গতকাল একটা উপসম্পাদকীয় লিখেছিলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সন্তোষ রবিদাশ কে নিয়ে তার লেখা তারও তার মায়ের করুনগাধা ছিল আমাদের লেখার বিষয়বস্তু। যেন আমাদের লেখাটি পড়েছেন কলগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী অফিসার সিফাত উদ্দিন ও মৌলবী বাজারের জেলা প্রাশাসক মীর নাহিদ আহসান।
মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার শমসেরনগরের চা–শ্রমিক মারের সন্তান কে চাকরি দিতে আজ রোববার বিকেলে মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে তাঁকে ডাকা হয়েছে। একটি স্কুলে খণ্ডকালীন চাকরি পাচ্ছেন তিনি। কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিফাত প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, কাল বিকেলে মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে সন্তোষকে ডাকা হয়েছে। কমলগঞ্জ সরকারি মডেল উচ্চবিদ্যালয়ে খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে তাঁর চাকরির ব্যবস্থা করা হয়েছে। আজ বিকেলে ডিসি স্যার সন্তোষের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেবেন। এ বিষয়ে সন্তোষ রবি দাস বলেন, আজ সকালে কমলগঞ্জের ইউএনও তাঁকে ফোন দিয়ে চাকরির জন্য আবেদনপত্র তৈরি করতে বলেন। কমলগঞ্জ সরকারি মডেল উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি বরাবর একটি আবেদনপত্র তৈরি করতে বলা হয় তাঁকে।
কমলগঞ্জ সরকারি মডেল উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রনেন্দ্র কুমার দেব প্রথম আলোকে বলেন, ‘আগামীকাল সন্তোষ রবি দাসের আমাদের স্কুলে খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে যোগদানের কথা রয়েছে। খণ্ডকালীন শিক্ষকের যে সম্মানি তাঁকে সেই সম্মানি দেওয়া হবে। যত দিন পর্যন্ত তিনি কোনো ভালো চাকরি না পান, ততদিন পর্যন্ত তিনি আমাদের এখানে খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে চাকরি করতে পারবেন।
একজন মায়ের হয়তো কষ্টের অবসান হলো কিন্তু হাজার হাজার মা এখনো কষ্টে আছে বড় কষ্টে চাল ভাজা আর চা পাতা ভর্তা কতক্ষণ খাওয়া যায়। যে চায়ে চলে আমাদের ভোট, যে চায়ে ভেজে আমাদের ঠোঁট। আমরা কি লাল চায়ে শ্রমিকের রক্ত খুজে যাবো এই জুগে মাত্র ১২০ টাকা হাজিরা তা বেড়ে হলে ১৬৫ টাকা। আমরা মাননীয় কতৃপক্ষের নিকট আকুল আবেদন করছি চা শ্রমিক দের খেয়ে বাঁচার মুজুরীটা দৈনিক ৩০০ করা হোক।
বেদুইন হায়দার লিও
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক