লাইফস্টাইল – Bangla Green News https://bgn24.com সংবাদে নতুনত্বের সূচনায়! Tue, 09 Jan 2024 04:39:35 +0000 en-US hourly 1 https://wordpress.org/?v=6.8.1 শীত আছে, চাদর আছে https://bgn24.com/?p=3656 https://bgn24.com/?p=3656#respond Tue, 09 Jan 2024 04:39:33 +0000 https://bgn24.com/?p=3656 পৌষ আর মাঘ মাসের হালকা বা ভারী শীতের জন্য চাদর আদর্শ। শীত তাড়ানোর এই অনুষঙ্গের আবেদন কিন্তু কখনোই হারিয়ে যায়নি। প্রতিবছর ফ্যাশন হাউসগুলো এটিকে নতুন নতুন রূপে উপস্থাপনের চেষ্টা করে।

দেশীয় নকশা আর উপকরণে বানানো চাদরগুলো পাশ্চাত্য সাজপোশাকের সঙ্গেও মানিয়ে যায়। দেশভেদে চাদর পরায় দেখা যায় ভিন্নতা। বাংলাদেশে গায়ে জড়িয়ে চাদর পরা হয় বেশি। পাশ্চাত্যে আকারে ছোট চাদরগুলোকে স্কার্ফের মতো করে পরা হয়। জ্যাকেটের ওপর তো আর চাদর চড়ানো যায় না, তাই গলাতেই নানা স্টাইলে পেঁচিয়ে পরছেন ওখানকার মানুষেরা। খাদির চাদর তো আছেই; এ ছাড়া উলের সুতায় বোনা চাদর, তসরের চাদর, সিনথেটিক সুতায় বোনা চাদর, সিল্কের চাদর, অ্যান্ডি চাদর, ডুপিয়ান কাপড়ের চাদরও পাওয়া যাচ্ছে। করা হচ্ছে ব্লক, স্ক্রিনপ্রিন্ট ও টাইডাই, শিবোরি, মোম বাটিকের কাজ। ফুলের নকশা, জ্যামিতিক প্রিন্টও দেখা যাচ্ছে অনেক। পাশাপাশি এক রঙের শাল বা চাদরে ছোট ছোট নকশার সঙ্গে মুক্তা, পুঁতি, নকশিকাঁথার কাজ জুড়ে দেওয়া হচ্ছে। ডেনিম প্যান্টের ওপর ডেনিম টপ পরার প্রচলন এখন বেশ জনপ্রিয়। সেই সূত্র ধরেই ডেনিমের টপ বা প্যান্টের ওপর জড়িয়ে নিতে পারেন ডেনিমের চাদর। নীলের নানা শেডের ওপর নকশার ভিন্নতাও চোখে পড়ে। টাইডাইয়ের দেখাও মিলবে। মোটা খাদির ওপর স্ক্রিনপ্রিন্টে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে উত্তম-সুচিত্রার চেহারা। সঙ্গে আছে সাগরিকা চলচ্চিত্রের নামটিও।

মণিপুরি নকশা এখন আর শুধু শাড়িতেই সীমাবদ্ধ নেই। চাদরের ওপরেও চলে এসেছে এই নকশার সৌন্দর্য। নকশাটির আছে আলাদা আভিজাত্য। মণিপুরি নকশার চাদর থেকে ঐতিহ্য আর স্টাইল দুটিই পাওয়া যাবে। সিলেটের ঐতিহ্যবাহী মণিপুরি চাদরগুলো শাড়ির চরকাতে একই উপায়ে তাঁতে বোনা হয়। বুননে উলের সুতা ব্যবহার করা হয়। টেম্পল পাড় থাকে। হাতের চরকায় বোনা একটি চাদর তৈরি হতে লাগে চার–পাঁচ দিন সময়।

সিনথেটিক কাপড়ের চাদরটির ওপর চেকের নকশা করা হয়েছে। এক রঙের টি-শার্টের সঙ্গে ভালো যাবে।

প্রথম আলো

]]>
https://bgn24.com/?feed=rss2&p=3656 0
ডাকবাংলায় ইসলামি (প্রাঃ) হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় শিশুর মৃত্যু! ভাংচুর, মালিক ও ডাক্তার গ্রেফতার https://bgn24.com/?p=3313 https://bgn24.com/?p=3313#respond Sat, 26 Nov 2022 02:15:53 +0000 https://bgn24.com/?p=3313 ডাকবাংলায় ইসলামি (প্রাঃ) হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় শিশুর মৃত্যু! ভাংচুর, মালিক ও ডাক্তার গ্রেফতার

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ডাকবাংলা ত্রিমহনী বাজারে ইসলামি (প্রাঃ) হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় ইশরাত জাহান মাহেরা (৭) নামে এক শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে । জানা গেছে, শিশুটি বাদপুকুরিয়া গ্রামের পিন্টু মিয়ার মেয়ে।
এই ঘটনায় এলাকার উত্তেজিত এবং রোগীর স্বজনেরাসহ জনতা হাসপাতালে ব্যাপক ভাংচুর চালিয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে তাদের শান্ত করে। এঘটনায় হাসপাতালের মালিক মুন্সী শাহীন রেজা সাঈদ ও ডিএমএফ (সেকমো) আব্দুল্লাহ নামের এক চিকিৎসককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার রাত ১০টার দিকে। পুলিশ এবং পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ইশরাত জাহান মাহেরা’র দুদিন ধরে পেটে ব্যাথা করছিল। তার মা তাকে নিয়ে শুক্রবার বিকালে হাসপাতালে যায়। তখন ডাক্তার না পেয়ে অনেকক্ষণ অপেক্ষা করার পর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক আব্দুল্লাহ তাকে চিকিৎসা করেন। শিশুটিকে কয়েকটি ইনজেকশন পুশ করে ঘুমানোর চেষ্টা করান তিনি। পরে শিশুটির আর জ্ঞান ফিরে আসেনি এবং এভাবে তার মৃত্যু হয়।

