স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শাহাদত হোসেন বলেছেন, লাইফস্টাইল ও খাদ্যাভ্যাস নিয়ে সচেতনতা তৈরি হলে আমাদের ৮০ ভাগ রোগ কমে যাবে। এই সময়ে আমাদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন আমাদের স্বাস্থ্যসচেতনতা।
তিনি বলেন, অ্যান্টিবায়োটিকের অতিরিক্ত ব্যবহার কমিয়ে প্রাকৃতিক উপায়ে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো প্রয়োজন। স্বাস্থ্যসচেতনতা বাড়লে করোনার মতো বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে।এজন্য সরকার লাইফস্টাইল ও হেলথ প্রমোশনের জন্য ২৮৭ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে।
রাজধানীর ধানমণ্ডির একটি হোটেলে বুধবার রাতে আমেরিকান সেন্টার ফর রিজেনারেটিভ হেলথের উদ্যোগে আয়োজিত কোভিড ১৯ সুরক্ষায় স্বাস্থ্য বিষয়ক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শাহাদত হোসেন বলেন, স্বাস্থ্যখাতে সুদূরপ্রসারী অনেক পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এজন্য অনেক আন্তর্জাতিক পুরস্কারও পেয়েছে বাংলাদেশ। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ভ্যাকসিন হিরো উপাধিতেও ভূষিত হয়েছেন।
করোনাকালে সরকার স্বাস্থ্যসেবায় ব্যাপক গুরুত্ব দিয়েছে উল্লেখ করে অতিরিক্ত সচিব বলেন, করোনাকালে আইসিইউ কয়েকগুণ বৃদ্ধি করা হয়েছে। গত বেশ কয়েক বছরে সরকার স্বাস্থ্যখাতে ব্যাপক পরিবর্তন করেছে। এখন জেলা শহরগুলোতেও আইসিইও সুবিধা চলে যাচ্ছে। ক্যান্সার ও কিডনির ডায়াগনোসিস এখন বিভাগীয় পর্যায়ে চলে যাচ্ছে।একইসঙ্গে অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে দেশের স্বাস্থ্যখাত অনেক সমৃদ্ধ বলেও মন্তব্য করেন শাহাদাত হোসেন।অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত মার্কিন চিকিৎসাবিজ্ঞানী ড. এম মজিবুল হক। তিনি বলেন, সুস্বাস্থ্যের জন্য সুশৃঙ্খল জীবন যাপনের বিকল্প কোনো নেই।