আমাদের দেশে মহান মুক্তিযুদ্ধ সংগঠিত ও চুড়ান্ত বিজয়ের পরও পেয়ারে পাকিস্তান না থাকার একটা কষ্ট অনেকের মনে থেকে গেছিল। এই জাতীয় লোকদের আবার শ্রেণী বিন্যাস আছে যেমন একটা দল চেয়েছিল যে কোন মুল্যে পাকিস্তান থাক আর এক দল চেয়েছিল বাঙালী অধিকার প্রতিষ্ঠা পাক পুর্ব পাকিস্তান থাকার মাধ্যমে। বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর এই দুটো গ্রুপ ই বঙ্গবন্ধুর কড়া সমালোচক বনে গেল। সমালোচকরা সমালোচনা করেন গঠন মুলক কিন্তু স্বাধীন বাংলায় তারা কৌশলি বিরোধিতা শুরু করে। এটাকে সাইকোলজিক্যাল বিরোধিতা বলা যেতে পারে। তুমি পাকিস্তানেই ভালো ছিলে এই মানষিকতা স্বাধীন বাংলা বির্নিমানে আমাদের পিছিয়ে দেয়। আমাদের সাহিত্য গান কিম্বা শোষণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গিয়ে আমরা স্বাধনতাকে দায়ী করে থাকি। ব্যাপারটা খুনের দ্বায়ে পিস্তলের ফাঁশির মত। আমাদের সাহিত্য গুলো নেতিবাচক আর হতাশা মুলক।
এই আলোচনা টা অপ্রয়োজনীয় মনে হতে পারে তবে এই কারনে বল্লাম বঙ্গবন্ধুকে কি পরিমাণ বিপরীত স্রোত পাড়ি দিতে হচ্ছিল। আজও দেখেন আমাদের গানের লাইন ” হয়তোবা ইতিহাসে তোমাদের নাম লেখা রবে না ” অথচ বাঙালী জাতি যতদিন থাকবে ততদিন মুক্তিযোদ্ধারা থাকবেন সবার অন্ততে। কিম্বা “মোরা চির বঞ্চিত এক মানব সমাজ পথের ধুলোর পড়ে রই, স্বাধীন হয়েছে মোর স্বদেশ ভুমি আমাদের স্বাধীনতা কই “। দেশ আর স্বাধীনতাকে একহাত নিতে পারলে যেন আমরা হাফ ছেড়ে বাঁচতে পারি। যাহোক এবার আশি রক্ষী বাহিনী নিয়ে কিছু কথা বলতে। অনেক সমালোচকরা বলে থাকেন বঙ্গবন্ধু নিজের স্বার্থে এই বাহিনী গঠন করেছিলেন ও নিজের লক্ষ লক্ষ লোক তাতে নিয়োগ দিয়েছিলেন।
১৯৭৫ পরবর্তী সময়ে যখন সেনাবাহিনীর সাথে রক্ষী বাহিনীর একাভুত করা হয় তখন লোক পাওয়া ১৪ হাজার। আমরা এমন এক অদ্ভুত জাতি। প্রিয় পাঠক আমরা এই শিরোনাম নামে রক্ষী বাহিনীর পুরো ইতিহাস ও সমালোচনা উত্তর উপস্থাপন করবো প্রত্যাশা করি আপনারা বিচার বিশ্লেষণ করবেন। আমরা উদাহরণ দিয় টাঙ্গাইলের আনোয়ার উল আলম শহীদ সাহেবের তিনি “রক্ষীবাহিনীর সত্যি মিথ্যা নিয়ে বই লিখেছেন, প্রকাশক অভিজাত প্রকাশনা সংস্থা প্রথমা। এই বইটির ওপর লেখক-গবেষক মহিউদ্দিন আহমদের একটি রিভিউ এই প্রথম আলোতে গত ৬ আগস্ট ‘রক্ষীবাহিনীর উত্থান ও পতনের কাহিনি’ শিরোনামে প্রকাশিত ও হয়েছে। সেটা তুলে ধরা হল।
“আনোয়ার উল আলম শহীদকে আমি ৩৫ বছর ধরেই ঘনিষ্ঠভাবে জানি। ১৯৭৯ সালের শেষ দিকে আমি যখন জাকার্তায় আমাদের দূতাবাসে কাউন্সেলর ও মিশনের উপপ্রধান হিসেবে যোগ দিই, শহীদ তখন ওখানে ফার্স্ট সেক্রেটারি। এর আগে রক্ষীবাহিনীর ডেপুটি ডিরেক্টরের পদ থেকে তাঁকে সামরিক বাহিনীতে লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদে আত্তীকরণ করা হয়। ওখান থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বদলি এবং সেখান থেকে জাকার্তায়।
দুই আনোয়ার উল আলম শহীদ জাকার্তা থেকে বদলি হয়ে যান কুয়ালালামপুরে, আমি জেদ্দায়। কুয়ালালামপুর থেকে তিনি যান ব্রুনাই দারুস সালাম, সেখান থেকে হংকং। শেষ জীবনে তিনি অতিরিক্ত সচিব, সচিব মর্যাদায় বাহরাইন ও স্পেনে আমাদের রাষ্ট্রদূত। ব্রুনাই থাকাকালে ড. সফিক সিদ্দিকী যখন হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন, তখন শেখ রেহানার ডাকে প্রথম ছুটে যান তাঁর স্ত্রী ডা. সাঈদা খান।