এই খবর শুনার সাথে সাথে শিশুর স্বজনরাসহ গ্রামবাসী এসে হাসপাতালে ব্যাপক ভাংচুর চালায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে দ্রুত পুলিশ চলে আসে। সেই পরিস্থিতিতে চিকিৎসক আব্দুল্লাহ এবং হাসপাতালের মালিক মুন্সী শাহিন রেজা সাঈদকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ । এ বিষয়ে ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ সোহেল রানা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, হাসপাতালের মালিক এবং ডাক্তারকে আটক করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

]]>
https://bgn24.com/?feed=rss2&p=3313 0
ঝিনাইদহে বিএনপি নেতা মশিউর রহমানকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন https://bgn24.com/?p=3202 https://bgn24.com/?p=3202#respond Wed, 02 Nov 2022 13:54:03 +0000 https://bgn24.com/?p=3202 বিএনপি নেতা মশিউর রহমানকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন

বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও ঝিনাইদহ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মশিউর রহমানের মৃতদেহ রাষ্ট্রিয় মর্যাদায় দাফন করা হয়েছে। বুধবার ঝিনাইদহ সরকারী বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ ও হরিণাকুন্ডু উপজেলার মনিরুদ্দীন বিশ্বাস মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে দু’দফা জানাজা শেষে বিকালে কন্যাদহ গ্রামের পারিবারিক গোরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। বুধবার বেলা ১১টার দিকে ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসন ও পুলিশের পক্ষে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। এ সময় বিউগলে বেজে ওঠে করুন সুর। ঝিনাইদহ শহরে অনুষ্ঠিত জানাজার নামাজে ইমামতি করেন কোটচাঁদপুর আলীয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ বাহারুল ইসলাম। বুধবার সকাল থেকে জানাজায় শরীক হতে ঝিনাইদহের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিএনপি নেতাকর্মী ছাড়াও হাজার হাজার সাধারণ মানুষ ঝিনাইদহ সরকারী বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আসতে থাকেন। শুধু ঝিনাইদহ নয়, পার্শ^বর্তি জেলা থেকেও বিএনপির জৈষ্ঠ এই নেতার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে মানুষ জানাজা স্থলে ছুটে আসেন। ফলে বেলা ১১টার মধ্যে সরকারী বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের বিশাল মাঠ কানায় কানায় পুর্ণ হয়ে যায়।

জানাজা শুরুর আগে মশিউর রহমানের বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য রাখেন তার বাল্যবন্ধু ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি, সাবেক প্রতিমন্ত্রী প্রবীণ রাজনীতিবিদ আব্দুল হাই এমপি। এছাড়া বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমানের পক্ষে দলের কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান, কেন্দ্রীয় নেতা নিতাই রায় চৌধুরী, খায়রুল কবীর খোকন, আজিজুল বারী হেলাল, অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, এ্যাড আসাদুজ্জামান আসাদ, জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, আমিরুজ্জামান খান শিমুল, সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, রফিকুল ইসলাম বকুল, কুষ্টিয়ার সাবেক এমপি সৈয়দ মেহেদী হাসান রুমি, অধ্যক্ষ সোহরাব হোসেন, যশোরের সাবেরুল হক সাবু, মাগুরার মনিরুল ইসলাম, খুলনার সফিকুল ইসলাম মনা, আকতার হোসেন, শফিকুল ইসলাম তুহিন, আলী আহম্মেদ, তোজাম্মেল হোসেন, সাবেক এমপি আব্দুল ওহাব, মশিউর রহমানের বেয়াই খুলানার সাবেক মেয়র আব্দুল গাফ্ফার বিশ্বাস, ঝিনাইদহ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ, ঝিনাইদহ পৌরসভার মেয়র কাইয়ুম শাহরিয়ার জাহেদী হিজল, হরিণাকুন্ডু উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেনসহ আওয়ামীলীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল হাই এমপি তার বক্তব্যে বলেন, বন্ধু মশিউরের সঙ্গে আমার রাজনৈতিক মতপার্থক্য থাকলেও কোন বিরোধ ছিল না। সে আমার একজন খাটি বন্ধু ছিল। তার ধ্যানজ্ঞান ছিল ঝিনাইদহের উন্নয়ন। রণাঙ্গনে তার সঙ্গে যুদ্ধ করে দেশ স্বধীন করেছি। তার মৃত্যুতে ঝিনাইদহ তথা দেশবাসি একজন সত্যিকারের দেশ প্রেমিককে হারালো। উল্লেখ্য ঝিনাইদহ উন্নয়নের কারগির খ্যাত বিএনপির এই বর্ষিয়ান মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে ঝিনাইদহ শহরের গীতাঞ্জলী সড়কে তার নিজ বাস ভবনে ইন্তেকাল করেন।

]]>
https://bgn24.com/?feed=rss2&p=3202 0
প্রসূতি মা’কে দশ হাজার টাকা দিলেন আইবিডাব্লুিউএফ! https://bgn24.com/?p=3068 https://bgn24.com/?p=3068#respond Fri, 23 Sep 2022 16:22:02 +0000 https://bgn24.com/?p=3068 প্রসূতি মা’কে দশ হাজার টাকা দিলেন আইবিডাব্লুিউএফ!

