সবখবর – Bangla Green News https://bgn24.com সংবাদে নতুনত্বের সূচনায়! Thu, 14 Nov 2024 08:08:30 +0000 en-US hourly 1 https://wordpress.org/?v=6.8.1 কাঞ্চনজঙ্ঘা ট্যুর (Kanchenjunga Tour) https://bgn24.com/?p=3993 https://bgn24.com/?p=3993#respond Thu, 14 Nov 2024 08:08:24 +0000 https://bgn24.com/?p=3993 বাংলাদেশের সর্ব উত্তরে অবস্থিত পঞ্চগড় জেলা যা ঢাকা শহর থেকে প্রায় ৪০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। প্রাচীন ইতিহাস আর ঐতিহ্যের অগণিত স্মৃতি এবং হাজার বছরের গৌরবগাথার সমনয়ে গঠিত আমাদের এই পঞ্চগড়। সবচেয়ে মজার বিষয় হল, পঞ্চগড় হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত আর এই ভৌগলিক অবস্থানের কারণে পঞ্চগড়কে বলা হয় হিমালয় কন্যা।

সময়ের সাথে সাথে বাংলাদেশের অন্যতম পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে উঠছে এই জেলাটি। আর হবেই না কেন? অসম্ভব সৌন্দর্যের লীলাভূমি এ জেলাটিতে আসলে আপনি খালি চোখেই উপভোগ করতে পারবেন বিশ্বের তৃতীয় সবোর্চ্চ পবর্তশৃঙ্গ কাঞ্চনজঙ্ঘার মনোমুগ্ধকর দৃশ্য। কাঞ্চনজঙ্ঘা-এর পাশা পাশি আরো উপভোগ করতে পারবেন পাহাড়ি ঢল থেকে নেমে আসা স্বচ্ছ জলাধারার নদী, সমতল ভূমির চা-বাগান, বিস্তীর্ণ বনাঞ্চল আর প্রাগৈতিহাসিক নানা স্থাপনা আর দুর্গ সহ আরো অনেক কিছু।

পঞ্চগড় এর কোন জায়গা থেকে ভাল দেখা যায় কাঞ্চনজঙ্ঘা?

পঞ্চগড় থেকে ভারতীয় সীমান্তবর্তী এলাকার ফাকা জায়গা থেকে খুব সকালে মেঘ আর কুয়াশামুক্ত নীল আকাশে আপনারা উপভোগ করতে পারবেন এই মনোরম দৃশ্য। তবে সবচেয়ে ভাল ভিউ পেতে হলে আপনাকে চলে যেতে হবে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার বাংলাবান্ধাতে কিংবা তেঁতুলিয়া ডাকবাংলোতে। সেই সাথে তেঁতুলিয়ার বাইপাস কিংবা ভজনপুরের করতোয়া সেতু থেকেও দেখা যায়।

তাছাড়া সুউচ্চ এই মনোরম চূড়া দেখতে দেশ এবং বিদেশ থেকে অসংখ্য টুরিষ্ট ছুটে যান ভারতের পশ্চিমবঙ্গে অবস্থির দার্জিলিং শহরের টাইগার হিল পয়েন্ট এ। কাঞ্চনজঙ্ঘার চূড়ার আসল সৌন্দর্য দেখার সবচেয়ে আদর্শ জায়াগ এটি। আবার অনেকেই সরাসরি নেপালে গিয়েও এই কাঞ্চনজঙ্ঘা পর্যবেক্ষণ করে থাকেন।

কেমন থাকে পঞ্চগড়-এর আবহাওয়া?

সর্ব উত্তরে আর হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থানের কারণে পঞ্চগড় শীতপ্রবণ জেলার অন্তর্গত। অক্টোবর এর মাঝামাঝি সময় থেকেই শীত বাড়তে থাকে এই অঞ্চলে। এমনকি নভেম্বর থেকে শুরু করে মাঝ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রচন্ড কুয়াশাসহ শীত পড়ে। শীত এবং কুয়াশার তীব্রতা এতটাই থাকে যে নভেম্বর থেকে জানুয়ারির মাঝামাঝি পর্যন্ত এখানকার তাপমাত্রা গড়ে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকে। মাঝে মাঝে শীতের তীব্রতা এতটাই থাকে যে তাপমাত্রা ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এ নেমে পড়ে।

ঢাকা থেকে কীভাবে পঞ্চগড়-কাঞ্চনজঙ্ঘা যাবেন?

