একদা বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবিরের ক্যান্টনমেন্ট খ্যাত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শামসুজ্জোহা হলে মো. ফুয়াদ আল ফতিব (২৩) নামের এক শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার (১০ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে হলের ১৮৪ নম্বর কক্ষ থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মো. ফুয়াদ আল ফতিব (২৩) বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের মাস্টার্সে শিক্ষার্থী। তিনি গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম রাজিবপুর গ্রামের আমিনুল ইসলাম সাজুর ছেলে।
বিভাগের সহপাঠী ও হল সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের শামসুজ্জোহা হলের ১৮৪ নম্বর কক্ষে থাকতে মো ফুয়াদ আল ফতিব। চাকরির পরীক্ষা দিয়ে গতকাল শনিবার (৯ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে তিনি গ্রামের বাড়ি থেকে রাত আনুমানিক ৩টায় কক্ষে আসেন। এরপর আজ রোববার বিকেল ৩টা পর্যন্ত তাকে ফোনে না পেয়ে সহপাঠীরা তার কক্ষে এসে অচেতন অবস্থায় দেখতে পান। পরে হল প্রশাসনের সহায়তায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (রামেক) নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন জোহা হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক একরামুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ১৮৪ নম্বর কক্ষে যায়। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে রামেকের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে ৩-৪ ঘণ্টা আগেই সে মারা গেছে বলে জানান কর্তব্যরত চিকৎসক।
তার মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে রাখা আছে। রিপোর্ট দেখার পর বাকি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। মৃত্যুর কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখনও মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি। হল প্রশাসনের পক্ষ থেকে তার কক্ষ তালাবদ্ধ করে রাখা হয়েছে। সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক ড. গোলাম কিবরিয়া ফেরদৌসকে ফোন করা হলে তিনি জানান বলেন, ‘আমার খুব প্রিয় ছাত্র ছিলো ফুয়াদ। সে খুব মেধাবী, পড়াশোনা শেষ করেই বিসিএস ক্যাডার হবে প্রত্যাশা ছিলো তার।
তাকে হারিয়ে আমিসহ আমাদের বিভাগ নিস্তব্ধ হয়ে গেছে।আমরাও আপেক্ষা করছি আসল ঘটনা জানার।কারো এমন মৃত্য কামনা করা যায় না। ’ তিনি আরও বলেন, ‘সে (ফুয়াদ) সুইসাইড করার মতো ছেলে না।
আমরা তার মৃত্যুর আসল কারণ জানতে চাই।’ এ বিষয়ে মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুহুল আমিন মারফত জানা যায়, ।
নিহতের বড়ভাই একটি অভিযোগ দায়ের করেছে। মামলাটি প্রক্রিয়াধীন আছে।