মানবতার কল্যাণে আইবিডাব্লুিউএফ ইন্ডাস্ট্রিয়ালিস্টস এন্ড বিজনেসমেন ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন ঝিনাইদহ জেলা শাখার উদ্যোগে শুক্রবার সকালে কালীগঞ্জ উপজেলার মা ও শিশু হাসপাতালে একজন অসহায় প্রসূতি মাকে নগদ ১০০০০          ( দশহাজার) টাকা সহায়তা দেওয়া হয়।

জানা গেছে, গত সোমবারে কালীগঞ্জ উপজেলার মা ও শিশু হাসপাতালে অত্র উপজেলার রামনগর গ্রামের ইমন হোসেনের স্ত্রী আকলিমা খাতুন সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। ক্লিনিকের বিল দিতে না পারায় তারা বাচ্চাসহ প্রসূতি মাকে বাড়িতে নিতে পারে নি। খবর পেয়ে এমতাবস্থায় আইবিডাব্লিউএফ এর উদ্যোগে নগদ সহায়তা হিসেবে ১০০০০ টাকা তাকে দেওয়া হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন আইবিডাব্লিউএফ এর জেলা সভাপতি জিয়াউল ইসলাম খান, সহ-সভাপতি সাব্বির আহমেদ জুয়েল, সাধারণ সম্পাদক ইমতিয়াজ আহমেদ এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, নির্বাহী সদস্য প্রভাষক আব্দুস সবুর প্রমূখ।

]]>
https://bgn24.com/?feed=rss2&p=3068 0
ফেসবুকে আত্মহত্যার চেষ্টা দরজায় পুলিশ হাজির https://bgn24.com/?p=2959 https://bgn24.com/?p=2959#respond Tue, 13 Sep 2022 13:22:40 +0000 https://bgn24.com/?p=2959 ফেসবুকে আত্মহত্যার চেষ্টা দরজায় পুলিশ হাজির

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে গভীর রাতে স্ট্যাটাস দিয়ে কুড়িগ্রাম পৌর শহরের হিঙ্গুনরায় মিস্ত্রি পাড়ার এক নারী আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। তাৎক্ষণিক গভীর রাতে বাড়িতে গিয়ে সেই নারীকে বাঁচিয়েছে সদর থানা পুলিশ।

জানা যায়, মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) গভীর রাতে তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডি জাকিয়া ফেরদৌসীতে লেখেন, “আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয় আমার পরিবার আমার পুরো জীবনটাকে শেষ করে দিয়েছেন।

তারাই দায়ী আমার মৃত্যুর জন্য” লিখে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। তার ফেসবুক বন্ধুর তালিকায় থাকা ফাউন্ডেশন উদ্যোক্তা তৈরীর কেন্দ্র গ্রুপের সদস্য এ পোস্ট দেখে ৯৯৯ এ কল করে বিষয়টি জানালে রাত্রিকালীন মোবাইল ওয়ান এ ডিউটিরত অফিসার এসআই জাহিদ হাসান তার সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে দ্রুত তার বাড়িতে যায়।

কুড়িগ্রাম সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জাহিদ হাসান জানান, শহরের হিঙ্গুনরায় মিস্ত্রীপাড়া এলাকায় বাবার বাড়িতে বসবাস করতেন তিনি। দু’টি বিয়ে ডিভোর্স হয়ে যাওয়ার পর হতাশায় পরে আত্মহত্যার চেষ্টা চালান তিনি।

পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজনের উপস্থিতিতে ওই নারীকে কাউন্সিলিং করা হয়। এমন কাজ আর করবেন না বলেও ওই নারী প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খান মোহাম্মদ শাহারিয়ার বলেন, ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে ঘুমের ওষুধ খেয়ে নিজেকে শেষ করবেন বলে লেখেন। খবর পেয়ে তাকে সনাক্ত করে সুস্থভাবে উদ্ধার করে কাউন্সিলিং এর মাধ্যমে সু-পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

 

]]>
https://bgn24.com/?feed=rss2&p=2959 0
পঙ্গুত্ব শিক্ষার্থী চায় মানবিক সহায়তা https://bgn24.com/?p=2912 https://bgn24.com/?p=2912#respond Thu, 08 Sep 2022 03:51:32 +0000 https://bgn24.com/?p=2912 পঙ্গুত্ব শিক্ষার্থী চায় মানবিক সহায়তা

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার সাইফুর রহমান কলেজের ২০২০-২১ সেশনের উচ্চ মাধ‍্যমিকের শিক্ষার্থী মিঠু মিয়া (১৮) দূরারোগ‍্য ব‍্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে পঙ্গু হতে বসেছে।

দুই পা সরু ও দুর্বল হয়ে যাওয়ায় সে এখন দাঁড়াতে বা হাটতে পারে না। সে উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের বড়লই গ্রামের দিনমজুর ফজলুল হক ও মমতাজ বেগমের একমাত্র ছেলে।

সরেজমিন গিয়ে দেখাগেছে, পৈত্রিকসূত্রে পাওয়া ২ শতক জমিতে ফজলুল হকের ভাঙ্গাচোড়া বাড়ি। ৫ শতক আবাদি জমি ছিল তাও বিক্রি করেছেন একমাত্র ছেলের চিকিৎসায়। এখন দিনমজুরী করে কোনরকমে সংসার চলে।

এলাকাবাসী ও আত্মীয়দের সহায়তায় প্রায় ৪ লক্ষ‍ টাকা খরচ করে ছেলের চিকিৎসা করেছেন কিন্তু সে আরও অসুস্থ হয়ে পড়েছে। ডাক্তার পরামর্শ দিয়েছে দ্রুত ভারতে নিয়ে যেতে। এতে প্রায় দশ লক্ষ টাকা প্রয়োজন।

তাই দিশেহারা হয়ে পড়েছে পরিবারটি। মিঠু মিয়া জানায়, এ বছর রমজান মাসে তার পায়ে ব‍্যাথা হলে স্থানীয় ডাক্তারের পরামর্শে সে ঔষুধ খায়। ৩/৪ দিন পর পা দুর্বল হলে ঢাকার সিআরপি হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নেয় সে।

ব‍্যবস্থাপত্র অনুযায়ী অষুধ খেলেও কোন উন্নতি হয়না। এরপর রংপুরে মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাঃ মাহফুজার রহমান এবং ঢাকায় ন‍্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরো সাইন্স হাসপাতালে ভর্তি হয়।

