ঝিনাইদহে মানবসেবায় জাহেদী ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম সবচেয়ে এগিয়ে
সাইফুল ইসলাম –
ঝিনাইদহ ঐতিহ্যবাহী জাহেদী ফাউন্ডেশন , একটা ইতিহাস! ঝিনাইদহের মানুষের স্মৃতিপটে দানবীর হাতেমতাই! গরীবদুঃখীর আবেগ ভালোবাসার নাম! বর্তমানে জাহেদী ফাউন্ডেশনের কর্ণধর। ঝিনাইদহের মানুষের মানবিক সকল দায়িত্ব পালন করতে মরহুম ভাষাসৈনিক জাহিদ হোসেন মুসা মিয়া প্রতিষ্ঠা করে গেছেন জাহেদী ফাউন্ডেশন, ঝিনাইদহের যেকোনো শিক্ষার্থী টাকার অভাবে পরলেই শিক্ষার দায়িত্ব নিয়ে নেন জাহেদী ফাউন্ডেশন, টাকার অভাবে কেউ যেনো চিকিৎসা বঞ্চিত না হয়, তার দায়িত্ব নিয়ে নেয় জাহেদী ফাউন্ডেশন, বিধবা দুঃস্থ অসহায় নারিদের ভাতার ব্যাবস্হা করে দেন জাহেদী ফাউন্ডেশন, কন্যা দায়গ্রস্ত পিতা যখন টাকার অভাবে কন্যাকে বিয়ে দিতে কষ্ট হয় তখন সহায়তার হাত সম্প্রসারীত করেন জাহেদী ফাউন্ডেশন, সামাজিক, ধর্মীও, রাজনৈতিক যেকোনো কাজেই সহযোগীতা প্রদান করেন জাহেদী ফাউন্ডেশন, করোনাকালীন সময়ে হাসপাতালের সিলিন্ডার, হাসপাতালের যন্ত্র সামগ্রী ও ঔষধের অভাবে যেভাবে জাহেদী ফাউন্ডেশন সহযোগীতা করেছেন ঝিনাইদহসহ দেশব্যাপী তা চিকিৎসা সেবায় স্বরণীয় হয়ে আছে।
মাদকমুক্ত ঝিনাইদহ গড়ার প্রত্যয়ে ঝিনাইদহের স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে আন্তঃ টুর্নামেন্ট খেলার ব্যবস্হা করেন প্রতিনিয়ত জাহেদী ফাউন্ডেশনের অর্থায়নের মাধ্যমে, শিক্ষার সুন্দর পরিবেশ নিশ্চিত করতে কোটি কোটি টাকা ব্যায় করে ভবন নির্মাণ ও শিক্ষা সাম্গ্রীর ব্যবস্হা করে দেন জাহেদী ফাউন্ডেশন, হাসপাতাল গুলোতে এম্বুলেন্স ও গাড়ীর ক্রয় করে দিয়েছেন জাহেদী ফাউন্ডেশন, হাসপাতালগুলোতে ভারিযন্ত্র ও চিকিৎসা সাম্গ্রী ঝিনাইদহসহ সারা দেশ ব্যাপি প্রদান করেন জাহেদী ফাউন্ডেশন, ঘরহীন বহু মানুষের ঘরের ব্যাবস্হা করে দিয়েছে জাহেদী ফাউন্ডেশন, কোরবানি ঈদে বহুবছরধরে কোরবানির মাংস ও ঈদুল ফিতরে খাদ্য সাম্গ্রী বিতরণ করে দুস্তদের মাঝে, প্রতিবছরের ন্যায় এবারের কোরবানিতেও নিজেস্ব অর্থায়নে প্রায় ৪০ হাজারের বেশি ঝিনাইদহের গরীবের মাঝে মাংস ও নগদ টাকা প্রদান করেন জাহেদী পরিবার জাহেদী ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে, অনুরুপভাবে ঈদুল ফিতরে চাউল, ডাউল, তেল, কাপড় ও নগদ টাকা বিতরণ করে আসছেন বিগত বহুবছর ধরে জাহেদী ফাউন্ডেশন।
ঝিনাইদহের ডিসি অফিসের সামনে সৌন্দর্য্য বর্ধক কারুকাজ ও ভবন নির্মাণ, এসপি অফিসে উঠান বৈঠক ও বহু স্হাপনা নির্মাণ সহ বহু প্রতিষ্ঠানে অকাতরে ব্যায় করে জাহেদী ফাউন্ডেশন, বহু মসজিদ করে দিয়েছে ঝিনাইদহসহ সারা দেশে, মাদ্রাসা ও হিফজখানা তৈরি করেছেন, স্কুল, কলেজ নির্মাণ করেছেন, ঝিনাইদহে খুব কম প্রতিষ্ঠানই আছে যেখানে জাহেদী ফাউন্ডেশনের অবদান শুন্য, শীতকালে অসচ্ছল পরিবারের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়, নারিকেলবাড়িয়া আমেনা খাতুন কলেজে ৩ তলা বিশিষ্ট মুসামিয়া একাডেমিক ভবন নির্মাণ, যশোর কালেক্টরেট স্কুলে ৬ তলা বিশিষ্ট জাহানারা হুদা একাডেমিক ভবন নির্মাণ,যশোর বাঘারপাড়া মহিলা কলেজে ৪ তলা বিশিষ্ট সামছুল হুদা একাডেমিক ভবন নির্মাণ, ঝিনাইদহ কাঞ্চননগর স্কুল এন্ড কলেজে জাহেদী ফাউন্ডেশন একাডেমিক ভবন নির্মাণ, যশোর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এ নাহিদা জাহেদী ল্যাবরটরি ভবন নির্মাণ, এবং ঝিনাইদহ চেম্বার অফ কমার্সে রাহুল স্মৃতি অডিটরিয়াম নির্মাণ।
