শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:০৪ পূর্বাহ্ন

মুক্তিজোটের রাষ্ট্র সংষ্কার প্রস্তাব নিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার সাথে মতবিনিময় সভা

রিপোটারের নাম / ৪২৪ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

মুক্তিজোটের সংগঠন প্রধান আবু লায়েস মুন্নার নেতৃত্বে ৫ সদস্যর নেতৃত্বমণ্ডলী মুক্তিজোটের রাষ্ট্র সংষ্কার প্রস্তাব নিয়ে ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ খ্রিঃ তারিখে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমার অফিস কক্ষে মতবিনিময় সভা করেন।

সভা শেষে মুক্তিজোটের সংগঠন প্রধান সংবাদ মাধ্যমকে বলেন রাষ্ট্র সংস্কারের মাধ্যমে সহনশীল, গণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরি করে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন ব্যবস্থাসহ রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধান ও পার্বত্য অঞ্চলকে কিভাবে পর্যটন নগরী এবং নিরাপত্তাসহ রাজনৈতিক সম্পৃক্ততার মধ্যে দিয়ে তার সংস্কৃতিগত উন্নতি করা যায় এ প্রসঙ্গে উপদেষ্টার সাথে ফলপ্রসু আলোচনা হয়েছে।

          সভায় মুক্তিজোটের সাধারণ সম্পাদক- মোঃ শাহজামাল আমিরুলসহ কাঠামোগত সার্বক্ষণিক- মোঃ মজিবুল হক, সহ-সভাপতি, কেন্দ্রীয় কমিটি- মোঃ আমানউল্লাহ আমান ও কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যনির্বাহী সদস্য (প্রচার)- শরীফ মোঃ বেদুইন হায়দার লিও উপস্থিত ছিলেন।

রাষ্ট্র সংস্কারে মুক্তিজোটের সংস্কার প্রস্তাব প্রসঙ্গে সংবাদ মাধ্যমকে আবু লায়েস মুন্না বলেন গত ১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মধ্যেদিয়ে মুক্তিজোট ৫টি প্রস্তাব করে তা নিয়ে উপদেষ্টার সাথে কথা হয়। নিম্নে মুক্তিজোটের প্রস্তাবগুলি উল্লেখ করা হল- ১. রাষ্ট্র কাঠামোকে শুধু কেন্দ্রীভূতই নয়, কোন দল যেন দলীয়করণ করতে না পারে সে লক্ষ্যে ‘বিকেন্দ্রীভূত-কেন্দ্রীকরণ’ রাষ্ট্র কাঠামো তথা সংবিধানের ৬০ ধারার বাস্তবায়ন করতে হবে, যার মাধ্যমে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী হবে। ২. নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে বাংলাদেশের সংবিধান এর ১১৮ নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বিধি করতে হবে। ৩. জন প্রতিনিধি (এমপি, মন্ত্রী, স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধি), ও তাদের ফার্স্ট ব্লাড (বাবা-মা, স্বামী-স্ত্রী, সন্তান) এর কেউ বাংলাদেশের বাইরে অন্য দেশের নাগরিকত্ব থাকলে উক্ত দায়ীত্বে অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে। ৪. স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯৭৩ সালের অধ্যাদেশ অনুযায়ী সিনেটের ভোটে সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি নির্বাচিত হতে হবে।  ৫. সংসদীয় আসন ৩০০ রেখে, সংসদ সদস্য ৩৩০ এ উন্নিত করতে হবে; নির্বাচিত দলের বাইরে ৩০ জন সদস্য নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী অন্যান্য দলের প্রাপ্ত ভোটের আনুপাতিক হারে হবে। যার অনুপাত হবে প্রতি জন নির্বাচিত সংসদ সদস্যর প্রাপ্ত গড় ভোটের অনুপাত অনুসারে। এছাড়াও সংরক্ষিত আসন থাকতে হবে ২০ জন যার ১০ জন নারী প্রতিনিধি, ১ জন ব্যবসায়ী প্রতিনিধি, ২ জন কৃষক প্রতিনিধি, ১ জন শ্রমিক প্রতিনিধি, ১ জন সাংস্কৃতিক কর্মী, ১ জন মানবাধিকার কর্মী, ১ জন ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠির প্রতিনিধি, ১ জন তৃত্বীয় লিঙ্গ, ১ জন গার্মেন্টস কর্মীর প্রতিনিধি, ১ জন ক্রীড়া প্রতিনিধি।

তিনি আরও বলেন ‘ডান-বাম নয় হাঁটতে হবে বাংলাদেশ বরাবর’ এই স্লোগানে মুক্তিজোট এর দাবি সংবিধানের ৬০ ধারা বাস্তবায়ন অর্থাৎ স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করে ব্যাপক মানুষের অংশগ্রহণে রাষ্ট্র পরিচালিত হোক। ব্যাপক তারূন্যের অংশগ্রহণে দেশ পূর্ণগঠিত হোক। আমরা এক জাতি আমাদের একটাই মাতৃভূমি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