মুক্ত হোক-bgn24
ঢাকা নগরীকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা এখন সময়ে দাবি কারন ঢাকা জলাবদ্ধতার নগরী হিসাবে সু সুপরিচিত। রাজধানীর খালগুলো উদ্ধার এবং সংস্কারের কথা নিকট অতীতেও শোনা গেছে বহুবার। এতদিন পর্যন্ত খালগুলোর দায়িত্ব ছিল ঢাকা ওয়াসার। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, ওয়াসা তাদের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে চরমভাবে আর একথা সত্য যে ওয়াসা এখন নিজেই দুর্ভোগের আপর নাম নগরবাসীর জন্য কারন তারা এতদিনেও পান করার পানি দিতে পারেনি ।
এখন থেকে ঢাকার খালগুলোর দায়িত্ব পড়েছে দুই সিটি কর্পোরেশনের ওপর। শনিবার থেকেই ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন ২৬টি খালের মধ্যে প্রাথমিকভাবে তিনটি খাল এবং দুটি বক্সকালভার্ট সংস্কারের কাজে হাত দিয়েছে। বুুঝে পাওয়া খালগুলো পরিষ্কারসহ দু’পাশের অবৈধ স্থাপনাসমূহ উচ্ছেদ করা হচ্ছে। দু’পাশে নির্মিত হবে পরিকল্পিত ওয়াকওয়ে, সাইকেল লেন ও সবুজ বেষ্টনী।
সারা বছর খালগুলো যাতে নাব্য থাকে এবং বৃষ্টির পানি প্রবাহিত হতে পারে সে ব্যবস্থা করা হবে। ২৯টি খাল উদ্ধারে অনুরূপ অভিযান শুরু হবে সোমবার থেকে ঢাকা উত্তরেও। সিটি কর্পোরেশন আশা করছে, মার্চ মাসের মধ্যে কাজ শেষ হলে আগামী বছর আর জলাবদ্ধতা থাকবে না। কাজটি কঠিন হলেও অসম্ভব নয়। সামান্য কিংবা ভারি বর্ষণে রাজধানীতে ব্যাপক জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হবে এটি প্রায় প্রতি বছরের চিত্রে পরিণত হয়েছে।

পানি অপসারণের ড্রেনগুলো প্রায় ভরাট তথা সচল না থাকায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা পানি আটকে থেকে সৃষ্টি করেছে অসহনীয় জলাবদ্ধতা। তদুপরি মেট্রোরেল ও পয়ঃনিষ্কাশনজনিত খননের কারণে প্রায় পুরো রাজধানী খানা-খন্দসহ ছোট-বড় গর্তে ভর্তি। ফলে প্রতিদিনই যানবাহন ও লোক চলাচল পড়ে থাকে হুমকির মুখে। ছোটখাটো নানা দুর্ঘটনাও ঘটে। এর সঙ্গে মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা হিসেবে রয়েছে করোনা মহামারীর আতঙ্ক। ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়ার ভীতিতো আছেই।
আসলে আধুনিক নগর গুলোতে সেভাবে মানুষের পায়ে হাঁটার পথ থাকে কিন্তু আমাদের ঢাকা তো ইট কাট পাথরের খাচা । এখন আশা দুই সিটিতেই দুজন নতুন মেয়র দায়িত্বভার গ্রহণ করেছেন এই খাল গুলি উদ্ধার করবেন নগরীরকে সাজাবেন সুন্দর করে একটি মানবিক নগরী পাবে নগরবাসী। সম্প্রতি বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে ঢাকায় জলাবদ্ধতায় আগামী ৩৫ বছরে ক্ষতি হবে কমপক্ষে ১৪ হাজার কোটি টাকা।
কয়েকমাস আগে ঢাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে আলাদা টাস্কফোর্স গঠনের কথা জানিয়েছেন ঢাকার দুই সিটি মেয়র। একই সঙ্গে বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, বালু ও শীতলক্ষ্যা সংস্কারসহ রমনা পার্ক এবং হাতিরঝিলের নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ জরুরী কারন সেটা আছে তা রক্ষা করার মাধ্যামে সুন্দর নগরী গঠন করা দরকার ।
আমরা একটি পরিছন্ন ঢাকা নগরী চাই। আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম যেন একটা দুষুন মুক্ত ঢাকা।
মুক্ত হোক-bgn24