ঝিনাইদহ পুলিশ লাইনসে স্যলুটিং ডায়াস ও বৈঠকখানা ঘর নির্মাণ, প্রতিবন্ধী শিশুদের শিক্ষা বিকাশের জন্য মুসামিয়া বুদ্ধিবিকাশ বিদ্যালয় নির্মাণ করা হয়েছে, ঝিনাইদহ পৌরসভা স্কুল এন্ড কলেজে ছাত্রছাত্রীদের যাতায়াতের জন্য স্কুলবাস প্রদান করা হয়েছে, ঝিনাইদহে আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি বিস্তারের লক্ষ্যে ভাষাসৈনিক মুসামিয়া আইসিটি ইনকিউবেটর এন্ড ল্যাঙ্গুয়েজ সেন্টার নির্মাণ করা হয়েছে, ডায়াবেটিস রোগীদের উন্নত সেবা দেবার লক্ষ্যে ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলায় নির্মাণ করা হয়েছে মুসামিয়া ডায়াবেটিক সেন্টার, আন্তর্জাতিক মানসম্মত ফুটবল খেলোয়াড় তৈরির লক্ষ্যে যশোরে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে শেখ শামছুল হুদা ফুটবল একাডেমি, কক্সবাজার উখিয়ায় রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য রেডিয়েন্ট ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেডের পক্ষ থেকে নির্মাণ করা আবাসস্থান ও দৈনন্দিন খাবারের ব্যবস্থা, এছাড়াও প্রতিমাসে এতিম, বিধবা, কন্যাদায়গ্রস্ত পিতা এবং সামর্থ্যহীন অসুস্থ ব্যক্তিদের চিকিৎসা সহায়তা, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে মাসিক সাহায্য প্রদান ও এককালীন সহযোগিতা প্রদান করা হয়ে থাকে।
ঝিনাইদহে আন্তর্জাতিক মানের মেডিক্যাল কলেজ, স্কুল ও কলেজ করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন জাহেদী পরিবার। ঝিনাইদহের হাজার হাজার লোকের কর্মসংস্থান চলে জাহেদী পরিবারের প্রতিষ্ঠান গুলোতে, ঝিনাইদহের মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন এ পরিবার, এছাড়াও বহু জানা অজানা কাজ করে যাচ্ছেন নিরবে নিভৃতে, সামাজিক ও ধর্মীয় কাজে অকাতরে বিলীয়ে যাচ্ছেন জাহেদী পরিবার লোকচক্ষুর অন্তরালে, যেখানেই মানবিক প্রয়োজন – সেখানেই জাহেদী ফাউন্ডেশন, দুর্যোগ, মাহামারীকালীন সময়ে বাংলাদেশ সরকারের পাশে সহযোগীতার হাত সম্প্রসারীত করেন জাহেদী ফাউন্ডেশন, ঝিনাইদহ সহ দেশ ব্যাপি সময়ের প্রয়োজনে জাহেদী পরিবারের সহযোগীতা সদা অব্যাহত।
মারহুম ভাষা সৈনিক মুসামিয়ার সুযোগ্য সন্তান দেশবরেণ্য শিল্পপতি, গাজীপুর জেলার সর্বশ্রেষ্ঠ করদাতা প্রতিষ্ঠান রেডিয়েন্ট গ্রুপ অব কোম্পানিজের চেয়ারম্যান, ঝিনাইদহের কৃতিসন্তান, ঝিনাইদহ জেলা সমিতির সভাপতি, বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ, ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি, দানবীর নাসের শাহরিয়ার জাহেদী মহুল ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে ঝিনাইদহ বাসীর খেদমত করে যেতে চান। মুসা মিয়ার অন্য সন্তানেরা মানব সেবায় একাত্মা, শিল্লপতি ও ধনাঢ্য ব্যাক্তিত্ব, তাদেরকেও জাহেদী ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে আমৃত্যু মানব সেবা অব্যাহত দান করুক। মরহুম মুসা মিয়ার চতুর্থ ছেলে বিশিষ্ট শিল্পপতি, ঝিনাইদহ জেলার সর্বোচ্চ করদাতা , ওঝিনাইদহ বাসী