এই পর্বতচূড়ার দেখা পেতে হলে যাত্রা শুরু করতে হবে পঞ্চগড়ের পথে। বাস, ট্রেন এবং প্লেন- তিনটির যেকোনোটি বেছে নিতে পারেন যাত্রার মাধ্যম হিসেবে। বাসে চড়ে আপনাকে প্রথমে যেতে হবে পঞ্চগড় আর ঢাকা থেকে পঞ্চগড়ের এর রুটে এসি কিংবা নন এসি বাস পাওয়া যায়। বিরতিহীন যাত্রা এবং সহজপ্রাপ্য হওয়ায় অনেকেই বাসেই সচরাচর ভ্রমণ করে থাকেন। তবে সপরিবারে ভ্রমণের জন্য অনেকেরই পছন্দ ট্রেন। কিছুটা আরামদায়ক হওয়ায় এবং বাড়তি সুবিধা থাকায় ট্রেন আজকাল বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।  পঞ্চগড় পৌঁছানোর পর সেখান থেকে আপনাকে ধরতে হবে তেঁতুলিয়ার রাস্তা। তার জন্য রয়েছে  কয়েকটি নিয়মিত লোকাল বাস। তবে ট্রেনে কিংবা বাসে, যেভাবেই যান না কেন ঢাকা থেকে যেতে সময় লাগবে গড়ে ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা। তাছাড়া দীর্ঘ পথ, সাথে জ্যাম কিংবা  ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয়ে পোহাতে হয় বিশাল ঝামেলা। এই ক্ষেত্রে বর্তমানে, প্লেন জার্নি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। ঢাকা থেকে সকালের ফ্লাইট ধরে চলে যেতে হবে সৈয়দপুর যার যাত্রা সময় ৫০ থেকে ৫৫ মিনিট। এরপর সেখান থেকে প্রাইভেট কার কিংবা মাইক্রতে চড়ে ২ ঘণ্টার মধ্যে পৌছে যান আপনার গন্তব্য পঞ্চগড়ে। মূলত এই ট্রাভেল চয়েজটা পুরোপুরি ডিপেন্ড করে আপনার ইচ্ছা, ট্রাভেল বাজেট আর অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার উপর। 

পঞ্চগড়-কাঞ্চনজঙ্ঘা গেলে কোথায় থাকবেন?

তেঁতুলিয়ার মহানন্দা নদীর তীরে আছে পঞ্চগড়ের ডাকবাংলো। তবে এই ডাকবাংলােতে থাকতে হলে আপনাকে আগে থেকে তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার পারমিশন নিতে হবে। আগে এই বাংলোতে থাকতে হলে, প্রতি কক্ষের জন্য গুনতে হতো ৮০০ টাকা। ডাকবাংলোর পাশাপাশি আছে বন বিভাগের রেস্টহাউজ, বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরেও জেলা পরিষদের ডাকবাংলাে, ডিসি বাংলাে, সিমান্ত পার, কাজী ব্রাদার্স আবাসিক হােটেল ইত্যাদি। তবে আপনি যদি ভাল মানের হোটেল কিংবা রিসোর্ট এ থাকার প্ল্যান থাকে, তাহলে আপনাকে চলে যেতে হবে রংপুরে। হোটেল গ্র্যান্ড প্যালেস কিংবাঁ নর্থ ভিউ হোটেল এ পেয়ে যাবেন আপনার পছন্দের সব সুযোগ-সুবিধা রুম। এখানে আপনি আপনার পছন্দ মত ভাল মানের হোটেল কিং রিসোর্ট এ সপরিবারে থাকতে পারবেন।

খালি চোখে দেখা কাঞ্চনজঙ্ঘা

সূর্যোদয়ের পর থেকেই সকলের চোখে খুব মনোরমভাবে ধরা পরে কাঞ্চনজঙ্ঘার নয়নাভিরাম রূপ। প্রকৃতির নৈসর্গিক এ রূপ যেকোনো ভ্রমণপিপাসুর মনে স্থান করে নিয়ে বাধ্য। চোখে দেখা এই রূপ দেখে সব ভ্রমণপিপাসুদের মনে স্থান করে নিয়ে বাধ্য। কেনই বা  হবে না? এরকম তুষারশুভ্র পাহাড়ের চূড়ায় পড়া সূর্যের প্রথম কিরণ যে রূপ প্রকাশ করে তার তুলনা কোন কিছুর সাথেই সম্ভব নয়। । যতই সূর্যের কিরণ আর তেজ বাড়তে থাকে,  কাঞ্চনজঙ্ঘা আরও বেশি স্পষ্ট হয়ে ওঠে। বেলা ১০ থেকে ১১ পর্যন্ত এই রূপ খুব সুন্দরভাবে ফুটে ওঠে আর এরপর সময়ের সাথে সাথে ক্রমান্বয়ে আবার ঝাপসা হয়ে হারিয়ে যায় কাঞ্চনজঙ্ঘা। তবে শেষ বিকেলে সূর্যকিরণ যখন তির্যকভাবে বরফাচ্ছাদিত পাহাড়ে পড়ে তখন অনিন্দ্য সুন্দর হয়ে আবারও ধরা দেয় কাঞ্চনজঙ্ঘা। শেষ বিকেলের কাঞ্চনজঙ্ঘার এই রূপ সকলকে মুগ্ধ করে আর তা দেখার জন্য উপস্থিত হয় প্রকৃতিপ্রেমী মানুষের দল।

পঞ্চগড়ের অন্যান্য ট্যুরিস্ট ডেস্টিনেশান

পঞ্চগড়ে খালি চোখে কাঞ্চনজঙ্ঘা দর্শন করেই যে ঢাকা চলে আসতে হবে, এমনটা নয় কিন্তু। এর পাশপাশি আপনার পঞ্চগড় ভ্রমণকে সাজিয়ে নিতে পারেন অন্যান্য টুরিষ্ট প্লেসে যেয়ে। এর মধ্যে অন্যতম হলঃ , তেঁতুলিয়া জিরো পয়েন্ট, সমতল ভূমির আরগনিক চায়ের বাগান, শাহী মসজিদ, বারো আউলিয়ার মাজার, বাংলাবান্ধা জিরো (০) পয়েন্ট ও বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর, ভিতরগড় ও মহারাজের দীঘি, আনন্দ ধারা, কাজী অ্যান্ড কাজী টি, তেঁতুলিয়া ডাকবাংলো, পাথর সমৃদ্ধ রকস মিউজিয়াম, তুর্থ চীন বাংলাদেশ মৈত্রী সেতুসহ আরো অনেক কিছু।