সেখানে ১৭ দিন চিকিৎসা নেয়ার পর ডাক্তার রিলিজ দেয়। ওই হাসপাতালের ডাক্তার জানায় তার জিবিএস রোগ হয়েছে। তারা অতি দ্রুত ভারতে চিকিৎসার জন‍্য যাওয়ার পরামর্শ দেয়।

মিঠু মিয়ার মা মমতাজ বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমার সহায় সম্বল বলতে কিছুই নাই। একমাত্র ছেলেটিও পঙ্গু হতে বসেছে। আমার ছেলের চিকিৎসা ও সুস্থতার জন‍্য সমাজের সকলের কাছে আর্থিক সহায়তা এবং দোয়া চাই। আর্থিক সাহায‍্যের জন‍্য মিঠু মিয়ার ব‍্যক্তিগত বিকাশ নম্বর ০১৮৭৭৮৪৩২২৪

]]>
https://bgn24.com/?feed=rss2&p=2912 0
জিহাদ হাসানকে বাচাঁতে এগিয়ে আসুন https://bgn24.com/?p=2338 https://bgn24.com/?p=2338#respond Mon, 18 Jul 2022 15:41:22 +0000 https://bgn24.com/?p=2338 জিহাদ হাসানকে বাচাঁতে এগিয়ে আসুন

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:

কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার গুনাইগাছ ইউনিয়নের নন্দুনেফরা গ্রামের দিনমজুর পিতা-এনামুল হক ও মাতা-জান্নাতী বেগমের ছেলে জিহাদ হাসানকে বাচাঁতে এগিয়ে আসুন। জিহাদ হাসানের বয়স তিন বছর । সে হার্টফুটা রোগে আক্রান্ত।

কুড়িগ্রাম ও রংপুরের ডাক্তার ঢাকায় রের্ফাড করেছেন। চিকিৎসক বলেছেন ওপেন হার্টসার্জারী করা লাগবে। জিহাদ হাসানের চিকিৎসায় লাগবে ৫-৬ লক্ষ টাকা। সে অর্থ যোগান দেওয়া তার দিনমজুর পরিবারের পক্ষে সম্ভব নয়। একজনের সহযোগিতায় নয় বরং সমাজের সব মানুষের মানবিক সাহায্যই সুস্থ করে তুলতে পারে জিহাদকে । জিহাদ হাসানকে বাচাঁতে সাহায্য পাঠাতে পারেন। বিকাশ পার্সোনাল – ০১৮৭৪২৮২২০০ ও অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড এর সঞ্চয়ী হিসাব নম্বরঃ ৩০৩৯৬

]]>
https://bgn24.com/?feed=rss2&p=2338 0
ঝিনাইদহে মানবসেবায় জাহেদী ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম সবচেয়ে এগিয়ে https://bgn24.com/?p=2329 https://bgn24.com/?p=2329#respond Mon, 18 Jul 2022 10:38:05 +0000 https://bgn24.com/?p=2329 ঝিনাইদহে মানবসেবায় জাহেদী ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম সবচেয়ে এগিয়ে

সাইফুল ইসলাম –

ঝিনাইদহ ঐতিহ্যবাহী জাহেদী ফাউন্ডেশন , একটা ইতিহাস! ঝিনাইদহের মানুষের স্মৃতিপটে দানবীর হাতেমতাই! গরীবদুঃখীর আবেগ ভালোবাসার নাম! বর্তমানে জাহেদী ফাউন্ডেশনের কর্ণধর। ঝিনাইদহের মানুষের মানবিক সকল দায়িত্ব পালন করতে মরহুম ভাষাসৈনিক জাহিদ হোসেন মুসা মিয়া প্রতিষ্ঠা করে গেছেন জাহেদী ফাউন্ডেশন, ঝিনাইদহের যেকোনো শিক্ষার্থী টাকার অভাবে পরলেই শিক্ষার দায়িত্ব নিয়ে নেন জাহেদী ফাউন্ডেশন, টাকার অভাবে কেউ যেনো চিকিৎসা বঞ্চিত না হয়, তার দায়িত্ব নিয়ে নেয় জাহেদী ফাউন্ডেশন, বিধবা দুঃস্থ অসহায় নারিদের ভাতার ব্যাবস্হা করে দেন জাহেদী ফাউন্ডেশন, কন্যা দায়গ্রস্ত পিতা যখন টাকার অভাবে কন্যাকে বিয়ে দিতে কষ্ট হয় তখন সহায়তার হাত সম্প্রসারীত করেন জাহেদী ফাউন্ডেশন, সামাজিক, ধর্মীও, রাজনৈতিক যেকোনো কাজেই সহযোগীতা প্রদান করেন জাহেদী ফাউন্ডেশন, করোনাকালীন সময়ে হাসপাতালের সিলিন্ডার, হাসপাতালের যন্ত্র সামগ্রী ও ঔষধের অভাবে যেভাবে জাহেদী ফাউন্ডেশন সহযোগীতা করেছেন ঝিনাইদহসহ দেশব্যাপী তা চিকিৎসা সেবায় স্বরণীয় হয়ে আছে।

মাদকমুক্ত ঝিনাইদহ গড়ার প্রত্যয়ে ঝিনাইদহের স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে আন্তঃ টুর্নামেন্ট খেলার ব্যবস্হা করেন প্রতিনিয়ত জাহেদী ফাউন্ডেশনের অর্থায়নের মাধ্যমে, শিক্ষার সুন্দর পরিবেশ নিশ্চিত করতে কোটি কোটি টাকা ব্যায় করে ভবন নির্মাণ ও শিক্ষা সাম্গ্রীর ব্যবস্হা করে দেন জাহেদী ফাউন্ডেশন, হাসপাতাল গুলোতে এম্বুলেন্স ও গাড়ীর ক্রয় করে দিয়েছেন জাহেদী ফাউন্ডেশন, হাসপাতালগুলোতে ভারিযন্ত্র ও চিকিৎসা সাম্গ্রী ঝিনাইদহসহ সারা দেশ ব্যাপি প্রদান করেন জাহেদী ফাউন্ডেশন, ঘরহীন বহু মানুষের ঘরের ব্যাবস্হা করে দিয়েছে জাহেদী ফাউন্ডেশন, কোরবানি ঈদে বহুবছরধরে কোরবানির মাংস ও ঈদুল ফিতরে খাদ্য সাম্গ্রী বিতরণ করে দুস্তদের মাঝে, প্রতিবছরের ন্যায় এবারের কোরবানিতেও নিজেস্ব অর্থায়নে প্রায় ৪০ হাজারের বেশি ঝিনাইদহের গরীবের মাঝে মাংস ও নগদ টাকা প্রদান করেন জাহেদী পরিবার জাহেদী ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে, অনুরুপভাবে ঈদুল ফিতরে চাউল, ডাউল, তেল, কাপড় ও নগদ টাকা বিতরণ করে আসছেন বিগত বহুবছর ধরে জাহেদী ফাউন্ডেশন।

