শিরোনাম
শুরু হতে পারে শৈত্যপ্রবাহ!! বিজয়ের এই মহান দিনে পৃথিবীর সব মানুষকে মুক্তিজোটের শুভেচ্ছা শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে সরকারী ছুটির দাবি মুক্তিজোটের অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দলকে মুক্তিজোটের অভিনন্দন বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে মুক্তিজোট সারজিস আলম ও হাসনাত আবদুল্লাহকে ট্রাকচাপা দিয়ে হত্যার চেষ্টা ফ্যাসিস্ট নির্মুলে কর্তৃত্ববাদী শাসন ব্যবস্থার পরিবর্তে ক্ষমতার বিকেন্দ্রীভুত-কেন্দ্রীকরণ করার কথা বলেন মুক্তিজোটের সাধারণ সম্পাদক কাঞ্চনজঙ্ঘা ট্যুর (Kanchenjunga Tour) ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানিয়েছে মুক্তিজোট নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনে মুক্তিজোটের ১২ প্রস্তাব
সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:১৫ পূর্বাহ্ন

শ্রমিকের ঘামে ভেজা পথে দেখ..

বেদুইন হায়দার লিও, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক,বাংলা গ্রিন নিউজ / ৬৭৫ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : রবিবার, ৯ মে, ২০২১

আমাদের দেশে করোনা থেকে বাঁচার জন্য লক ডাউন চলছে।এটা সাড়া কোন উপায় নেই আমাদের হাতে। লকডাউনে চালু আছে গার্মেন্টস ও জনগুরুত্বপূর্ণ কারখানা। এখানে যারা কাজ করে তারা কারা তারা শ্রমিক। এখানে বাইরে বেরুতে নিষেধ করা হচ্ছে কারন করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি আছে। কিন্তু এখানে যারা কাজ করছে তাদের কি ঝুঁকি নাই। এবার তাদের কথা বলি এই যারা গার্মেন্টসে কাজ করে তারা সারা বছর পর দুই ঈদে ছুটি পায়, তাও  আবার জেনারেল ডিউটি করার পর মানে শুক্রবার বা ছুটির দিনে কাজ করে অর্জন করা ছুটি।  সেটা কেটে নেওয়া কতটুকু ন্যায় সংগত তা প্রশ্নের দাবি রাখে। দেশে একশ্রেণির  মানুষ সারা বছর বসে বসে বেতন নিচ্ছে আর আরেক শ্রেণির মানুষ করোনার ভয় কে মাথায় নিয়ে কাজ করে অর্জন  করা ছুটি এক নোর্টিশে বাদ দেওয়ার একবার চিন্তা করা উচিৎ কি না। 

বাংলাদেশ সহ সারা বিশ্ব করনোর কারনে বির্পযয়ের মুখে এখানে বাঁচার জন্য লক ডাউন। লকডাউনের অবশ্যই দরকার আছে কিন্তু লকডাউন দিয়েও বার বার গার্মেন্টস খোলা রেখে শ্রমিকদের করোনা ঝুকিতে ফেলে দিয়ে ঈদে বাড়ী গেলে করোনা হবে এই ভয় দেখালে তারা কি ভীত হবে? অবশ্যই  না। কৃতদাস প্রথা হয়ত বিলুপ্ত তবে শ্রমিক রা আসলে কতটুকু স্বাধীনতা ভোগ করে। তাদের স্বাস্থ্য নিয়ে কেউ কখনই সে ভাবেনি। ভাবলে আলাদা ব্যাবস্থা থাকতো।

এই মালিকগন চাইলেই করতে পারতো।কিন্তু তারা তো শ্রমিক শ্রেণির তারা আসলে আমাদের সমাজের নিপীড়িত, বঞ্চিত, শোষিত সমাজের মানুষ। তাদের রক্তে গড়ে উঠে আমাদের সভ্যতা কিন্তু তাদের ভাগ্যের পরিবর্তন হয় না। সিনেমার গল্পের মত হিরক রাজা যেমন মগজ ধলায়ের ব্যাবস্থা করেছিল। জানিনা তেমন চলছে কিনা। স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজ করা গার্মেন্টসের ক্ষেত্রে এর চাইতে বড় হাস্যকর আর কি হতে পারে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজ করতে বলতে পারেন কিন্তু স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাড়ী যাওয়ার ব্যবস্হা করতে পারেন না?।য়ার কারণে শ্রমিক আন্দোলন দানা বাঁধে।প্রানের দাবি মানুষ করবেই।সারাবছর ঢাকায় এমন হাড়ভাংগা খাটুনি খাটে মন একটু চাইতেই পারে নিজের এলাকায় একটু ঘুরে নিজেকে আবার কাজের জন্য প্রস্তুত করা।

তাইতো একটু বেশি ছুটি পেলে বরং পরবর্তী কাজে মানষিক কারনে মনোযোগ বেশি হবে। শনিবার (৮ মে) দুপুরে গ্রিনবাংলা গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের সভাপতি সুলতানা বেগম  বলেন, ‘ঈদের আগে শ্রমিকরা রাস্তায় নেমে আন্দোলন করুক আমরা সেটি চাই না। আমরা তাদের দাবি-দাওয়া বিষয়ে গার্মেন্টস মালিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি।

শ্রমিকদের দাবি বাস্তবায়নে মালিক, শ্রমিক ও বিজিএমইএ’র সদস্যরা মিলে ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে বসার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। দুপুর আড়াইটায় বিজিএমইএ ভবনে এ সভা বসবে।তবে আলোচনা করে যাই হোক দরকার ওদের ছুটি। সেই বিখ্যাত গানের মত ” আমি বৃষ্টির কাছ থেকে কাঁদতে শিখেছি আমার আর কান্নার ভয় দেখিয়ে কোন লাভ নেই”  এট মত। এই শ্রমিক গন আমাদের সেলাই দিদি মনিরা করোনার মধ্যে ও বাঁচতে শিখেছে কাজ করতে শিখেছে তাই বাড়ি গেলে করোনা হবে এমন ভয় ওরা পাবেনা।

ওদের ছুটি বাড়ানোটা এখন মানবিক দাবি। আজ রাজপথ ভিজে আছে শ্রমিকের ঘামে। একটু ছুটি বাড়িয়ে দেন সেই ঘামের দামে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