অর্জিত স্বাধীনতা রক্ষা করার মতই ধারাবাহিক ভাবে কাজ করে চলেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। গত ০৪/০৯/২০২৪ তারিখ বুধবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার ঘোষণা করেন ৬ তারিখ থেকে দেশব্যাপী বিভাগ ও জেলা সফর করবেন।
আবু বাকের মজুমদার আরও বলেন, সারা দেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কমিটি পুনর্গঠন করা হবে। এই কমিটি চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস ও দুর্নীতি প্রতিরোধে কাজ করবে।মোটকথা বিল্পব পরবর্তী পুনঃগঠন । আবু বাকের মজুমদার জানান তারা সারা দেশের মানুষের কাছে তাদের অনুভুতি শিনবেন ও সংস্কার প্রস্তাব শুনবেন। ছাত্র-জনতা থেকে শুরু করে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে তারা কথা বলবেন।
তিনি আরও বলেন, সারা দেশে ছাত্র প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি গঠন করা হবে এবং বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের কমিটির সদস্যরা চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস ও দুর্নীতি প্রতিরোধে কাজ করবে।
সংবাদ সম্মেলনে সমন্বয়ক সারজিস আলম হাসিনা সরকারের পতন ও স্বাধীনতার ১ মাস উপলক্ষ্যে আহত শহিদদের স্বরণে সারাদেশে শহীদি মার্চ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
সারজিস বলেন, এদিন সারাদেশের প্রতিটি থানা, ইউনিয়ন, মহল্লা সব জায়গায় এ কর্মসূচি পালন হবে। যে যার জায়গা থেকে শহিদদের ছবি, বিভিন্ন শ্লোগানসহ প্লেকার্ড নিয়ে এ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের অনুরোধ জানানো হয়।
কেন্দ্রীয় কর্মসূচি হিসেবে বিকেল ৩টায় নিউমার্কেট থেকে শুরু হয়ে ধানমন্ডি, কলাবাগান, জাতীয় সংসদ সড়ক, ফার্মগেট, শাহবাগ রাজুবাস্কার্য হয়ে শাহীদ মিনারে গিয়ে এই শহীদি মার্চ শেষ হবে।
সেখানে আহত এবং শহীদদের অভিভাবকদেরকেও অংশগ্রহণ করার আহ্বান জানান সমন্বয়করা।
এতে যারা অংশ নেবেন তাদের উদ্দেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জানায়, আপনারা যেমন বাংলাদেশ দেখতে চান, তা ব্যানারে লিখে নিয়ে আসবেন। এছাড়া কীভাবে সংবিধান সংশোধন বা দেশের উন্নয়ন করা যায় সেগুলোও ব্যানারে লিখে আনার পরামর্শ দেন তারা।
তারা কেবলমাত্র একটি আন্দোলন করেই চলে যাবেন এটা না বরং বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন যাবতীয় বৈষম্য দুর করে সাকলের বাংলা বির্নিমান করবে এমনটাই আশা করে দেশের মানুষ।