ঝিনাইদহের ডিসি অফিসের সামনে সৌন্দর্য্য বর্ধক কারুকাজ ও ভবন নির্মাণ, এসপি অফিসে উঠান বৈঠক ও বহু স্হাপনা নির্মাণ সহ বহু প্রতিষ্ঠানে অকাতরে ব্যায় করে জাহেদী ফাউন্ডেশন, বহু মসজিদ করে দিয়েছে ঝিনাইদহসহ সারা দেশে, মাদ্রাসা ও হিফজখানা তৈরি করেছেন, স্কুল, কলেজ নির্মাণ করেছেন, ঝিনাইদহে খুব কম প্রতিষ্ঠানই আছে যেখানে জাহেদী ফাউন্ডেশনের অবদান শুন্য, শীতকালে অসচ্ছল পরিবারের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়, নারিকেলবাড়িয়া আমেনা খাতুন কলেজে ৩ তলা বিশিষ্ট মুসামিয়া একাডেমিক ভবন নির্মাণ, যশোর কালেক্টরেট স্কুলে ৬ তলা বিশিষ্ট জাহানারা হুদা একাডেমিক ভবন নির্মাণ,যশোর বাঘারপাড়া মহিলা কলেজে ৪ তলা বিশিষ্ট সামছুল হুদা একাডেমিক ভবন নির্মাণ, ঝিনাইদহ কাঞ্চননগর স্কুল এন্ড কলেজে জাহেদী ফাউন্ডেশন একাডেমিক ভবন নির্মাণ, যশোর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এ নাহিদা জাহেদী ল্যাবরটরি ভবন নির্মাণ, এবং ঝিনাইদহ চেম্বার অফ কমার্সে রাহুল স্মৃতি অডিটরিয়াম নির্মাণ।

ঝিনাইদহ পুলিশ লাইনসে স্যলুটিং ডায়াস ও বৈঠকখানা ঘর নির্মাণ, প্রতিবন্ধী শিশুদের শিক্ষা বিকাশের জন্য মুসামিয়া বুদ্ধিবিকাশ বিদ্যালয় নির্মাণ করা হয়েছে, ঝিনাইদহ পৌরসভা স্কুল এন্ড কলেজে ছাত্রছাত্রীদের যাতায়াতের জন্য স্কুলবাস প্রদান করা হয়েছে, ঝিনাইদহে আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি বিস্তারের লক্ষ্যে ভাষাসৈনিক মুসামিয়া আইসিটি ইনকিউবেটর এন্ড ল্যাঙ্গুয়েজ সেন্টার নির্মাণ করা হয়েছে, ডায়াবেটিস রোগীদের উন্নত সেবা দেবার লক্ষ্যে ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলায় নির্মাণ করা হয়েছে মুসামিয়া ডায়াবেটিক সেন্টার, আন্তর্জাতিক মানসম্মত ফুটবল খেলোয়াড় তৈরির লক্ষ্যে যশোরে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে শেখ শামছুল হুদা ফুটবল একাডেমি, কক্সবাজার উখিয়ায় রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য রেডিয়েন্ট ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেডের পক্ষ থেকে নির্মাণ করা আবাসস্থান ও দৈনন্দিন খাবারের ব্যবস্থা, এছাড়াও প্রতিমাসে এতিম, বিধবা, কন্যাদায়গ্রস্ত পিতা এবং সামর্থ্যহীন অসুস্থ ব্যক্তিদের চিকিৎসা সহায়তা, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে মাসিক সাহায্য প্রদান ও এককালীন সহযোগিতা প্রদান করা হয়ে থাকে।

ঝিনাইদহে আন্তর্জাতিক মানের মেডিক্যাল কলেজ, স্কুল ও কলেজ করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন জাহেদী পরিবার। ঝিনাইদহের হাজার হাজার লোকের কর্মসংস্থান চলে জাহেদী পরিবারের প্রতিষ্ঠান গুলোতে, ঝিনাইদহের মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন এ পরিবার, এছাড়াও বহু জানা অজানা কাজ করে যাচ্ছেন নিরবে নিভৃতে, সামাজিক ও ধর্মীয় কাজে অকাতরে বিলীয়ে যাচ্ছেন জাহেদী পরিবার লোকচক্ষুর অন্তরালে, যেখানেই মানবিক প্রয়োজন – সেখানেই জাহেদী ফাউন্ডেশন, দুর্যোগ, মাহামারীকালীন সময়ে বাংলাদেশ সরকারের পাশে সহযোগীতার হাত সম্প্রসারীত করেন জাহেদী ফাউন্ডেশন, ঝিনাইদহ সহ দেশ ব্যাপি সময়ের প্রয়োজনে জাহেদী পরিবারের সহযোগীতা সদা অব্যাহত।