সমতলভূমির চা-বাগান

চা বাগানের কথা শুনার সাথে সাথে আমরা নিজের অজান্তেই চলে যাই চায়ের রাজধানী শ্রীমঙ্গল কিংবা সিলেট। উঁচু নিচু সবুজে ঘেরা টিলা-পাহাড় তার গায়ে সারি সারি চা গাছ। কিন্ত সমতল ভুমিতেও চায়ের চাষ হয় আর গড়ে উথে সারি সারি চা বাগান, যা পঞ্চগড় না এলে বোঝা যাবে না। বাংলাদেশে একমাত্র পঞ্চগড় জেলাতেই অর্গানিক ও দার্জিলিং জাতের চায়ের চাষ হয় এবং ইতিমধ্যে তা বাংলাদেশের বাইরে বেশ সুনাম অর্জন করেছে। পঞ্চগড় জেলাতে এরকম অনেক অর্গানিক চায়ের প্রাণজুড়ানো সবুজ বাগান উপভোগ করতে পারবেন।

সারাদিন বেশ সুন্দর সময় চা বাগানে কাটালেও, সন্ধ্যার পরে এসব চা বাগানের নেমে আসে ভিন্ন এক স্বগীয় সৌন্দর্য। সন্ধ্যার পরে যখন চাঁদের আলোতে পুরো চা বাগান আলোকিত হয় তখন মনে হবে আপনি যেন ভেসে বেড়াচ্ছেন নীল পরীর দেশে। চাঁদের আলো পড়ে চা বাগানে যে মায়াবী রূপ সৃষ্টি হয় তাকে আরো এক ভিন্ন মাত্রায় নিয়ে যান জোনাকি পোকারা, যা চা বাগানকে সাজায় আপন মনে। আপনার মুহূর্তে মধ্যে মনে হবে যেন আপনি কোন এক রুপকথার দেশে এসে পরেছেন। সময় করে এসব চা বাগানে ঘুরে আসলে অবশ্যই ভাল লাগবে আপনার এবং পরিবারের সকলের৷

প্রাক-ঐতিহাসিক নিদর্শন

পঞ্চগড় জেলায় আরো আছে শত শত বছরের পুরনো অনেক নিদর্শন। শুরুতেই পাবেন মহারাজার দিঘি যা পঞ্চগড় সদর উপজেলার ভিতরগড়ে অবস্থিত। এখানে আছে শাল্মারা বিল আর সাথে আছে বন বিভাগের বিশাল শালবন। সেই সাথে মুঘল শাসক শাহ সুজার শাসনামলে নির্মান করা মির্জাপুর শাহী মসজিদ একটি অনন্য প্রত্নতাত্ত্বিক  নিদর্শন। তাছাড়া সংরক্ষিত প্রত্নতত্ত্ব বোদেশ্বরী মন্দির ঘুরে দেখতে পারেন বোদা উপজেলার বড়শশী ইউনিয়নে যেয়ে। জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলার অপরূপ ছায়াঘেরা আর মন ছুঁয়ে যায় এমন একটি স্থান হল ময়নামতির চর। করতোয়া নদীর কোল ঘেঁষে প্রায় ৩৫ একর জমি জুরে বিস্তৃত এ বনাঞ্চল। পড়ন্ত বিকেলেসবুজে ঘেরা এ বনাঞ্চল হয়ে ওঠে আরও অপরূপ। পাশাপাশি যারা নৌকাভ্রমণ করতে চান তাদের জন্য রোমাঞ্চকর হতে পারে করতোয়ার বুকে ডিঙ্গি নৌকা ভ্রমণ

]]>
https://bgn24.com/?feed=rss2&p=3993 0
ক্রমশ লাল হচ্ছে কাঁটাতার https://bgn24.com/?p=3856 https://bgn24.com/?p=3856#respond Wed, 04 Sep 2024 23:14:54 +0000 https://bgn24.com/?p=3856 ক্রমশ লাল হচ্ছে কাঁটাতার

সীমান্তে হত্যা থামছেই না। বাংলাদেশকে যেন প্রতিবেশী হিসাবে কিম্বা আন্তর্জাতিক সিমান্ত আইন কোনটার তোয়াক্কাই করছে না ভারত। মুলতঃ গত ১৬/১৭ বছর বিগত আওয়ামী সরকারের নতজানু পররাষ্ট্র নীতি ভারতকে আরও বেপরোয়া করছে। কাঁটাতারে ফেলানীর ঝুলে থাকা কিম্বা মাত্র ২ দিন আগে স্বর্ণা দাসের মৃত্যু আবারও ভাবাচ্ছে। বড় প্রতিবেশী বলে আমাদেরকে ক্রমাগত শোষণ নির্যাতন করে আসছে সেই স্বাধীনতার পর থেকেই। আমার মনে হয় এখন সময় এসেছে এগুলোর বিরুদ্ধে অন্তত সেচ্চার হতে হবে।
২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি ভোর বেলা ফেলানীকে হত্যাকরা হয়। ফেলানী হত্যাকাণ্ডের পর তার লাশ দীর্ঘ সময় ঝুলে ছিল কাঁটাতারের বেড়ায়।এক কিশোরীর লাল রক্তে কাটাতার লাল হয়ে উঠে। কিশোরী ফেলানীর লাশ প্রবল আলোড়ন তুলেছিল দেশ-বিদেশের গণমাধ্যমে। কিন্তু এ রকম আলোড়নের পরও শাস্তি হয়নি ফেলানীকে হত্যাকারী বিএসএফ সদস্যের। বিএসএফের আদালত তাঁকে বেকসুর খালাস দেন। এরপর মামলা ভারতের সুপ্রিম কোর্টে গড়ালেও বিচার হয়নি আজও। বিচার না পেয়ে ক্ষুব্ধ ও হতাশ ফেলানীর মা জাহানারা বেগম বলেছিলেন, এমনভাবে কেউ যেন তাঁর সন্তানকে না হারায়। সীমান্তে একটি পাখিও যেন বিএসএফের হাতে মারা না যায়।

