Bangla Green News https://bgn24.com সংবাদে নতুনত্বের সূচনায়! Wed, 21 May 2025 07:28:44 +0000 en-US hourly 1 https://wordpress.org/?v=6.8.1 মেসিকে ‘সর্বকালের সেরা’ ঘোষণা https://bgn24.com/?p=4086 https://bgn24.com/?p=4086#respond Wed, 21 May 2025 07:15:54 +0000 https://bgn24.com/?p=4086 ব্রাজিলের পেলে ও ম্যারাডোনাকে পেছনে ফেলে ফুটবলের ইতিহাসে শীর্ষস্থান দখল করেছেন লিওনেল মেসি। আন্তর্জাতিক ফুটবল ইতিহাস ও পরিসংখ্যান ফেডারেশন (ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অফ ফুটবল হিস্ট্রি অ্যান্ড স্ট্যাটিস্টিকস বা আইএফএফএইচএস) সম্প্রতি প্রকাশ করেছে সর্বকালের সেরা ১০ ফুটবলারের তালিকা। সেই তালিকাতেই তারা শীর্ষে রেখেছে মেসিকে।  বিষয়টিকে ঘিরে ফুটবল বিশ্বে ইতিমধ্যেই বিতর্ক শুরু হয়েছে। সকল খেলোয়াড়ের ব্যক্তিগত অর্জন এবং সমষ্টিগত পরিসংখ্যানের উপর ভিত্তি করে র‍্যাঙ্কিংটি করা হয়েছিল। ৩৮ বছর বয়সী মেসি ক্যারিয়ারে এখনও  পর্যন্ত ৪৬টি শিরোপা জিতেছেন—বার্সেলোনার হয়ে ৩৫টি, পিএসজির হয়ে ৩টি, ইন্টার মায়ামির হয়ে ২টি এবং আর্জেন্টিনার হয়ে ৬টি। এছাড়া তিনি রেকর্ড আটবার ব্যালন ডি’অর জিতেছেন।

দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন ব্রাজিলের কিংবদন্তি ফুটবলার পেলে, যিনি ক্যারিয়ারে তিনটি বিশ্বকাপ (১৯৫৮, ১৯৬২ ও ১৯৭০) জিতে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন। তৃতীয় স্থানে আছেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা দিয়েগো ম্যারাডোনা, যিনি ১৯৮৬ সালে আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ জেতাতে বড় ভূমিকা রাখেন এবং ১৯৯০ সালে রানার্স-আপ হন।অনেকেই ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর র‍্যাঙ্কিং (চতুর্থ) নিয়ে সমালোচনা করেছেন। এটা সত্য যে তিনি ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোলদাতা (এখন পর্যন্ত ৯৩৫টি অফিসিয়াল গোল), কিন্তু তিনি কখনও বিশ্বকাপ জেতেননি। যদিও তিনি রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে অনেক ট্রফি এবং পর্তুগালের হয়ে একটি ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপ (২০১৬) জিতেছেন। 

তালিকায় শীর্ষ ১০ জনের মধ্যে কোনও স্প্যানিশ খেলোয়াড় নেই , তবে তিনজন আর্জেন্টাইন (ডি স্টেফানো সহ) এবং তিনজন ব্রাজিলিয়ান (পেলে, রোনালদো এবং রোনালদিনহো) রয়েছেন।

সূত্র : মার্কা

]]>
https://bgn24.com/?feed=rss2&p=4086 0
পারমাণবিক অস্ত্রে এগিয়ে পাকিস্তান, সার্বিক সক্ষমতায় ভারত https://bgn24.com/?p=4081 https://bgn24.com/?p=4081#respond Sat, 26 Apr 2025 09:56:50 +0000 https://bgn24.com/?p=4081

পারমাণবিক অস্ত্রে এগিয়ে পাকিস্তান, সার্বিক সক্ষমতায় ভারত

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সামরিক শক্তির তুলনা করা হলে সেখানে জনবল, অস্ত্রশস্ত্র, বাজেট, পারমাণবিক ক্ষমতা ও কৌশলগত নীতি–আদর্শের এক জটিল হিসাব–নিকাশ প্রতিফলিত হয়। ১৯৪৭ সালে বিভক্তির পর থেকে দুই দেশ একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে আছে। এ সময়ে একাধিক যুদ্ধে জড়ানোর ইতিহাস রয়েছে তাদের। ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় নিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে উভয় দেশ উল্লেখ করার মতো সামরিক শক্তিও বজায় রেখে চলেছে।

গত মঙ্গলবার ভারতনিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীরের জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর ওই দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে উত্তেজনা বেড়ে গেছে। এ হামলায় পাকিস্তানের মদদ থাকার অভিযোগ তুলে ভারত দেশটির বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ নিয়েছে। পাল্টা ব্যবস্থা ঘোষণা করেছে পাকিস্তানও।

এমন প্রেক্ষাপটে ভারত ও পাকিস্তান সামরিকভাবেও সংঘাতে জড়িয়ে পড়তে পারে—এ আশঙ্কা অনেকের। প্রাসঙ্গিকভাবে উভয় দেশের সামরিক সক্ষমতার বিষয়টি আলোচনায় উঠে আসছে। এই সক্ষমতার গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো নিয়ে বিশ্লেষণমূলক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে মালয়েশিয়াভিত্তিক ‘ডিফেন্স সিকিউরিটি এশিয়া’।

‘গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ার সূচক (জিএফপি) ২০২৫’ অনুসারে করা এ প্রতিবেদন ডিফেন্স সিকিউরিটি এশিয়ার ওয়েবসাইটে গতকাল শুক্রবার প্রকাশ করা হয়। প্রতিবেদনের উল্লেখযোগ্য অংশ পাঠকের জন্য তুলে ধরা হলো:

