব্যাংক থাকবে, ভোক্তা অধিকারের প্রতিনিধি, কম্পিটিশন কমিশনের প্রতিনিধি, লেজিসলেটিভ ডিভিশনের প্রতিনিধি, এটুআই প্রতিনিধি, এফবিসিসিআই প্রতিনিধি, ই-ক্যাব ও বেসিসের প্রতিনিধি থাকবে।
    ই-কমার্সে বর্তমান দুরবস্থা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যে ক্ষতি হয়ে গেছে, হয়ে গেছে। এটা আমরা ফিরিয়ে আনতে পারব না।
    এক প্রশ্নের জবাবে অতিরিক্ত সচিব বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একটি ডিজিটাল সেল আছে। সেলটি একটি এসওপি করেছে। সেটা একটা গাইডলাইন। ফলে সেখানে আইন প্রয়োগের সুযোগ কম। এসওপি প্রয়োগের জন্য যে লিগ্যাল অথরিটি সেটা থাকে না। তাই ডিজিটাল কমার্সকে শক্তিশালী করতে সাব-কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে। পুরো বিষয়টির নিয়ন্ত্রণ নয়, মনিটরিং করা হবে।
    এর আগে গত ২৮ সেপ্টেম্বর ই-কমার্স আইন ও কর্তৃপক্ষ গঠনের লক্ষ্যে ১৬ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। এতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (আমদানি ও অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য) এএইচএম সফিকুজ্জামানকে কমিটির আহ্বায়ক এবং উপসচিব (কেন্দ্রীয় ডিজিটাল কমার্স সেল) মুহাম্মদ সাঈদ আলীকে সদস্যসচিব করা হয়।আলিশা মার্ট বিজ্ঞাপন প্রচারের ক্ষেত্রে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অমান্য করছে, এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি নাÑ জানতে চাইলে সফিকুজ্জামান বলেন, আমাদের গত ২২ সেপ্টেম্বর যে মিটিং হয়েছিল সেখানে পাঁচ নম্বর সিদ্ধান্ত ছিল, ডিজিটাল কমার্সের সব বিজ্ঞাপনে সতর্কীকরণ ট্যাগ যুক্ত করতে হবে। ই-ক্যাবের পক্ষ থেকে জেনেছি, এরই মধ্যে বিজ্ঞাপন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। আমরা ফুলটাইম এটা নিয়ে কাজ করছি। আমার অফিসারকে দায়িত্ব দিয়েছি, কী বিজ্ঞাপন যাচ্ছে তা দেখে রিপোর্ট দিতে। পরে আমরা রিভিউ করব।
    ই-কমার্স বিষয়ে তিনি বলেন, যেগুলো ভালো কোম্পানি সৎভাবে ব্যবসা করছে, আমরা তাদের সুযোগ দিতে চাই। তাদের ব্যবসা বন্ধ করতে চাই না। তবে আমরা এখন নিয়ন্ত্রণ করার চিন্তা করছি। তাদের আমরা স্পেস দিয়েছি। ই-কমার্সে ভালো অনেক কোম্পানিও রয়েছে, যেখানে লাখ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে, করোনাকালীন বিশালসংখ্যক মানুষ কাজের সুযোগ হয়েছে। বাংলাদেশ ই-কমার্সকে লিড দেবে, আমরা সে লক্ষ্যেই কাজ করছি।

    বাণিজ্য মন্ত্রণালয় দুই বছর আগে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করলে ই-কমার্স খাতের বর্তমান দুরবস্থা হতো না এবং এ জন্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ই দায়ী। এ বিষয়ক প্রশ্নের জবাবে সফিকুজ্জামান বলেন, ‘যে ক্ষতি হয়ে গেছে, হয়ে গেছে। এটা আমরা ফিরিয়ে আনতে পারব না। সুনির্দিষ্টভাবে এ প্রশ্নের জবাব দেওয়ার এখতিয়ার আমার নেই।’

    ]]>
    https://bgn24.com/?feed=rss2&p=1579 0
    কুমির খামারের মালিক মুশতাক, দখলে (পি.কে) হালদার https://bgn24.com/?p=912 https://bgn24.com/?p=912#respond Sat, 27 Feb 2021 06:30:10 +0000 http://bgn24.com/?p=912 ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আটক অবস্থায় কারাগারে মারা যাওয়া মুশতাক আহমেদ ছিলেন দেশের প্রথম কুমির খামারের স্বপ্নদ্রষ্টা ও অন্যতম অংশীদার। সেই কুমির খামারের মালিক এখন আলোচিত প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদার। আর কুমির খামারটি পি কে হালদারের হাতে তুলে দেন মুশতাক আহমেদের ব্যবসায়িক অংশীদার মেজবাহুল হক। তিনি বেসরকারি খাতের এবি ব্যাংকের সাবেক পরিচালক। ২০১৩ সালে রিলায়েন্স ফাইন্যান্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) থাকার সময় পি কে হালদার কুমির খামারটির নিয়ন্ত্রণ নেন।