হতাশার ব্যাপার হলো ভারত আমাদের বন্ধুদেশ। কিন্তু দুই দেশের সীমান্তে একটি দেশ কর্তৃক নিয়মিত ভাবে বা পরিকল্পিত ভাবে বন্ধু দেশের নাগরিককে গুলি করে হত্যা করার ঘটনা বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত ছাড়া বিশ্বের আর কোথাও খুঁজে পাওয়া যাবে না কারণ এটা আন্তর্জাতিক নিয়ম লঙ্ঘনের মত অপরাধ। এবং এই হত্যা ভারতীয় আইনের পরিপন্থী।
ভারতের পেনাল কোড কিংবা আন্তর্জাতিক কোনো আইনেই নিরস্ত্র নাগরিককে গুলি করে বা নির্যাতন করে মেরে ফেলার বিধান নেই।
কেউ অবৈধভাবে সীমান্ত পারাপার করলে তাঁকে গ্রেপ্তার করে বিচার করা যেতে পারে।
কিন্তু মানুষ মারা চলতেছেই অব্যাহত ভাবে। বাংলাদেশের মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) হিসাব অনুয়ায়ী, ২০২৩ সালে ৩১ জন বাংলাদেশি সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বা নির্যাতনে নিহত হয়েছেন।
২০২১ ও ২০২২ সালে এই সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ১৮ ও ২৩। আসকের হিসাবে এর আগে ২০০৯ থেকে ২০২০ সাল—এই ১১ বছরে ৫২২ বাংলাদেশি বিএসএফের গুলিতে বা নির্যাতনে মারা গেছেন। (সীমান্ত হত্যা কমেনি করোনাকালেও, প্রথম আলো, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০)।
এ বিষয়ে ভারতের মানবাধিকার সংগঠন মানবাধিকার সুরক্ষা মঞ্চের (মাসুম) সচিব কিরীটী সঠিকভাবেই বলেছেন, ‘এই সীমান্ত হত্যার পেছনে যে গল্প ফাঁদা হয়, তা-ও ঠিক না। তারা বলে, সীমান্ত দিয়ে গরু চোরাচালান হয়। চোরাচালানিদের হত্যা করা হয়। মনে হয় যেন সীমান্তে গরু জন্ম নেয় আর তা বাংলাদেশে পাচার করা হয়। বাস্তবে এই সব গরু আনা হয় ভারতের অভ্যন্তরে দুই-আড়াই হাজার কিলোমিটার দূরের হরিয়ানা, পাঞ্জাব থেকে। গরুগুলো হাঁটিয়ে, ট্রাক-ট্রেনে করে আনা হয়। তখন কেউ দেখে না! তারা আটকায় না। কারণ, তারা ভাগ পায়। এখানে আসল কথা হলো দুর্নীতি, ভাগ-বাঁটোয়ারার মাধ্যমে সব করা হয়। যখন ভাগ-বাঁটোয়ারায় মেলে না, তখন বিএসএফ হত্যা করে।’ (বাংলাদেশকে চাপে রাখতে সীমান্ত হত্যা?, ২৯ ডিসেম্বর, ২০২২, ডয়চে ভেলে)

এখানে কিছু দ্বিপাক্ষিক বিষয় বিষয়ে চুক্তি ছিল
একটি হলো— জয়েন্ট ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ গাইডলাইনস ফর বর্ডার অথোরিটিজ অব দ্য টু কান্ট্রিজ, ১৯৭৫ ও দ্য ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ কো-অর্ডিনেটেড বর্ডার ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান, ২০১১।