সামগ্রিক সামরিক র‍্যাঙ্কিং ও সক্ষমতা সূচক

‘জিএফপি ২০২৫’–এ ৬০টির বেশি বিষয়ের (জনশক্তি, সামরিক সরঞ্জাম, অর্থনৈতিক ও ভৌগোলিক অবস্থা ইত্যাদি) ভিত্তিতে ১৪৫টি দেশকে মূল্যায়ন করা হয়েছে। সে অনুযায়ী, সামগ্রিক র‍্যাঙ্কিংয়ে ভারত বিশ্বের মধ্যে চতুর্থ, সক্ষমতা সূচকে স্কোর ০.১১৮৪ (কম স্কোর মানে বেশি শক্তিশালী সেনাবাহিনী)। এ ক্ষেত্রে পাকিস্তান বিশ্বে ১২তম, স্কোর ০.২৫১৩।

র‍্যাঙ্কিংয়ে ভারতের এ অবস্থান দেশটির বড় জনসংখ্যা, বৃহত্তর প্রতিরক্ষা বাজেট ও বিস্তৃত পরিসরের সামরিক সম্পদের প্রতিফলন। অন্যদিকে পাকিস্তান ছোট অর্থনীতির কারণে নানা সীমাবদ্ধতা ও বৈদেশিক সরবরাহকারী, বিশেষ করে চীনের ওপর নির্ভরশীলতা সত্ত্বেও ভারতকে মোকাবিলায় কৌশলগত বিষয়গুলোয় মনোযোগী। ফলে নির্দিষ্ট খাতগুলোয় প্রতিযোগিতামূলক অবস্থানে রয়েছে দেশটি।

সামরিক–বেসামরিক জনশক্তি

প্রচলিত যুদ্ধে জনবল গুরুত্বপূর্ণ এক বিষয়। ভারত ও পাকিস্তানের জন্যও তা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, বিশাল জনসংখ্যা ও স্থলবাহিনীর ওপর উভয় দেশেরই নির্ভরতা রয়েছে।

ভারতের জনসংখ্যা ১৪০ কোটি (বিশ্বে দ্বিতীয়)। সক্রিয় জনশক্তি ৬৬ কোটি ২০ লাখ। সক্রিয় সেনা ১৪ লাখ ৬০ হাজার (বিশ্বে দ্বিতীয়)। রিজার্ভ সেনা ১১ লাখ ৬০ হাজার (বিশ্বে সপ্তম)। আধা সামরিক বাহিনীর সদস্য ২৫ লাখ ৩০ হাজার (বিশ্বে দ্বিতীয়)। মোট সামরিক (সক্রিয় ও রিজার্ভ সেনা এবং আধা সামরিক বাহিনী) জনবল ৫১ লাখ।

]]>
https://bgn24.com/?feed=rss2&p=4081 0
তরমুজের সাদা অংশটি খেলে কী হয় https://bgn24.com/?p=4078 https://bgn24.com/?p=4078#respond Mon, 24 Mar 2025 04:48:33 +0000 https://bgn24.com/?p=4078 সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটা ভিডিও বেশ ভাইরাল। ঢাকার কারওয়ান বাজারের এক তরমুজ বিক্রেতা বলছেন, ‘ওই কী রে! ওই কী রে!’ পরক্ষণেই বলছেন, ‘মধু মধু!’ মধুর সঙ্গে তুলনা না করলেও তরমুজ আদতে নানান পুষ্টিগুণে ভরপুর। পানিসমৃদ্ধ ফলটিতে আছে প্রচুর ভিটামিন এ, সি, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম এবং অন্যান্য পুষ্টিগুণ। তরমুজের শাঁসেই যে সব পুষ্টি থাকে, তা নয়; এর সাদা অংশটিও দারুণ পুষ্টিগুণে ভরপুর। আর তা খাওয়া চলে অনায়াসে। জেনে নিন মহৌষধি গুণের কথা।

কর্মক্ষমতা বাড়ায়

তরমুজের সাদা অংশ, অর্থাৎ এর বহিরাবরণ ও লাল শাঁসের মাঝখানে যে অংশটুকু থাকে, তাতে পাবেন সিট্রুলিন নামে একধরনের নন-এসেনশিয়াল অ্যামিনো অ্যাসিড। এটি খেলে আমাদের কর্মক্ষমতা বাড়তে পারে কল্পনার চেয়েও অধিক।

সিট্রুলিন আমাদের রক্তনালির প্রসারণ ঘটায়। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল লাইব্রেরি অব মেডিসিনের গবেষণা বলছে, সিট্রুলিন মাংসপেশিতে অক্সিজেনের জোগান দেয়। ফলে কর্মক্ষমতা বাড়ে।

খাবেন কীভাবে? উত্তর হলো, তরমুজের লাল শাঁসের মতো এমনিতেই খেতে পারেন। চাইলে চাটনি বানিয়েও খাওয়া যায়। যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণের রাজ্যগুলোতে তরমুজের সাদা অংশের চাটনি প্রাচীন চিকিৎসাপদ্ধতির একটি অংশ।

রক্তচাপ কমায়

আমেরিকান জার্নাল অব হাইপারটেনশন যে গবেষণা চালিয়েছে, তাতে দেখা গেছে, তরমুজের সাদা ও অন্যান্য অংশ প্রাপ্তবয়স্কদের উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে দারুণভাবে সাহায্য করে। শুধু তা-ই নয়, তরমুজে যে সিট্রুলিন আছে, সেটিও উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। তরমুজ মূত্রবর্ধকও বটে। ফলে এটিও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।

