- বিখ্যাত কবিতা “ওরা প্রথমতঃ এসেছিল” (ইংরেজি: First they came …) (ফ্রিডরিখ গুস্তাফ এমিল মার্টিন নিম্যোলারবা মার্টিন নিম্যোলার (জার্মান: Friedrich Gustav Emil Martin Niemöller জন্ম:১৮৯২ – মৃত্যু: ১৯৮৪) কবিতাটি বিশ্বের সর্বত্র জনপ্রিয়। কবিতাটির প্রথম কয়েক লাইন এ রকম :
#যখন ওরা প্রথমে কমিউনিস্টদের জন্য এসেছিল, আমি কোনো কথা বলিনি,
কারণ আমি কমিউনিস্ট নই।
তারপর যখন ওরা ট্রেড ইউনিয়নের লোকগুলোকে ধরে নিয়ে গেল, আমি নীরব ছিলাম,
কারণ আমি শ্রমিক নই।
তারপর ওরা যখন ফিরে এলো ইহুদিদের গ্যাস চেম্বারে ভরে মারতে,আমি তখনও চুপ করে ছিলাম,
কারণ আমি ইহুদি নই।
আবারও আসল ওরা ক্যাথলিকদের ধরে নিয়ে যেতে,আমি টুঁ শব্দটিও উচ্চারণ করিনি,
কারণ আমি ক্যাথলিক নই।
শেষবার ওরা ফিরে এলো আমাকে ধরে নিয়ে যেতে,
আমার পক্ষে কেউ কোন কথা বলল না, কারণ, কথা বলার মত তখন আর কেউ বেঁচে ছিল না।৷ পাঠ্যপুস্তক থেকে হুমায়ুন আজাদের গল্প অপসারণ বা পরিমার্জন করে মুলতো তারা তাদের সাম্প্রদায়িক শক্তির জানান দিচ্ছিলো।অসাম্প্রদায়িক মানুষ তাই শঙ্কা করে আর বঙ্গবন্ধুর কাছে ক্ষমা চাই হে পিতা হে নেতা। তোমার দেশে তোমার চলে যাবার মাত্র ৪৫ বছরে দাবি উঠলো ” জন্ম শতবার্ষিকীতে বঙ্গবন্ধুর পাওয়া সেরা উপহার, দেশের জন্য জীবন দিয়ে এটাই ছিল পাওনা ৷ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই বলেছেন, ‘ভাস্কর্যের নামে মূর্তি স্থাপনের চক্রান্ত তৌহিদি জনতা রুখে দেবে। রাষ্ট্রের টাকা খরচ করে মূর্তি স্থাপনের অপরিণামদর্শি সিদ্ধান্ত থেকে সরকারকে ফিরে আসতে হবে।’
শুক্রবার (১৩ নভেম্বর) জুমার নামাজের পর রাজধানীর ধোলাইপাড়ে ভাস্কর্যের নামে মূর্তি স্থাপনের পরিবর্তে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রূহের মাগফিরাত কামনায় আল্লাহর ৯৯ নাম অঙ্কিত স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপনের দাবিতে তৌহিদি জনতা ঐক্য পরিষদ আয়োজিত সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সমাবেশটি ধূপখোলা মাঠে অনুষ্ঠিত হয়।
মুফতি ফয়জুল করীম আরও বলেন, ‘মূর্তি স্থাপনের সিদ্ধান্ত বাতিল না হওয়া পর্যন্ত তৌহিদি জনতার আন্দোলন চলবে। সরকার যদি ভাস্কর্যের নামে মূর্তি স্থাপন থেকে সরে না আসে, তাহলে কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো। আমি চিৎকার করে কাঁদিতে চাহিয়া করিতে পারিনি চিৎকার। একটি স্বাধীন রাস্ট্রের জন্য এটা হুমকি সরুপ। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী, ইতিহাসের রাখাল রাজা মহান বাঙালী জাতির স্থপতি , জুলিও কুরি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান কে নিয়ে এই কথাটা বলে ঠিক করেন নি।তিনি বাঙালীর নেতা এখানে বসবাস করে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, ওরাও, সওতাম, চাকমা, মুরাং, রাখাইন সহ সকল নৃগোষ্ঠীর নেতাও তিনি। উনার ভাস্কর্য তাই হতেই পারে ওটা নিয়ে আন্দোলন না করলেও হত।যদি অন্য ধর্মের কারো মনে হল তার ভাস্কর্য বানাবে।ইসলাম তো বলে “লা কুম দিনু কুম ওলিয়ার দীন” মানে যার যার ধর্ম তারতার কাছে। এই ঘটনাটি আমাদের দেশ কে একটি সাম্প্রদায়িক রাস্ট্রের দিকে নিয়ে যাবে।একটি গনতান্ত্রিক রাস্ট্রে মানুষ যে কোন দাবি (যৌক্তিক) তুলতেও পারে তবে এগুলো ভেবে বুঝে করতে হবে । প্রশ্ন থাকতেই পারে আগে দরকার বিশুদ্ধ ইসলাম। বাংলাদেশ আহলে হাদিস আন্দোলন বলছে পীরের মুরিদ হওয়ার দরকার নাই। নবী মোহাম্মদ (সাঃ) ই একমাত্র সাফায়েত কারী। মুসলমানদের জন্য বড় কোন পীর নাই দরকার নাই। আমরা কি তাহলে চরমনায় পীর সাহেবদের বলব আপনারা পথ হারিয়েছেন চলে আসেন ইসলামের ছায়া তলে। পীর মানা যারা নিষেধ করেন তারাও মুসলিম স্কলার। দেওয়ান বাগি যখন বলতেন আজেবাজে কথা তখন আপনারা কই থাকতেন।১৯৭৫ পরবর্তী সময়ে এদেশ থেকে বঙ্গবন্ধুর ইতিহাস মুছে ফেলতে যারা চেয়েছিল জানিনা সেই মুসলিম লীগের দোষর কিনা তারা। যে অসাম্প্রদায়িক চিন্তাধারা থেকে মহান সংবিধান (১৯৭২) রচনা করে একটি অসাম্প্রদায়িক চেতনা থেকে রাষ্ট্র পরিচালনা করতে চেয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। এটা কি তার কফিনে ১ম পেরেক কিনা বলা মুসকিল। বঙ্গবন্ধুর দল ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় এটা হলে এই দাবি উঠলে তার শততম জন্মদিনের একটা ভালো উপহার হলে যা বঙ্গবন্ধুর কোন কালেই প্রাপ্তি ছিল না । যারা এমন দাবি করেছেন তাদের আগামীতে রাস্ট্রীয় সম্মান প্রদান করে মদিনা সনদের ভিত্তিতে দেশ চালানোর জন্য একধাপ এগিয়ে নিতে সংশিষ্টদেরকে ধন্যবাদ।। তবে স্বাধীন বাংলায় বঙ্গবন্ধুর অনুসারীর সংখ্যা কম নয়। হয়তো তাকে জীবত রক্ষা করা যায়নি তবে তার আদর্শ রক্ষার সৈনিক এর কিন্তু অভাব নেই। দিন শেষে সকলের বোধহয় হোক আমরা হানাহানী চাইনা। বঙ্গবন্ধুর ভাষায় ” বাংলার মানুষ শান্তি চাই “।
লেখকঃ বেদুইন হায়দার লিও (বঙ্গবন্ধু গবেষক ও সাংস্কৃতি কর্মি)