জয়েন্ট ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ গাইডলাইনস ফর বর্ডার অথোরিটিজ অব দ্য টু কান্ট্রিজ প্রটোকলের ধারা ৮ (আই) অনুসারে, এক দেশের নাগরিক যদি বেআইনিভাবে অন্য দেশে প্রবেশ করার চেষ্টা করে বা কোনো অপরাধে লিপ্ত হয়, তাহলে সংশ্লিষ্ট দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী আত্মরক্ষায় যেকোনো ধরনের পদক্ষেপ নিতে পারবে, তবে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার না করাটাই বাঞ্ছনীয়।
আর্টিকেল ৮(এম) অনুসারে, সীমান্ত দিয়ে যদি গরু পাচার করা হয়, তাহলে গরু ও গরু পাচারকারীদের সম্পর্কে তথ্য অপর পক্ষের সীমান্তরক্ষীদের কাছে হস্তান্তর করতে হবে এবং নিকটস্থ থানার পুলিশের কাছে মামলা করে গরু উদ্ধারে পদক্ষেপ নিতে হবে।কিন্তু বাস্তবতা কারো অজানা নয়।
অদ্ভুত ব্যাপার হলো, ‘বন্ধু রাষ্ট্র’ বাংলাদেশের সীমান্তে আধিপত্যবাদী আচরণ করা ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী কর্তৃক বৈরী প্রতিবেশী চীন বা পাকিস্তানের নাগরিকদের সাথে এমন ঘটনা ঘটে না কিম্বা দুর্বল প্রতিবেশী নেপাল, ভুটান,মায়নমার কোন দেশেই এভাবে ধারাবাহিকভাবে নির্বিচার গুলি করে হত্যার ঘটনা ঘটে না।
এবার বাংলাদেশে ঘটা কিছু ঘটনার কথা উল্লেখ করি। গত ২ সেপ্টেম্বর -২০২৪ এ মৌলভীবাজারের কুলাউড়া সিমান্তে বিএসএফ এর গুলিতে মারা গেল নিরিহ স্বর্ণা দাশ।
এ বছর ২৮ জানুয়ারি ভোরে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম আঙ্গরপোতা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত হয় বাংলাদেশি তরুণ রবিউল ইসলাম টুকলু।

হিউম্যান রাইটস ওয়াচের ‘ট্রিগার হ্যাপি: এক্সেসিভ ইউজ অব ফোর্স বাই ইন্ডিয়ান ট্রুপস অ্যাট দ্য বাংলাদেশ বর্ডার’ শীর্ষক প্রতিবেদন থেকে দেখা যায়, অপরাধী হিসেবে সীমান্ত হত্যার শিকার ব্যক্তিরা হয় নিরস্ত্র থাকে অথবা তাঁদের কাছে বড়জোর কাস্তে, লাঠি বা ছুরি থাকে।

সীমান্তে বিএসএফের নিয়মিত হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে কড়া ও স্পষ্ট অবস্থান নেওয়া, প্রতিটি ঘটনার বিচার ও তদন্ত দাবি করা, ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে ডেকে এনে জবাবদিহি চাওয়া এবং প্রয়োজনে বারবার হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে বিষয়টিকে দ্বিপক্ষীয় ও আন্তর্জাতিক ইস্যুতে পরিণত করার সময় এসে গেছে বলে মনে করি।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় আসা অন্তর্বর্তী সরকার নিশ্চয়ই এই ব্যাপারে নজর দিবেন ।
ছাত্র জনতার গনঅভ্যুত্থানের ফলে যে জাতীয় ঐক্য সাধিত হয়েছে সেই ঐক্য দিয়ে হলেও আমাদের প্রতিহত করতে হবে সীমান্ত হত্যা।
দিনের পর দিন এটা সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে।
বাঙালী জাতীর অতীত ইতিহাস লড়াই আর সংগ্রামের মধ্য দিয়ে গড়া তারা নিশ্চয়ই এর হিসাব নিবে। আমি সবাইকে আরও সচেতন ও হতে বলছি কারণ দালাল ধরে সীমান্ত পাড়ি দিতে গিয়ে কত প্রান ঝরে যাচ্ছে।
বদলে যাওয়া আমার সোনার বাংলাদেশে বন্ধ হোক প্রতিবেশী শত্রু শত্রু খেলা, মোদের প্রতি মোদের অবহেলা।

(কৃতজ্ঞতাঃ লেখক ও গবেষক কল্লোল মোস্তফার কলাম ও বিভিন্ন পত্রিকা বিশেষ করে প্রথম আলো)

]]>
https://bgn24.com/?feed=rss2&p=3856 0
“১৪ই ডিসেম্বর, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে সরকারী ছুটির দাবী বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের https://bgn24.com/?p=3587 https://bgn24.com/?p=3587#respond Thu, 14 Dec 2023 04:50:14 +0000 https://bgn24.com/?p=3587 বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট ১৪ ই ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবসকে সরকারি ছুটি ঘোষণার দবি করেছে। তারা আজ সকালে শহীদ বুদ্ধিজীবি কবর স্থানে ১৯৭১ সালের ১৪ ই ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবিদের শ্রদ্ধা নিবেদন করতে মিরপুর-১ এর শহীদ বুদ্ধিজীবি কবর স্থানে পুষ্পমাল্য অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের আলাপ কালে এই দাবি করেন সংগঠন প্রধান আবু লায়েস মুন্না।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন তারা সাংগঠনিক ভাবে ২০১৭ সাল থেকে এই দাবি করে আসছেন। তিনি আরও বলেন একটি জাতিকে মেধাহীন করার জন্য একটি পরিকল্পিত পরিকল্পনার অংশ ছিল এটা।

পরে পরিচালনা বোর্ড প্রধান শাহজালাল আমিরুল
একটি লিখিত প্রেসনোট প্রদান করেন।

প্রেসনোট
“স্মৃতিহত্যা গণহত্যার মতই জঘণ্য!!

