শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:৩৮ পূর্বাহ্ন

মাকে হত্যা; অপহরণ নাটক!!

স্থানীয় প্রতিবেদক। / ৭৩৩ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : বুধবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২১

কুষ্টিয়ায় সম্পত্তির লোভে মাকে খুন করে বস্তাবন্দী লাশ পুকুরে ফেলে দেয় ছেলে। এরপর নিজেই থানায় মাকে অপহরণ করা হয়েছে মর্মে থানায় জিডি করে সেই ছেলে। এ ঘটনা কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার পোড়াদহ ইউনিয়নের দক্ষিণ কাটদহ এলাকার।

ঘটনার ৩৪ দিন পর সেই লাশ উদ্ধার করেছে কুষ্টিয়া জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। আজ বুধবার বেলা ১১টার দিকে কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার এসএম তানভির আরাফাত। এ ঘটনায় ঘাতক ছেলে মুন্না বাবুসহ (৩২) ঘটনায় জড়িত অপর ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

প্রেস বিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোস্তাফিজুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) ফরহাদ হোসেন, গোয়েন্দা পুলিশের ওসি আমিনুল ইসলাম, পরিদর্শক আশরাফুল ইসলামসহ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

 

প্রেস বিফিংয়ে পুলিশ সুপার জানান, মমতাজ বেগমের এক ছেলে ও ৩ মেয়ে। মেয়েদের বিয়ে হয়ে গেছে। স্বামী মারা যাওয়ার পর তিনি একমাত্র ছেলে মুন্না বাবুর সঙ্গে বসবাস করতেন। মা যাতে মেয়েদের সম্পত্তির ভাগ দিতে না পারে সেই জন্য বন্ধু রাব্বি ও চাচা আব্দুল কাদেরকে নিয়ে মাকে হত্যার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ২০ জানুয়ারি মমতাজকে হত্যা করে লাশ বস্তাবন্দী করে পুকুরে ফেলে দেয়। পরে ২১ জানুয়ারি ছেলে মুন্না বাবু মিরপুর থানায় তার মাকে কে বা কারা অপহরণ করেছে এই মর্মে জিডি করেন। কেবল তাই নয় এরপর মুন্না তার বন্ধু রাব্বিকে অপহরণকারী সাজিয়ে তার (মুন্না) দুলাভাইয়ের কাছে ফোন করিয়ে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবী করেন।

জিডি ও ফোন কলের সূত্র ধরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফরহাদ হোসেনের নেতৃত্বে তদন্তে নামে গোয়েন্দা পুলিশ। পরে ঘটনার ৩৪ দিন পর মঙ্গলবার লাশ উদ্ধার হয়। এ ঘটনায় ছেলে মুন্না, তার বন্ধু রাব্বি ও চাচা আব্দুল কাদেরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