বৃহস্পতিবার ভোররাত সাড়ে তিনটার দিকে বগুড়ার শিবগঞ্জের মোকামতলা বন্দর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি পঞ্চগড়ের অটোয়ারী থানার ছোটধাপ এলাকার হাবিবুর রহমানের ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আলী হায়দার চৌধুরী। তিনি জানান, বিশ্বজিৎ হত্যাকাণ্ড এবং রায় ঘোষণার পর থেকেই আলাউদ্দিন বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করে পালিয়ে ছিলেন। বৃহস্পতিবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে শিবগঞ্জ থানা পুলিশ তাকে মোকামতলা বন্দর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে।
প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর বিশ্বজিৎ দাসকে ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্কের কাছে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় ২০১৩ সালের ১৮ ডিসেম্বর ঢাকার চার নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল ২১ আসামির মধ্যে আটজনকে মৃত্যুদণ্ড ও ১৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে আটটি আপিল ও সাতটি জেল আপিল করেন আসামিরা। এসব আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের শুনানি একসঙ্গে নিয়ে ২০১৭ সালের ৬ আগস্ট রায় দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের রায় ঘোষণা করেন। রায়ে দুইজনের মৃত্যুদণ্ড বহাল, ১৫ জনের আমৃত্যু কারাদণ্ড এবং চার জনকে খালাস দেওয়া হয়।