ফাইবারের উৎস

তরমুজের খোসা ফাইবার বা আঁশের সমৃদ্ধ উৎস। আর এটা তো জানা কথাই, ফাইবারসমৃদ্ধ খাবারের অনেক উপকারিতা। একবার চলুন ফাইবারের কী কী উপকারিতা, তাতে চোখ বুলিয়ে নিই—

  • নিয়মিতভাবে মলত্যাগের ক্ষেত্রে সহায়ক এবং কোলন ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়।
  • কোলেস্টেরল ও ব্লাড সুগার কমাতে সাহায্য করে।
  • ফাইবারসমৃদ্ধ খাবার দ্রুত পেট ভরায়, ভরা রাখে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

সূত্র: হেলথলাইন

]]>
https://bgn24.com/?feed=rss2&p=4078 0
নূন্যতম সংষ্কার করে দ্রুত নির্বাচনের দাবী করেন আবু লায়েস মুন্না https://bgn24.com/?p=4074 https://bgn24.com/?p=4074#respond Fri, 21 Mar 2025 18:59:54 +0000 https://bgn24.com/?p=4074 মুক্তিজোটের সংগঠন প্রধান আবু লায়েস মুন্না সুষ্ঠ নির্বাচনের প্রশ্নে যতটুকু সংস্কার সেটুকু করে নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের কথা বলেন।

২১শে মার্চ ২০২৫ খ্রিঃ তারিখে মতিঝিলের মেট্রো রেস্টুরেন্টে বাংলাদেশ শ্রমিক মুক্তিজোট কর্তৃক আয়োজিত ইফতার ও দোয়া মাফিল অনুষ্ঠানে তিনি আরও বলেন এই সরকারের সাত মাস চলে গেছে কিন্তু আইন শৃঙ্খলা থেকে শুরু করে রাষ্ট্রের কোন ক্ষেত্রে তেমন কোন উলেখ যোগ্য সংস্কার নেই, আগের মতই সার্চ কমিটির নাটক করে নির্বাচন কমিশন থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় তথা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, পুলিশসহ দেশের উর্ধতন সমস্ত দায়িত্বে আইনের সংস্কার বা আইন অনুযায়ী না করে ব্যক্তি পছন্দ অপছন্দে করছেন। এদিকে সংবিধান থেকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান সংস্কারের দায়িত্ব যাদের দিয়েছেন তদের অনেকেরই দৈত্ব নাগরিকতা আছে। তারা কতটুকু দেশ ও দেশের মানুষের প্রশ্নে দায়িত্ব নিয়ে কাজ করবেন তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। তিনি আরও বলেন মুক্তিজোট ২০১৭ সাল থেকে দাবী করছে যেহেতু নির্বাচন করে নির্বাচন কমিশন তাই ডিসি নয় নির্বাচন কর্তারাই জেলা বা উপজেলার রিটার্নিং কর্মকর্তা হবে। কিন্তু এখন দেখছি আগের মতই ডিসি এসপিদের বলা হচ্ছে আপনার নির্বাচনে যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করবেন। তার মানে কিসের সংস্কার হচ্ছে দেশে? নাকি সবই নাটক

উক্ত অনুষ্ঠানে মুক্তিজোটের সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহজামাল আমিরুল বলেন এবারের ঈদে যেন প্রতিটি শ্রমিক বেতন ও বোনাস নিয়ে বাড়িতে যায়। সেটা সরকারকে নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়াও তিনি সংস্কার প্রসঙ্গে বলেন সংবিধান সংস্কার কমিটির প্রধান আলী রিয়াজ একজন সামন্ততান্ত্রীক মানসিকতার মানুষ। তিনি সত্যকে সত্য না বলে কে বলছেন সেটাকে মুখ্য করেন। ২০১৭ সালের ২৪শে আগস্ট মুক্তিজোট সুষ্ঠ নির্বাচনের প্রশ্নে কমিশন সংলাপে জাতীয় পরিষদ গঠন এবং স্বরাষ্ট্র ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় নির্বাচন কালীনসময় কমিশনের অধীনে থাকার প্রস্তাব দেয় যা কমিশন যোক্তিক মনে করে সেটা নিয়ে তিনি বিদেশে থেকে ২৮শে আগস্ট প্রথম আলোতে এক প্রতিক্রিয়াতে বলেন ছোট দলের প্রস্তাব নিয়ে নির্বাচন কমিশনের এত মাতামাতি কেন। সত্য না ছোট বড় নিয়ে থাকেন তিনি। এখন যে ৩৪টি দলের সাথে সংস্কার নিয়ে কথা বলছেন তার মধ্যে কয়টি দলের নিবন্ধন আছে বা বড় দল এ প্রশ্ন করে আরও বলেন ২০১৮ সালের নির্বাচনের পূর্বে সাবেক নির্বাচন কমিশনার ও বর্তমান সরকারের মাননীয় উপদেষ্টা সাখাওয়াত হসেন বার বার বলেছিলেন যে সুষ্ঠ নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশনের হাতে ট্রাম কার্ড আছে। কি সেই ট্রাম কার্ড তা প্রকাশ করার দাবীও করেন তিনি। তিনি আরও বলেন আগামী নির্বাচনে ৩০০ আসনে নির্বাচন করবে সে লক্ষ্যে কাজ করছে মুক্তিজোট।

শ্রমিক মুক্তিজোটের আহ্বায়ক মোঃ রাশেদুল ইসলাম খোকন অনুষ্ঠানের সমাপনি বক্তব্য সকল শ্রমিকদের কাছে মুক্তিজোটের আহ্বান পৌঁছে দেওয়ার প্রত্যায় ব্যক্ত করে বলেন দেশের সকল শ্রমিকদের সুখে-দুঃখে আমরা পাশে থাকব।

