শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:০৪ পূর্বাহ্ন

সারাদেশে মুক্তিজোটের নেতা কর্মীদের রাষ্ট্রীয় স্থাপনা, জনগণের জান-মাল রক্ষা ও সংখ্যালঘুদের পাশে থাকার আহ্বান

রিপোটারের নাম / ৪৩৯ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : বুধবার, ৭ আগস্ট, ২০২৪

গত ৫ই জুলাই ছাত্র-জনতার রক্তক্ষয়ী অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর থেকে রাষ্ট্রীয় স্থাপনা, জনগণের জান-মাল, ধর্মীয় সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর বাড়ি ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে হামলা বন্ধে মুক্তিজোটের নেতা কর্মীসহ সারা দেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন মুক্তিজোটের সংগঠন প্রধান আবু লায়েস মুন্না।

৭ই আগস্ট ২০২৪ খ্রিস্টাব্দে মুক্তিজোটের সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহজামাল আমিরুল স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে তিনি বলেন ‘এই রক্তক্ষয়ী গণ অভূত্থানে জাতি-ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়েছে। ছাত্র-জনতা সবাই ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালন করেছে। আন্দোলনের পর ধর্মীয় সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর বাড়ি-দোকানপাট-উপাসনালয়, থানাসহ রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা ও ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনা ঘটছে। এ পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রীয় স্থাপনা, ধর্মীয় সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর বাড়ি, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে হামলা বন্ধে সারা দেশের মানুষকে আমরা ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাই। বর্তমানে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দেওয়ার আইন শৃঙ্খলা বাহিনীও চোখে পড়ার মত মাঠে নেই। ছাত্ররাই ট্রাফিক থেকে জনগণের নিরাপত্তার দ্বায়িত্ব স্বতঃস্ফুর্তভাবে কাঁধে তুলে নিয়েছে। তাই কেউ জান-মাল ও ইজ্জতের ওপর হামলা করতে না পারে, জনগণের সম্পদ-রাষ্ট্রীয় সম্পদ যেন ক্ষতি করতে না পারে সে জন্য দেশের সবাইকে একসঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে যারা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান-মুসলমান সবাই আমরা বাংলাদেশের নাগরিক। দেশের সব নাগরিকের মৌলিক মানবাধিকার নিশ্চিতের অধিকার রয়েছে। প্রত্যেকের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য মুক্তিজোটের নেতা কর্মীদের জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সব মানুষের পাশে দাঁড়ানোসহ শান্তি ও সহাবস্থান নিশ্চিত করে যাওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন।  বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে যে অভূথান হয়েছে তা যেন বিতর্কিত হয়ে না পড়ে; ছাত্রদের এ অর্জনকে রক্ষার জন্য দেশের সব মানুষকে ঐক্যবদ্ধ থাকার অনুরোধও জানান তিনি।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আরও একবার দেশ মুক্ত হল, সালাম বরকত থেকে — নুর হোসেন তথা আজকের আবু সাঈদ-মুগ্ধরা মরে না তাঁরা মুক্তির প্রেরণা হয়ে মানুষের মাঝে বেঁচে থাকে। ৫২ থেকে ৬৬, ৬৯ থেকে ৭১, ৯০ হয়ে আজকের ২০২৪ তা আবারও প্রমান হল; আর একবার রক্তে ধৌত হল এ দেশ। আর এ আন্দোলনে সম্পৃক্ত সকলকে মুক্তিজোটের পক্ষ থেকে বিজয়ী শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