১‘ভোট দিয়ে কীই–বা হবে?’
২‘সেই একই দল তো জিতবে।’
৩‘আমার ভোট এমনিতেই চুরি হয়ে যাবে।’
৪‘আমি ভোট দিলাম বা না–ই দিলাম, দুর্নীতি তো চলতেই থাকবে।’
৫‘আমার কাউকে ভোট দেওয়ার নেই, সবাই তো এক।’
৬‘যথেষ্ট মানুষ আছে ভোট দেওয়ার। আমার একটা ভোট দিয়ে কিছু যায়–আসে না।’
৭‘আমার ভোট দিতে ভয় লাগে। কে জানে কী হবে সেদিন।’
নির্বাচনে ভোট চুরি না হলে এটা বোঝা সহজ যে কেন একজনের ভোট দেওয়া উচিত। আপনার ভোটের মূল্য আছে—সংসদে এবং অন্যান্য সম্পৃক্ত জায়গায় যে প্রার্থী আপনার “ডাকবাংলা বাজার দোকান মালিক সমিতির” বিষয়গুলো সবচেয়ে ভালোভাবে তুলে ধরতে পারবেন, তাঁকে আপনি নির্বাচিত করতে পারবেন। আপনি আপনার বাজারের দোকান মালিকদের সঙ্গে একমত হয়ে নিশ্চিত করতে পারেন যাতে সবচেয়ে ভালো প্রার্থী বাজারের জন্য নির্বাচিত হন। তবে সবচেয়ে ভালো প্রার্থী কে, এটা কীভাবে যাচাই করা যায়? নিঃসন্দেহে, এটা আপনার জন্য জানা গুরুত্বপূর্ণ যে আপনার বাজারের প্রার্থীরা কারা, তাঁদের পূর্ব অভিজ্ঞতা ও অবদান কী,
তাঁদের বাজারের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তাভাবনা কী এবং নির্বাচিত হলে তাঁদের বাজারে কাজ করার জন্য ক্ষমতা কী রকম থাকবে। এটা গুরুত্বপূর্ণ যে এ তথ্যগুলো সব দোকান্দারদের কাছে পৌঁছে দিতে হবে, যাতে দোকান মালিকগন ভালোভাবে বুঝে ভোট দিতে পারেন।
তবে তথ্যগুলো শুধু ডাকবাংলা বাজার দোকান মালিকদের কাছে প্রদর্শন করলে হবে না। সেই তথ্যকে ব্যাখ্যা করতে হবে, বিশ্লেষণ করতে হবে এবং সেই ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণের ওপর ভিত্তি করে যুক্তিসহ বিবেচনা করতে হবে। যেহেতু আপনি এই লেখা পড়তে পারছেন, খুব সম্ভবত আপনি আনুষ্ঠানিক শিক্ষা পেয়েছেন। অতএব, খুব সম্ভবত আপনি সূক্ষ্মভাবে ব্যাখ্যা, বিশ্লেষণ ও বিবেচনা করার দক্ষতা অর্জন করেছেন। এই লেখার পাঠক হিসেবে আপনি আপনার জ্ঞান ও বুদ্ধি খাটিয়ে বিবেচনা করার শক্তি ও সুবিধা পেয়েছেন।
তবে নির্বাচনে ভোট চুরি হলে কী হবে? আপনি যদি একেবারেই ভোট না করেন, তাহলে আপনার ভোট আসলেও ধরে নেওয়া হয়েছে কি না, তা আপনি বুঝতেও পারবেন না বা তা নিয়ে কোনো দাবিও করতে পারবেন না। নির্বাচনকেন্দ্রে আপনার ভোট নিয়ে কী হয়েছে, তা নিয়ে আপনি কিছুই বলতে পারবেন না।
তবে আপনি এবং আপনার দোকান মালিকগন যদি ভোট দেন এবং তারপর তা চুরি হয়ে থাকে, তখন আপনি দাবি করতে পারবেন যে আপনাদের ভোট নিয়ে অবৈধ কোনো কাজ হয়েছে। নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার বিনিময়ে আপনি তখন জোর গলায় বলতে পারবেন যে এই নির্বাচন আপনার জন্য কাজ করে না। না হলে আপনার ভোট ধরা হয়েছে নাকি হয়নি, এটা নিয়ে কোনো তর্ক হবে না—আপনি তো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতেই আসেননি। না হলে আপনি সম্ভবত জানতেও পারবেন না যে আপনার ভোট চুরি হয়েছে নাকি হয়নি। আজকে যদি আমরা সঠিক প্রার্থী না–ও পেয়ে থাকি, কালকে পাব। কিন্তু এটা সম্ভব যদি আমরা নির্বাচনের প্রতি আস্থা ফিরিয়ে আনতে পারি।
আমরা যদি নির্বাচনের প্রতি আস্থা ফিরিয়ে আনতে পারি এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার চর্চা ধরে রাখতে পারি, তাহলে আমরা ভবিষ্যতে ভালো ও উপযুক্ত প্রার্থীদের উৎসাহ দিতে পারি নির্বাচনে দাঁড়ানোর জন্য।
আমরা এটা করতে পারি নির্বাচনে আপনার উৎসাহ ও অংশগ্রহণের মাধ্যমে, আপনার গণতান্ত্রিক অধিকারের চর্চার মাধ্যমে, আমরা করতে পারি আপনার ভোটের মাধ্যমে।
তাহলে আসুন, নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করি। যদি আজকে আপনি এটার কোনো ফল না–ও দেখে থাকেন, আমি নিশ্চিত যে ভবিষ্যতে এটার ফল আসবেই।