শ্রমিক মুক্তিজোটের সদস্য সচিব মোঃ রাশেদ-উদ-জামান এর সঞ্চালনায় ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন মুক্তিজোটের সহ-সভাপতি- মোঃ আমান উল্লাহ আমান, মোঃ রাসেল কবীর, শ্রমিক মুক্তিজোটের উপদেষ্টা- মোঃ ইমন বারিক, যুব মুক্তিজোটের আহ্বায়ক-মোঃ আব্দুল আওয়াল এবং মুক্তিজোটের কেন্দ্রীয় ও ঢাকা মহানগরের নেতৃবৃন্দ সহ শ্রমিক মুক্তিজোটের কেন্দ্রীয় কমিটি ও ঢাকা মহানগর শ্রমিক মুক্তিজোটের উত্তর ও দক্ষিণের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। 

]]>
https://bgn24.com/?feed=rss2&p=4074 0
বড় বাপের পোলায় খায় https://bgn24.com/?p=4071 https://bgn24.com/?p=4071#respond Tue, 18 Mar 2025 08:23:33 +0000 https://bgn24.com/?p=4071 ‘বায়ান্ন বাজার তেপ্পান্ন গলি’ খ্যাত ঢাকার ঐতিহ্যবাহী চকবাজার। এটি পুরান ঢাকায় অবস্থিত।

এখানকার অধিবাসীদের জন্য ১৬৭৬ সালে মোগল সুবেদার শায়েস্তা খান নির্মাণ করেন ঐতিহ্যবাহী শাহি মসজিদ। পরে ১৭০২ সালে নবাব মুর্শিদ কুলি খাঁ এই চকবাজারকে রূপান্তর করেন আধুনিক বাজারে। সেই থেকে এ বাজার ভরে ওঠে সমঝদার মানুষের মুখরোচক খাবারে। আর ওই সময় থেকেই রমজান মাস এলে এখানকার রোজাদারদের জন্য তৈরি হয় নানা ধরনের বাহারি ইফতারি। বাণিজ্যের জন্য বসতে শুরু করে ভাসমান বাজার। সে ঐতিহ্য আজও বহমান।

পূর্বের ধারবাহিকতা বজায় রেখে চকবাজারসহ আশপাশের এলাকাজুড়ে চোখে পড়ে মুখরোচক ইফতারির বাহার, যা হরহামেশাই মন কেড়ে নিচ্ছে রোজাদারসহ সবার।

বর্তমানে চকবাজার ছাড়াও পুরান ঢাকার বাংলাবাজার, সদরঘাট, বংশাল, গুলিস্তান, ওয়ারী, লক্ষ্মীবাজার, বাবুবাজার, আরমানিটোলা, সুরিটোলা, কাপ্তানবাজার, চানখাঁর পুল, আজিমপুর, টিপু সুলতান রোড, নারিন্দাসহ রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে বাহারি ইফতারি পাওয়া যায়। পুরান ঢাকার সব পাড়া-মহল্লায় হরেক রকম ইফতার পাওয়া গেলেও চকবাজারের ইফতার স্থানীয় রোজাদারদের জন্য সারাদিন যেন মুখিয়ে থাকা ভোজন বিলাস।

এই ঐতিহ্যবাহী ইফতার ঢাকার ভোজন রসিকদের জন্য আকর্ষণ ও দর্শনীয়ও বটে।

এসব এলাকায় গেলে হাঁকডাক শোনা যায়, ‘এটা চকবাজারের সেরা, বড় বাপের পোলায় খায় ঠোঙ্গায় বইরা লইয়া যায়’, ‘বায়ান্ন বাজার তেপ্পান্ন গলির শাহী সূতি কাবাব’। এমন হাঁক ডাকে বুঝা যায় এটা রাজধানীর পুরান ঢাকার চকবাজার। যে বিক্রেতা যত আয়োজন করে ডাকতে পারেন, সে দিকে চোখে পড়ে ক্রেতাদের ভীড়। তাই তো বরাবরের মতো এবারো ঐতিহ্যবাহী চকবাজারে ইফতার সামগ্রীর বাজার জমজমাট হয়ে উঠেছে।

চকবাজারে দুপুরের পরপর দোকানিরা নানা পদের ইফতারির পসরা সাজিয়ে বসেন। পুরান ঢাকার বিশেষ খাবার যেমন- কাবাব, মোগলাই পরোটা, হালিম, শাহি জিলাপি, রেজালা, গরুর আচার, মুরগির আচার, লেগ রোস্ট, বোরহানির মতো খাবারের স্বাদ মানুষকে টেনে নিয়ে আসছে প্রতি রমজানে। চকবাজারে ইফতার বাজার বসে শাহি মসজিদের সামনে রোডের দুই পাশজুড়ে। পুরান ঢাকার স্থানীয়রা ছাড়াও ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে ভোজন বিলাসীরা এখানে আসেন পছন্দের ইফতার সামগ্রী কিনতে।

গাজীপুর থেকে বন্ধুদের সাথে ইফতার বাজারে এসেছেন জাহিদুর রহমান। তিনি বলেন, ফেসবুকে ইউটিউবে চকবাজারের জনপ্রিয়তা দেখে বন্ধুদের সাথে নিয়ে এলাম ইফতার কিনতে। অনেকদিন পর সব বন্ধুরা একসাথে হয়েছি। তাই ইফতার পার্টির ইফতার আমরা এখান থেকে কিনলাম। আমরা চিকেন গ্রিল, ডিম চপ, কবুতর রোস্টসহ অন্যান্য খাবার কিনেছি।