    এখন ময়মনসিংহের রেপটাইলস ফার্মটি আবার ব্যাংকবহির্ভূত আলোচিত আর্থিক প্রতিষ্ঠান এফএএস ফাইন্যান্সের অন্যতম মালিক। এই এফএএস ফাইন্যান্স থেকেও নামে-বেনামে বিপুল অর্থ বের করে নিয়েছিলেন পি কে হালদার। মুশতাক আহমেদের খামারটি পি কের দখলে যাওয়ার পর সেটির মালিকানার সঙ্গে যুক্ত রয়েছে পিঅ্যান্ডএল ইন্টারন্যাশনাল, কেএইচবি সিকিউরিটিজের

    ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রাজীব সোম ও তাঁর স্ত্রী শিমু রায়। নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর রেপটাইলস ফার্মের নামে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে বিপুল পরিমাণ ঋণও বের করে নেন পি কে হালদার, যা আর শোধ হচ্ছে না।

    এদিকে সাম্প্রতিক সময়ে আর্থিক খাতের আলোচিত পি কে হালদার পালিয়েছেন বিদেশে। পি কের বিভিন্ন আর্থিক কেলেঙ্কারির অংশীদার রাজীব সোমও এখন পরিবার নিয়ে কানাডায় থাকেন। ফলে কুমিরের খামারটিও অরক্ষিত হয়ে পড়েছে। মুশতাক আহমেদের হাতছাড়া হওয়ার পর কুমির চাষের বদলে খামারটির নাম ও জমি ব্যবহার হয়েছে মূলত ঋণ নেওয়ার কাজে। গত বছর কানাডায় যাওয়ার আগে রাজীব সোমের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা হয় প্রথম আলোর এই প্রতিবেদকের। তিনি সে সময় বলেছিলেন, কুমির খামারটির মালিক মূলত পি কে হালদার। তাঁর হাতে আছে অল্প শেয়ার।

    জানা যায়, মুশতাক আহমেদের উদ্যোগে ২০০৪ সালে রেপটাইলস ফার্মটি বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরুর অনুমোদন পায়। ২০০৫ সালে বাংলাদেশ ব্যাংক পরিচালিত সমমূলধন সহায়তা তহবিল বা ইইএফ থেকে ২ কোটি ৪৩ লাখ টাকা বিনিয়োগ পায় খামারটি। এ বিনিয়োগের বিপরীতে খামারটির ৪৯ শতাংশ মালিকানা পায় ইইএফ। আর বাকি ৫১ শতাংশ শেয়ারের মধ্যে ৩৬ শতাংশ শেয়ার ছিল মেজবাহুল হকের এবং ১৫ শতাংশ মুশতাক আহমেদের। প্রতিষ্ঠানটির মূলধন ছিল ৫ কোটি টাকা।

    রেপটাইলস ফার্মের পর্ষদে মেজবাহুল হক এবং মুশতাক আহমেদ ছিলেন উদ্যোক্তা পরিচালক। তাঁদের মধ্যে মেজবাহুল হক ছিলেন খামারটির চেয়ারম্যান এবং মুশতাক আহমেদ ছিলেন এমডি। আর ইইএফের ব্যবস্থাপক প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে সাউথইস্ট ব্যাংকের তৎকালীন কর্মকর্তা প্রীতীশ কুমার সরকার ছিলেন মনোনীত প্রতিনিধি। বর্তমানে প্রীতীশ কুমার সরকার এফএএস ফাইন্যান্সের এমডি। আবার এফএএস ফাইন্যান্সের মালিকানার সঙ্গে যুক্ত রয়েছে খামারটি।

    জানতে চাইলে প্রীতীশ কুমার সরকার গতকাল শুক্রবার প্রথম আলোকে বলেন, ‘সবই কাকতালীয়। আমি এসব কিছুই জানি না।’

    এদিকে গত মে মাসে জেলে যাওয়ার আগে মুশতাক আহমেদ প্রথম আলোকে জানিয়েছিলেন, মেজবাহুল হক সম্পর্কে তাঁর মামা। তহবিল–স্বল্পতার কারণে ২০০৪ সালে তাঁকে খামারটির সঙ্গে যুক্ত করেছিলেন তিনি। ওই সময় মেজবাহুল হক মোর্শেদ খানের পক্ষে এবি ব্যাংকের পরিচালকের দায়িত্বে ছিলেন। আর ২০১৩ সালে পি কে হালদারের কাছে খামারটি তুলে দিয়ে মেজবাহুল হক দেশে ছেড়ে চলে যান। পরে একই বছর পি কে হালদারের ধানমন্ডি ১ নম্বর রোডের বাসায় মুশতাক আহমেদও তাঁর নামে থাকা খামারটির শেয়ার হস্তান্তরের দলিলে স্বাক্ষর করতে বাধ্য হন।

     

    ]]>
    https://bgn24.com/?feed=rss2&p=912 0