এ ঘটনা আমি বছর পনেরো আগে প্রথম পড়ি ড. সফিক সিদ্দিকীর আত্মজীবনীমূলক বইয়ে। টাঙ্গাইলে শহীদ নিজের বাড়িতে প্রতিষ্ঠা করেছেন ছোটখাটো একটি মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর; আর তাঁর স্ত্রী স্থাপন করেছেন তাঁদের গ্রাম ইছাপুরে একটি ক্লিনিক। আনোয়ার উল আলম শহীদ তাঁর এই বইয়ে যে কথাগুলো লিখেছেন, তার বেশির ভাগই ৩৫ বছর ধরে আমি তাঁর কাছ থেকে শুনে আসছি। এসব কথা শোনার পর তাঁর ওপর আমার চাপ ও তাগিদ আরও দৃঢ় হয়েছে যে এই কথাগুলো দেশের মানুষেরও জানানো জরুরি। বঙ্গবন্ধু ও রক্ষীবাহিনীকে নিয়ে অনেক বছর অপপ্রচার চলেছে, বিশেষ করে বঙ্গবন্ধুকে ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট সপরিবারে হত্যার পর। বঙ্গবন্ধুবিদ্বেষীরা স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় তাঁর নেতৃত্ব এবং অতুলনীয় অবদানের কারণে তখন তাঁকে সহ্য করতে পারেনি। এখনো পারে না। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর তাঁর নাম উচ্চারণ করাটা যখন নিষিদ্ধ ছিল, তখন তাঁকে আক্রমণ করার জন্য এই রক্ষীবাহিনীর সৃষ্টিকেও তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হয়েছে, রক্ষীবাহিনীর অত্যাচার, নির্যাতন, বাড়াবাড়িকে উদাহরণ হিসেবে বারবার উল্লেখ করা হয়েছে একপক্ষীয় প্রচারণায়। র্যাব’ গঠিত হওয়ার পর রক্ষীবাহিনী গঠনের প্রয়োজনীয়তা নতুন করে বুঝতে পারি। ১৯৭২-৭৫ সময়কাল তো আরও বেশি ভয়ংকর ছিল। ‘র্যাব’-এর ‘ক্রসফায়ার’, ‘এনকাউন্টারে’ এখন বেশি মানুষ মারা পড়ছে? নাকি তখন রক্ষীবাহিনীর হাতে চরমপন্থী, উগ্রপন্থীরা বেশি? বাংলাদেশ বিরোধীরাও তো সাংঘাতিকভাবে সক্রিয় তখন। চীনপন্থীদের একাংশ তখন মুক্তিযুদ্ধকে দুই কুকুরের লড়াই বলে উপহাস করত। ১৯৭৪ সালের ২৭ জুন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলী ভুট্টোর বাংলাদেশ সফরকালে ঢাকায় রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে তাঁকে যে সংবর্ধনা দেওয়া হয়, তা কারা দিয়েছিল? এরা তো আমাদের ‘একাত্তর’কেই প্রকাশ্যে চ্যালেঞ্জ করল।
৩০ লাখ শহীদকে অস্বীকার করল। তারপর আমাদের অবশ্যই মনে রাখতে হবে, জাসদের কিছু উগ্রপন্থী এই ঢাকা শহরের কেন্দ্রে মিন্টো রোডে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্যাপ্টেন মনসুর আলীর বাড়ি ঘেরাও করেছিল ১৯৭৪ সালের ১৭ মার্চ। ঔদ্ধত্য কারে কয়? আর ওই বছরের ৭ এপ্রিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাত ছাত্র হত্যার অভিযোগে এখন ‘জাগপা’প্রধান শফিউল আলম প্রধানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তখন বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধু, বাঙালি—এসবের বিরুদ্ধে তীব্র বিদ্বেষ ছড়ানো হচ্ছিল। তবে এটাও রূঢ় সত্য যে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ—সব ‘লীগ’ নামধারীদের দখল প্রতিযোগিতা চলছিল, পাকিস্তানিদের বাড়িঘর, জমিজমা, ফ্যাক্টরি—কোনো