ঝিনাইদহের ছেলে তুষার ১০ বছর ধরে অজানা রোগে ভুগছে! ডাক্তাররা ইংরেজিতে কি বলে বুঝি না বললেন মা-বাবা!
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
জন্মের পর থেকেই খারিদুল ইসলাম তুষারের দুই পা বাঁকা। এর দুই বছর পর থেকেই শরিরের বিভিন্ন স্থানে শুরু হয় নানা ধরনের অজানা রোগ। ডাক্তার ইংরেজিতে কি বলে বুঝতে পারেনা তুষারের বাবা লুৎফার রহমান ও মা পারুলা বেগম। ভুক্তভোগী তুষারের বাবা একজন ভ্যান চালক এবং মা পরের বাড়িতে কাজ করেন। বাবা মায়ের এই স্বল্প ইনকামে ঝিনাইদহ শহরে বাসা ভাড়া আর সংসারের খরচ চালিয়ে থাকেনা তুষারের ঔষধ কেনার সামর্থ্য।
অভাবের সংসার থেকে টাকা বাচিয়ে ঢাকার পঙ্গু, সিআরপি ও শিশু হাসপাতালে নিয়েও কোনো প্রতিকার হয়নি তুষারের। রক্ত শুন্য জরাজীর্ণ শরীর তারপর ভেতর থেকে উঠে আসা একটি বড় আকারের টিউমার মাজার উপর ভর করেছে। বাবা-মায়ের ভাষ্যমতে এই টিউমারের কারণে মাঝে মাঝে প্রস্রাব বন্ধ হয়ে যায়! তাছাড়া প্রস্রাব-পায়খানা অটোমেটিক ভাবেই হয়ে যায় ধরে রাখতে পারে না। দুটি পায়ের পাতা থেকে গুড়ালী পর্যন্ত পচন ধরেছিল। চিকিৎসা নিয়ে একটি পা কোনরকম সেরে উঠলেও আরেকটি পায়ে পচন ধরেই আছে।
পায়ের পচন ও মাজার উপর টিউমারের কারণে হেঁটে চলাচল ও বিছানায় ঘুমাতে খুবই কষ্ট পেতে হয় তুষারের। একটি হুইল চেয়ারের অভাবে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এভাবেই তাকে হাটা-চলা করতে হয়। সোজা হয়ে বসতে না পারায় একটি বালিশ কোলে চেপে ধরে সারাক্ষণ চেয়ারের উপর বসে থাকে। বাবার সহায় সম্বল তুষারের চিকিৎসার পেছনে শেষ। বুক চেরা কষ্ট হলেও চেয়ে চেয়ে দেখা ছাড়া আর কিছুই করার নেই তাদের। লজ্জায় মুখ খুলতে না চাইলেও ছেলের অকাল মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করতে অন্তরটা যেন কারো সাহায্যের আকুতি করছে। তা না হলে চিকিৎসার অভাবে (আল্লাহ না করুক) সন্তানের নিরব মৃত্যু চেয়ে চেয়ে দেখা ছাড়া আর কিছুই করার নেই তুষারের অসহায় বাবা-মার। তুষারের এই অসহায় পরিবারের পক্ষ থেকে সমাজের বৃত্তবানদের কাছে সাহায্যের আবেদন করেছেন স্বজনরা।
ভুক্তভোগী খারিদুল ইসলাম তুষারের বাবার মোবাইল নাম্বার- 01772479841
বাসা ঝিনাইদহ শহর সংলগ্ন কালিকাপুর প্রাইমারি স্কুলের পাশে।