১৯৭১ সালে বুদ্ধিজীবী হত্যার পৈশাচিকতা এ দেশ কখনও ভুলবে না, তাই অর্ধ শতাব্দী যাবৎ সর্বস্তরের মানুষ ১৪ই ডিসেম্বর রাস্তায় নেমে আসে। কেবল রায়ের বাজার বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ নয় বরং সে শোকের মাতম কালো ব্যান্ডেজ- হয়ে সমগ্র দেশজুড়ে সবার বুকে বুকে ছড়িয়ে পড়ে। যদিও অনতিকাল পরেই সে শোক অশ্রু-ক্রোধ ও অর্জনের স্মারক হিসেবে ‘১৬ই ডিসেম্বর, মহান বিজয় দিবস’ এর আনন্দ হয়ে ফিরে আসে, তবুও বেদনাটুকু যেন রয়েই যায়; অতঃপর অসংখ্য মৃত্যু ও রক্তদামে অর্জিত লাল-সবুজের সার্বভৌম নিশানকে সবাই স্যালুট করে- অশ্রু মুছে। এভাবে ১৪ই ডিসেম্বর হয়ে সব শহীদানের সওগাত আমার পতাকায় ভাসে।

পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠী দ্বারা নৃশংস গণহত্যার সাথে বেছে বেছে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা কেবল তাদের নারকীয় পৈশাচিকতার নতুন মাত্রা ভাবলে ভুল হবে বরং স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ বা আমাদের বিজয় অবধারিত জেনেই তা ঘটানো হয়েছিল, যা সন্দেহাতীতভাবে ভবিষ্যৎ জাতীয় জীবন প্রাসঙ্গিকতায় দেশ ও রাষ্ট্র বিরোধী জঘণ্য পরিকল্পনাকেই নিশ্চিত করে।

এক্ষেত্রে, তৎকালীন রাষ্ট্রশক্তির সংশ্লিষ্টতাতেই তা ঘটানো হয়েছিল বিধায় তার প্রত্ত্যুৎরেও ন্যায়ত অনিবার্য হয়ে ওঠে রাষ্ট্রীয় ভূমিকা এবং সেটা কোন ব্যক্তিবিশেষের ক্ষেত্রে নয় বরং সামষ্টিক ক্ষেত্রে ঘটেছিল বলেই- এটা কেবল মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত শ্রদ্ধা বা রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দানের বিষয় নয়, বরং উত্তর প্রজন্মের স্বার্থে তা রাষ্ট্রীয় দায়ীত্বের অন্তর্গত। তাই এ দিনটিকে যদি রাষ্ট্রীকতা দ্বারা (রাষ্ট্রীয় ছুটি) নির্দিষ্ট না করা হয় তবে তা হবে রাষ্ট্রকৃত স্মৃতিহত্যার অপরাধ।

স্মর্তব্য, স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ ইতোমধ্যে অর্ধশত বছর পেরিয়ে এসেছে- যথারীতি রাষ্ট্রীয় কর্তৃত্বে এ দেশ ও তার মানুষই ছিল; তবুও উত্তর প্রজন্ম জানে না ১৪ই ডিসেম্বর কী, কেন, কিভাবে, কখন, কোথায় ঘটেছিল! দীর্ঘ বিক্ষয় আর জেঁকে বসা ভ্রান্তির বিরুদ্ধে- সরকারগুলোর উদাসীনতা তো বটেই এমনকি কোন রাজনৈতিক দলকেও ১৪ই ডিসেম্বর, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসকে রাষ্ট্রীয় ছুটি ঘোষণা করার দাবীতে তেমন সোচ্চার হতে দেখা যায়নি। বিশেষত, জাতীয় একটি দিন হিসেবে যৌক্তিকভাবেই তা যে রাষ্ট্রকৃত বা প্রাতিষ্ঠানিকতার শর্তকে অনিবার্য করে তোলে সেটাও এত বছরে বোধগম্য হচ্ছেনা- এটা সদ্য স্বাধীন দেশ ও তার জাতীয় জীবনের প্রত্যুষে সেই সূর্য হারানোর আঁধার পরিণতি নয় কি?

এদিক থেকে, নাগরিকবোধ সম্পন্ন মানুষ মাত্রই অদ্যাবধি- স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশের প্রতিটি সরকারের মধ্যেই গণহত্যার পদাংক মুছে ফেলার ভূমিকাকে চিহ্নিত করে এসেছে! স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ ও তার সরকার নিশ্চয়ই পাকিস্তানী রাষ্ট্রজান্তার উত্তরাধিকার এর পর্যায়ে নিজেদেরকে নামিয়ে দিতে ঘৃণা বোধ করবে।

অতএব, সংগত কারণেই অবিলম্বে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসকে রাষ্ট্রীয় ছুটি ঘোষণা করা হোক।”
শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় উপস্থিত ছিলেন আবু লায়েস মুন্না -সংগঠন প্রধান, মোঃ শাহজামাল আমিরুল- পরিচালনা বোর্ড প্রধান, মো: মুজিবুল হক-কাঠামোগত সার্বক্ষণিক, শরীফ মোহাম্মদ বেদুইন হায়দার ও আক্তার হোসেন- কার্যনির্বাহী সদস্য, কেন্দ্রীয় কমিটি, মো: আমানউল্লাহ আমান-সমন্বয়কারী, ঢাকা মহানগর এবং অন্যান্য নেতৃবৃন্দ এবং বেশ কয়েকটি আসনের সাংসদ সদস্য পদপ্রার্থীরা।

