ঝিনাইদহ সদর উপজেলার সুরাট ইউনিয়নের তেঘরির মাঠ। চোখ যতদূর যায় শুধু ফসলি মাঠের সবুজ ঘেসে বাতাস বয়ে যায় হুহু করে৷ দৃষ্টিনন্দিত মাঠে অবৈধ মাটিকাটা ও বালু সিন্ডিকেটের নজর পড়েছে বলে জানা যায় । শুধু ফসলি জমির ক্ষতি করে ক্ষেন্ত হয়নি এই ভূমিদস্যুরা। সবুজ ফসল নষ্ট করে চালিয়ে যাচ্ছে এই অবৈধ ব্যাবসা।
খোজ নিয়ে জানা গেছে ,কালিচরনপুরের নয়ন আরমান নামের একজন এই মাঠে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তলন করছে দীর্ঘদিন ধরে। কিন্তু তিনি এই অবৈধ ব্যাবসার পাশাপাশি কিশোরগ্যাংয়ের পৃষ্ঠপোষকতা করেন বলে জানা যায়। আরো খবর নিয়ে জানা যায় এই ব্যাবসা টিকিয়ে রাখতে নয়নকে নিয়ন্ত্রণ করেন সুরাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আশরাফুল ।
তাদের এই অবৈধ ব্যাবসা থামানো সম্ভব না বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বলেন নিয়মিত চেয়ারম্যান এর মাধ্যমে সরকারি কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করেন বলে এখানে আইনি কোন পদক্ষেপ নেয়না স্থানীয় প্রশাসন। আর নয়নের বেপরোয়া চলাফেরা আর সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে নিজেদের জীবন বিপন্ন করতে চাই না সাধারণ মানুষ। স্থানীয়রা জানায় নয়নের বিরুদ্ধে সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে একজন সাংবাদিককে মারধর করে নয়ন ও তার কিশোরগ্যাংয়ের বখাটেরা।
নয়নের বেপরোয়া চলাফেরায় জনপ্রতিনিধির পৃষ্ঠপোষকতা পাওয়ায় সকলে আতঙ্কিত থাকে। এব্যাপারে নয়নের নিকট জানতে চাইলে তিনি কালীচরণপুর বাজারে আছে বলে জানায়। কিন্তু কালীচরণপুর বাজারে গিয়ে দেখা যায় তিনি ৫/৬ জন লোক নিয়ে ঘুমিয়ে আছে একটি টং চায়ের দোকানে। তাকে ঘিরে প্রায় ২০/২৫ জন কিশোরদের দেখা যায়। তাকে কয়েকবার ডাকলেও তার ঘুম ভাঙ্গাতে পারেনি তার সহকর্মীরা ।নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আশরাফ এর নিকট মাটিকাটা সিন্ডিকেটের সাথে জড়িত থাকার বিষয়টি জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন আমি নয়নের সাথে নাই এবং কোন সুপারিশ করবনা।
এব্যাপারে ঝিনাইদহ সদর ভূমি কর্মকর্তার নিকট মোবাইল ফোনে ঘটনা ব্যাপারে জানানো হলে তিনি বলেন ইতিপূর্বে একজন সাংবাদিক তাকে ঘটনাটি বলেছেন।আমি এখন একটি অভিযানে আছি বিষয়টি পরে খতিয়ে দেখবো।