নিয়মকানুনের বালাই ছাড়া। বাবার মৃত্যুসংবাদ শুনে ১৯৭৩ সালের এপ্রিলে দিল্লি থেকে সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথম এলাম। এর মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে লন্ডন থেকে বদলি হয়ে দিল্লি এসেছি। ঢাকা থেকে ফেনী, চারটি বড় বড় ফেরি, সকাল আটটায় রওনা হয়ে বিকেল চারটায় ফেনীতে গ্রামের বাড়িতে পৌঁছালাম। (সেদিন ২৫ আগস্টও আট ঘণ্টা লেগেছে, যাত্রাবাড়ীর ট্রাফিক জ্যামের কারণে।)
বাড়িতে যে কদিন থাকলাম, অনেকের মুখে এক কথা—রক্ষীবাহিনীর সবাই ভারতীয়, আসামের বা দক্ষিণ ভারতের, তা না হলে গায়ের রং এমন কালো কেন? আর এই যে মুহুরী নদীর পানিতে বন্যা হয়েছে, সবই বন্ধুরাষ্ট্রের পানি। বাংলাদেশকে ‘স্যাবোটাজ’ করে ভারতনির্ভরতার জন্য ভারত সব পানি ছেড়ে দিয়েছে! এসব লোককে তখন কে বলবে, ’৭১ সালের ভারতের সাহায্য না-হয় না-ই বলা হলো, কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংকের ফরেন এক্সচেঞ্জ অ্যাকাউন্ট তো ভারতের দেওয়া ডলার-পাউন্ড দিয়েই শুরু হলো; পেঁয়াজ, মসলাপাতি, সস্তা লুঙ্গি-শাড়ি, এমন সব নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পাশের ভারত ছাড়া প্রতিযোগিতামূলক দামে আর কোথাও পাওয়া যায় না।
রক্ষীবাহিনীর বিরুদ্ধে উত্থাপিত কতগুলো অভিযোগ রক্ষীবাহিনীর তৎকালীন তিন ডেপুটি ডিরেক্টরের কনিষ্ঠতম আনোয়ার উল আলম শহীদ স্বীকার করেছেন। বঙ্গবন্ধু এই রক্ষীবাহিনী প্রতিষ্ঠা করে এত নিন্দিত হলেন অথচ বঙ্গবন্ধুকে রক্ষায় বা তাঁকে হত্যার পর দুর্বৃত্তদের প্রতিরোধে বা প্রতিবাদে রক্ষীবাহিনী কিছুই করতে পারল না, সেই ব্যর্থতার অকপট স্বীকৃতি আছে বইয়ে। শহীদ বলছেন, সেদিন তোফায়েল আহমেদ ছাড়া আর কেউ এতটুকু সাহস দেখাতে পারেননি। তিনি শেরেবাংলা নগরে রক্ষীবাহিনীর ‘হেড অফিসে’ এসেছিলেন। আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের কাছে নির্দেশ চেয়েও পাননি। কতগুলো জায়গায় তাঁরা ছোটাছুটি করেছেন, কিছুই করতে পারেননি। শহীদ পরিবার আয়েশা ফয়েজ এবং তাঁর সন্তান হুমায়ূন আহমেদ, ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল, আহসান হাবীবদের যখন মোহাম্মদপুরে তাঁদের বরাদ্দ করা বাড়ি থেকে রক্ষীবাহিনী উচ্ছেদ করল, তখন রক্ষীবাহিনীর প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নূরুজ্জামান দ্রুত শহীদজায়া আয়েশা ফয়েজের কাছে ক্ষমাও চেয়েছিলেন।
আনোয়ার উল আলম শহীদ ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগের নেতা ছিলেন এবং সলিমুল্লাহ মুসলিম হল স্টুডেন্টস ইউনিয়নের জেনারেল সেক্রেটারি ছিলেন। ’৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে কাদের সিদ্দিকীর বাহিনীতে নেতৃত্বেও ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ ছিলেন। সরকার ও আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের, মওলানা ভাসানী এবং অন্য সব দলের নেতাদেরও কাছ থেকে দেখেছেন।” এই মুল্যায়নের পর আনোয়ার উল আলম শহীদের বই থেকে রক্ষী বাহিনীর গঠনের ইতিহাস তুুুুলে ধরছি লেখাটি বড় করছি না কারন আমাদের পাঠকরা লম্বা লেখা পড়তে চাই না, তাই ধারাবাহিক ভাবে লিখবো। ১৮ ই ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে মন্ত্রী পরিষদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় মুক্তিবাহিনীর সদস্যদের নিয়ে একটা জতীয় মিলিশিয়া বাহিনী গঠন করার।