মারহুম ভাষা সৈনিক মুসামিয়ার সুযোগ্য সন্তান দেশবরেণ্য শিল্পপতি, গাজীপুর জেলার সর্বশ্রেষ্ঠ করদাতা প্রতিষ্ঠান রেডিয়েন্ট গ্রুপ অব কোম্পানিজের চেয়ারম্যান, ঝিনাইদহের কৃতিসন্তান, ঝিনাইদহ জেলা সমিতির সভাপতি, বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ, ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি, দানবীর নাসের শাহরিয়ার জাহেদী মহুল ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে ঝিনাইদহ বাসীর খেদমত করে যেতে চান। মুসা মিয়ার অন্য সন্তানেরা মানব সেবায় একাত্মা, শিল্লপতি ও ধনাঢ্য ব্যাক্তিত্ব, তাদেরকেও জাহেদী ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে আমৃত্যু মানব সেবা অব্যাহত দান করুক। মরহুম মুসা মিয়ার চতুর্থ ছেলে বিশিষ্ট শিল্পপতি, ঝিনাইদহ জেলার সর্বোচ্চ করদাতা , ওঝিনাইদহ বাসী

]]>
https://bgn24.com/?feed=rss2&p=2329 0
বাবা কুলি মা ঝিয়ের কাজ করেন ছেলে পেলেন বুয়েটের সুযোগ https://bgn24.com/?p=2176 https://bgn24.com/?p=2176#respond Wed, 06 Jul 2022 12:00:00 +0000 https://bgn24.com/?p=2176 বাবা কুলি মা ঝিয়ের কাজ করেন ছেলে পেলেন বুয়েটের সুযোগ
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
বাবা চাতালে কুলির কাজ করেন। আর মা করেন অন্যের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ। ছোটবেলা থেকেই মা-বাবাকে হাড়ভাঙা পরিশ্রম করতে দেখে বড় হয়েছেন। অসুস্থতা ছাড়া কোনো দিন তাদের বাড়িতে বসে থাকতে দেখেননি। তবে কাজ করা ছাড়াও তাদের কোনো উপায়ও ছিল না। আছে শুধু একটুকরা বসতভিটা। সেই দিনমজুর বাবা-মায়ের সন্তান মেহেদী হাসান সুযোগ পেয়েছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যলয়ে।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রুহিয়া ইউনিয়নের কুজিশহর ঘুরনগাছ গ্রামের আবুল হোসেন ও নাসিমা বেগম দম্পতির বড় ছেলে মেহেদী হাসান। তারা দুই ভাই ও এক বোন। মেহেদী ব্রাইট স্টার স্কুল থেকে প্রাথমিক ও রুহিয়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়। পরে দিনাজপুর সরকারি কলেজ থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে এবার বুয়েটে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন।

জানা গেছে, অভাবের সংসারে পড়াশোনা করে বড় স্বপ্ন দেখা ছিল দুঃস্বপ্নের মতো। তাইতো পরিবারে অর্থের যোগান দিতে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ার সময় পড়াশোনা বাদ দিয়ে কাজ শুরু করে মেহেদী। পরে আবার কাজের পাশাপাশি চলতে থাকে পড়াশোনা। তবে বাইরে প্রকাশ করতে না পারলেও মনে মনে বড় কিছু হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন মেহেদী। এ স্বপ্ন আরও প্রবল হয়ে ওঠে জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাওয়ার পর। এই ফলাফল তাকে আরও বেশি আত্মবিশ্বাসী করে তোলে।

তবে অভাব যেন তার সফলতার প্রতিবন্ধকতা হয়ে দাঁড়ায়। এসএসসি পরীক্ষার পর অর্থাভাবে পড়ালেখা বন্ধ হতে বসেছিল। এ সময় সে কাজের জন্য ঢাকায় চাচাত ভাইয়ের কাছে গিয়ে ওঠে। চাচাত ভাই তার মেধা দেখে কাজ করতে দিলেন না। অনেক বুঝিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দিলেন। এসএসসি পরীক্ষায় দেখা গেল সে জিপিএ–৫ পেয়েছে। পরে ভর্তি হয় দিনাজপুর সরকারি কলেজে।

কলেজে ভর্তির পর শুরু করেন টিউশনি। টিউশনি আর বন্ধুদের সহযোগিতায় পাস করেন এইচএসসি। এবারও পেয়েছেন জিপিএ-৫। ভর্তির সুযোগ পেয়েছনে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট)। তবে পড়ালেখার খরচ নিয়ে পরিবার চিন্তিত থাকলেও স্বপ্নে স্থির মেহেদী। দক্ষ প্রকৌশলী হয়ে পরিবারের হাল ধরার পাশাপাশি করতে চান দেশসেবা। তার এমন সফলতায় এলাকাজুড়ে আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে।

মেহেদীর চাচী আলেফা খাতুন বলেন, আমার ছোট দেবরের বড় ছেলে মেহেদী। অনেক কষ্টে মানুষ হয়েছে সে। সকাল হলে দেবর আর জা কাজের জন্য বাইরে চলে যেত। খেয়ে না খেয়ে কষ্ট করে আজ সে ভালো প্রতিষ্ঠানে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে। সকলে তার জন্য দোয়া করবেন ও তার পাশে থাকবেন।
ব্রাইট স্টার স্কুলের পরিচালক অশ্বীনি বর্মণ বলেন, মেহেদী অনেক মেধাবী। আমরা তাকে অনেক বিষয়ে সহযোগিতা করেছি। তার মেধাকে সে কাজে লাগিয়েছে। তার জন্য সবসময় শুভকামনা থাকবে।

মেহেদীর মা নাসিমা বেগম বলেন, আমার দুই ছেলে এক মেয়ে। বড় ছেলে মেহেদী। তাকে আমি অনেক কষ্ট করে মানুষ করেছি। এখন তিনবেলা খেতে পারছি। একটা সময় ছিল তিনবেলা খেতে পারতাম না। আমার স্বামী চাতালে কুলির কাজ করে আর আমি অন্যের বাড়িতে দিনমজুরির কাজ করি। ছেলেকে ঠিকমতো পড়াশোনার খরচ দিতে পারিনি। ভালোমন্দ খাওয়াতে পারিনি। আজ সে বুয়েটে চান্স পেয়েছে, আমার কষ্ট স্বার্থক হয়েছে। সকলে ওর জন্য দোয়া করবেন।

