গনমাধ্যামকে একটি দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ বলা হয়। আমাদের দুর্ভাগ্য আমাদের নিরপেক্ষ গণমাধ্যম গড়ে উঠেনি। যারা আছেন তাদের বেশীর ভাগ নিরপেক্ষতার অভাবে দুষ্ট । আবার নিরপেক্ষতারও একটি সীমাবদ্ধতা আছে। আমি বা আমরা বিশ্বাস করি নিরপেক্ষ মানে সর্বমতে বিরোধিতা নয় বরং যৌক্তিক বিষয়ে কারো পক্ষ না নিয়ে অবস্থান নেওয়া।
আমরা bgn24.com একটি অন লাইন নিউজ পোর্টল।
আমরা প্রচলিত সংবাদ গুলো কে আমাদের নিরপেক্ষতার মাপ কাঠিতে বিচার বিশ্লেষণ করে মানুষের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করি। অনুসন্ধিৎসু মানুষ তা পাঠ করে যদি তার একটু জানার তৃষ্ণা মেটে বা মেটাতে পারে আমরা তাতেই খুশি। আমরা দেখলাম একটি নিউজ যা কাতার ভিত্তিক বেসরকারী চ্যানেল আল- জাজিরা প্রচার করলো এবং তা নিয়ে আমাদের গণমাধ্যম চুপ।
গণমাধ্যমের এখানে একটা ভুমিকা থাকা দরকার। একটি বেসরকারী টেলিভিশন চ্যানেল কোন প্রকার বিচার বিশ্লেষণ ছাড়া একটি ব্যাক্তির কথার উপর রিপোর্ট করে ফেললো আমরা কি তাদের তথ্যের উৎস জানতে পারিনা। জানতে কি পরিনা সেনাপ্রধান এত শক্তিশালী হলে কেন তিনি অখ্যাত লোক খোজেন। বিষয়টি আমাদের রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যায় আমরা তা প্রতিহত না করে অনেকেই ভিডিও শেয়ার করছি গোপনে । বিষয়টি মনে হচ্ছে যেন এটা একটা পর্নোগ্রাফি গোপনে তা শেয়ারিং হচ্ছে।
আমরা এই সংবাদের ভিত্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলে এটার ফলে কি কি হতে পারে সেটার আলোচনায় আসতে চাই। আল- জাজিরা সহ সকল বড় বড় গন মাধ্যাম গুলির প্রতি শ্রদ্ধা রেখে বলি এই জাতীয় নিউজের পিছনে একটা বিরাট উদ্দেশ্য থাকে। যদিও আপাতত আমরা জানিনা কি সেই উদ্দেশ্য । আমাদের দেশ একটি গতিতে চলছে আর এই চলার পথে আছে অনেক উন্নয়ন মুলক কাজ। যারা আমাদের তলাবিহীন ঝুড়ি বলেছেন,আমাদের জিএসপি সুবিধা বাতিল করেছেন তারা কিন্তু আমাদের দমিয়ে রাখতে পারছেনা। একটি দেশ যতবেশি অর্থনৈতিক ভাবে এগিয়ে যাবে ততই তার পরনির্ভরশীলতা কমবে।
আমাদের মত দেশের উন্নতির জন্য একটা সরকারকে বেশি সময় থাকা দরকার আর এখন সেটা হচ্ছে যেটা কারো কারো সমস্যা । মনে করেন ধরে নিলাম দেশটি মাফিয়াদের দ্বারাই চলছে এতে কি আল জাজিরার কোন লাভ বা ক্ষতি আছে? । আমার দেশের কেউ কি আল জাজিরাই গিয়ে মায়া কান্না করেছে আমার দেশ বাঁচান। আল জাজিরা কি হঠাৎ মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন দেশটি নিয়ে অতি চিন্তিত হয়ে পড়লো। না ব্যাপারটি এ রকম না। আমরা আমাদের দেশে মৌলবাদীদের আস্ফালন দেখেছি, দেখেছি আগুন সন্ত্রাস। আবার এই দেশ ৩৬০ আউলিয়ার দেশ কোটি কোটি ইসলাম প্রিয় লোকও আছে।শান্তি পুর্ন ভাবে আরও কিছু ধর্মের এবং কিছু ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর লোকও আছে ।
