
একটা জনপ্রিয় গান আছে আমি বন্দী কারাগারে, জেল খানার সম্বল থালা বাটি কম্বল। মানুষ অপরাধী হয়ে জন্মায় না। যদি একটু মনোবৈজ্ঞানিক ভাবে এবং পরিগত ভাবে কারাগার গুলোর মান উন্নয়ন করা যায় তাহলে তাহলে অনেক অপরাধী আর অপরাধ করবে না।আমরা প্রায়ই বলে থাকি পাপকে ঘৃনা করো পাপিকে নয়।
আমাদের কারাগার হোক এমন একটি সংশোধনাগার। তবে বর্তমান সরকার এই বিষয় গুলো অনুধাবন করে বিদ্যমান কারা আইন সংশোধনের মাধ্যমে নতুন কারা আইন প্রণয়ন করতে যাচ্ছে। এ আইন প্রণয়নের মূল লক্ষ্য হবে কারাগারগুলোকে সংশোধনাগার ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে রূপান্তর করা। এ ক্ষেত্রে প্রস্তাবিত আইনটি কারা আইনের পরিবর্তে ‘কারাবন্দী সংশোধনমূলক পরিষেবা ও পুনর্বাসন আইন (কারেকশনাল ফ্যাসিলিটিজ অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন অ্যাক্ট ফর প্রিজনার্স)’ নামে অভিহিত হবে।
আইন মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ আইনের খসড়া প্রণয়নের জন্য ইতিমধ্যে লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব মোহাম্মদ শহিদুল হকের নেতৃত্বে কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা ও সেবা বিভাগের সচিব ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী ও কারা মহাপরিদর্শক।
এ ছাড়া আইন মন্ত্রণালয় ও পুলিশ বিভাগের প্রতিনিধি থাকবেন কমিটিতে। মূল কমিটি ছাড়াও দুটি উপকমিটি গঠন করা হয়েছে। এই আইন প্রণয়নের জন্য আজ মঙ্গলবার আইন মন্ত্রণালয়ে এক আন্তমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সভাপতির বক্তব্যে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক গত ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নতুন কারা আইনের খসড়া প্রণয়নের জন্য কমিটিকে নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসেই এ আইনের খসড়া মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করা হবে। সেই লক্ষ্যে কমিটিকে কাজ করবে। আমরাও জাতি হিসাবে আরও মানবিক হবো এটা আশা করা যায়।
সরকারের এই জাতীয় আইন গুলো কে সাধুবাদ জানানো উচিৎ। আর এই আইনের বাস্তবায়ন হলে অবসান হবে যুগ যুগ ধরে চলে আসা একটি অসুস্থ ধারণার। কোন বিদ্রোহী কবিকে আর লিখতে হবে না। কারার ঐ লৌহকপাট ভেঙে ফেল কর রে লোপাট……
বেদুইন হায়দার লিও
(বঙ্গবন্ধু গবেষক ও মনোবিজ্ঞানী)