মেহেদীর বাবা আবুল হোসেন বলেন, আমি চাতালে বিশ বছর ধরে কুলির কাজ করি। সকালে আসি আবার রাতে বাড়ি যাই। ছেলের পড়াশোনার খোঁজ-খবরও কোনো দিন নেওয়া হয়নি। বাড়িতে বসে থাকলে পরিবার অচল হয়ে যায়। আমার স্ত্রীও অন্যের বাড়িতে কাজ করে। ছেলে-মেয়েগুলোকেও অনেক কষ্ট করে মানুষ করেছি। এখন ছেলে বুয়েটে চান্স পেয়েছে। সবাই আমার সুনাম করছে। এতেই আমি অনেক খুশি। সকলে আমার ছেলের জন্য দোয়া করবেন। সে যেন ভালো ইঞ্জিনিয়ার হতে পারে।
নিজের সফলতার সবটুকু মা-বাবাকে উৎসর্গ করে মেহেদী বলেন, আমার মা-বাবাকে আমি কেনো দিন বাসায় বসে থাকতে দেখিনি। ছোটবেলা থেকেই দেখে আসছি, তারা আমাদের ভালো রাখার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। আমার বাবা চাতালে কাজ করেন আর মা দিনমজুরির। এমন একটি পরিবার থেকে পড়াশোনা করা অনেক কষ্টসাধ্য ছিল। তবে আমার মা-বাবা আমাকে পড়াশোনায় সব সময় উৎসাহ দিত।

তিনি আরও বলেন, চতুর্থ শ্রেণিতে পড়াশোনা করার সময় সংসারে অভাব বেড়ে যায়। আমি ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানে পড়ালেখা করতাম। তাই প্রতি মাসে বেতন দিতে হতো। সে সময় পড়ালেখা বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়। মা-বাবা আরও বেশি পরিশ্রম করেছেন। শিক্ষকরাও আমাকে অনেক সহযোগিতা করেছেন। আমাকে বিনা পয়সায় প্রাইভেট পড়িয়েছেন। জেএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাওয়ার পর আরও বেশী মনযোগী হই। কিন্তু এসএসসিতে আবার টাকার অভাবে পড়াশোনা থেমে যাওয়ার উপক্রম হয়। বাড়ির একটি কাঁঠালগাছ বিক্রি করে আবার পড়াশোনা চালাই। এরপর এসএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়ে দিনাজপুর সরকারি কলেজে ভর্তি হই। বাড়ি থেকে সামান্য টাকা পেতাম মেসের খরচের জন্য। পরে নিজে টিউশনি করে, স্যার-বন্ধুদের সহযোগিতায় সেখান থেকে এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পাই।

মেহেদী বলেন, এইচএসসি পাসের পর ঘুড্ডি ফাউন্ডেশনে বৃত্তি পরীক্ষায় কৃতকার্য হয়ে তাদের মাধ্যমে থাকা-খাওয়া বিনা মূল্যে পেয়ে ঢাকায় বুয়েটের জন্য কোচিং করি। পরে বুয়েটে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাই। সকলে আমার জন্য দোয়া করবেন। আমি যেন পরিবারের পাশাপাশি দেশসেবা করতে পারি। সবমিলে বলব, পরিশ্রম করলে অভাব কখনো সফলতাকে আটকাতে পারে না।

স্থানীয় ইউপি সদস্য সারোয়ার হোসেন বলেন, মেহেদীর পরিবার একেবারে নিম্ন মধ্যবিত্ত। তার বাবা কুলি হিসেবে মিলে কাজ করেন আর মা অন্যের বাড়িতে কাজ করেন। হাজারো কষ্টেও তারা তাদের সন্তানকে পড়াশোনা শিখিয়ে ভালো প্রতিষ্ঠানে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে তাকে সহযোগিতা করার চেষ্টা করেছি। সেইসঙ্গে তার আগামীতে যদি প্রয়োজন হয়, আমি ও স্থানীয় প্রশাসন তার পাশে থাকবে।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তাহের মো. সামসুজ্জামান ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা সদর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই। এটি আসলে অনেক আনন্দের বিষয়। এমন পরিবার থেকে বুয়েটে ভর্তি হওয়া কঠিন বিষয়। সার্বিক সহযোগিতায় উপজেলা প্রশাসন তার পাশে থাকবে।

 

]]>
https://bgn24.com/?feed=rss2&p=2176 0
সন্তানকে শেখাতে হবে নিয়মানুবর্তিতা, শৃঙ্খলা ও টিপস https://bgn24.com/?p=1542 https://bgn24.com/?p=1542#respond Tue, 14 Sep 2021 05:03:49 +0000 https://bgn24.com/?p=1542 প্রত্যেক মা–বাবাই চান তাঁর সন্তান যেন থাকে দুধেভাতে। অর্থাৎ, সন্তানের কল্যাণ, নিরাপত্তা ও ভবিষ্যৎ যেন সুরক্ষিত হয়। সব বাবা–মায়ের কাছেই সন্তান অনেক আদরের, অনেক ভালোবাসার। তবে অনেক অভিভাবকই অতি আদরের কারণে ভুলে যান সন্তানকে সঠিক সময়ে সঠিক আদবকেতা, নিয়মানুবর্তিতা, শৃঙ্খলাও শেখানো উচিত।