বরিশালের লঞ্চের যাত্রী হারুন হাবীব এসেছেন চকবাজারে ইফতার কিনতে। তিনি বলেন, পরিবার নিয়ে বরিশাল যাচ্ছি, ছেলে-মেয়েরা মোবাইলে চকবাজারের ইফতারের ভিডিও দেখে আবদার করেছে তারাও এখানকার ইফতার খাবে। তাই ওদের আবদার পূরণের জন্য যানজটে কষ্ট করেও এখানে থেকে ইফতার কিনলাম।

‘বড় বাপের পোলায় খায়’-এর বিক্রেতা বলেন, এটি বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী ইফতার বাজার। এখানে মানুষ আসবেই।

এবার প্রতি পিস কিমা পরোটা ১১০ টাকা, টান পরোটা ৮০ টাকা, চিকেন সাসলিক ১১০ টাকা, অ্যারাবিয়ান কাবাব ৮০ টাকা, মুঠি কাবাব ৬০ টাকা, হালিম ৩০০ /৪০০/ ৮০০ টাকা বাটি, বটি কাবাব ১২০ টাকা, দই বড়া ২৫ টাকা, শাহী জিলাপি ৩০০ টাকা, সাধারণ জিলাপি ২০০ টাকা, চিকেন চাপ ১৫০ টাকা, কোয়েল পাখির রোস্ট ১০০ টাকা প্রতি পিচ, খাসির লেগ রোস্ট ৮০০ টাকা। এছাড়াও রয়েছে হরেক রকমের শরবত, ছোলা, পেয়াজু, বেগুনি, ফালুদা, আলুর চপসহ নানা রকমের ফল।

ইফতার বিক্রেতা তাওসিফ আহমেদ বলেন, গতবারের তুলনায় আমাদের এবার বিক্রি ভালো। আমরা সবসময় খাবারের গুণগত মান ঠিক রাখার চেষ্টা করি। তাই আমাদের ক্রেতারা বার বার আমাদের কাছে আসেন।

চকবাজারের বেশিরভাগ ইফতার বিক্রেতারা বংশপরম্পরায় এখানে ব্যবসা করছেন। কারো ব্যবসা এখন তৃতীয় প্রজন্ম, কারো ব্যবসা চতুর্থ প্রজন্মের বংশধররা পরিচালনা করছেন। কিছু কিছু বিক্রেতা আবার মৌসুমি ব্যবসায়ী। তারা শুধু রোজার মাসে এখানে ইফতারের দোকানগুলো পরিচালনা করেন।

সূত্র : বাসস

]]>
https://bgn24.com/?feed=rss2&p=4071 0
আছিয়ার মৃত্যুতে মুক্তিজোটের শোক প্রকাশ https://bgn24.com/?p=4068 https://bgn24.com/?p=4068#respond Thu, 13 Mar 2025 16:03:00 +0000 https://bgn24.com/?p=4068 আজ (১৩ই মার্চ) দুপুর ১টায় ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশুটি মারা গেছে। আইএসপিআর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে শিশু আছিয়ার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন) তাঁর মৃত্যুতে মুক্তিজোট শোক প্রকাশ করেছে।

মুক্তিজোটের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য (দপ্তর) উত্তম কুমার ঘোষ স্বাক্ষরিত মুক্তিজোটের সংগঠন প্রধান আবু লায়েস মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহজামাল আমিরুল গণমাধ্যমে দেওয়া যৌথ বিবৃতিতে আছিয়ার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে বলেন এ ঘটনায় আমরা মর্মাহত, ক্ষুব্ধ ও ব্যথিত। এই হৃদয়বিদারক ঘটনার সঙ্গে জড়িত আসামীদের দ্রুত বিচারের দাবীও জানান তাঁরা।

তাঁরা আরো বলেন, ‘দেশের বিচারব্যবস্থার প্রতি জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনতে এবং সমাজ থেকে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতন নির্মূল করতে আইনের কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিত করা জরুরি।’

বিবৃতিতে মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজন, আত্মীয়-স্বজনদের প্রতি গভীর সমবেদনাও জ্ঞাপন করেন তাঁরা।

প্রসঙ্গতঃ গত বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অচেতন অবস্থায় শিশুটিকে মাগুরার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে যান তার বোনের শাশুড়ি। পরে শিশুটির মা হাসপাতালে যান। সেদিন দুপুরেই উন্নত চিকিৎসার জন্য শিশুটিকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে রাতেই পাঠানো হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এরপর শুক্রবার রাতে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। সংকটাপন্ন অবস্থায় শিশুটিকে শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (পিআইসিইউ) থেকে সিএমএইচে স্থানান্তর করা হয়। তাকে ঢাকার সিএমএইচের পিআইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল।

]]>
https://bgn24.com/?feed=rss2&p=4068 0
উন্নয়নের করাতে প্রাণ হারানো গাছে শ্রদ্ধা https://bgn24.com/?p=4064 https://bgn24.com/?p=4064#respond Sat, 22 Feb 2025 08:50:12 +0000 https://bgn24.com/?p=4064 তীব্র সবুজ সংকটে ভুগছে রাজধানী। উন্নয়নের করাতে একের পর এক প্রাণ হারাচ্ছে গাছ। ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের পলাশীমুখী র‌্যাম্প নির্মাণের জন্য হাতিরঝিলের একাংশ ভরাট ও পান্থকুঞ্জ পার্কের দুই হাজারের বেশি গাছ কাটা হয়েছে। এই ঘটনায় প্রাণ হারানো গাছের জন্য শোক প্রকাশ করেছেন বৃক্ষপ্রেমী একদল শিশু-তরুণ। গতকাল শুক্রবার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে পান্থকুঞ্জ ও হাতিরঝিলে কেটে ফেলা পাঁচটি গাছ ও বুনোফুল দিয়ে শহীদ মিনার তৈরি করা হয়েছে। বাংলাদেশের সব মৃত গাছের স্মরণ ও গাছ রক্ষার দাবিতে শহীদ মিনারটি তৈরি করেছে বাংলাদেশ গাছ রক্ষা আন্দোলন। পান্থকুঞ্জ পার্কে মৃত গাছ দিয়ে পরম যত্নে শহীদ মিনার তৈরি করে, তাতেই পুষ্পস্তবক অর্পণ করে ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে।

