পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়িতে দুস্কৃতিকারিদের দ্বারা সংঘটিত ব্যাপক সংঘর্ষে (বিভিন্ন তথ্য থেকে) ৪ জন নিহত, প্রায় ৭০ জন গুরুতর আহত এবং দোকানপাট ও ঘরবাড়িতে হামলা ভাংচুরসহ অগ্নিসংযোগের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন মুক্তিজোটের সংগঠন প্রধান আবু লায়েস মুন্না।
২১ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য (দপ্তর) উত্তম কুমার ঘোষের স্বাক্ষরে মুক্তিজোটের সংগঠন প্রধান ও সাধারণ সম্পাদকের যৌথ বিবৃতিতে এ কথা বলেন।
বিবৃতিতে, আইন নিজের হাতে তুলে না নেওয়া এবং ধ্বংসাত্মক কাজে লিপ্ত না হওয়ার জন্য সবাইকে আহ্বান জানান তাঁরা। সহিংসতার সব ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দায়ী ব্যক্তিদের বিচার নিশ্চিত করার দাবি করে তাঁরা বলেন একটি শক্তিশালী তদন্ত কমিটি করে নিহত হওয়ার যথাযথ কারণ অনুসন্ধান করে ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট সকলের যথাযথ শাস্তিসহ আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে সরকারকে।
তাঁরা আরও বলেন ‘ছাত্র—জনতা’র গণঅভ্যূত্থান পরবর্তী সরকার দ্বায়িত্ব নেওয়ার প্রায় দেড় মাস অতিবাহিত হতে চললেও এখন পর্যন্ত আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে সক্রিয় করতে পারেন নি ফলে আমরা দেখছি ঢাবি, জাবি সহ বিভিন্ন জায়গাতে হত্যা, চুরি-ডাকাতি, ছিনতাই সহ অপরাধ মূলক কর্মকান্ড বেড়েই চলেছে। তাঁরা আরও বলেন, এসব সন্ত্রাসীদের কঠোর হস্তে দমন করতে হবে, এর কোন বিকল্প নেই। হামলা ও রক্তাক্ত পথ অনুসরণ করে ষড়যন্ত্রকারীরা যাতে ফায়দা লুটতে না পারে সেজন্য দলমত নির্বিশেষে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। আর তাহলেই দেশে প্রকৃত গণতন্ত্র, সুশাসন ও মানুষের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।
খাগড়াছড়ি এবং রাঙ্গামাটিতে জনগণের ওপর হামলাকারী দুস্কৃতিকারিদে অবিলম্বে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আহ্বান জানিয়ে নিহতদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনাসহ তাদের পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জ্ঞাপন এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন তাঁরা।