]]>
https://bgn24.com/?feed=rss2&p=3587 0
হাতল না ধরে সাইকেল! https://bgn24.com/?p=3550 https://bgn24.com/?p=3550#respond Sat, 09 Dec 2023 04:23:46 +0000 https://bgn24.com/?p=3550 কানাডার আলবার্টার সাইক্লিস্ট রবার্ট মারে অসাধারণ কীর্তি গড়ে রেকর্ড বইয়ে নিজের নাম লিখিয়েছেন। সম্প্রতি তিনি হাতল না ধরেই ১৩০ দশমিক ২৯ কিলোমিটার সাইকেল চালিয়ে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস গড়েছেন। এই পথ পাড়ি দিতে তাঁর সময় লেগেছে ৫ ঘণ্টা ৩৭ মিনিট। কাজটি করতে গিয়ে তাঁকে নিজের ভারসাম্য ও ধৈর্যের পরীক্ষা দিতে হয়েছে। 

আলবার্টা প্রদেশের ক্যালগারির আলঝেইমার সোসাইটির জন্য তহবিল সংগ্রহের অংশ হিসেবে সাইকেল চালিয়েছেন রবার্ট।

রবার্ট গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসকে বলেন, ‘আমার পরিবারে এই রোগ আছে। এ কারণে আমি আমার দাদিকে হারিয়েছি। আমার খুব কাছের মানুষদের জন্য অর্থ সংগ্রহ করার পাশাপাশি রেকর্ড ভাঙা—এটি আমার জন্য ছিল দুবার বিজয়ী হওয়ার মতো।’

গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের তথ্য অনুযায়ী, রবার্ট শিশুকাল থেকে সাইকেল চালান। তিনি সাঁতারও শিখেছেন। ভোরবেলায় বোনের সঙ্গে সাইকেল চালিয়ে তিনি সুইমিংপুলে যেতেন।

রবার্ট বলেন, ‘মাত্র ১০ কিলোমিটার চালাতাম; কিন্তু মনে হতো লম্বা সময়। তারপরও আমরা দুই সপ্তাহ প্রতিদিন এই কাজ করেছি।’

রবার্ট আরও বলেন, ‘ওই সময় আমি খুব ধীরে চালাতাম। আমার বোন আমার চেয়ে এগিয়ে থাকত; কারণ, তাঁর যাতে দেরি না হয়। আমি পেছনে পড়ে যেতাম।’

এর পরই লম্বা দূরত্বে সাইকেল চালানোর প্রেমে পড়েন রবার্ট। ১৫ বছর বয়সে তিনি প্রথম রোড বাইক (সমতলে চলার উপযোগী ও তুলনামূলক বেশি গতির) কেনার জন্য অর্থ জমাতে শুরু করেন। আর সেই বাইক দিয়ে তিনি রেকর্ড গড়েছেন।

অবশ্য এত দিনে রবার্টকে সাইকেলের বেশ কিছু অংশ পাল্টাতে হয়েছে। তবে কাঠামোটি আগের মতোই আছে।

রবার্ট বলেন, সাইকেল থেকে যতবার পড়েছি, ততবারই কোনো না কোনো দাগ পড়েছে বা কেটে গেছে।

এনডিটিভি

]]>
https://bgn24.com/?feed=rss2&p=3550 0
হিন্দু যুবকের দাহকার্য করলো মুসলিমরা https://bgn24.com/?p=2371 https://bgn24.com/?p=2371#respond Thu, 21 Jul 2022 04:41:24 +0000 https://bgn24.com/?p=2371 নূপুর শর্মা কিংবা মহুয়া মৈত্র নিয়ে যখন ভারত উত্তাল, হিন্দুত্ব ও ইসলাম নিয়ে যখন ঝড়- ঠিক তখন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক টুকরো উজ্জ্বল নিদর্শন হয়ে রইলো নদিয়া জেলার পলাশীপাড়ার বাগাগাড়িয়া গ্রাম। এই গ্রামের হিন্দু ছেলে সঞ্জয় রায়ের শেষকৃত্য করলেন গ্রামের মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষরা। শুধু হরিনাম সংকীর্তন করে শ্মশান যাত্রা নয়, গ্রামের মসজিদ থেকে রীতিমতো মাইক্রোফোনে ইলান করে আবেদন জানানো হলো মৃত যুবকের দুস্থ পরিবারকে অর্থ সাহায্য করার জন্য।

বাগাগাড়িয়া গ্রামটিতে আটশ’ মুসলিম পরিবারের বাস। এর মধ্যে একমাত্র হিন্দু পরিবার কৃষক সুবল ও দীপালি রায়ের পরিবার। এই দম্পতির এক মেয়ে, এক ছেলে। মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে। ছেলে পুনের এক হোটেলে রান্নার কাজ করতো। সেখানেই ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয় তার। গ্রামের মুসলিমরা মৃতদেহ আনানো থেকে শ্মশান যাত্রার সব ব্যবস্থা করে। অভিভূত সুবল রায় বলেন, ওরা যে ভিন্ন জাত তা বোঝাই যায়নি।

কীর্তন গাইতে গাইতে ওরা ছেলেকে নিয়ে চলে গেল। আমাদের কিচ্ছু করতে দিল না, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বোধহয় একেই বলে! হিন্দু, মুসলমান নিয়ে অনেক কথা বলা হয়। নেতারা গলার শিরা ফুলিয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নিয়ে বক্তৃতা দেন। কিন্তু সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ভালো বিজ্ঞাপন এর থেকে ভালো আর কি হয়! নূপুর শর্মা, লিনা মনিমেকাল কিংবা মহুয়া মৈত্ররা কি বলেন?
]]>
https://bgn24.com/?feed=rss2&p=2371 0
অসহায় ও হতদরিদ্রদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছেন প্রাতঃভ্রমণ সমাজ কল্যাণ পরিষদ। https://bgn24.com/?p=1444 https://bgn24.com/?p=1444#respond Sun, 01 Aug 2021 17:44:59 +0000 https://bgn24.com/?p=1444