সন্তানকে শৃঙ্খলা শেখানোর সবচেয়ে সহজ উপায় হলো, অভিভাবকদের নিজেদের নিয়মতান্ত্রিক জীবনযাপন। যখন সন্তান দেখবে তার মা–বাবা নিয়ম মেনে শৃঙ্খলার সঙ্গে যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করছেন, তখন নিজেরাও নিয়ম মানতে উৎসাহী হবে।
যে নিয়মগুলো সন্তানকে মানাতে হবে নিয়মিত, বাবা–মায়েরও উচিত সন্তানের পাশাপাশি নিজেদেরও সেই নিয়মগুলো মেনে চলা। আপনি যদি সময়ে–অসময়ে টিভি চালিয়ে দেন বা ফোনে আড্ডা দেন, তাহলে কখনোই আশা করবেন না যে আপনার ছেলেমেয়ে সময়মতো হোমওয়ার্ক শেষ করবে। নিজে সময়ের কাজ সময়ে করুন, সন্তানেরা আপনাকে দেখেই শিখবে। তবে কখনো কখনো এমনও পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়, যখন এই নিয়ম হয়তো কাজে আসবে না। সে ক্ষেত্রে আরও কিছু টিপস মনে রাখুন। আপনি যদি সন্তানের থেকে সম্মান আশা করেন, তাহলে আপনারও তাকে সম্মান করতে হবে। তার মতামতকে গুরুত্ব দিন, কথা শুনুন। সন্তান যত ছোটই হোক না কেন, সে যে পরিবারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য, এই বোধ যেন তার ছোট থেকেই জেগে ওঠে। যদি তার অভিমত মানার মতো না হয়, তাহলে বুঝিয়ে বলুন কেন তা সম্ভব নয়। নিজের মতামত জোর করে চাপিয়ে দেবেন না।সন্তানকে শাসন করার সময় খেয়াল রাখবেন, মা-বাবা দুজনই একসঙ্গে শাসন করবেন না যেন। একজন বকাঝকা করলেন, আরেকজন রেগে না গিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করবেন। সন্তানকে শাসন করতে গিয়ে নিজেদের মধ্যে ঝামেলা করবেন না। তাকে বোঝাতে হবে ভুলটা ভুলই। সে যেন বুঝতে পারে অন্যায় করলে মা–বাবা দুজনেই রাগ করেন। কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সন্তানের পছন্দ–অপছন্দকে গুরুত্ব দিন। কেন আপনি সিদ্ধান্তটা নিচ্ছেন, সেটা বুঝলে ওর নিজেরও সিদ্ধান্ত গ্রহণে সুবিধা হবে।
ভাষা বা শব্দ প্রয়োগে সচেতন থাকুন। সন্তানকে বকার প্রয়োজন হলে কখনো কোনো খারাপ শব্দ প্রয়োগ করবেন না। এতে সন্তানের সুস্থ মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়। তার মধ্যেও নোংরা শব্দ প্রয়োগের ঝোঁক সৃষ্টি হবে। অন্য কারোর সঙ্গে তুলনা করে কথা বলবেন না। এতে তার আত্মবিশ্বাস কমে যায়। যেমন ‘অমুক কত বুদ্ধিমান। তোমার মাথায় একেবারেই বুদ্ধি নেই’, এ ধরনের তুলনা করবেন না। বরং বলুন, এটা কি বুদ্ধিমান ছেলের মতো কাজ হয়েছে?

একেক শিশুর চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য একেক রকম। সেই অনুযায়ী আপনার পরিকল্পনা তৈরি করুন। সন্তান কীভাবে সময় কাটাতে ভালোবাসে, কোন সময়ে পড়তে বসতে স্বচ্ছন্দ বোধ করে, এই সবকিছু মাথায় রেখে দিনের রুটিন নির্দিষ্ট করুন। আলোচনা করে রুটিন করুন।

অতিরিক্ত নিয়মকানুন সন্তানদের ওপর চাপিয়ে দেবেন না। স্কুল থেকে ফিরে অন্তত দুই ঘণ্টা যেন ছোটাছুটি করে বন্ধুদের সঙ্গে খেলতে পারে। ছবি আঁকা, গান গাওয়া, গাছের পরিচর্যার মতো নিজস্ব কিছু শখ থাকলে উৎসাহিত করুন।

কোনো অন্যায় করতে দেখলে প্রথমে সতর্ক করুন, বুঝিয়ে বলুন, তারপর শাস্তি দিন। শাস্তি মানে কিন্তু উচ্চ স্বরে রাগান্বিত বা গায়ে হাত তোলা নয় একেবারেই। কিছুদিনের জন্য ওর পছন্দের কোনো জিনিস দেওয়া বন্ধ করে দিন বা ওর সঙ্গে কথা বলা কমিয়ে দিন।

সবার সামনে সন্তানের সমালোচনা বা নিন্দা করবেন না, এতে ওর আত্মবিশ্বাসে চিড় ধরতে পারে। এমনকি এর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব রয়েছে। অনেক সন্তান বড় হয়েও শৈশবে তার প্রতি বাবা–মায়ের যে সমালোচনা ছিল, তা নিয়ে মনে কষ্ট থেকে যায়। কথাবার্তায়, আচার–আচরণে ইতিবাচক ইঙ্গিত থাকলে সন্তান উৎসাহিত বোধ করবে।

একইভাবে ওর সামনে কখনোই কোনো গুরুজনের সমালোচনা বা মিথ্যাচার করবেন না, তাহলে সে তাঁদের প্রতি ধীরে ধীরে শ্রদ্ধা তো হারাবেই, আপনাকেও শ্রদ্ধা করতে শিখবে না।

সন্তানকে সময় দিন, যেন আপনারা একে অপরকে ভালো করে চিনতে পারেন। এই সময়ের মধ্যে সুস্থ রুচি, সামাজিকতার খুঁটিনাটি তার মধ্যে গেঁথে দিন।

কোনো উপলক্ষ ছাড়াই সন্তানকে পছন্দমতো ছোট কোনো উপহার দিন, যাতে ও বুঝতে পারে ওর ব্যবহারে এবং কাজকর্মে আপনারা খুশি।

সাপ্তাহিক ছুটির দিনে সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে সপরিবার প্রকৃতির সান্নিধ্যে ঘুরে আসুন। সবুজ প্রকৃতি মানুষের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

 

ছবি: পেকজেলসডটকম

]]>
https://bgn24.com/?feed=rss2&p=1542 0