মুক্তিজোটের সংগঠন প্রধান আবু লায়েস মুন্নার নেতৃত্বে ৭ সদস্যের নেতৃত্বমণ্ডলী মুক্তিজোটের রাষ্ট্র সংষ্কার প্রস্তাব নিয়ে ১লা অক্টোবর ২০২৪ খ্রিঃ তারিখে শিল্প এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খানের অফিস কক্ষে মতবিনিময় সভা করেন।
সভা শেষে মুক্তিজোটের সংগঠন প্রধান সংবাদ মাধ্যমকে বলেন রাষ্ট্র সংস্কারের মাধ্যমে সহনশীল, গণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরি করে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন ব্যবস্থাসহ রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠান সমূহের সংস্কার ও চা শ্রমিকদের বেতন বৃদ্ধি, চিনি শিল্প চালু, পুলিশ পরিচালনার ১৮৬১ সালের আইন পরিবর্তন প্রসঙ্গে উপদেষ্টার সাথে ফলপ্রসু আলোচনা হয়েছে।
সভায় মুক্তিজোটের সাধারণ সম্পাদক, কেন্দ্রীয় কমিটি- মোঃ শাহজামাল আমিরুল সহ সহ-সভাপতি, কেন্দ্রীয় কমিটি- মোঃ রাসেল কবির, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোঃ তরিকুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যনির্বাহী সদস্য – শরীফ মোঃ বেদুইন হায়দার লিও, উত্তম কুমার ঘোষ ও বাংলাদেশ শ্রমিক মুক্তিজোটের আহ্বায়ক মোঃ রাশেদুল ইসলাম খোকন উপস্থিত ছিলেন।
তিনি আরও বলেন নির্বাচন কমিশনকে সক্ষমতার জন্য নির্বাচনকালীন সময় জনপ্রশাসন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়কে কমিশনের অধীনে দেওয়া, জেলা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে রিটার্নিং অফিসার হিসেবে দ্বায়িত্ব দেওয়া এবং নূন্যতম ৪০ শতাংশ ভোট কাস্ট হলেই কেবল ভোটের বৈধতা দিতে পারবে। এছাড়া স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করে ব্যাপক মানুষের অংশগ্রহণে রাষ্ট্র পরিচালিত করার প্রশ্নে সংবিধানের ৬০ ধারার যথাযথ সংস্কার করার বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। রাষ্ট্র সংস্কারে মুক্তিজোটের গত ১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দে ঘোষিত লিখিত প্রস্তাবগুলি উল্লেখ করা হল- ১. রাষ্ট্র কাঠামোকে শুধু কেন্দ্রীভূতই নয়, কোন দল যেন দলীয়করণ করতে না পারে সে লক্ষ্যে ‘বিকেন্দ্রীভূত-কেন্দ্রীকরণ’ রাষ্ট্র কাঠামো তথা সংবিধানের ৬০ ধারার বাস্তবায়ন করতে হবে, যার মাধ্যমে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী হবে। ২. নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে বাংলাদেশের সংবিধান এর ১১৮ নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বিধি করতে হবে। ৩. জন প্রতিনিধি (এমপি, মন্ত্রী, স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধি), ও তাদের ফার্স্ট ব্লাড (বাবা-মা, স্বামী-স্ত্রী, সন্তান) এর কেউ বাংলাদেশের বাইরে অন্য দেশের নাগরিকত্ব থাকলে উক্ত দায়ীত্বে অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে। ৪. স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯৭৩ সালের অধ্যাদেশ অনুযায়ী সিনেটের ভোটে সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি নির্বাচিত হতে হবে। ৫. সংসদীয় আসন ৩০০ রেখে, সংসদ সদস্য ৩৩০ এ উন্নিত করতে হবে; নির্বাচিত দলের বাইরে ৩০ জন সদস্য নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী অন্যান্য দলের প্রাপ্ত ভোটের আনুপাতিক হারে হবে। যার অনুপাত হবে প্রতি জন নির্বাচিত সংসদ সদস্যর প্রাপ্ত গড় ভোটের অনুপাত অনুসারে। এছাড়াও সংরক্ষিত আসন থাকতে হবে ২০ জন যার ১০ জন নারী প্রতিনিধি, ১ জন ব্যবসায়ী প্রতিনিধি, ২ জন কৃষক প্রতিনিধি, ১ জন শ্রমিক প্রতিনিধি, ১ জন সাংস্কৃতিক কর্মী, ১ জন মানবাধিকার কর্মী, ১ জন ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠির প্রতিনিধি, ১ জন তৃত্বীয় লিঙ্গ, ১ জন গার্মেন্টস কর্মীর প্রতিনিধি, ১ জন ক্রীড়া প্রতিনিধি।