সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটা ভিডিও বেশ ভাইরাল। ঢাকার কারওয়ান বাজারের এক তরমুজ বিক্রেতা বলছেন, ‘ওই কী রে! ওই কী রে!’ পরক্ষণেই বলছেন, ‘মধু মধু!’ মধুর সঙ্গে তুলনা না করলেও তরমুজ আদতে নানান পুষ্টিগুণে ভরপুর। পানিসমৃদ্ধ ফলটিতে আছে প্রচুর ভিটামিন এ, সি, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম এবং অন্যান্য পুষ্টিগুণ। তরমুজের শাঁসেই যে সব পুষ্টি থাকে, তা নয়; এর সাদা অংশটিও দারুণ পুষ্টিগুণে ভরপুর। আর তা খাওয়া চলে অনায়াসে। জেনে নিন মহৌষধি গুণের কথা।
তরমুজের সাদা অংশ, অর্থাৎ এর বহিরাবরণ ও লাল শাঁসের মাঝখানে যে অংশটুকু থাকে, তাতে পাবেন সিট্রুলিন নামে একধরনের নন-এসেনশিয়াল অ্যামিনো অ্যাসিড। এটি খেলে আমাদের কর্মক্ষমতা বাড়তে পারে কল্পনার চেয়েও অধিক।
সিট্রুলিন আমাদের রক্তনালির প্রসারণ ঘটায়। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল লাইব্রেরি অব মেডিসিনের গবেষণা বলছে, সিট্রুলিন মাংসপেশিতে অক্সিজেনের জোগান দেয়। ফলে কর্মক্ষমতা বাড়ে।
খাবেন কীভাবে? উত্তর হলো, তরমুজের লাল শাঁসের মতো এমনিতেই খেতে পারেন। চাইলে চাটনি বানিয়েও খাওয়া যায়। যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণের রাজ্যগুলোতে তরমুজের সাদা অংশের চাটনি প্রাচীন চিকিৎসাপদ্ধতির একটি অংশ।
আমেরিকান জার্নাল অব হাইপারটেনশন যে গবেষণা চালিয়েছে, তাতে দেখা গেছে, তরমুজের সাদা ও অন্যান্য অংশ প্রাপ্তবয়স্কদের উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে দারুণভাবে সাহায্য করে। শুধু তা-ই নয়, তরমুজে যে সিট্রুলিন আছে, সেটিও উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। তরমুজ মূত্রবর্ধকও বটে। ফলে এটিও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।
তরমুজের খোসা ফাইবার বা আঁশের সমৃদ্ধ উৎস। আর এটা তো জানা কথাই, ফাইবারসমৃদ্ধ খাবারের অনেক উপকারিতা। একবার চলুন ফাইবারের কী কী উপকারিতা, তাতে চোখ বুলিয়ে নিই—
সূত্র: হেলথলাইন