পান্থকুঞ্জ পার্ক ও হাতিরঝিল রক্ষার দাবিতে ৭০ দিন ধরে এই পার্কে অবস্থান করছেন প্রকৃতিপ্রেমী তরুণরা। পরিবেশবিদরা বলছেন, এসব গাছের মৃত্যুর জন্য অপরিকল্পিত উন্নয়ন দায়ী। কাটা গাছ দিয়েই শহীদ মিনার বানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ গাছ রক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক আমিরুল রাজীব বলেন, আজকের এ শ্রদ্ধা গাছের জন্য, পরিবেশের জন্য। এ রকম একটি গাছ তৈরি করতে মানুষের পুরো জীবন লেগে যায়। অথচ উন্নয়নের ডামাডোলে গাছের জীবন রক্ষা পায় না।বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের সভাপতি অধ্যাপক আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, পান্থকুঞ্জে ছায়া ছিল, পাখি ছিল। মানুষ এখানে সময় কাটাতে আসত। পান্থকুঞ্জ ও হাতিরঝিলকে মুক্তি দিন। পান্থকুঞ্জ ধ্বংস হলে শুধু এই এলাকার মানুষ নয়, পুরো রাজধানীর বাসিন্দা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।

]]>
https://bgn24.com/?feed=rss2&p=4064 0
বাংলাকে বিচার বিভাগের দাপ্তরিক ভাষা করার দাবী মুক্তিজোটের https://bgn24.com/?p=4061 https://bgn24.com/?p=4061#respond Fri, 21 Feb 2025 06:08:16 +0000 https://bgn24.com/?p=4061 এছাড়াও সংগঠনের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য (প্রচার) মোঃ মামুন সিকদার স্বাক্ষরিত প্রেসনোটে বলা হয়- মানুষের মুখের ভাষা- আপন ভাষা রক্ষার সংগ্রামের পরিণতিতেই এদেশের স্বাধীনতা এসেছিল কিন্তু স্বাধীনতার অর্ধশতাব্দী পরেও আদালতের দাপ্তরিক ভাষা বাংলা হয়নি। অথচ, বিভিন্ন সময় রাষ্ট্রীয়ভাবে বাংলা ভাষাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষার স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি করছি।

এদিকে সরকার সর্বস্তরে (আন্তর্জাতিকতার শর্ত ব্যতিরেকে) বাংলা ভাষা চালু করার ক্ষেত্রে কেন পদক্ষেপ নিচ্ছে না বা প্রতিষ্ঠানসমূহকে বাধ্য করছে না- এই মর্মে হাইকোর্ট বিভাগ এর বিচারপতি কাজী রেজাউল হক ও বিচারপতি এ বি এম আলতাফ হোসাইন এর বেঞ্চ থেকে ১৭ই ফেব্রুয়ারি ২০১৪ খ্রিস্টাব্দে একটি রুল জারি করে।

কিন্তু বিস্ময়কর হলেও সত্য খোদ আদালতের দাপ্তরিক ক্ষেত্রই অদ্যাবধি এই নির্দেশের বাইরে আছে! বিচার বিভাগ কি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের বাইরের কোনো প্রতিষ্ঠান? বিচার বিভাগ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের একটা প্রতিষ্ঠান মাত্র। স্বাধীন হলেও প্রাতিষ্ঠানিক এই পরিচয়ের বাইরে তার কোনো আলাদা পরিচয় নেই।

বিচার বিভাগের দাপ্তরিক ভাষা বাংলা করার ক্ষেত্রে শিক্ষাসহ যে আনুষঙ্গিক শর্ত রয়েছে সেই ব্যাপক কর্মসীমানা বিচার বিভাগের থাকে না। রাষ্ট্র-কাঠামোর কোনো বিভাগই এককভাবে স্বয়ংসম্পূর্ণ নয় আর সেটা হয়ও না, হলে সে সরকার হয়ে ওঠে- কারণ সরকারই কেবল সব বিভাগের সমন্বিত ক্রিয়ায় সর্বোচ্চ কর্তৃত্বে আসীন থাকে।

এক্ষেত্রে কথিত ‘টেকনিক্যাল সমস্যা’ বা পরিভাষাসহ বহুবিধ অজুহাতে কাল বিলম্ব মোটেই গ্রহণযোগ্য নয় কারণ এমন অজুহাতেই স্বাধীনতার অর্ধ শতাব্দী পেরিয়ে গেছে এবং যতোদিন ব্যবহার-বিধি বাধ্যতামূলক না হচ্ছে এই অজুহাতে আরও ১০০ বছর পেরিয়ে গেলেও আশ্চর্য হওয়ার কিছু থাকবে না।

ছত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী মহান একুশে ফেব্রুয়ারিতে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ ও তার গণতান্ত্রিক বিনির্মাণের প্রত্যাশা সত্য হয়ে উঠুক- শহীদ বেদিতে দ্রোহী শোকের স্মারকে রাখা ফুলগুলো সৃজনের মহামন্ত্রে বৈশ্বিক বার্তা হয়ে ফিরুক, আধুনিক বাংলাদেশের রাজনীতিতে ৫২ থেকে ২৪ সব শহিদানের অস্তিত্ব জানান দিক তাঁরা ছিল, আছে এবং থাকবে।

