ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ১ নং সাধুহাটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কাজী নাজীর উদ্দিন ও তার লোকজনের সাথে ঐ ইউনিয়নের জামাল মেম্বার ও রহিম মেম্বারের সমর্থকদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। জানা গেছে,সোমবার রাতে চেয়ারম্যান কাজী নাজির উদ্দিন তার ইউনিয়নের (ভূমি) নায়েবকে সাথে নিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মুজিবর্ষের উপহার ভূমিহীন গৃহহীনদের ৪ র্থ পর্যায়ের ঘর তৈরি করার জমি জরিপের জন্য এনায়েতপুর গ্রামে যায়।
জমি জরিপ শেষে ঐ ওয়ার্ডের মেম্বার জামাল ভূঁইয়া ও রহিম মেম্বারসহ গন্যমান্য ব্যক্তিদের ইউনিয়ন পরিষদে ডাকেন চেয়ারম্যান নাজির উদ্দিন । এনায়েতপুর বাগদিপাড়ায় ঘর বানানো হলে কারও কোন সমস্যা আছে নাকি জানতে চাইলে রহিম মেম্বারের ভাই আব্দুর রশিদ বলেন অবশ্যই সমস্যা আছে। আপনিতো সব ঘর বরাদ্ধের জন্যই টাকা পয়সা ঘুষ নেন। আব্দুর রশিদের এমন মন্তব্যেই চেয়ারম্যন রেগে গিয়ে গালিগালাজ করতে থাকে।
এক পর্যায়ে আব্দুর রশিদ চেযারম্যানের প্রতি ক্ষুদ্ধ হয়ে মুখের উপর ঘুষি মারেন। মূহর্তের মধ্যই উত্তেজনা ইউনিয়ন ব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে চেয়ারম্যানের লোকজন রহিম মেম্বার এবং তার ভাই আব্দুর রশিদকে বেধড়ক পিটুনি দেয়। এমনটিই মুঠোফোনে জানান ৬ নং ওয়ার্ডের মেম্বর জামাল ভূঁইয়া। তিনি আর জানান, চেয়ারম্যানকে অপমান করায় আমি রশিদকে সবার সামনে চড় থাপ্পড় মেরেছি।
কিন্তু এবিষয়টি জানার জন্য ডাকবাংলা পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ তৌহিদ হোসেন ইউনিয়ন পরিষদের আমাকে ডেকে আনেন। অথচ আমাকে ইউনিয়ন পরিষদে আটকে রেখে একদল গুন্ডাবাহিনী আমাকে মেরে ফেলার উদ্দেশ্য দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে হামলা করে। তাৎক্ষনিক নাজির চেয়ারম্যান এবং তার ভাই শুকুর আলী আমাকে সেভ করে।
এব্যাপারে চেয়ারম্যান নাজির উদ্দিনদের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঘর নির্মানের জন্য আমরা যখন জমি মাপামাপি করি তখন রহিম মেম্বারের ভাই আব্দুর রশিদের জমির সীমানায় বেঁধে যাচ্ছে সে কারনেই হয়ত সে আমার সম্পর্কে এরুপ মন্তব্য করেছে। তবে আমি আমার লোকজনকে শান্ত করার চেষ্টা করছি।
এব্যাপারে আঃ রশিদের মুটো ফোনে (01325315818)
একাধিক বার কল দিলে ও তিনি রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে ডাকবাংলা পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ তৌহিদ হোসেনের নিকট জানতে চাইলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমি খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে যায়। তিনি আরও বলেন, চেয়ারম্যানের লোকজন দশমাইল বাজারে অবস্থিত আব্দুর রশিদের দুইতলা বাড়ি ভাংচুর করা জন্য গেলে সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করি। তবে বিচ্ছিন্নভাবে আব্দুর রশিদের আমবাগানের গেট ভাংচুর হয়। এবং তাকে খুজে না পেয়ে তার গ্রামের বাড়িও ভাংচুর হয়েছে বলে জানা যায়।
এব্যাপরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার এস এম শাহিন এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,গত সপ্তাহে আমি একটা জায়গা দেখে আসছি। তবে ঘর বরাদ্ধের ব্যাপারে টাকা পয়সা নেওয়া এবং মারামারির ব্যাপারে আমি এখনো কোন তথ্য পায়নি।