 

করোনা মহামারীতে কর্মহীন হয়ে পড়া অসহায় ও হতদরিদ্রদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছেন প্রাতঃভ্রমণ সমাজ কল্যাণ পরিষদ।

রোববার সকালে রাজধানীর ডেমরায় ইস্টার্ন হাউজিং প্রজেক্টে প্রাতঃভ্রমণ সমাজকল্যাণ পরিষদের চেয়ারম্যান এনামুল হক সরকারের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেনের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে অন্তত শতাধিক দরিদ্র পরিবারের মধ্যে এই খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৬৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শফিকুল ইসলাম খান দিলু।

অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য প্রদান করেন বাংলাদেশ আওয়ামী মুক্তিযুদ্ধ লীগ এর সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নুর ইসলাম মোল্লা। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আব্দুল আলিম খান। এছাড়াও প্রাতঃভ্রমণ সমাজ কল্যাণ পরিষদের বিভিন্ন সদস্য ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

]]>
https://bgn24.com/?feed=rss2&p=1444 0
গরুর মালিক খুঁজে পাচ্ছে না কাস্টমস! https://bgn24.com/?p=1381 https://bgn24.com/?p=1381#respond Wed, 07 Jul 2021 06:50:33 +0000 https://bgn24.com/?p=1381 সুদূর মার্কিন মুল্লুক থেকে সাত সমুদ্র তেরো নদী পাড়ি দিয়ে বিমানে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসেছে ব্রাহমা প্রজাতির ১৮টি গরু। টানা ১৮-২০ ঘণ্টার ভ্রমণের ধকল সইতে না পেরে গত সোমবার সকালে পৌঁছানোর পর পরই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে একটি গরু। জীবত থাকা ১৭টি গরুরও মালিক খুঁজে পাচ্ছে না কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। তাই একরকম বিপাকেই রয়েছেন কাস্টমস কর্মকর্তারা। আপাত সেগুলো প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের হাতে তুলে দিয়ে সমস্যা সমাধানের পথ খুঁজছেন। ঢাকা কাস্টমস হাউস কমিশনার মোয়াজ্জেম হোসেন আমাদের সময়কে বলেন, ‘নিয়মানুযায়ী গরু, পশুপাখি অথবা পচনশীল পণ্য বিদেশ থেকে কোনো প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি আমদানি করলে সেগুলো দেশে পৌঁছানোর আগেই কাস্টমসসহ বিমানবন্দরের প্রশাসনিক সব আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে হয়। কিন্তু ওই ১৮টি গরু আমদানির বিষয়ে কোনো আবেদন কাস্টমস কর্তৃপক্ষ পায়নি। তা ছাড়া বাংলাদেশে ব্রাহমা গরু আমদানির অনুমতি নেই। বিশেষ প্রয়োজনে কেউ আনলেও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পূর্বানুমতি লাগে।’ কাস্টমস কমিশনার বলেন, ‘বিমানের ভেতরে

তল্লাশি চালিয়ে সাদেক এগ্রো নামের একটি প্রতিষ্ঠানের কাগজপত্র পাওয়া গেছে। ওই প্রতিষ্ঠানটি যদিও গরুর মালিকানার বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করেনি। তবে যে প্রতিষ্ঠানই গরু আনুক না কেন, এ ক্ষেত্রে একটি প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছে। তারা ধারণা করেছিল- মালিকানা না পাওয়া গেলে গরুগুলো হয়তো নিলামে ওঠানো হবে। তখন তারা গরুগুলো নেবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘কার্গো বিমানের ভেতরে যে কাগজ পাওয়া গেছে, তাতে ১৮টি গরুর ক্রয়মূল্যে দেখানো হয় ৪০ হাজার মার্কিন ডলার। বাংলাদেশে প্রতিটি ব্রাহমা জাতের গরুর দাম ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকা। সেই হিসাবে এগুলোর বর্তমান বাজারমূল্য কমবেশি তিন কোটি টাকা।’

জানা যায়, গরুগুলো বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পরেই এর মালিকদের খোঁজ করা হয়। কিন্তু নানাভাবে চেষ্টা করেও আসল মালিকদের খোঁজ মেলেনি। মূল্যবান গরুগুলো আমদানি ও মালিকানা দাবি না করার পেছনে অন্য কোনো কারণ রয়েছে কিনা, তা নিয়েই এখন জোর আলোচনা হচ্ছে বিমানবন্দরে। মালিকানা না পাওয়ায় সাময়িক সংরক্ষণের জন্য গরুগুলো প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ঢাকা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. কাজী রফিকুজ্জামান ও ভেটেরিনারি প্যাথলজিস্ট ডা. মোহাম্মদ ওমর ফারুকের কাছে হস্তান্তর করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। এর আগে অবলা প্রাণিগুলোর স্বাস্থ্যপরীক্ষাসহ আনুসাঙ্গিক কার্যক্রম সম্পাদন করা হয়। বর্তমানে ১৭টি গরুর ঠাঁই হয়েছে সাভার প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে।

]]>
https://bgn24.com/?feed=rss2&p=1381 0