ক্তিজোটের সংগঠন প্রধান আবু লায়েস মুন্নার নেতৃত্বে সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহজামাল আমিরুলসহ পুষ্পমাল্য অর্পণের সময়, সহ-সভাপতি মোঃ আমানউল্লাহ আমান, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য শরীফ মোঃ বেদুইন হায়দার লিও, উত্তম কুমার, আক্তার হোসেন মোল্লা, মোঃ মামুন সিকদারসহ যুব মুক্তিজোট-এর আহ্বায়ক মোঃ আব্দুল আউয়াল, শ্রমিক মুক্তিজোটের আহ্বায়ক- মোঃ রাশেদুল ইসলাম খোকন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায় ফারুক মিয়া তালুকদার এছাড়াও কেন্দ্রীয় কমিটি, মহানগর ও বন্ধু সংগঠনসমুহের নেতা-কর্মীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

]]>
https://bgn24.com/?feed=rss2&p=4061 0
ভারত বাংলাদেশের অভিন্ন নদীগুলোর পানিবণ্টন আন্তর্জাতিক পানি আইন অনুযায়ী করতে হবে দাবি মুক্তিজোটের https://bgn24.com/?p=4058 https://bgn24.com/?p=4058#respond Wed, 19 Feb 2025 06:39:59 +0000 https://bgn24.com/?p=4058 ১৯শে ফেব্রুয়ারি ২০২৪ খ্রিঃ তারিখে মুক্তিজোটের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য (প্রচার)- মোঃ মামুন সিকদার স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে মুক্তিজোটের সংগঠন প্রধান আবু লায়েস মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহজামাল আমিরুল এ দাবি করেন।

তাঁরা বলেন কোনো রাষ্ট্র আপত্তি করলেই একটি অভিন্ন নদী থেকে উজানের দেশ মনের খুশিমতো পানি তুলে নিতে পারে কি না? নৈতিকভাবে একটি দেশের এই অধিকার নেই বলেই তো অধিকাংশ দেশের সম্মতিক্রমে একটি আন্তর্জাতিক পানি কনভেনশন প্রণয়ন করা হয়েছে। সর্বোপরি গঙ্গা চুক্তি করার সময়ই বলা হয়েছিল যে পর্যায়ক্রমে বাংলাদেশের অন্য সব অভিন্ন নদীর ক্ষেত্রেও ন্যায্যতার ভিত্তিতে এ ধরনের পানিবণ্টন চুক্তি করা হবে।

অথচ গত ১৬ই ফেব্রুয়ারি থেকে এই খরা মৌসুমে হঠাৎ তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তিস্তা পাড়ের কৃষক ও বাসিন্দাদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। এতে তিস্তায় জেগে ওঠা চরে পেঁয়াজ, মিষ্টি কুমড়া, ডাল ও বাদামসহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষতি হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। এলাকাবাসী মনে করছেন, তিস্তার পানি নিয়ে ভারত দায়িত্বহীন আচরণ করছে। উল্লেখ্য, প্রতিবছর এসময় তিস্তায় কোনো পানিপ্রবাহ থাকেনা। এই আচরনের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে এবং মুক্তিজোট সতর্ক করে বলেছে যে আপনারা আমাদের অধীকার নিয়ে খেলবেন না।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয় বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকা সত্ত্বেও ভারত তিস্তার সমাধান করেনি। সমতার ভিত্তিতে দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে পানিবণ্টন চুক্তির উদাহরণ এই উপমহাদেশেই আছে। সিন্ধু নদীর পানিবণ্টন প্রশ্নে পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের ১৯৬২ সালে স্বাক্ষরিত একটি চুক্তি আছে। নানা রাজনৈতিক ও ভৌগোলিক টানাপোড়েনের মধ্যেও দুই দেশ এই চুক্তিটি যথাযথভাবে মেনে চলছে। তাহলে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে ভারতের চুক্তি করতে বা মানতে বাঁধা কোথায়।

তিস্তা ব্যারাজ বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের তিস্তা অববাহিকার বিস্তীর্ণ এলাকায় সেচসুবিধা প্রদানের মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচনে ব্যাপক সহায়তা করে থাকে। কিন্তু ভারত জলপাইগুড়ির গজলডোবায় আরেকটি ব্যারাজের মাধ্যমে তিস্তার প্রায় সব পানি প্রত্যাহার করে নেওয়ায় বাংলাদেশ অংশের ব্যারাজটি হুমকির মুখে পড়েছে।

এদিকে বেশ কয়েকবার গঙ্গার মতো তিস্তা নিয়েও চুক্তির পরিকল্পনা করা হয়। ১৯৮৩ সালে তিস্তার পানির ৩৯ শতাংশ ভারত, বাংলাদেশ ৩৬ শতাংশ আর ২৫ শতাংশ নদীর জন্য বিবেচনায় নিয়ে খসড়া চুক্তি প্রস্তাব করা হয়। ২০১১ সালে ৪২ দশমিক ৫ শতাংশ ভারত, বাংলাদেশ ৩৭ দশমিক ৫ শতাংশ আর ২০ শতাংশ পানি নদীর বাস্তুতন্ত্র রক্ষার জন্য বিবেচনায় নিয়ে নতুন প্রস্তাব আসে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের আপত্তির কারণে তিস্তা চুক্তিতে স্বাক্ষরের বিষয়টি ঝুলে গিয়েছে।

তাঁরা প্রশ্ন তোলেন, যে ভারতের হাইকোর্ট ২০১৭ সালে নদীকে জীবন্ত মানুষের অধিকার দিয়ে আইন পাশ করে সেই রাষ্ট্র কিভাবে উজানে নদীতে বাঁধ দিয়ে নিম্নঅঞ্চলের অববাহিকাকে শুকিয়ে ফেলে। এটা কি তাদের করা আইনের লংঘন নয়।