১৮ ই ডিসেম্বর মিলিশিয়া বাহিনী গঠনের জন্য জাতীয় মিলিশিয়া বোর্ড গঠন করা হয়। তাজউদ্দীন আহমদ কে সভাপতি করে ১১ সদস্যের কমিটির গঠন করা হয়। কমিটিতে আরও ছিলেন মওলানা ভাসানী সাহেব, অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ, কমরেড মনি সিং, এ এইচ এন কামরুজ্জামান, মনোরঞ্জন ধর,গাজী গোলাম মস্তফা,রফিক উদ্দিন ভুঁইয়া, ক্যাপ্টেন সুজাত আলি, তৎকালিন তরুন নেতা তোফায়েল আহমেদ ও আব্দুর রাজ্জাক। বাকিটা সবার জানা বঙ্গবন্ধু ১০ জানুয়ারী ১৯৭২ সালে দেশে আসেন আর ১২ই জানুয়ারী তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব ভার গ্রহণ করেন। এরপর ১৯৭২ সালের ২৪ জানুয়ারী একটা প্রস নোটে বলা হয় ১।অনতিবিলম্বে একটি জাতীয় মিলিশিয়া বাহিনী গঠন করা হইবে। তালিকা ভুক্ত হোক বা না হোক সকল মুক্তি যোদ্ধাদের এর আওতায় আনা হবে। ২। প্রত্যেক মহাকুমায় সেই এলাকার গেরিলাদের জন্য শিবির প্রতিষ্ঠা করা হইবে। শিবির পরিচালনা ব্যবস্থা এমন হইবে যেন যুবকদের পুর্নগঠনের উপযোগী করিয়া প্রয়োজনীয় ট্রেনিং দেওয়া সম্ভব হয় । ৩। মহাকুমা ভিত্তিক শিবির গুলো সেই এলাকার সমস্ত গেরিলা বাহিনীর মিলনকেন্দ্র হইবে। ৪। উর্ধ্ব পক্ষে ১১ জন সদস্য নিয়া জাতীয় মিলিশিয়ার জন্য একটা কেন্দ্রীয় বোর্ড গঠন করা হইবে।বোর্ডের সদস্যদের সরকার কতৃক মনোনীত করা হবে । ৫। প্রত্যেক মহাকুমা শহরে জাতীয় মিলিশিয়ার জন্য মহাকুমা বোর্ড থাকবে। এখানেও অনাধিক ১১ জন ও সরকার কতৃক মনোনীত হবেন। ৬।প্রতিটি শিবিরের অস্ত্র সস্ত্র কার্যোপযোগী অবস্থায় রাখা গুদাম জাত করা ও হিসাব পত্র রাখার জন্য একটি করিয়া অস্ত্রগার থাকিবে। ৭।ট্রেনিং কার্যক্রম এমন ভাবে পরিচালনা করা হইবে যেন এই যুবকগন নিম্ন বর্নিত ভুমিকা পালন করতে পারে। ক) তারা যেন দেশের ২য় রক্ষা বাহু হইতে পারে। খ) যখনি নিদিষ্ট ভাবে প্রয়োজন হইবে তখনি যেন তাহারা আইন শৃঙ্খলা রক্ষা পুর্নবাসন উপযোগী হইতে পারে। গ)দেশের পুর্নগঠনের কাজে সরকারি সহায়তা হয় এমন বিভিন্ন কাজের কাজের উপযোগী হন। ৮। অস্বাস্থ্যকর বাসস্থান, অপুষ্টকর খাদ্য এবং অপর্যাপ্ত বেতন ভাতার কারণে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে গেরিলাদের বিরাট অংশ অনেক কষ্ট ভোগ করেছেন তাই এবার এসবের প্রতি বিশেষ নজর দেওয়া হইবে। তাহলে বলা চলে রক্ষী বাহিনী বঙ্গবন্ধু নিজের স্বার্থে করেননি বরং মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়া জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের কে দেশ গঠনের কাজে লাগাতে চেয়েছেন। এ এম এম নুরুজ্জামান কে এই বাহিনীর দায়িত্ব দেওয়া হয়।
তিনি আগরতলা মামলার আসামি ছিলেন এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনী গঠনের কাজে যে কজন উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা ছিলেন তাদের অন্যতম। পরবর্তী লেখায় আরও সমালোচনার জবাব দিব।…..চলবে।