এদেশে ইসলামের সত্য ও সঠিক প্রচার চলছে, কাওমীরা পেয়েছে সমমান এদেশে হাফেজ, মোহাদ্দেস, আলেমদের সম্মান করা হয়। এখনে নেই জঙ্গিবাদ। আল জাজিরা তো এক সময় আল কায়দা, আই এস এর মুখ পাত্রের মত কাজ করতো সবাই দেখেছে। দেখতে আল -জাজিরা কি কি উদ্দ্যেশ নিয়ে কাজ করছে । কি কি উদ্দেশ্য তা না জানা গেলেও বর্তমান সরকারের পতন যে তারা চাই এটা নিশ্চিত।
বর্তমান সরকারের সবচেয়ে বড় অপরাধ কি? তারা বিশ্ব ব্যাংককে পাত্তা দেয়নি, তারা আমেরিকাকে পাত্তা দেননি। আমেরিকার নীল নকশা বস্তবায়নের প্রথম হাতিয়ার উগ্র মৌলবাদীদের আস্ফালন তাও সরকার বন্ধ করেছে, এদেশের সমুদ্রবন্দর ব্যাবহার করতে দেয়নি। আর যা করেছে এই সরকার তা হলো মুক্তিযুদ্ধ চেতনা বিরোধী একটি শক্তিকে এ সরকার ক্ষমতাই আসতে দেয়নি। কাজেই এই সরকার কে বিপদে ফেলতেই হবে সে লক্ষ্যে আল-জাজিরা এই রিপোর্ট করেছে।
এবার আসি আমাদের দেশ নিয়ে একটি মিশ্র মনোভাবের একটা জাতি আমরা আমাদের চালানো কম কথা নয়। এতবেশী প্রতিকুলতা পার করে দেশ শাসন কেউ কি কখনো করেছে আমাদের দেশে। আমরা আশাবাদী সরকার ব্যাপারটি দেখবে । দেশের মানুষ আগের চেয়ে ভালো আছে এই করোনা কালে। একটা রাস্ট্রের জন্য এর চেয়ে ভালো কি আর হতে পারে।এবার দেশে ৭০,০০০ গৃহহীন পরিবার বাড়ি পাচ্ছে।
তারপরও হাজার হাজার মানুষ খোলা আকাশের নিচে ঘুমায়, বস্তিতে মানুষ মানবতর জীবন যাপন করছে,খুন,গুম তো আছেই , নকল ওষুধ , ভেজাল খাবার,ধর্ষণ, , বাস চাপা দিয়ে ছাত্র হত্যা, ধর্মের নামে ব্যবসা , নোংরা রাজনীতি,কথায় কথায় মানুষ মারা, যৌতুক , এসিড , ক্ষুধার্ত/ শীতার্ত মানুষর কান্না।
আপনারা কি তা শোনেন। একজন ভাবছে তিনি গনতন্ত্রের মানুষ কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। আপনারা যারা আল-জাজিরাকে বাহবাও দেন তারা কি দেশের জন্য সবার জন্য এতটা ভাবেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ভাবেন যখন তার দলের মধ্যে নানা সমস্যা, আবাদ সম্পদের লোভে দল ভারি হচ্ছে আপনাদের মত সুবিধাবাদিদের নিয়ে। এখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হাতে উপাই কি আছে তা দমনে। ডাকাতের হাতে বন্দুক আর পুলিশের কাছে বন্দুক এক কথা না। শেখ হাসিনা কে যা কিছু করতে হচ্ছে তা দেশের স্বার্থে।
দেশকে বাঁচাতে বঙ্গবন্ধুর কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বিকল্প নেই এখনো পর্যন্ত। আমরা তাঁর দীর্ঘায়ু কামনা করি। আর প্রতাশ্যা করি তার হাত দিয়েই ধংশ হোক চলমান অন্যায় গুলোর।
দায়িত্বশীল গণমাধ্যম হিসাবে আমরা আমাদের অবস্থান পরিষ্কার করলাম। বাংলাদেশ চিরজীবি হোক।
বেদুুইন হায়দার লিও
সম্পাদক ও প্রকাশক, bgn24.com