তাই শুধু তিস্তা নয় সকল নদীর পানি বন্টন করতে হবে এবং তা আমাদের যথাযথভাবে দিতে হবে।

প্রসঙ্গতঃ দুই বা ততোধিক দেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত আন্তর্জাতিক নদীর পানিবণ্টন নিয়ে জাতিসংঘের কনভেশনটি হচ্ছে, দ্য কনভেনশন অন দ্য ল অব নন-ন্যাভিগেশনাল ইউজেস অব ইন্টারন্যাশনাল ওয়াটারকোর্সেস, ১৯৯৭। দ্বিপক্ষীয় বা আঞ্চলিক পানি চুক্তির ক্ষেত্রেও এই কনভেনশনটিকে ভিত্তি হিসেবে ধরার কথা বলা আছে। কিন্তু বাংলাদেশ বা ভারত—কেউই এই আইনটিতে স্বাক্ষর করেনি।

]]>
https://bgn24.com/?feed=rss2&p=4058 0
বড় মাইলফলকের দিকে নজর https://bgn24.com/?p=4054 https://bgn24.com/?p=4054#respond Thu, 23 Jan 2025 08:47:01 +0000 https://bgn24.com/?p=4054 ওয়েস্ট ইন্ডিজের মেয়েদের কাছে প্রথম ম্যাচে পাত্তাই পায়নি বাংলাদেশ। তাতে প্রত্যাশা কমে গিয়েছিল। দ্বিতীয় ম্যাচেও ব্যাটিং হয়নি জুতসই, তবু দুইশ’র কম পুঁজি নিয়ে বাংলাদেশ পেয়েছে ৬০ রানের ঐতিহাসিক জয়। এতে সরাসরি বিশ্বকাপ খেলার আশাও টিকে রয়েছে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের। সে দিকে তাকিয়ে আছেন অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি। আগের ম্যাচেও দুইশ’র নিচে পুঁজি গড়ে কোনো লড়াই করতে পারেনি বাংলাদেশ, এবার স্বল্প পুঁজি নিয়ে ম্যাচ জেতায় বড় ভূমিকা বোলারদের।

নাহিদা আক্তার, মারুফা আক্তারদের কৃতিত্ব দেন জ্যোতি। ম্যাচ শেষে তিনি বলেন,  ‘প্রথমত, আমি মনে করি যে, দলের বিশ্বাস ছিল। যদিও রানটা অনেক কম ছিল। এসব উইকেটে দুইশ’র বেশি রান না করলে বোলারদের জন্য কাজটা অনেক কঠিন। তবে আমরা যখন মাঠে নামি, এর আগেই বলছিলাম যে, সবাই যেন জয়ের বিশ্বাস রাখি। কারণ, আমরা যদি জায়গায় বল রাখতে পারি, পরিকল্পনা অনুযায়ী সময়মতো উইকেট নিতে পারি, তাহলে (জেতা) সম্ভব।’ দলের প্রতিটি বোলার কিংবা ফিল্ডার সকলে শতভাগের বেশি দিয়েছে জানিয়ে বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেন, ‘প্রতিটি বোলার, প্রতিটি ফিল্ডার যেভাবে ১১০ ভাগ দিয়েছে এবং চেষ্টা করেছে, সেটা অসাধারণ ছিল। সবার চেষ্টায় এরকম একটা জয় সম্ভব হয়েছে।’ এদিন টস জিতে আগে বল করতে চেয়েছিল বাংলাদেশ। টস হেরে ব্যাট করতে গিয়ে বিপর্যয়ে পড়ে দল। পরে দলকে একাই টানেন জ্যোতি। নিজের তৃপ্তি জানিয়ে জ্যোতি বলেন, ‘আমাদের পরিকল্পনা ছিল আগে বল করার। টসে হেরে যখন ব্যাটিংয়ে গেছি, যেহেতু ভালো ট্র্যাক, আমাদের লক্ষ্য ছিল দুইশ’র বেশি রান। সেটা আমরা পারিনি। আমি চেষ্টা করেছি, নিজের ধরনের বাইরে গিয়ে অনেক বেশি বল খেলতে এবং থিতু হতে। এখন দিন শেষে মনে হচ্ছে, রানগুলো অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল দলের জন্য এবং দলের জন্য অবদান রাখতে পেরে আমি অনেক বেশি খুশি।’ আগামী শনিবার শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের সামনে হাতছানি দু’টি। ম্যাচ জিততে পারলে দেশের বাইরে প্রথমবার সিরিজ জেতার পাশাপাশি সরাসরি বিশ্বকাপ খেলাও নিশ্চিত হয়ে যাবে। তবে বিশ্বকাপ খেলার সমীকরণ সরিয়ে সিরিজ জেতার মাইলফলকে মন দিয়ে চাপমুক্ত থাকার কথা জানালেন জ্যোতি।

তিনি বলেন, ‘সমীকরণের চিন্তা এখনো করছি না। প্রথম ম্যাচ হারার একদিন পরই দল এভাবে ঘুরে দাঁড়ালো, এটিই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এটা আমাদের অনেক বেশি কাজে লাগবে। দু’টি পয়েন্ট গুরুত্বপূর্ণ ছিল। মোমেন্টাম সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। দল সেটা পেয়েছে। শেষ ম্যাচে আমাদের চেষ্টা এটাই থাকবে। সিরিজ জয়ের একটা চেষ্টা থাকবে। দেশের বাইরে আমরা কখনো সিরিজ জিততে পারিনি। এটা অর্জন করতে পারলে আমাদের দলের জন্য অনেক বড় একটা মাইলফলক হয়ে থাকবে।’

]]>
https://bgn24.com/?feed=rss2&p=4054 0