এক রোগীর ঔষধ অন্য রোগীর কাছে-bgn24
ঢাকার রাজধানী কুর্মিটোলা জেনারেল হসপিটালে করোণা নিয়ে ভর্তি হয়েছিল এক দম্পতি বিলকিস খান ও তার স্বামী গত ৮ নভেম্বর রাত্রে করোণা আক্রান্ত হয়ে কুর্মিটোলা হসপিটালের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ১৩ ও ১৪ নম্বর সিটে ভর্তি হন বিলকিস দম্পতি। গত ১৭ নভেম্বর বিকাল দুইটাই হসপিটাল থেকে রিলিজ নিয়ে বাড়িতে ফিরে আসেন।
বিলকিস খান তার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন! কি পরিমান দুর্ভোগ হয়েছিল তাদের? বিলকিস খান ও তার স্বামী উভয়কে প্রেসক্রাইব করা হয়েছিল Clexane ইনজেকশন। ১৬ নভেম্বর হাসপাতালে ফার্মেসিতে ওষুধ না পেয়ে তাদের এক নিকটতম আত্মীয় মাধ্যমে ইনজেকশন উত্তরা লাস ফার্মা থেকে কিনে আনেন এবং বিকাল ৪ টার দিকে সেই আত্মীয় ইঞ্জেকশন ও অন্যান্য ঔষধ হাসপাতালে ফ্রন্ট ডেক্স জমা দেন ও ফোন করে বিলকিস খানকে জানান কিন্তু মজার ব্যাপার দুপুর পর্যন্ত
ইনজেকশনটি পাননি। পরের দিন ১৭ তারিখ করোনা নেগেটিভ রেজাল্ট আসে তাদের। তারা স্বামী-স্ত্রী উভয়ে দুইটার দিকে হসপিটাল থেকে বাসায় ফিরে আসেন।
বিলকিস খান বলেন যেই আত্মীয়ের মাধ্যমে ইনজেকশন কিনেছিলেন উত্তরার লাস ফার্মা থেকে সে ইঞ্জেকশন তারা পাননি, তিনি দেখেছেন তার নাম লেখা লাস ফার্মার প্যাকেটে ইনজেকশন ও অন্যান্য ওষুধ পাশের বেডের রোগীর কাছে বিক্রি করতে। তিনি নার্সকে প্রশ্ন করলে তিনি উত্তর না দিয়ে স্থান ত্যাগ করেন। পিপি ও মুখে নার্স মাক্স পরার কারণে নার্সকে চিনতে পারিনি বিলকিস খান ।
তিনি আরো অভিযোগ করেন দামি ওষুধগুলো সব বাইরে থেকে কিনতে হয়। হাসপাতাল থেকে তাদের যে দুইটা ইনহেলার দেওয়া হয়েছিল সেগুলো ছিল খালি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করলে তারা অভিযোগকে পাত্তাই দেয় না।
বিলকিস খান অভিযোগের সুরে বলেন আমরা মিডিয়ার মাধ্যমে কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানাচ্ছি, কর্তৃপক্ষ যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করলে সেবক নামের অসভ্য, নিষ্ঠুর, বর্বর দের হাত থেকে সাধারণ রোগী ও তাদের স্বজনেরা পরিত্রাণ পাবে।
বিশেষ প্রতিনিধি
www.bgn24.com
এক রোগীর ঔষধ অন্য রোগীর কাছে-bgn24