শিরোনাম
শুরু হতে পারে শৈত্যপ্রবাহ!! বিজয়ের এই মহান দিনে পৃথিবীর সব মানুষকে মুক্তিজোটের শুভেচ্ছা শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে সরকারী ছুটির দাবি মুক্তিজোটের অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দলকে মুক্তিজোটের অভিনন্দন বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে মুক্তিজোট সারজিস আলম ও হাসনাত আবদুল্লাহকে ট্রাকচাপা দিয়ে হত্যার চেষ্টা ফ্যাসিস্ট নির্মুলে কর্তৃত্ববাদী শাসন ব্যবস্থার পরিবর্তে ক্ষমতার বিকেন্দ্রীভুত-কেন্দ্রীকরণ করার কথা বলেন মুক্তিজোটের সাধারণ সম্পাদক কাঞ্চনজঙ্ঘা ট্যুর (Kanchenjunga Tour) ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানিয়েছে মুক্তিজোট নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনে মুক্তিজোটের ১২ প্রস্তাব
সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:০৫ পূর্বাহ্ন

বৃক্ষপ্রেমিক আবদুল ওয়াহিদ সরদার গাছ থেকে পেরেক অপসারন করছেন।

বিশেষ প্রতিনিধি / ৬০৩ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ১৯ জানুয়ারী, ২০২১

                      আবদুল ওয়াহিদ সরদার

পেরেক অপসারন-BGN24

বৃক্ষপ্রেমিক আবদুল ওয়াহিদ সরদার। বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কারপ্রাপ্ত ।তাকে নিয়ে একাধিকবার বিবিসি সহ দেশের সকল প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া রিপোর্ট করেছে। দেশের ৭টি জেলায় গাছের ১১ মন পেরেক তুলে তিনি এখন ঢাকার গাছ থেকে পেরেক অপসারন করছেন। ঢাকায় তিনি ১৫ কেজি পেরেক অপসারন করেছেন।

বর্তমানে তিনি মরাগাছের পোস্টমোর্টেম দাবি করেছেন। তিনি বলেন, সরকারি-বেসরকারি জমি ও প্রতিষ্ঠানে হঠাৎ করে কিছু গাছ মরতে দেখা যায়। এই গাছগুলো আপনা-আপনি মরে না। কুমতলবে কেউ গাছগুলো মেরে ফেলে। পরে গাছ হন্তারক নিজের দোষ ঢাকতে প্রাকৃতিক কারণকে দায়ী করে। তিনি জানান, গাছের ওপর নির্যাতন ও তাদের রক্ষা করতে শত শত কিলোমিটার পরিভ্রমণ করেছেন। গাছের গোড়ায় গিয়ে তাদের বোবা কান্না শুনেছেন।

তিনি বলেন, কারো জমির পাশে সরকারি রাস্তায় লাগানো গাছ ওই জমির মালিক নানা ধরনের অত্যাচার নির্যাতন করে মেরে ফেলছে। জমির মালিকের দাবি গাছের ছায়া এবং পাতা পড়ে ফসল নষ্ট হয়। এক শ্রেণির অসচেতন মানুষ আছে, যারা শীত নিবারণের জন্য পাতা বা আবর্জনা কুড়িয়ে গাছের গোড়ায় জ্বালিয়ে আগুন পোহায়। এতে ওই গাছটি আগুনে পুড়ে মরে যাচ্ছে। আবদুল ওয়াহেদ সরদার বলেন, গাছের পোস্টমর্টেম করার পর যদি প্রমাণ হয় গাছটি মেরে ফেলা হয়েছে তাহলে দোষী ব্যক্তিকে শাস্তি দিতে হবে।

‘দেয়াল লিখন ও পোস্টার লাগানো (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০১২’ অনুযায়ী কোনো প্রকার প্রচার কাজে গাছ ব্যবহার করা যাবে না বিষয়টি উল্লেখ করে আইনটিকে অত্যন্ত কল্যাণকর বলে উল্লেখ করেন ওয়াহিদ আলী সরদার। এ আইনটির মতো গাছ হত্যাকারীদের বিরুদ্ধেও আইন প্রণয়নের দাবি করেন তিনি।

আবদুল ওয়াহিদ সরদার ঘর-সংসার ফেলে রাস্তায় রাস্তায় গাছ লাগিয়ে বেড়ান এবং এখন বিল বোর্ডের পেরেকে ক্ষতবিক্ষত গাছের গভীরে ঢোকানো পেরেকগুলো তিনি দরদের সাথে তুলে গাছের কষ্ট নিবারণ করেন। ওয়াহিদ সরদার জানান, গাছের প্রতি প্রাণের টানে তিনি বাংলা ১৪১২ সাল থেকে গাছ লাগানো শুরু করেন।

তিনি নিজের খরচে প্রায় ৯০ বিঘা জমিতে গাছ লাগিয়েছেন। তার রোপিত গাছের সংখ্যা সাড়ে ১৩ হাজার। এসব গাছের মধ্যে রয়েছে আম, কাঁঠাল, লিচু, পেয়ারা, জামরুল, কালোজাম, কাগজি লেবু, আমড়া, কামরাঙ্গা, জলপাই প্রভৃতি। নিজের জমি না থাকায় তিনি এই গাছ লাগান সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, মসজিদ, মন্দির, পতিত জায়গা ও রাস্তার পাশে।তার স্বীকৃতিকে অস্বীকার করতে পারেনি সরকারও। তাই তাকে প্রদান করা হয়েছে ‘বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার-১৪২১’।

প্রধানমন্ত্রী তার গলায় পরিয়ে দেন ব্রোঞ্জ পদক।একজন সাদা মনের মানুষ ওয়াহেদ সরদারকে অভিনন্দন।

পেরেক অপসারন-BGN24


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